আশুরা কাকে বলে এবং আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব ও ফযীলত কি

প্রশ্ন: আশুরা কাকে বলে? আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব ও ফযীলত কি? আশুরার সিয়াম রাখার ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কি? ▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬ ভূমিকাঃ হিজরী সনের ১২ মাসের মধ্যে আরবি চন্দ্রবছরের প্রথম মাস মুহাররম। সব মাসই আল্লাহর, তবে মুহাররাম মাসকে হাদীসে বিশেষভাবে বলা হয়েছে শাহরুল্লাহ তথা ‘আল্লাহর মাস’।(সহীহ মুসলিম: ১১৬৩)।যেহেতু ইহা মুহাররম মাস,তাই এই দিনটির নামানুসারে মুহাররমের ১০ম তারিখ-কে ‘আশূরা’ … Read more

হিজরি নববর্ষের শুরুতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের বিধান কি

প্রশ্ন: হিজরি নববর্ষের শুরুতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের বিধান কি? এই সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? ▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: বাংলা নববর্ষ হোক আর আরবী নববর্ষ হোক কোন মুসলিম নিজ থেকে অন্য কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে পারবেনা কারণ প্রথমতঃ অমুসলিম ইহুদি খ্রিস্টানদের অনুকরণে এসব দিবস পালিত হয়। অথচ ইসলামী শরীয়ত কোন দিবস পালন করা সমর্থন করে না। ইসলামী শরীয়ত যদি দিবস … Read more

ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া কি সাহাবী ছিলেন নাকি তাবেঈ ছিলেন

প্রশ্ন: ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া কি সাহাবী ছিলেন, না তাবেঈ ছিলেন? কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার সাথে কি ইয়াযীদ সরাসরি জড়িত ছিলেন? ইয়াযীদ ইবনু মু‘আবিয়া সম্পর্কে কেমন ধারণা পোষণ করতে হবে? ▬▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া সাহাবী ছিলেন,না।তিনি (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। ৬১ হিজরীতে ১০ই মুহাররম রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- এর কনিষ্ঠ নাতি হুসাইন বিন আলী (রাঃ) শাহাদতের … Read more

ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া কি সাহাবী ছিলেন নাকি তাবেঈ ছিলেন এবং উনার সম্পর্কে কেমন ধারণা পোষণ করতে হবে

প্রশ্ন: ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া কি সাহাবী ছিলেন, নাকি তাবেঈ ছিলেন? কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার সাথে কি ইয়াযীদ সরাসরি জড়িত ছিলেন? ইয়াযীদ ইবনু মু‘আবিয়া সম্পর্কে কেমন ধারণা পোষণ করতে হবে? ▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: তার সম্পন্ন নাম হল ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া আল-উমাবি আল-দিমাশকি।তিনি সাহাবী ছিলেন না। বরং তিনি (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। … Read more

কারবালার প্রকৃত ঘটনা কি এবং হুসাইন (রাঃ)-কে হত্যার জন্য কে দায়ী

ভূমিকা: ৬০ হিজরীতে ইরাকবাসীদের নিকট সংবাদ পৌঁছলো যে, হুসাইন (রাঃ) ইয়াযীদের হাতে বায়‘আত গ্রহণ করেননি।তারা তাঁর নিকট চিঠি-পত্র পাঠিয়ে জানিয়ে দিল যে ইরাক বাসীরা তাঁর হাতে খেলাফতের বয়াত করতে আগ্রহী। ইয়াজিদকে তারা সমর্থন করেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিল। তারা আরও বলল যে, ইরাক বাসীরা ইয়াজিদের পিতা মুয়াবিয়া (রা:) এর প্রতিও মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না … Read more

মুহাররম মাসে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার ও বিদ‘আত যা পরিত্যাগ করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অপরিহার্য

ভূমিকা: আমরা গত পোস্টে আলোচনা করেছি আশুরাকে কেন্দ্র করে আমাদের একমাত্র করণীয় হল মূসা (আলাইহিস সালাম) এর মত আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া স্বরূপ সিয়াম পালন করা আর সেটা মুহাররমের ৯ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ অথবা কমপক্ষে ১০ তারিখ। আশুরাকে কেন্দ্র করে এ ছাড়া আর কোন ধরনের আমল বা আচার-অনুষ্ঠান শরী‘আত সম্মত নয়। … Read more

আশুরা কি এবং আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব ও ফযীলত এবং আশুরার সিয়াম রাখার ক্ষেত্রে আমাদের করনীয়

ভূমিকাঃ হিজরী সনের ১২ মাসের মধ্যে আরবি চন্দ্রবছরের প্রথম মাস মুহাররম। সব মাসই আল্লাহর, তবে মুহাররাম মাসকে হাদীসে বিশেষভাবে বলা হয়েছে শাহরুল্লাহ তথা ‘আল্লাহর মাস বলা হয়েছে।(সহীহ মুসলিম: ১১৬৩)।যেহেতু ইহা মুহাররম মাস, তাই এই দিনটির নামানুসারে মুহাররমের ১০ম তারিখ-কে ‘আশূরা’ (يَوْمُ عَاشُورَاءَ) বলা হয়। আশূরা’ শব্দটি আরবী শব্দ ‘আশারা’ থেকে এসেছে, যার অর্থ হল দশ।আশুরা … Read more

আশুরার দিন শোক বা কালো দিন নয় বরং বিজয় ও কৃতজ্ঞতা আদায়ের দিন

হাদিসের সুস্পষ্ট বক্তব্য, আশুরার দিন আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালাম ও তার অনুসারী বনী ইসরাইলকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তাগুত নিজেকে ‘সুউচ্চ রব’ দাবীদার অহংকারী শাসক ফেরাউন এবং তার বিশাল সেনাবাহিনীর কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে মুসা আলাইহিস সালাম সে দিন রোযা রেখেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিন … Read more

হুসাইন রা. এর শাহাদাত এবং আশুরার শোক পালন প্রসঙ্গে এক ঝলক

▐ ▌ মুহাররম মাসের দশ তারিখ আশুরার দিন হিসেবে পরিচিত। ৬১ হিজরির ১০ মুহররম তারিখে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হুসাইন রা. কে শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন। এই শাহাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা অনেক উন্নীত করেছেন। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান ও হুসাইন রা. এর ব্যাপারে এ শুভ সংবাদ প্রদান করে গেছেন যে, তারা … Read more

আশুরার শোক উদযাপন বিদআত কেন?

মুহররম মাসের দশ তারিখ আশুরার দিন হিসেবে পরিচিত। ৬১ হিজরির ১০ মুহররম তারিখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হুসাইন রা. কে শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন। এই শাহাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা অনেক উন্নীত করেছেন। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান ও হুসাইন রা. এর ব্যাপারে এ শুভ সংবাদ প্রদান করে গেছেন যে, তারা হবেন জান্নাতের … Read more

মুহররম ও আশূরার ফযিলত নিয়ে একটি ত্বাত্তিক বিশ্লেষণ

মুহররম, একটি মহান বরকতময় মাস। হিজরী সনের প্রথম মাস। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ তথা হারামকৃত মাস চতুষ্টয়ের অন্যতম। আশহুরে হুরুম সম্পর্কে আমাদের রব মহান আল্লাহ বলেন —- اِنَّ عِدَّۃَ الشُّہُوۡرِ عِنۡدَ اللّٰہِ اثۡنَا عَشَرَ شَہۡرًا فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ یَوۡمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ مِنۡہَاۤ اَرۡبَعَۃٌ حُرُمٌ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ ۬ۙ فَلَا تَظۡلِمُوۡا فِیۡہِنَّ اَنۡفُسَکُمۡ وَ … Read more

আশুরার দিনের বিদ’আত সমূহ

■ হুসাইন (রাঃ) শোক পালনের উদ্দেশ্যে সিয়াম পালন করাঃ এ দিনের সিয়াম রাখা শরীয়ত সম্মত। তবে এ সিয়ামের নিয়্যাত কি তার ব্যাপারে পরিষ্কার ইমান থাকতে হবে। অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মূসা (আঃ)-এর নাজাতের শুকরিয়া স্বরূপ ৯ ও ১০ই মুহাররম সিয়াম পালন করাই হলো সহীহ হাদীসের উক্তি। . হুসাইনের (রাঃ) এর শোক পালনের উদ্দেশ্যেই অনেকে … Read more

আশূরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয়

❀আশূরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয়❀ ↓ আল্লাহ পাক বার মাসের মধ্যে চারটি মাসকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। সে চারটি মাস হ’ল মুহাররম, রজব, যুলক্বা‘দাহ ও যুলহিজ্জাহ। অন্যভাবে বললে বলা যায় যে, যুলক্বা‘দাহ হ’তে মুহাররম পর্যন্ত একটানা তিন মাস। অতঃপর পাঁচ মাস বিরতি দিয়ে ‘রজব’ মাস। এভাবে বছরের এক তৃতীয়াংশ তথা ‘চার মাস’ হ’ল ‘হরম’ বা … Read more