বান্দা গুনাহ করার পরও আল্লাহ তার প্রতি চারটি মহান নিয়ামত অব্যাহত রাখেন

◉ তার রিযিক বন্ধ করেন না;
◉ তার শরীর-স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেন না;
◉ তার পাপের কথা প্রকাশ করেন না এবং
◉ তাৎক্ষণিক তাকে শাস্তিও দেন না।
.
তবে, সীমালঙ্ঘন করে ফেললে, অনেক সময় আল্লাহ্ তার লাগাম টেনে ধরেন। তবুও তিনি তাকে দুনিয়াতেই পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন না। পূর্বের যামানার অনেককে তাৎক্ষণিক ভয়াবহ শাস্তি দেওয়া হতো। যেমন: কারুনকে অহংকারের দরুণ মাটিতে ধ্বসিয়ে দেওয়া হয়।
.
আমাদের সময়ে এই ধরনের তাৎক্ষণিক শাস্তি না হওয়ার কারণ হলো, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষ দু‘আ। তিনি তাঁর উম্মতের জন্য আল্লাহর দিকে ফিরে আসার সুযোগটা রাখার জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন করেছিলেন। আল্লাহ্ তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দেননি। না হয়, আজ আমরা যা করি, তাতে অনেক নিদর্শন দৃশ্যমান হতো প্রতিনিয়ত।
.
এবার রাসূল (ﷺ) এর দু’আর সেই হাদীসটি দেখুন, সা’দ বিন আবী অক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আলিয়া থেকে আগমন করলেন। অতঃপর বনী মুআবিয়ার মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। আমরাও তাঁর সাথে সালাত পড়লাম। তিনি তাঁর প্রতিপালকের নিকট সুদীর্ঘ দু’আ করলেন। অতঃপর ঘুরে বসে বললেন, “আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তিনটি জিনিস প্রার্থনা করলাম। কিন্তু তিনি আমাকে দু’টি জিনিস দান করলেন এবং একটি জিনিস দিলেন না। আমি প্রার্থনা করলাম, তিনি যেন আমার উম্মতকে দুর্ভিক্ষ-কবলিত করে ধ্বংস না করেন, তিনি আমাকে তা দিলেন। আমি চাইলাম, তিনি যেন আমার উম্মতকে বন্যা-কবলিত করে ডুবিয়ে ধ্বংস না করেন, তিনি আমাকে তা দিলেন। আমি চাইলাম, তিনি যেন আমার উম্মতের মাঝে গৃহদ্বন্দ্ব না রাখেন, তিনি আমাকে তা দিলেন না।” (সহীহ মুসলিম ৭৪৪২, তিরমিযী ২১৭৫, মিশকাত ৩/২৫০, হাদিস সম্ভারব১৫৪১) অন্য এক বর্ণনায় আছে, “আমি চাইলাম, তিনি যেন তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে এক দলকে অপর দলের নিপীড়নের আস্বাদ গ্রহণ না করান, কিন্তু তিনি আমাকে তা দিলেন না।” (সহীহহুল জামে’ ২৪৩৩)। (আল্লাহই সবচেয়ে ভাল যানেন)।