মহান আল্লাহর সিফাত বা গুনাবলি কত প্রকার ও কি কি

আল্লাহর সিফাত দুই প্রকার। যথা:

(১). সত্তাগত সিফাত (২). কর্মগত সিফাত।

(১). সত্তাসংলগ্ন গুণ হলো, যেগুলো অনাদি কাল থেকে আল্লাহর সত্তার সঙ্গে রয়েছে এবং অনন্তকাল ধরে থাকবে। যেমন ইলম, কুদরত, শ্রবণ, দর্শন, পরাক্রমশীলতা, হিকমত, সর্বোচ্চতা,‘আযমত। এর মধ্যে সংবাদজাত গুণ যেমন চেহারা, দু‘হাত, দু‘চোখ ইত্যাদিও শামিল রয়েছে।
.
(২). আর কর্মসংলগ্ন গুণ হলো ওইসব গুণ, যা আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ এমন সব কর্ম যা আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে করেন এবং ইচ্ছা না করলে করেন না। যেমন আরশের ওপর উঠা এবং নিম্নাকাশে অবতরণ করা।

আবার কখনও কখনও সিফাতে যাতিয়া অর্থাৎ সত্তাসংলগ্ন গুণ দু’ভাবে কর্মসংলগ্ন গুণও হতে পারে, যেমন কালাম বা কথা। এ গুণটি তার মৌলিকতার বিবেচনায় সিফাতে যাতিয়া (সত্তাসংলগ্ন গুণ); কেননা আল্লাহ তা‘আলা অনাদি অনন্তকাল ধরে মুতাকাল্লিম থেকেছেন এবং থাকবেন। আর সুনির্দিষ্ট কোনো কথার ক্ষেত্রে ‘কালাম’ গুণটি সিফাতে ফি‘লিয়া তথা কর্মসংলগ্ন গুণ। কেননা কথা বলা আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি যখন যা ইচ্ছা করেন বলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:﴿ إِنَّمَآ أَمۡرُهُۥٓ إِذَآ أَرَادَ شَيۡ‍ًٔا أَن يَقُولَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ ٨٢ ﴾নিশ্চয়ই তাঁর ব্যাপার শুধু এই যে, কোন কিছুকে তিনি যদি ‘হও’ বলতে চান, তখনই তা হয়ে যায়। (সূরা ইয়াসীন: ৩৬: ৮২) অপর আয়াতে বলেছেন ﴿ وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمٗا ٣٠ ﴾ আর আল্লাহ ইচ্ছা না করলে তোমরা ইচ্ছা করতে পারবে না; নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রাজ্ঞ। (সূরা আল ইনসান:৩০) আরো বিস্তারিত জানতে শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) তাঁর লিখিত আল-কাওয়ায়েদ আল-মুছলা ফি সিফাতিল্লাহি ওয়া আসমাইহিল হুসনা গ্রন্থটি পড়তে পারেন ইনশাআল্লাহ। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)