নিশ্চয় আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণ করেন হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা কি?

প্রশ্ন: নিশ্চয় আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণ করেন। হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা কি? বিস্তারিত জানতে চাই।
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬উত্তর: আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে একবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলো। লোকজন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। অতএব আপনি আমাদের জন্য মূল্য বেঁধে দিন। তিনি বলেনঃ “‏ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمُسَعِّرُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الرَّزَّاقُ
অর্থ: (নিশ্চয় আল্লাহ মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী, সংকোচনকারী, সম্প্রসারণকারী এবং রিযিক দানকারী)। আমি আমার রবের সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করতে চাই যে, কেউ যেন আমার বিরুদ্ধে রক্তের ও সম্পদের কোনরূপ অভিযোগ উত্থাপন করতে না পারে। ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন। (আবূ দাউদ ৩৪৫১, তিরমিযী ১৩১৪, ইবনু মাজাহ ২২০০, আহমাদ ১২১৮১, দারেমী ২৫৪৫। বহু সূত্রের ভিত্তিতে হাদিসটি সহিহ, তাওযিহুল আহকাম ৪/৩২৫ পৃঃ বুলুগুল মারাম,৮১৮)।
.
অপর বর্ননায় আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একজন লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, বরং আমি (আল্লাহর কাছে) দো‘আ করব। অতঃপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করুন! তখন তিনি বললেন, ‘বরং আল্লাহই দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি করেন। আমি এমন অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আশা করি, যেন আমার বিরুদ্ধে কারো প্রতি যুলুম করার অভিযোগের সুযোগ না থাকে’।(আবূদাঊদ হা/৩৪৫০, হাদীস সহীহ)।
.
◾হাদীসটির ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীস দু’টি থেকে একথা প্রমাণিত যে, দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর হুকুমেই ঘটে থাকে। উপরোক্ত প্রথম হাদীসটি চারজন সাহাবী বর্ণনা করেছেন: প্রথম আনাস বিন মালিক আলোচ্য হাদীস থেকে মূল্য নির্ধারণ করা হারাম হওয়ার উপর দলীল গৃহীত হয়। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে ইসলামের সাধারণ নীতি হলো পণ্য উৎপাদক পণ্যের মূল্য নির্ধারণে স্বাধীনতা ভোগ করবে। সাধারণ অবস্থায় রাষ্ট্র পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে না। কেননা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে উৎপাদক পণ্যের মান কমিয়ে দিতে পারে। নিশ্চয় মূল্য নির্ধারণ এক প্রকারের জুলুম। কারণ মানুষেরা তাদের সম্পদের ভিত্তিতে ব্যয় করে। (অর্থাৎ- উৎপাদন বেশী হলে আমদানী বেশী হবে এবং মূল্য কমে যাবে, আর উৎপাদন কম হলে আমদানী কম হবে এবং মূল্য বৃদ্ধি পাবে) আর মূল্য নির্ধারণ করলে তাতে বাধার সৃষ্টি হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ,২৮৯৪ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দৃষ্টব্য)।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ)-এর হাদীস ও একই মর্মে বর্ণিত অন্য হাদীসগুলো দ্বারা মূল্য নির্ধারণ হারাম ও যুলুম হওয়ার পক্ষে দলীল পেশ করা হয়েছে। এর কারণ হ’ল, মানুষ তাদের মালের উপর কর্তৃত্বশীল। অথচ তাস‘ঈর (অর্থাৎ সরকার বা প্রতিনিধি) তাদের জন্য প্রতিবন্ধক। আর রাষ্ট্রপ্রধান মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণে আদিষ্ট। বর্ধিত মূল্যে বিক্রির ব্যাপারে বিক্রেতার স্বার্থ দেখার চেয়ে সস্তা দামে ক্রয়ের ব্যাপারে ক্রেতার স্বার্থের প্রতি দৃকপাত করা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য উত্তম নয়। আর পণ্যের মালিককে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করা আল্লাহর বাণী ‘তবে ব্যবসা যদি হয় ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে তবে ভিন্ন কথা’ (নিসা ৪/২৯) এর বিরোধী। অধিকাংশ বিদ্বান এ মতের প্রবক্তা’। তিনি আরো বলেন,কতিপয় বিদ্বানের মতে উল্লেখিত হাদীসে ব্যবহৃত اَلْمُسَعِّرُ শব্দটি আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম।(ইমাম শাওকানী, নায়লুল আওত্বার (বৈরূত : দারুল কিতাবিল আরাবী ৩/৬০৩। ও ১৪২০/২০০০), ৩/৬০২-৩) ।

বিগত শতাব্দীর সৌদি ‘আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য,শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]। বলেছেন,আমার অভিমত হ’ল, উল্লেখিত হাদীসে ব্যবহৃত اَلْمُسَعِّرُ শব্দটি সংবাদ প্রদানের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে; আল্লাহর নাম বর্ণনা করার জন্য নয়’। তিনি আরো বলেন,আমার মতে, এটি আল্লাহর কর্মবাচক গুণ। অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ জিনিসের মূল্য কম-বেশী করেন। তাই আমার মতে এটি আল্লাহর নাম নয়। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত’।(লিকাউল বাবিল মাফতূহ, মাকতাবা শামেলাহ দ্র.) এই মতটিই সঠিক বলে প্রতিভাত হয়।অর্থাৎ এটি আল্লাহর গুণবাচক নাম নয়।
.
হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ,শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেছেন, আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীস দ্বারা দু’দিক থেকে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ বৈধ না হওয়ার দলীল সাব্যস্ত হয়।

১) লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের আহবান জানালেও তা তিনি করেননি। যদি সেটি জায়েয হ’ত, তাহ’লে তিনি তাদের আহবানে সাড়া দিতেন।

২) দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ না করার কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, এটি যুলুম। আর যুলুম হারাম। তাছাড়া তা বিক্রেতার মাল। সুতরাং ক্রেতা-বিক্রেতা ঐক্যমত পোষণ করলে বিক্রেতাকে তার মাল বিক্রি করা থেকে নিষেধ করা জায়েয নয়’। (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী (রিয়াদ: দারু আলামিল কুতুব, ৩য় সংস্করণ,১৪১৭হিঃ/১৯৯৭ খ্রিঃ), ৬/৪১২)।
.
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেন, মূল্যবৃদ্ধি বা মূল্যহ্রাস এ দু’টি ঐ সকল ঘটনার অন্যতম, যার স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ নন। তাঁর ইচ্ছা ও ক্ষমতা ছাড়া এর কিছুই সংঘটিত হয় না। তবে আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কখনো কখনো কতিপয় বান্দার কর্মকে কিছু ঘটনা ঘটার কারণ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। যেমন হত্যাকারীর হত্যাকে নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ করেছেন। বান্দাদের যুলুমের কারণে তিনি কখনো মূল্যবৃদ্ধি করেন এবং কখনো কিছু মানুষের ইহসানের কারণে মূল্যহ্রাস করেন’।(ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৮/৫২০)।
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন,যখন বিক্রেতারা তথা ব্যবসায়ী ও অন্যরা তাদের নিজেদের কাছে যে পণ্য আছে তার দাম তাদের ইচ্ছামত বৃদ্ধি করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করবে, তখন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা এবং জন সাধারণের কল্যাণ করা ও ফিতনা-ফাসাদ দূর করার সাধারণ নিয়মের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপ্রধান বিক্রেয় দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করবেন। আর যদি তাদের মধ্যে ঐক্যমত্য না হয়; বরং কোন প্রকার প্রতারণা ছাড়াই পর্যাপ্ত চাহিদা ও পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ কম হওয়ার কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়, তাহ’লে রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা উচিত নয়। বরং তিনি প্রজাদেরকে এমনভাবে ছেড়ে দেবেন যে, আল্লাহ তাদের কারো দ্বারা কাউকে রিযিক দিবেন’। (ফাতাওয়াল লাজনাহ আদ-দায়েমা লিল-বুহূছ আল-ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা (সঊদী আরব : মুআস্সাসাতুল আমীরাহ, ৪র্থ সংস্করণ, ১৪২৩হিঃ/২০০২খ্রিঃ), ১৩/১৮৬)।
.
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৫১ হি.] বলেছেন, ‘মূল্য নির্ধারণ ছাড়া যদি মানুষের কল্যাণ পরিপূর্ণতা লাভ না করে, তাহলে শাসক তাদের জন্য ন্যায়সংগত মূল্য নির্ধারণ করবেন। কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা কারো প্রতি অন্যায় করা যাবে না। আর মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই যদি তাদের প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায় এবং কল্যাণ সাধিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান মূল্য নির্ধারণ করবেন না।’ (কিতাবুল মাজমু : ১২/১২১আত-তুরুকুল হুকুমিইয়াহ ফিস-সিয়াসাতিশ শারঈয়্যাহ, ১/২২২)।

সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] বলেছেন, কোন মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা একমাত্র সরকারের হাতে, তাহলে সে যেন নিজের আকীদাকে সংশোধন করে এবং তাওহীদের শিক্ষা গ্রহণ করে।তিনি আরো বলেছেন, পণ্যের স্বল্পতা ও সরবরাহ কম হওয়ার কারণে যদি মূল্য বৃদ্ধি পায়,তাহ’লে এতে কারো কিছুই করার নেই। তবে ব্যবসায়ীদেরকে বলা হবে, মানুষেরা যে দামে বিক্রি করছে সে বাজার মূল্যে তোমরা বিক্রি করো। মানুষকে কষ্ট দিয়ো না। পক্ষান্তরে মাল গুদামজাত করার কারণে ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে যদি মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং বাজারে পণ্যের ঘাটতি হেতু তারা বেশী দামে মাল বিক্রি করে, তাহ’লে শাসক এতে হস্তক্ষেপ করবেন। মানুষেরা যে দামে বিক্রি করছে সে দামে বিক্রি করতে তিনি তাদেরকে বাধ্য করবেন। এটাই আদল বা ন্যায়-নীতি’। (ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)। af.org.sa/en/node/14702
.
পরিশেষে, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দুটি বিষয় লক্ষণীয় প্রথমত, একথা পরিস্কার যে,ইসলামের দৃষ্টিতে দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর হুকুমেই ঘটে থাকে।আল্লাহ বলেন, আর তোমরা ইচ্ছা করতে পারো না কেবল অতটুকু ব্যতীত যা আল্লাহ ইচ্ছা করেন। (সূরা তাকভীর ৮১/২৯)। তবে আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কখনো কখনো কতিপয় বান্দার কর্মকে কিছু ঘটনা ঘটার কারণ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। যেমন হত্যাকারীর হত্যাকে নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ করেছেন। বান্দাদের যুলুমের কারণে তিনি কখনো মূল্যবৃদ্ধি করেন এবং কখনো কিছু মানুষের ইহসানের কারণে মূল্যহ্রাস করেন।দ্বিতীয়ত এটিও পরিস্কার যে, স্বাভাবিক অবস্থায় রাষ্ট্রের জন্য দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা বৈধ নয়। তবে যদি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়, তবে সরকারকে অবশ্যই বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। জেনে রাখা ভাল যে,দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক প্রকার শাস্তি অথবা পরীক্ষা। তাই স্বাভাবিক ভাবে কোন ধরনের সিন্ডিকেট ছাড়া হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে বান্দার উচিত সকল প্রকার পাপ কর্ম পরিহার করা সাথে তাওবা ইস্তেগফার করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ তা’আলার উপর নির্ভরশীল হতে তাহলে পাখিদের যেভাবে রিযিক দেয়া হয়, সেভাবে তোমাদেরকেও রিযিক দেয়া হত। (তিরমিযী, হা/২৩৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৭৩; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৬৪; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৭৩০)। ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত:৭৫১ হি.) বলেন, ‘তাওয়াক্কুলের রহস্য ও তাৎপর্য হলো, বান্দার অন্তর এক আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হওয়া, জাগতিক উপকরণের প্রতি অন্তর মোহশূন্য থাকা, সেগুলোর প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া। (এই বিশ্বাস রাখা যে) এসব উপায়-উপকরণের সরাসরি কোন ক্ষতি কিংবা উপকার করার ক্ষমতা নেই। (আল ফাওয়াইদ, পৃষ্ঠা: ৮৭)।

আল্লাহ সবাইকে পার্থিব জীবনের এই সংকট থেকে রক্ষা করুন। আমিন। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_____________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।