আশুরা কাকে বলে এবং আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব ও ফযীলত কি

প্রশ্ন: আশুরা কাকে বলে? আশুরার সিয়ামের গুরুত্ব ও ফযীলত কি? আশুরার সিয়াম রাখার ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় কি?
▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকাঃ হিজরী সনের ১২ মাসের মধ্যে আরবি চন্দ্রবছরের প্রথম মাস মুহাররম। সব মাসই আল্লাহর, তবে মুহাররাম মাসকে হাদীসে বিশেষভাবে বলা হয়েছে শাহরুল্লাহ তথা ‘আল্লাহর মাস’।(সহীহ মুসলিম: ১১৬৩)।যেহেতু ইহা মুহাররম মাস,তাই এই দিনটির নামানুসারে মুহাররমের ১০ম তারিখ-কে ‘আশূরা’ (يَوْمُ عَاشُورَاءَ) বলা হয়।আশূরা’ শব্দটি আরবী শব্দ ‘আশারা’ থেকে এসেছে, যার অর্থ হল দশ।আশুরা নামটি শুনলেই আমাদের মনে হয় ভ্রান্ত শী‘আদের তথাকথিত তাজিয়া ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর সপরিবারে কারবালার প্রান্তরে শাহাদত বরণের মর্মান্তিক ঘটনা। অথচ কারবালার ঘটনার সাথে আশুরার দূরতম কোন সম্পর্কও নেই। আশুরা হল- আরবী মাস সমূহের প্রথম মাস তথা মুহাররম মাসের দশম তারিখ।এই তারিখে আল্লাহ তা‘আলার অপার অনুগ্রহে মিসরের অত্যাচারী জালিম সম্রাট ফেরাঊন সাগরে ডুবে মরেছিল এবং মূসা (আঃ) ও তাঁর সাথী বনু ইস্রাঈলগণ ফেরাঊনের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।তাই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে মূসা (আঃ) এদিন সিয়াম রাখেন’।(সহীহ মুসলিম হা/১১৩০)। আর সে কারনে প্রতি বছরের এই দিনটি নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে সিয়াম রাখা মুস্তাহাব। যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরাম নিয়মিতভাবে পালন করতেন।এই সিয়ামই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। জাহেলী যুগেও এ সিয়াম চালু ছিল। নবুঅত পূর্বকালে ও পরে রাসূলুল্লাহ সাঃ আশুরার সিয়াম রাখতেন। ২য় হিজরীতে রমাযানের সিয়াম ফরয হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আশূরার সিয়াম মুসলিমদের জন্য ‘ফরয’ ছিল। এরপর যখন রমজানের সিয়াম ফরজ হয় তখন এটি নফল সিয়ামে পরিণত হয়।[সহীহ মুসলিম, হা/১১২৮; মিশকাত, হা/২০৬৯ ‘সিয়াম’ অধ্যায়, ‘নফল ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ-৬।]

◾আশূরার সিয়ামের গুরুত্ব ও ফযীলত:
____________________________________
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সংরক্ষিত ফলকে (বছরে) মাসের সংখ্যা বারোটি—আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। সেগুলোর মধ্যে চারটি (মাস) সম্মানিত।এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা (গুনাহ করার মাধ্যমে) নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।”(সুরা তাওবাহ, ৩৬) আর সেই চারটি মাস হলো: জিলকদ, জিলহজ, মুহাররাম ও রজব।(বুখারি, আস-সহিহ: ১৭৪১; মুসলিম, আস-সহিহ: ১৬৭৯)
.
সুন্নত সিয়াম সমূহের মধ্যে মুহাররম মাসের (অধিকাংশ দিনের) রোযা অন্যতম।আর মুহাররম মাসের সিয়ামের মধ্যে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল ঐ মাসের ১০ তারিখের সিয়াম। রমাযানের পর পর রয়েছে এই সিয়ামের মান।আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন-রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,রামাযান মাসের পর সর্বোত্তম সিয়াম হল আল্লাহর মাস মুহাররমের সিয়াম।আর ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত।
(সাহীহ মুসলিম, হা/১১৬৩ ও ২৮১২ হাদীস সম্ভার,৭৮৯ মিশকাত হা/২০৩৯ সনদ সহীহ)
.
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায়,ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আল্লাহর মাস’ মুহাররমের সাথে সম্পৃক্ত করা এ মাসের মহত্বের কারণ। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান ছাড়া কোন মাসেই এত বেশী সিয়াম পালন করেননি। সুতরাং হাদীসের এ সম্পৃক্ততায় বলা যায়, এ মাসে অধিক সিয়াম পালন করা যায়। রমাযান ছাড়া কেবল শা‘বান মাসেই রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশি সিয়াম পালন করেছেন। এটা এমন হতে পারে যে,এ মাসের ফযীলত সম্পর্কিত বিধানগুলো খায়বার যুদ্ধের পর স্পষ্ট হয়েছে,তাই তিনি বেশি সিয়াম রাখেননি।(শারহু নববী, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৩৮)
.
আবু ক্বাতাদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আশুরার সিয়াম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল।তিনি বললেন, يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ ‘তা বিগত এক বছরের গোনাহ মুছে দেয়’।(ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২)
.
অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন-আমি আশাবাদী যে,আশুরার সিয়ামের কারণে আল্লাহ তা‘আলা অতীতের এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন’।(ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২; তিরমিযী, হা,৭৫২ মিশকাত হা/২০৪৪)।
.
ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) রমাযানের রোযার পর আশুরার দিন ছাড়া কোন দিনকে অন্য দিন অপেক্ষা মাহাত্ম্যপূর্ণ মনে করতেন না।(ত্বাবারানী, মু’জাম আওসাত্ব, সহীহ তারগীব, ১০০৬)
.
◾আশুরার সিয়াম কখন রাখতে হবে?এবং আশুরার সিয়াম রাখার সঠিক পদ্ধতি:
________________________________
আশুরার সিয়াম সম্পর্কে হাদীসগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আশুরার সিয়াম তিনভাবে রাখা যায়।
.
✿ সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, আশুরার আগের দিন (৯ তারিখ) ও আশুরার দিন (১০ তারিখে) সিয়াম রাখা।
.
✿ দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো,অনিচ্ছায় যদি কারো ৯ তারিখের সিয়াম ছুটে যায়,অথবা স্বাভাবিক ভাবেও ১০ এবং ১১ তারিখে রাখতে পারে।
.
✿ তৃতীয় পদ্ধতি হলো ৯ তারিখ রাখতে না পারলে
অন্তত আশুরার দিন (১০ তারিখে) সিয়াম রাখা।
শুধু আশুরার দিন রোজা রাখাও জায়েয; এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে, উত্তম হলো,দুইটি সিয়াম রাখা। অর্থাৎ,আশুরার দিন এবং এর আগের বা পরের দিন।(ইবনুল কায়্যিম, যাদুল মা‘আদ)। এ মর্মে কয়েকটি বর্ননা নিম্নরূপ:
.
ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইহুদীরা আশুরার দিনে সিয়াম পালন করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার তোমরা এ দিনে সিয়াম পালন কর কেন? তারা বলল-এটি অতি উত্তম দিন, এদিনে আল্লাহ তা‘আলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুদের কবল হতে নাজাত দান করেন,ফলে এ দিনে মূসা (আলাইহিস সালাম) সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এদিনে সিয়াম পালন করেন এবং অন্যদেরকেও সিয়াম পালনের নির্দেশ দেন’।(সহীহ বুখারী, হা/২০০৪)
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরার সিয়াম পালন করলেন ও অন্যকে পালন করার নির্দেশ দিলেন,তখন সাহাবীগণ বললেন, এটা তো এমন এক দিবস যাকে ইহুদী ও খ্রিস্টানরা সম্মান করে থাকে। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আগামী বছর এলে আমরা ইনশাআল্লাহ ৯ম তারিখে সিয়াম পালন করব’। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘পরবর্তী বছর আসার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকাল করেন’।(সহীহ মুসলিম, হা/১১৩৪)
.
আশুরার সিয়াম কখন রাখতে হবে এ মর্মে ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাররম মাসের ১০ তারিখে আশুরার সিয়াম রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন’।(সুনানে তিরমিযী, হা/৭৫৫)
.
ইমাম শাফেঈ, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইসহাক্ব ইবনু রাহওয়াইহসহ অনেক ইমামই মনে করেন, মুস্তাহাব হল ৯ ও ১০ তারিখ ছিয়াম পালন করা। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ১০ তারিখ রেখেছিলেন এবং পরের বছর ৯ তারিখ রাখবেন বলে নিয়ত করেছিলেন।
.
উল্লেখ্য যে,অন্য একটি হাদীসে এসেছে,রাসূলুল্লাহ বলেন-তোমরা আশুরার সিয়াম রাখ এবং ই≠হু♪দি^দের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন সিয়াম রাখ।(সহীহ ইবনু খুযায়মা (হা/২০৯৫) আহমাদ শাকের (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন। শায়খ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ইবনু আবী লায়লা নামক একজন রাবী আছেন,যিনি মুখস্ত শক্তিতে দুর্বল। তাই-এর সনদ যঈফ। তবে ‘আতা সহ অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। তারা মনে করেন হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) পর্যন্ত সহীহ। অর্থাৎ মাওকূফ সূত্রে সহীহ। ইমাম বায়হাক্বী ও ত্বাহাবী (রাহিমাহুমাল্লাহ)-এর কাছে এর সনদ ঠিক আছে। তবে অন্য আরো হাদীসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ইহুদীদের বিরোধিতা করার জন্যই মূলত ৯ তারিখ রাখা। তাই অনিচ্ছায় যদি কারো ৯ তারিখ ছুটে যায়, তাহলে সে ১১ তারিখে রাখতে পারে।(ইবনে খুযাইমাহ,২০৯৫ আলবানীর টীকা দ্রঃ)
.
বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী, শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায(রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.]বলেছেন,৯ ও ১০ তারীখেই সিয়াম রাখা সুন্নত। পক্ষান্তরে কেবল ১০ তারীখে রোযা রাখা মকরূহ। যেহেতু তাতে ইয়াহুদীদের সাদৃশ্য সাধন হয় এবং তা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর আশার প্রতিকূল।[(আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৭০] অবশ্য কেউ কেউ বলেন, ‘মকরূহ নয়। তবে কেউ একদিন (কেবল আশুরার দিন) রোযা রাখলে পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে না।

◾আশুরা উপলক্ষে আমাদের করণীয় কি?
_______________________________________
আল্লাহ তা‘আলা যেহেতু মূসা (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর সম্প্রদায়কে যালিম ফের‘আউনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন তাই আশুরাকে কেন্দ্র করে আমাদের একমাত্র করণীয় হল- মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর মত আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া স্বরূপ সিয়াম পালন করা আর সেটা মুহাররমের ৯ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ অথবা কমপক্ষে ১০ তারিখ। আশুরাকে কেন্দ্র করে এ ছাড়া আর কোন ধরনের আমল বা আচার-অনুষ্ঠান শরী‘আত সম্মত নয়।কেউ করলে দ্বীনের মধ্যে নতুন সংযোজন হিসেবে বিদআত হবে।(সহীহ মুসলিম, হা/১১৩৪ ২৫৫৭।আবূ দাঊদ, হা/২৪৪৫, সনদ সহীহ ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৭০)
.
একটি বিষয় ভালো ভাবে মনে রাখবেন:আশুরার সিয়াম একদিন। সেটি হলো: মুহাররামের ১০ তারিখ(বাংলাদেশে আগামী ৯ আগস্ট রোজা মঙ্গলবার)। তাই, কেবল ৯ আগস্টের সিয়ামটিই আশুরার নিয়তে রাখবেন। এর আগের দিন বা পরের দিনের সিয়াম সাধারণ নফলের নিয়তে রাখতে হবে।
.
পরিশেষে,উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা যে শিক্ষা নিব সেটা হচ্ছে- আল্লাহর মাস মহররম হারাম মাস হিসেবে তাকে সম্মান করা,আশুরায়ে মুহাররমের ২ দিন সিয়াম পালন করা, সিয়ামের নিয়ত অবশ্যই নাজাতে মূসা উপলক্ষে হওয়া,সিয়াম ৯-১০ রাখায় উত্তম তবে ১০-১১ তারিখও রাখা যায়, এ দিনকে লক্ষ্য করে সমাজে প্রচলিত রসম-রেওয়ায সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা, হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর প্রশংসায় অতিরঞ্জিত না করা এবং ইয়াযীদকে গালমন্দ না করা,ইয়াযীদ সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের পূর্বপুরুষগণ যে কথা বলেছেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকা। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সৎ আমলগুলো কবুল করুন- আমীন!
(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।

#বিশেষ_দ্রষ্টব্য:আশুরায় যাবতীয় বর্জনীয় কুসংস্কার ও বিদআতি কর্মকান্ড সম্পর্কে আরেকটি পোস্ট আসবে ইনশা-আল্লাহ।
________________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।