ডরিমন, সুপারম্যান,স্পাইডারম্যান, হিমু এই সবগুলোর মাঝে শিরক মিশ্রিত আছে। আপনি এবং আপনার সন্তানদেরকে এইসমস্ত মায়াবী শয়তানী ধোঁকা থেকে দূরে রাখুন!! প্রথমেই বলে নেই, যেই সমস্ত বাবা মায়েরা আদর করে ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েদের হাতে নাচ, গান, কার্টুন, ভিডিও গেমস, গল্পের বই তুলে দিয়ে একেবারে জন্ম থেকেই তাদের সন্তানদের পথভ্রষ্ট হওয়া মোটামুটি নিশ্চিত করছেন, কেয়ামতের দিন তাদেরকে তাদের
প্রাণপ্রিয় সন্তানেরা কি প্রতিদান দেবে? “কাফেররা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! যেসব জিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আজকে আমরা তাদেরকে পদ দলিত করব, যাতে করে তারা যথেষ্ট অপমানিত হয়।” [সুরা ফুসসিলাত, আয়াত ২৯] সুতরাং, দেখা যাচ্ছে কোনো মানুষ বা জিন যদি
অন্য কারো পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ হয়, তাহলে কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর কাছে দুয়া করবে, যার কারণে সে
জাহান্নামে যাবে তাকে তার পায়ের নিচে দেওয়ার জন্য যাতে করে সে অপমানিত হয়। অতএব, আমাদের মধ্যে
যারা বাবা মা, আমাদের খেয়াল রাখা উচিত এতো আদর-যত্ন করে যে সন্তানদের লালন-পালন করছি, ইসলাম বিমুখ করে গড়ে তোলার জন্য কেয়ামতের দিন যেনো তাদের পায়ের নিচে লাঞ্চিত হতে না হয়। লা হা’উলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, ওয়াল্লাহু মুস্তাআ’ন। এবার আসি আলোচ্য বিষয়ে….
পিতা-মাতা সন্তানের উপর অযথা যুলুম করলে এবং সেজন্য সন্তান পিতা-মাতার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে সে সম্পর্কে ইসলামের বিধান
প্রথমতঃ সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং দীর্ঘমেয়াদী। আল্লাহ তাআলা পিতা-মাতা এবং সন্তান উভয়কে কতিপয় দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তাদের জন্য সেসব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করা ফরজ। এর ব্যাত্যয় ঘটলে আখিরাতে তাদের উভয়কে বিচারেরে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে। মাতৃগর্ভে সন্তানের সঞ্চারণ শুরু হবার সময় হতে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সন্তানের প্রতি … Read more