মহান আল্লাহ কেয়ামতের বান্দার সাথে সম্পর্কিত গোনাহও কি মাফ করবেন

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ কেয়ামতের মাঠে বান্দাদের সব পাপ ক্ষমা করবেন যদি শিরক না থাকে তাহলে কি তিনি বান্দার সাথে সম্পর্কিত গোনাহও মাফ করবেন? বিস্তারিত জানতে চাই।
▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: মহান আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য।সাথে মানুষ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, এটা তার জন্য ফরয। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা তাঁর ইবাদতের অন্তর্গত। কিন্তু মানুষ বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে, আল্লাহর অবাধ্য হয়ে বিভিন্ন ধরনের পাপ করে। পাপ করার পরে অনুতপ্ত হয়ে বান্দা ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করেন। কেননা মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন। পবিত্র কুরআনের এই সুসংবাদ হ’তেই মানুষ তাঁর নিকট বিভিন্নভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তওবা করে, নিজের পিতা-মাতা, পরিবারবর্গ, আত্মীয়-স্বজন, সকল ঈমানদার মুমিন-মুসলমানদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। অবশ্য আল্লাহর নিকট প্রত্যেকেরই ক্ষমা প্রার্থনা করা অপরিহার্য কর্তব্য। কারণ স্বয়ং আল্লাহ ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন।আল্লাহ বলেন,তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।
’(সূরা মুযযাম্মিল ৭৩/২০)।অন্যত্র সবার উদ্দেশ্যে তাঁর প্রিয় হাবীব (ﷺ)-কে প্রত্যাদেশ করেন-আর তুমি বল,হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর ও দয়া কর। বস্ত্ততঃ তুমিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’(সূরা মুমিনূন ২৩/১১৮)।
.
আল্লাহ তা‘আলা উপরের আয়াতদ্বয় দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে মানুষকে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন। আবার পরোক্ষভাবেও ক্ষমা প্রার্থনার বহু সুসংবাদ বিদ্যমান। মহান আল্লাহ বলেন,যারা না দেখে তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ (সূরা মুলক ৬৭/১২)।আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠ চিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করে দিবেন। কেননা আল্লাহ পাক কুরআনের প্রায় শতাধিক আয়াতে নিজেকে ক্ষমাশীল বলে ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন-আমার বান্দাদের জানিয়ে দাও যে, নিশ্চয়ই আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও অপরিসীম দয়ালু।’ (সূরা হিজর ১৫/৪৯)।
.
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, হে আমার বান্দগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তোমরা ফিরে এসো তোমাদের রবের দিকে এবং তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ কর তোমাদের নিকট শাস্তি আসার পূর্বে। (আযাব এসে গেলে) তখন তোমাদের কোন সাহয্য করা হবে না’ (যুমার ৩৯/৫৩-৫৪)।
.
উক্ত আয়াতে الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ‘তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ’ অংশের ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এটা দ্বারা সকল ধরনের পাপ কাজকে বুঝানো হয়েছে। যেমন শিরক, কুফর, নিফাক্ব, হত্যা, পাপাচার ইত্যাদি। এসব পাপে জড়িত হয়েও যদি (আন্তরিকভাবে) তওবা করে, তবে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন’। (তাফসীরে ইবনু কাছীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৮০; তাফসীরে মুনীর, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২০৭) সুতরাং খালেছ তওবা দ্বারা হাক্কুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় কবীরা গুনাহ এমনকি শিরকের গুনাহ ও মাফ হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট খালেছ অন্তরে তওবা কর। অবশ্যই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের গোনাহসমূহ মার্জনা করে দিবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। (সূরা তাহরীম ৬৬/৮)।
.
অপরদিকে হাক্কুল ইবাদ অর্থ বান্দার হক যা বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট। বিশেষ করে ইচ্ছাকৃতভাবে কারো হক নষ্ট করলে সেটা বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তার নিজস্ব তওবা এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না।(বিস্তারিত দ্রষ্টব্য: রিয়াযুছ সালেহীন ‘তওবা’ অনুচ্ছেদ-২-এর আলোচনা)। বান্দার হক বিনষ্টকারীগণ ক্বিয়ামতের দিন সর্বাধিক অসহায় ও নিঃস্ব হিসাবে গণ্য হবে। তাদের সালাত, সিয়াম, যাকাত, হজ্জ ও অন্যান্য ইবাদত কবুল হবে। তবে তার ইবাদতগুলোর সওয়াব দুনিয়ায় যেসব মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে। কেননা দুনিয়াতে বান্দা যা কিছু করে ও বলে সবকিছু লিপিবদ্ধ করা হয়।সম্মানিত লেখক ফেরেশতাবৃন্দ সবকিছু লিখে রাখেন।’ (ইনফিত্বার ৮২/১১)। সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।’ (সূরা ক্বাফ ৫০/১৮)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর প্রতিটি বস্ত্তকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি।’(সূরা ইয়াসীন ৩৬/১২)। ‘আর ক্বিয়ামতের দিন আমরা তাকে বের করে দেখাব একটি আমলনামা, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। (সেদিন আমরা বলব) তুমি তোমার আমলনামা পাঠ কর। আজ তুমি নিজেই নিজের হিসাবের জন্য যথেষ্ট।’ (বনী ইসরাঈল ১৭/১৩-১৪)। ‘সবাইকে তাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’(সূরা নাহল ১৬/৯৩ হিজর ১৫/৯২-৯৩)।আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যে ব্যক্তি যা খেয়ানত করে, তা নিয়ে সে ক্বিয়ামতের দিন হাযির হবে’ (আলে ইমরান ৩/১৬১)। পরিশেষে আমল অনুপাতে তাদেরকে প্রতিদান দেয়া হবে। এমনকি ‘অণু পরিমাণ ভাল কাজ করলে, সে তা দেখতে পাবে এবং অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে সেও তা দেখতে পাবে।’(সূরা যিলযাল ৯৯/৭)। ক্বিয়ামতের দিন বান্দাকে তার দুনিয়াবী ছোট-বড়, গোপন-প্রকাশ্য, কথা ও কর্ম তথা সব আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে শিরকের গুনাহ আল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। (সহীহ বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৩৩)।
.
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী করীম (ﷺ) আমাদের মাঝে দাঁড়ান এবং গনীমতের মাল আত্মসাৎ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। আর তিনি তা মারাত্মক অপরাধ ও তার ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের কাউকে যেন এ অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন না পাই যে, তার কাঁধে বকরি বয়ে বেড়াচ্ছে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে চিৎকার করছে। অথবা তার কাঁধে রয়েছে ঘোড়া আর তা হিহি করে আওয়াজ করছে। ঐ ব্যক্তি আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তো (দুনিয়ায়) তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অথবা কেউ কাঁধে বয়ে বেড়াবে উট যা চিৎকার করছে, সে আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! একটু সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তো তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অথবা কেউ তার কাঁধে বয়ে বেড়াবে ধন-দৌলত এবং আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তো তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অথবা কেউ তার কাঁধে বয়ে বেড়াবে কাপড়ের টুকরাসমূহ যা দুলতে থাকবে। সে আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না, আমি তো তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি’। [বুখারী হা/৩০৭৩; মুসলিম হা/১৮৩১]উপরে বর্ণিত হাদীসটি দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও দেশের জনগণের সম্পদ রক্ষার আমানতে খেয়ানত করার পরিণতি বুঝা যায়। এভাবে অন্যান্য আমানতের খেয়ানতকারী তার খেয়ানত অনুযায়ী শাস্তির সম্মুখীন হবে। আর তা হবে অত্যন্ত লাঞ্ছনা এবং অবমাননাকর।

রাসূল (ﷺ)-বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের পরষ্পরের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান পরষ্পরের জন্য হারাম’।(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকা,ত হা/২৬৫৯)।রাসূল (ﷺ) বলেন, সাবধান! কোন ব্যক্তির মাল অন্য কারো জন্য হালাল নয়, যতক্ষণ না সে তা স্বেচ্ছায় প্রদান করে।’ (আহমাদ হা/২০৭১৪; মিশকাত হা/২৯৪৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৬৬২)।
.
রাসূল (ﷺ) আরো বলেন, যে যুলুমের ব্যাপারে আল্লাহ ছাড় দেন না, তা হ’ল বান্দার উপর কৃত যুলুম, যার বদলা তিনি বান্দাদের একে অপর থেকে গ্রহণ করবেন(সিলসিলা সহীহাহ হা/১৯২৭, সনদ হাসান)।
.
রাসূল (ﷺ) বলেন, শহীদদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় তার ঋণ ব্যতীত। (মুসলিম হা/১৮৮৬; মিশকাত হা/২৯১২)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথায় (إِلَّا الدَّيْنَ বা ঋণ ব্যতীত) এ মর্মে সতর্কবাণী রয়েছে যে, এখানে বান্দার সকল প্রকারের অধিকারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। অর্থাৎ যে জিহাদ, শাহাদাতের মৃত্যু কিংবা অন্যান্য ‘আমল কখনো মানবীয় অধিকারের কাফফারা হবে না। এগুলো শুধু আল্লাহ তা‘আলার হক আদায়ের ক্ষেত্রে কাফফারা হবে। (নববী, শরহ মুসলিম ১৩/২৯, হা/১৮৮৫-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
.
শাইখুল ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন,মাযলুমের হক কেবলমাত্র তওবা দ্বারা পূরণ হয় না। বরং তওবা তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সে যুলুমের প্রতিদান মাযলুমকে বুঝিয়ে দিবে। যদি সে দুনিয়াতে তা পূরণ না করে,তবে আখেরাতে তাকে তা পূরণ করতে হবে। (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/১৮৭-১৮৯)।
.
সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার নষ্ট করার ভয়াবহতা বর্ণনা করে বলেন,إِنَّكَ أَنْ تَلْقَى اللهَ عَزَّ وَجَلَّ بِسَبْعِيْنَ ذَنْباً فِيْمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ أَهْوَنُ عَلَيْكَ مِنْ أَنْ تَلْقَاهُ بِذَنْبٍ وَاحِدٍ فِيْمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْعِبَادِ.’বান্দার সাথে সম্পর্কিত একটি পাপ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার চেয়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত সত্তরটি পাপ নিয়ে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করা তোমার জন্য অধিকতর সহজ’। (কুরতুবী, আত-তাযকিরাহ, পৃঃ ৭২৬)।
.
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়া থেকে সালাত-সিয়াম-যাকাত ইত্যাদি আদায় করে আসবে। সাথে ঐসব লোকেরাও আসবে, যাদের কাউকে সে গালি দিয়েছে, কারো উপরে অপবাদ দিয়েছে,কারো মাল গ্রাস করেছে,কাউকে হত্যা করেছে বা কাউকে প্রহার করেছে। তখন ঐসব পাওনাদারকে ঐ ব্যক্তির নেকী থেকে পরিশোধ করা হবে। এভাবে পরিশোধ করতে করতে যদি তার নেকী শেষ হয়ে যায়, তখন ঐসব লোকদের পাপসমূহ এই ব্যক্তির উপর চাপানো হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম হা/২৫৮১; মিশকাত হা/৫১২৭)।
.
জাবের (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, কোন জান্নাতবাসী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ তার উপর কোন জাহান্নামবাসীর দাবী অবশিষ্ট থাকবে। আর কোন জাহান্নামবাসীও জাহান্নামে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ তার উপর কোন জান্নাতবাসীর দাবী অবশিষ্ট থাকবে। আমি বললাম, সে দাবী কিভাবে মিটমাট করবে, যেখানে আমরা সকলে উত্থিত হব আল্লাহর সমীপে সহায়-সম্বলহীনভাবে? তিনি বলেন, নেকী ও গোনাহ দ্বারা।’ (আহমাদ হা/১৬০৪২; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৯৭০ সহীহুত তারগীব হা/৩৬০৮)।
.
পরিশেষে বলব,উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা পরিস্কার যে, আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল। মানুষ পাপ করার পর তাঁর নিকটে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন। কিন্তু বান্দার হকের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা অর্থাৎ কোন মানুষ দুনিয়ায় কারো উপর জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন করলে সেটা ঐ ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। বান্দার যাবতীয় আর্থিক ও শারীরিক হক থেকে মুক্তি লাভ না করা পর্যন্ত পরিপূর্ণ হতে পারে না। মোটকথা আল্লাহ ও বান্দার পরিশোধযোগ্য সব হক ও অধিকার আদায় করা বা মাফ করানো তাওবা কবুলের জন্য জরুরি। বিশেষত বান্দার অধিকার আদায় করা বা পাওনাদার মাফ না করা পর্যন্ত কোনোভাবেই মাফ হতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা যেন আমাদেরকে দ্বীনের ওপরে চলা এবং খাঁটি মুসলিম ও মুমিন হয়ে মৃত্যুবরণ করার তাওফীক্ব দান করেন। সৎ আমল করা এবং কবর সহ পরকালের সকল স্তরে হিসাব সহজ করে দেন। ক্বিয়ামতের দিন যাবতীয় ফিৎনা থেকে আমাদের রক্ষা করে পুলছিরাত পার হওয়ার সৌভাগ্য দান করেন। তার অশেষ রহমতে আমাদেরকে তাঁর জান্নাত লাভে ধন্য করেন আমীন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।