মুমিনগণ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখবে এ বিষয়ে বিস্তারিত

প্রশ্ন: মুমিনগণ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখবে। এখন এই স্বচক্ষে দর্শন বলতে কি আল্লাহর সন্তুষ্টি বুঝানো হয়েছে নাকি সরাসরি দেখা বুঝানো হয়েছে, বিস্তারিত জানতে চাই।
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: মহান আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখা সম্পর্কে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘তের আক্বীদা হল, ‘ক্বিয়ামতের দিন মুমিনগণ আল্লাহকে সেরকমই দেখতে পাবে, যেমন পরিস্কার আকাশে দিনের বেলায় সূর্য এবং রাতের বেলায় পূর্ণিমার চাঁদকে দেখা যায়।আর সেটাই হবে তাদের জন্য সবচাইতে আনন্দঘন মুহূর্ত।তিনি আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وُجُوۡہٌ یَّوۡمَئِذٍ نَّاضِرَۃٌ اِلٰی رَبِّہَا نَاظِرَۃٌ সেদিন অনেক মুখ-মন্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।’ (সূরা আল-ক্বিয়ামাহ:২২-২৩)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, عَلَی الۡاَرَآئِکِ ۙ یَنۡظُرُوۡنَ ‘উঁচু আসনে বসে তারা দেখতে থাকবে।’ (সূরা আল-মুতাফফিফীন : ৩৫)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوا الۡحُسۡنٰی وَ زِیَادَۃٌ ‘যারা নেক কাজ করেছে (ঈমানের সাথে) তাদের জন্যে উত্তম বস্ত (জান্নাত) রয়েছে; এবং আরো অতিরিক্ত জিনিস (আল্লাহর দর্শন)।’ (সূরা ইউনুস: ২৬) কাফেররা সেদিন স্বীয় রব এর সাক্ষাত থেকে বঞ্চিত থাকবে। (সূরা আল- মুতাফফেফীনঃ ১৫)।
.
হাদীসে এসেছে,ছুহায়ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত,তিনি নবী করীম (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন,নবী করীম (ﷺ) বলেন, জান্নাতবাসীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন, তোমরা কি আরও কিছু চাও, যা আমি তোমাদেরকে অতিরিক্ত প্রদান করব? তারা বলবে, আপনি কি আমাদের মুখমন্ডলকে উজ্জ্বল করেননি? আপনি কি আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাননি এবং আপনি কি আমাদেরকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেননি? আপনার এত বড় বড় নেয়ামতের পর আর কী অবশিষ্ট আছে,যা আমরা চাইব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা ও জান্নাতীদের মধ্যে হতে হিজাব বা পর্দা তুলে ফেলা হবে, ফলে তারা আল্লাহ তা‘আলার দীদার বা দর্শন লাভ করবে।তখন তারা বুঝতে পারবে বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলার দর্শনলাভ ও তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকা অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় কোন বস্তুই এ যাবৎ তাদেরকে প্রদান করা হয়নি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআনের এই আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন, لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوا الۡحُسۡنٰی وَ زِیَادَۃٌ ‘যারা নেক কাজ করেছে তাদের জন্যে উত্তম বস্তÍ (জান্নাত) রয়েছে; এবং আরো অতিরিক্ত জিনিস।’ (সূরা ইউনুস : ২৬)। (সহীহ মুসলিম, হা/১৮১ ই.ফা. ৩৪৬; ই.সে. ৩৫৭)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, لَہُمۡ مَّا یَشَآءُوۡنَ فِیۡہَا وَلَدَیۡنَا مَزِیۡدٌ ‘সেখানে তারা যা কামনা করবে তাদের জন্য তাই প্রস্তুত থাকবে। আর আমাদের কাছে আরো কিছু অতিরিক্ত জিনিসও (আল্লাহর দর্শন) থাকবে।’ (সূরা ক্বাফ : ৩৫)।
.
অপর হাদীসে এসেছে,জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেন, إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ عِيَانًا ‘অবশ্যই তোমরা তোমাদের রবকে দিব্যচক্ষে দেখতে পাবে। (সহীহুল বুখারী ৫৫৪, ৫৭৩, ৪৮৫১, ৭৪৩৪, ৭৪৩৫, ৭৪৩৬, মুসলিম ৬৩৩, তিরমিযী ২৫৫১, আবূ দাঊদ ৪৭৪৭২৯, ইবনু মাজাহ ১৭৭, আহমাদ ১৮৭০৮, ১৮৭২৩, ১৮৭৬৬ রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৫৮)।অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমরা একদিন পূর্ণিমার রাতে রাসূল (ﷺ)-এর কাছে বসেছিলাম। তখন তিনি আমাদের বললেন,إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هٰذَا الْقَمَرَ- ‘তোমরা সত্বর তোমাদের প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবে এই পূর্ণিমার চাঁদের মত।’ (বুখারী হা/৭৪৩৪; মুসলিম হা/৬৩৩; মিশকাত হা/৫৬৫৫)।
.
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! ক্বিয়ামতের দিন আমরা আমাদের প্রতিপালককে কি দেখতে পাব? তিনি বললেন, দুপুরের সময় মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখতে কি তোমাদের মধ্যে পরস্পরে কোন বাধা সৃষ্টি হয়? সাহাবীগণ বললেন, না। তিনি আরও বললেন, মেঘমুক্ত আকাশে পূর্ণিমার রাতে পূর্ণ চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়?তাঁরা বললেন, না। তখন তিনি বললেন, সে মহান আল্লাহর কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! এ দু’টির কোন একটিকে দেখতে যে পরিমাণ অসুবিধা হয়, তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে সে পরিমাণ অসুবিধাও হবে না।’ (সহীহ মুসলিম, হা/২৯৬৮, ১৮২, ১৮৩ সহীহ বুখারী, হা/৮০৬; সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৬৪২.আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৭৩৬, মিশকাত, হা/৫৫৫৫)। এ হাদীস থেকে কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তা’আলার পূর্ণ দীদার স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর এটাই আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের মত। বিদ্বানদের মত ও অধিকাংশ উম্মাতের নিকট আখিরাতে দীদারে ইলাহী প্রমাণিত বিষয়। আর খারিজী, মু’তাযিলা ও মুর্জিয়াদের কেউ কেউ এটাকে অস্বীকার করে।(ফাতহুল বারী সংক্ষিপ্ত; মিশকাতুল মাসাবীহ – মুম্বাই ছাপা, ৪র্থ খণ্ড, ৩৯৩ পৃ.)।
.
আবু সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, (কিয়ামতের দিন) যখন আমাদের প্রভু পায়ের নলা বা গোছা উন্মোচিত করবেন, তখন ঈমানদার নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই তাঁকে সিজদাহ্ করবে।আর বিরত থাকবে ঐ সকল লোক যারা দুনিয়াতে রিয়া (লোক দেখানো) ও শুনানোর জন্য সিজদাহ্ করত, তারা সিজদাহ করতে চাইবে কিন্তু তাদের পৃষ্ঠদেশ ও কোমর একটি কাষ্ঠফলকের মতো শক্ত হয়ে যাবে। (সহীহ বুখারী ৪৯১৯, সিলসিলা সহীহা ৫৮৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৩৭৭। মিশকাত, ৫৫৪২) উপরোক্ত দলীলগুলো থেকে ক্বিয়ামতের দিন মুমিনদের জন্য আল্লাহর দর্শন প্রমাণিত। আল্লাহর দর্শনই হবে মুমিনদের জন্য জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত। আল্লাহর দর্শনের বিষয়ে এটিই হচ্ছে সাহাবী,তাবেঈ এবং সালাফে-সালেহীনের আক্বীদা।
.
উল্লেখ্য যে, বাতিল ফিরকা মু‘তাযেলী বিদ্বানগণ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ দর্শনে বিশ্বাসী নন। তাঁরা إِلٰى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ- ‘তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে’-এর ব্যাখ্যা করেন, إِلٰى ثَوَابِ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ‘তাদের প্রতিপালকের সওয়াবের দিকে’ তাকিয়ে থাকবে। অথবা إِلٰى رَحْمَةِ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ، أَوْ إِلٰى ثَوَابِهِ أَوْ مُلْكِهِ ‘তার প্রতিপালকের রহমতের দিকে’ বা ‘তার সওয়াবের দিকে বা তার রাজত্বের দিকে।’ তাবেঈ বিদ্বান মুজাহিদ (২১-১০৪ হি.) থেকেও উক্ত মর্মে একটি ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়েছে,যা সহীহ নয় (কুরতুবী)। নিঃসন্দেহে পবিত্র কুরআন ও সহীহ মুতাওয়াতির হাদীস সমূহের বিপরীতে এসব কাল্পনিক ব্যাখ্যার কোন মূল্য নেই।

মাতুরীদীরা আল্লাহকে স্বচক্ষে দর্শনকে অস্বীকার করে আর এ কারণে তাদের জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলে, আমাদের এবং মু‘তাযিলাদের মধ্যে আল্লাহর দর্শনের ব্যাপারে কোন বিরোধ নেই। বরং আমরা বলি,আল্লাহর দর্শন হল জ্ঞানসম্বন্ধীয়, দৃষ্টি-সম্বন্ধীয় নয়। (ই‘তিক্বাদু আহলিস সুন্নাহ শারহি আছহাবুল হাদীস, ১ম খ-, পৃ. ৭৪)।
.
আল্লামা যামাখশারী (৪৬৭-৫৩৮ হি.) إِلٰى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ–এর তাফসীরে বলেছেন, فَاخْتِصَاصُهُ بِنَظَرِهِمْ إِلَيْهِ لَوْ كَانَ مَنْظُورًا إِلَيْهِ، مُحَالٌ، ‘তাদের প্রতিপালকের দিকে বাক্যটি আগে আনা হয়েছে তাঁকে খাছ করার জন্য,যদি তিনি দর্শন দান করেন,বিষয়টি অসম্ভব’ (কাশশাফ, আল-বাহরুল মুহীত্ব)। এ ব্যাখ্যা তিনি তাঁর মু‘তাযেলী আক্বীদা অনুযায়ী দিয়েছেন,যেটি ভুল। তাছাড়া বাক্যটি আগে আনা হয়েছে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝানোর জন্য,খাছ করার জন্য নয় (মুহাক্কিক কাশশাফ)। কারণ দুনিয়াতে কোন চোখ আল্লাহকে দেখতে পাবে না। যেমন আল্লাহ বলেন, لاَ تُدْرِكُهُ الْأَبْصارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصارَ، ‘কোন দৃষ্টি তাঁকে (দুনিয়াতে) বেষ্টন করতে পারে না। বরং তিনিই সকল দৃষ্টিকে পরিবেষ্টন করেন‌।’ (আন‘আম ৬/১০৩)। যেমন মূসা (আঃ) আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহ বলেছিলেন, لَنْ تَرَانِي، ‘তুমি কখনোই আমাকে দেখতে পাবে না।’ (আ‘রাফ ৭/১৪৩)। যামাখশারী ও তাঁর সম আক্বীদার মুফাসসিরগণ দুনিয়ার দৃষ্টিতে আখেরাতকে বিচার করেছেন। অথচ এটি ফাসেদ ক্বিয়াস।
.
ক্বিয়ামতের দিন মুমিনদের জন্য আল্লাহকে প্রত্যক্ষ দর্শনের হাদীস সমূহ ‘মুতাওয়াতির’। যা অবিরত ধারায় বর্ণিত এবং সনদের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে তর্কাতীত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জাহমিয়া,মু‘তাযিলা, খারেজী প্রভৃতি ভ্রান্ত ফের্কার ন্যায় অনেক সুন্নী বিদ্বানও এ ব্যাপারে সন্দেহবাদে পতিত হয়েছেন। (দ্র. তাফসীরুল কুরআন ২৯ তম পারা সূরা ক্বলম ৬৭/৪২ ও সূরা ক্বিয়ামাহ ৭৫/২২-২৩ আয়াত)। অথচ হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ অনুযায়ী এখানে আল্লাহ দর্শনকে পূর্ণিমার চাঁদ দর্শনের স্পষ্টতার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে,আল্লাহকে চাঁদের দৃশ্যের সাথে নয়।যেমনটি শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) ধারণা করেছেন (থিসিস ১২৪ পৃ.)। কাফির-মুশরিক ও মুনাফিকগণ তাদের অবিশ্বাস ও কপট বিশ্বাসের কারণে এই মহা সৌভাগ্য হতে বঞ্চিত হবে।
.
ইমাম মালেক (রহঃ) কে সূরা ক্বিয়ামাহ: ২২-২৩ অত্র আয়াতের ব্যাখ্যা إِلٰى ثَوَابِهِ ‘তার সওয়াবের দিকে’ করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, كَذَبُوا ‘ওরা মিথ্যা বলেছে’।‘তাহ’লে তারা সূরা মুত্বাফফেফীন ১৫ আয়াতের ব্যাখ্যায় কি বলবে? যেখানে আল্লাহ কাফেরদের সম্পর্কে বলেছেন, كَلَّآ إِنَّهُمْ عَنْ رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ- ‘কখনই না’। তারা অবশ্যই সেদিন তাদের প্রতিপালকের দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে।’ (মুত্বাফফেফীন ৮৩/১৫)। অতঃপর ইমাম মালেক (৯৩-১৭৯ হি.) বলেন, লোকেরা ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে সরাসরি দেখবে। যদি মুমিনগণ তাঁকে দেখতে না পান,তাহলে কাফিরদের দর্শন থেকে বঞ্চিত করার অর্থ কি হবে? (শারহুস সুন্নাহ ‘জান্নাতে আল্লাহকে দর্শন’ অনুচ্ছেদ-এর বর্ণনা হা/৪৩৯৩-এর পূর্বে; মিশকাত হা/৫৬৬৩)।
.
শায়েখ আলবানী (১৩৩৩-১৪২০ হি.) বলেন, ঐসব লোকেরা কত বড় ভ্রান্তির মধ্যে আছে, যারা তাদের ইমামদের তাক্বলীদ করতে গিয়ে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর দর্শনকে অস্বীকার করে। অথচ তাদের কাছে রয়েছে কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআনকে তারা রূপক (مَجَازٌ) নামে অর্থহীন (يُعَطِّلُونَهُ بِاسْمِ الْمَجَازِ) করেছেন। অতঃপর সুন্নাহে তারা সন্দেহ পোষণ করেন একক সাহাবীর বর্ণনা (حَدِيثُ آحَادٍ) বলে। অথচ ‘আল্লাহ দর্শন’ বিষয়ের হাদীস সমূহ মুতাওয়াতির, যা অবিরত ধারায় বর্ণিত।(আলবানী, তাহকীক মিশকাত, হাশিয়া হা/৫৬৬৩ ‘আল্লাহ দর্শন’ অনুচ্ছেদ)।
.
ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হি.) বলেন,أَمَا وَاللهِ لَوْ لَمْ يُوقِنْ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ أَنَّهُ يَرٰى رَبَّهُ فِي الْمَعَادِ لَمَا عَبَدَهُ فِي الدُّنْيَا- ‘আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মাদ বিন ইদ্রীস (শাফেঈ)-এর নিকট এটা স্পষ্ট না হত যে, সে তার প্রতিপালককে আখেরাতে দেখতে পাবে, তাহলে সে কখনো দুনিয়াতে তার ইবাদত করতো না।’ (কুরতুবী; তাফসীর সূরা মুত্বাফফেফীন ৮৩/১৫)। [আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী]।
________________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।