কখন আল্লাহ্‌র ভালোবাসা আযাব থেকে নাজাতের কারণ হবে

কতিপয় সালাফ থেকে বর্ণিত হয়েছে, একদল লোক দাবি করলো যে, তারা আল্লাহকে ভালোবাসে। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمْ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَإِن تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ﴾ ‘‘বলো, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাক তাহলে … Read more

মসজিদ আল্লাহর ঘর এই কথা কি সঠিক

প্রশ্ন: মসজিদ আল্লাহর ঘর এই কথা কি সঠিক? আলেমগন বলেন মসজিদ আল্লাহর ঘর, তিনিই এর হেফাযত করে থাকেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা যুদ্ধের সময় দেখা যায় যে অনেক মসজিদও বিলীন হয়ে যায়। এর ব্যাখ্যা কী? ▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: পৃথবীর সকল মসজিদকে আল্লাহ নিজের ঘর একথা কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত।আর এজন্য মসজিদগুলিকে ‘বায়তুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর ঘর’ বলা … Read more

মহান আল্লাহ কেয়ামতের বান্দার সাথে সম্পর্কিত গোনাহও কি মাফ করবেন

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ কেয়ামতের মাঠে বান্দাদের সব পাপ ক্ষমা করবেন যদি শিরক না থাকে তাহলে কি তিনি বান্দার সাথে সম্পর্কিত গোনাহও মাফ করবেন? বিস্তারিত জানতে চাই। ▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: মহান আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য।সাথে মানুষ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, এটা তার জন্য ফরয। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা তাঁর ইবাদতের অন্তর্গত। কিন্তু মানুষ … Read more

মহান আল্লাহ কোথায় আছেন এবং আরশ কী

❏প্রশ্ন: মহান আল্লাহ কোথায় আছেন? আরশ কী? আরশ দ্বারা উদ্দেশ্য কি ক্ষমতা ও রাজত্ব? আরশ সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা কি হবে? ▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: মহান আল্লাহ বলছেন, তিনি আরশের উপর সমুন্নত এ মর্মে পবিত্র কুরআনে ৭টি আয়াত বর্ণিত হয়েছে। [আল-আ‘রাফ ৭/৫৪; ইউনুস ১০/৩; রা‘দ ১৩/২; ত্বোয়াহা ২০/৫; আল-ফুরক্বান ২৫/৫৯; সাজদাহ ৪; হাদীদ ৪; মুসলিম হা/৮৩৬, ‘মসজিদ’ অধ্যায়; … Read more

মহান আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন এবং যারা বিশ্বাস করে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান তাদের এই আক্বিদা কতটুকু সঠিক

প্রশ্নঃ মহান আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন? যারা বিশ্বাস করে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান তাদের এই আক্বিদা কতটুকু সঠিক দলিল সহ জানতে চাই। ▬▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: মহান আল্লাহ্‌ আছেন সাত আসমানের উর্ধে আরশের উপর।তিনি স্রষ্টা, সৃষ্টি থেকে উর্ধে থাকেন। তবুও তিনি বান্দার নিকটবর্তী। তার জ্ঞান ও দৃষ্টি সর্বত্র আছে। মুমিনের হৃদয়ে তার যিকর বা স্মরণ থাকে।কিন্তু তিনি আছেন সাত … Read more

নিশ্চয় আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণ করেন হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা কি?

প্রশ্ন: নিশ্চয় আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণ করেন। হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা কি? বিস্তারিত জানতে চাই। ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬উত্তর: আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে একবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলো। লোকজন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। অতএব আপনি আমাদের জন্য মূল্য বেঁধে দিন। তিনি বলেনঃ “‏ … Read more

আল্লাহর জন্য কাউকে ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য ঘৃণা করার প্রকৃত অর্থ কি

প্রশ্ন: আল্লাহর জন্য কাউকে ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য ঘৃণা করার প্রকৃত অর্থ কি?কাউকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি বা ঘৃণা করি এটি ব্যক্তিকে সরাসরি বলা যাবে কি? ▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬▬ ভূমিকা: মানুষ হিসাবে একজন অন্যজনের প্রতি ভালবাসা একটি স্বভাবজাত বিষয়। মানুষ নিজের প্রয়োজনে, ভবিষ্যতে কারো সাহায্য পাওয়ার জন্য, অতীতে কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার কারণে একে অপরকে ভালবেসে থাকে। … Read more

মুমিনগণ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখবে এ বিষয়ে বিস্তারিত

প্রশ্ন: মুমিনগণ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখবে। এখন এই স্বচক্ষে দর্শন বলতে কি আল্লাহর সন্তুষ্টি বুঝানো হয়েছে নাকি সরাসরি দেখা বুঝানো হয়েছে, বিস্তারিত জানতে চাই। ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: মহান আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখা সম্পর্কে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘তের আক্বীদা হল, ‘ক্বিয়ামতের দিন মুমিনগণ আল্লাহকে সেরকমই দেখতে পাবে, যেমন পরিস্কার আকাশে দিনের বেলায় সূর্য এবং রাতের বেলায় পূর্ণিমার … Read more

আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে প্রথম আকাশে নেমে আসেন এর সঠিক ব্যাখ্যা

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে প্রথম আকাশে নেমে আসেন। কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্র একসাথে শেষ রাত হয় না। তাহলে হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা কী? ▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: মহান আল্লাহ তা‘আলা আমাদের রব। তিনি শোনেন ও জানেন আমরা যা প্রকাশ করি আর যা গোপন করি। বান্দার কোনো ডাকই তাঁর জানার বাইরে নয়। তিনি সর্বাবস্থায় আমাদের আকুতি … Read more

মহান আল্লাহর সিফাত বা গুনাবলি কত প্রকার ও কি কি

আল্লাহর সিফাত দুই প্রকার। যথা: (১). সত্তাগত সিফাত (২). কর্মগত সিফাত। (১). সত্তাসংলগ্ন গুণ হলো, যেগুলো অনাদি কাল থেকে আল্লাহর সত্তার সঙ্গে রয়েছে এবং অনন্তকাল ধরে থাকবে। যেমন ইলম, কুদরত, শ্রবণ, দর্শন, পরাক্রমশীলতা, হিকমত, সর্বোচ্চতা,‘আযমত। এর মধ্যে সংবাদজাত গুণ যেমন চেহারা, দু‘হাত, দু‘চোখ ইত্যাদিও শামিল রয়েছে। . (২). আর কর্মসংলগ্ন গুণ হলো ওইসব গুণ, যা … Read more

কাউকে আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ করা যাবেনা

প্রিয় পাঠক, বর্তমানে ওয়াজ মাহফিল বা জুমার খুতবায় কিছু তরুণ দ্বীনের দাঈগন-কে শরীয়তের হুকুম আহকাম সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়াই হুটহাট মুসলিমদেরকে গণহারে কাফের বা জাহান্নামী বলে আখ্যা দিতে দেখা যাচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়। দ্বীনি বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার পূর্বে তাদের উচিত আরো গভীরভাবে পড়াশোনা করা এবং সালাফদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেখা। হুটহাট ফাতওয়া দিয়ে মানুষকে … Read more

বিপদ বা কষ্টের সময় ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আল্লাহর উপর রাজী-খুশি থাকুন।

মহান আল্লাহ বলেন,وَنَبْلُوكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ، ‘আর আমরা তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমাদের কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে’ (সূরা আম্বিয়া ২১/৩৫)। কল্যাণ দ্বারা পরীক্ষিত হ’লে শুকরিয়া জ্ঞাপন করা এবং মুসিবত দ্বারা পরীক্ষিত হ’লে ধৈর্যধারণ করা মমিনের কর্তব্য। কারন এই দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার সদৃশ আর কাফিরের জন্য জান্নাত সদৃশ।(সহীহ … Read more

তাক্বওয়া কি এবং রামাদানের সাথে তাক্বওয়ার সম্পর্ক কি

আরবী (তাক্বওয়া) শব্দটি وقاية হতে উৎপত্তি। যার অর্থ হলো অনিষ্টকর ও কষ্টদায়ক বস্তু হতে আত্মরক্ষা করা, সতর্কতা, আল্লাহর ভয়, আল্লাহভীতি, পরহেযগারী, দ্বীনদারী, ধার্মিকতা ইত্যাদি। (ইবন মানযূর, লিসানুল আরব, ১ম খণ্ড কায়রো পৃষ্ঠা. ৬১৫)। সাধারণ অর্থে আল্লাহভীতিকে ‘তাক্বওয়া’ বলা হয়। শারঈ অর্থে- আল্লাহ তা‘আলার ভয়ে ভীত হয়ে তাঁর নির্দেশিত ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত … Read more

মানুষ যদি ভালো-মন্দ কাজ আল্লাহর ইচ্ছায় ও তাকদীরের লিপিবদ্ধ থাকার কারণে করে তাহলে কেন আল্লাহ মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দেবেন

প্রশ্ন: দুনিয়ায় মানুষ ভালো-মন্দ যত কাজ করে তা আল্লাহর ইচ্ছায় ও তাকদীরের লিপিবদ্ধ থাকার কারণে করে। তাই মানুষের কি দোষ? কেন আল্লাহ তাকে মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দেবেন? ▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: তাক্বদীর সম্পর্কে সঠিক বুঝ ও ধারণা না থাকার কারণে অনেক মুসলিম নামধারী মানুষও পথভ্রষ্ট হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে ইসলামে বিভিন্ন দল ও উপদলের। অনেক লোক তাক্বদীর … Read more

আল্লাহ্‌ তা’আলা সমস্তকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি বলতে কি বুঝানো হয়েছে

মহান আল্লাহর অসংখ্য সুন্দর নামের মধ্যে তিনটি নাম, আল-খালিক, আল-বারী, আল-মুসাওয়ির তিনটি নামের অর্থ: সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিকারী, নির্মাণকারী, পরিকল্পনাকারী আকৃতি-দানকারী, অর্থাৎ আল-খালিক, আল-বারী, আল-মুসাওয়ির হলেন যিনি সমস্ত সৃষ্টিজগত সৃজন করেছেন, তিনি পূর্ব আকৃতি ব্যতীত এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর হিকমত অনুসারে তিনি সেগুলোকে সুবিন্যস্ত ও সুকাঠামো গঠন করেছেন, তিনি তাঁর প্রজ্ঞা অনুসারে সৃষ্টিজগতকে আকৃতি দান করেন যখন … Read more

ওয়াহদাতুল উজুদ বা সবকিছুতে মহান আল্লাহর উপস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত

ওয়াহদাতুল উজুদ’ বা সবকিছুতে মহান আল্লাহর উপস্থিতি বলতে কী বুঝায় এবং এটি কি কোন মুসলিমের আক্বীদা বিশ্বাস হতে পারে কি? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ওয়াহদাতুল উজুদ দুটি আরবি শব্দের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে। আরবি শব্দ ওয়াহেদ (এক) থেকে ওয়াহেদ/ওয়াহদাতুল, যার অর্থ এক হয়ে যাওয়া। আরবি শব্দ উজুদ অর্থ অস্তিত্ব। ওয়াহদাতুল উজুদ এর শাব্দিক অর্থ হলঃ সব কিছুর (সৃষ্টি ও স্রষ্টার) … Read more

কুরআনে অনেক জায়গায় মহান আল্লাহ তাআলা নিজের ক্ষেত্রে আমরা (বহুবচন) শব্দ ব্যবহার করার কারণ

পবিত্র কুরআনে একাধিক স্থানে মহান আল্লাহ তা‘আলা নিজেকে বোঝাতে আমরা (বহুবচন) শব্দ ব্যবহার করেছেন এই বিষয়টি শুধু অমুসলিম নয়, অনেক মুসলিমের কাছেও স্পষ্ট নয়। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। প্রথমত সবার জানা উচিত যে, ইসলামী শরীআতের কোন বিধানের কারণ তালাশ করা অন্যায়। বরং নির্বিবাদে মেনে নেওয়ার মধ্যেই বান্দার কল্যাণ নিহিত রয়েছে, মুমিন তো তারাই যারা … Read more

আপনার কি প্রয়োজন সেটা আপনার রবের কাছে বলুন

ভূমিকা: মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। ইহকালে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা তিনি নিজেই করেছেন। দুনিয়াতে চলার জন্য মানুষকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। এই দিক-নির্দেশনা বা হেদায়াত মেনে চললে পরকালে মানুষ পুরস্কার হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। মহান আল্লাহর ভাণ্ডার অফুরন্ত। সুতরাং আমাদের সব চাওয়াই আল্লাহর কাছে বলতে হবে। আল্লাহর ভাণ্ডারে কোনো কিছুর কমতি নেই। তবে মানুষের … Read more

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড় তুফানের সময় মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করুন এবং নিম্নলিখিত দোয়া গুলো পাঠ করুন

ভূমিকা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্প, ঝড়-তুফানসহ যাবতীয় বালা মুসিবত মূলত আমাদের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ বলেন, তোমাদের যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল (সূরা শূরা, ৪২/৩০) আল্লাহ অপর আয়াতে বলেন,মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে; ফলে তিনি তাদেরকে তাদের কোন কোন কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে (সূরা রুম:৪১) আল্লাহ … Read more

বান্দা গুনাহ করার পরও আল্লাহ তার প্রতি চারটি মহান নিয়ামত অব্যাহত রাখেন

◉ তার রিযিক বন্ধ করেন না; ◉ তার শরীর-স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেন না; ◉ তার পাপের কথা প্রকাশ করেন না এবং ◉ তাৎক্ষণিক তাকে শাস্তিও দেন না। . তবে, সীমালঙ্ঘন করে ফেললে, অনেক সময় আল্লাহ্ তার লাগাম টেনে ধরেন। তবুও তিনি তাকে দুনিয়াতেই পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন না। পূর্বের যামানার অনেককে তাৎক্ষণিক ভয়াবহ শাস্তি … Read more

গোশতের টুকরায়, গাছের পাতায়, মাছের গায়ে, রুটিতে, বাচ্চার শরীর ইত্যাদিতে আল্লাহর নাম

গোশতে টুকরা, গাছের পাতা, মাছের গায়ে, রুটিতে, বাচ্চার শরীর ইত্যাদিতে কোনও চিহ্ন যা দেখতে আল্লাহ, মুহাম্মদ বা ইসলামের বিশেষ কোন চিহ্নের মত মনে হলে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। হতে পারে বিষয়টি কাকতালীয়। এটি ইসলামের সত্যতার প্রমাণ বহন করে না। কেননা এমন বহু চিহ্ন দেখা যায়, যা দেখতে খৃষ্টানদের ক্রুশ, হিন্দুদের গণেশ বা অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় … Read more

বিজয় তো শুধুমাত্র আল্লাহর থেকেই আসে

বিজয় তো শুধুমাত্র আল্লাহর থেকেই আসে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন, ‘‘…এবং বিজয় তো শুধুমাত্র আল্লাহর থেকেই আসে।’’ [সূরা আলি ইমরান ৩: ১২৬] এটি এমন একটি আয়াত যেখানে কঠোরতম এক সীমারেখার কথা স্মরণ করানো হয়েছে। এখানে ‘শুধুমাত্র আল্লাহর থেকেই’- কথাটির মাঝে একটি না-বোধক সুর আছে; অর্থাৎ এখানে সীমারেখা হলো যে, বিজয় অন্য কোন কারণে আসবে না; এটি শুধুমাত্র আল্লাহর তরফ থেকে আসবে, যিনি সুবহান (সুমহান), যার কোন শরীক … Read more

তিনি অন্তর্যামী, বুকের ভেতরে মনের খবরও জানেন

মহান আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ আল–আলীম ; এ নামের অর্থ সর্বজ্ঞ, মহাজ্ঞানী, সবজান্তা। জিনিসের প্রকৃতি জানার নাম হল ইলম। মহান আল্লাহ সৃষ্টির সবকিছু জানেন। তিনি তাঁর জ্ঞান দ্বারা সারা সৃষ্টিকে পরিবেষ্টন করে আছেন। তিনি জানেন যা ঘটা জরুরী, যা ঘটা অসম্ভব এবং যা ঘটা সম্ভব। ঘটনার পরিণামে কি ঘটবে তাও তাঁর জানা। তিনি জানেন যা ঘটে গেছে, বর্তমানে যা … Read more

জানি না আমার প্রতিপালক আকাশে আছেন নাকি পৃথিবীতে

আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য (যারিয়াত ৫৬)। আর ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম দু’টি শর্ত হ’ল- (১) যাবতীয় ইবাদত শুধুমাত্র তাঁর জন্যই নিবেদিত হ’তে হবে। যেমন- সালাত, সিয়াম, হজ্জ-যাকাত, যবেহ, কুরবানী, ভয়-ভীতি, সাহায্য, চাওয়া-পাওয়া ইত্যাদি। (২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণ, অনুসরণ করতে হবে এবং তিনি যেভাবে ইবাদত করতে বলেছেন সেভাবেই তা সম্পাদন করতে হবে। উপরোক্ত শর্ত দু’টির … Read more

আল্লাহর গুণাগুণ সাব্যস্তকারী আহলে সুন্নাতের উপর আরোপিত বাতিলপন্থীদের কিছু সন্দেহ ও তার জওয়াব

শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ. অনুবাদ : মুহাম্মাদ শামসুল হক সিদ্দিক সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া যারা সিফাতসমূহকে বাহ্যিক অর্থ থেকে সরিয়ে তাবিল তথা দূর ব্যাখ্যার আশ্রয় নেয় তাদের মধ্যে একদল আছে এমন যারা কুরআন-সুন্নাহয় সিফাত-বিষয়ক কিছু টেক্সট সম্পর্কে আহেল সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। তাদের দাবি এই যে আহলে … Read more

আল্লাহর আরশে অবস্থান ও আমাদের নিকটে থাকা

আল্লাহ্‌ যদি সাত আসমানের উপরে আরশেই থেকে থাকেন তবে কেন বলা হয় যে তিনি আমাদের ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে আছেন? প্রশ্নঃ ক্বুর’আনে বলা হয়েছে, “ফেরেশতারা এবং জিব্রাইল (আলাইহি সালাম)এমন এক দিনে আল্লাহর দিকে আরোহণ করে দুনিয়ার হিসেবে যা ৫০০০ বছরের সমান। এর মানে কি আল্লাহ দুনিয়ার যাবতীয় বিষয়াদি আরশের উপর বসে নিয়ন্ত্রণ করছেন? তাহলে কিভাবে আল্লাহ্‌ … Read more

আল্লাহর আইন এবং আদি ইবনে হাতিমের হাদীসের আলোচনা

এই অংশটি নেয়া হয়েছে শায়খ সালিহ আল-উসাইমীনের আদি ইবনে হাতিমের হাদীসের আলোচনা থেকে, যখন আদি ইবনে হাতিম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনলেন, “তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পন্ডিত ও দরবেশগণকে তাদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে৷” (সূরা তওবাঃ৩১) এরপর, আদী বিন হাতিম (তিনি তখনো মুসলিম হননি) জিজ্ঞেস করলেন: হে মুহাম্মাদ !(সঃ) তারা তো পন্ডিত ও দরবেশগণের ইবাদত … Read more

আল্লাহর ৯৯ টি নাম

কুরআনের বর্ণনায় আল্লাহ’র গুণবাচক নামসমূহকে “সুন্দরতম নামসমূহ” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।(সূরা বনী-ইসরাঈল আয়াত ১১০)” অর্থসহ আল্লাহর ৯৯ টি নাম : আরবীতে বর্ণান্তর অনুবাদ (আলোচ্য বিষয়বস্তুর উপর অর্থ নির্ভরশীল) ১ الله আল্লাহ আল্লাহ ২ الرحمن আর রাহমান পরম দয়ালু ৩ الرحيم আর-রহী’ম … Read more

আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট

আল  অকীল   এ নামের অর্থ উকীল, কর্মবিধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক। মহান আল্লাহ সবকিছুর সবারই উকীল। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ সর্বকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন’।[সূরা আয যুমার: ৬২] তিনি বলেন, অন্য কোন উকীল লাগবে না। কারণ তিনিই উকীল হিসাবে যথেষ্ট। ‘আর আল্লাহরই জন্যে সে সবকিছু যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে। আল্লাহই যথেষ্ট কর্মবিধায়ক’। [সূরা আন নিসা :১৩২]   … Read more

আল্লাহ যাদেরকে ভালবাসেন

আল্লাহর মনোনীত দীনকে সমুন্নত রাখা, আল্লাহর আনুগত্য করা, আল্লাহর রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে ভালবাসা, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগী শাসকদের আনুগত্য করা এ সমস্তই আল্লাহকে ভালবাসার অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে, বান্দার গুনাহসমুহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাত দান করা হচ্ছে মানুষের প্রতি আল্লাহর ভালবাসা। আল্লাহ বলেন, “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন … Read more

আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানে না এ কথা কতটুকু সত্য

আল্লাহ তায়ালার যে অর্থে عالم الغيب (নিজের থেকে নিজে সব কিছু জানেন) সে অর্থে কোন নবী, রাসূল, অলী, বুযুর্গعالم الغيب নন। তবে আল্লাহ তাআলা যাকে যতটুকু জানান, তিনি ততটুকুই জানেন। আর এভাবে যিনি জানেন তাকে পরিভাষায় عالم الغيب বলা হয় না। যখন নবী-রাসূলগণই عالم الغيب নন, তখন গণক, জ্যোতিষী, টিয়া পাখী ওয়ালা,জ্বীন-শয়তান বা কোন অলী-বুযুর্গ, কোন পীর ফকরি  হুজুর عالم الغيب হওয়ার বা গায়েব জানার প্রশ্নই আসে না। জাহিলী যুগে যেভাবে গণক, জ্যোতিষী এবং এক শ্রেণীর পীর-বুযুর্গ গায়েব … Read more