অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিধান

প্রশ্ন: অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিধান কী? কা-ফে-র-দের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে যে খাবার প্রস্তুত করা হয় সেটা খাওয়ার হুকুম কী? হি-ন্দু-দের কালী পূজা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঠাবলি দেওয়ার জন্য তাদের কাছে ছাগল, বেড়া দুম্বা ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে কি? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ ◾প্রথমত, অমুসলিম কা-ফে-র মু-শ-রি-ক-দের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া,তাদের মন্দির বা পূজা পরিদর্শন করা, উদ্বোধন করা, সেখানে আনন্দ-উল্লাস …

Read more

Share:

শরীয়তের দৃষ্টিতে দিবস পালন করা কি শিরক

স্বাভাবিকভাবে দিবস পালন শিরক নয়। দিবস পালন করা সামাজিক কুসংস্কার এবং নিকৃষ্ট বিদআত। তবে নিয়তে বা কার্যক্রমে গরমিল হলে কখনো কখনো শিরক হতে পারে যেমন:কোন নির্ধারিত দিবসের মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা বা কোন দিনকে শুভ অশুভ বা কল্যাণকর মনে করে সেদিন পালন করা শিরক হবে। তবে যদি দিবস পালনের পিছনে কোন কল্যাণ, মঙ্গল ও শুভ …

Read more

Share:

ধর্ম যার যার উৎসব সবার চলুন বাক্যটির মর্ম জানার চেষ্টা করি

”ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। কি চমৎকার ধর্মনিরপেক্ষতা! চলুন বাক্যটির মর্ম জানার চেষ্টা করি। ▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার বাক্যটি নিয়ে আলোচনার শুরুতে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন তা হলো, বাক্যটি যেহেতু ধর্ম কেন্দ্রীক তাই এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও ধর্মীয় চিন্তার আলোকেই করতে হবে। তবে একটু বলে রাখা ভালো যে, অধিকাংশ সময় উল্লেখিত বাক্যটি হিন্দুদের …

Read more

Share:

যদি কোন মুসলিম ইসলামের কোন বিষয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তাহলে তার বিধান

যদি কোন মুসলিম মুহাম্মাদ (ﷺ) আনিত ধর্মের কোন বিষয়ে অথবা ধর্মীয় সওয়াব বা শাস্তির ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তবে তার ঈমান বঙ্গ হয়ে যাবে এবং সে কাফির হয়ে যাবে। ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ মহান আল্লাহ বলেন, قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ ‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর …

Read more

Share:

ইসলাম ও কুফরির হাকিকত বা তাৎপর্য

ভূমিকা: রাতের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে পূর্ব দিগন্তে যখন আলো ঝলমলে নতুন সূর্যের আগমন ঘটে তখন সকল অন্ধকার বিদূরিত হয়ে প্রভাতের দীপ্ত আলোয় ভরে যায় পৃথিবী। নতুন জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যমে কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে চারিদিক। প্রাণে প্রাণে জাগে জীবনের স্পন্দন। ইসলাম এমনই একটি দীপ্তিময় সূর্যের নাম যার আগমনের ফলে আঁধার ঘেরা পৃথিবীতে জেগেছিল নতুন …

Read more

Share:

গণক, জ্যোতিষী, দৈবজ্ঞ ইত্যাদির নিকট যাওয়ার বিধান এবং এদেরকে চেনার ২০টি আলামত

ইসলামের দৃষ্টিতে কথিত গণক, জ্যোতিষী, ঠাকুর, সাধু-সন্ন্যাসী, ভবিষ্যৎবক্তা ইত্যাদির কাছে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা, হারানো বস্তু ফিরে পাওয়া, অদৃশ্য বিষয়ে জানতে চাওয়া ইত্যাদি উদ্দেশ্যে যাওয়া বা তাদেরকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করা হারাম। বহু হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও হুশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। যেমন: – নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ …

Read more

Share:

ভণ্ডপীরের মুখোশ উম্মোচন​: সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে তাজিমি সেজদা করা হারাম

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শরিয়তে মুসলিমদের পরষ্পরের প্রতি সম্মান ও সম্ভাষণের বৈধ রীতি হল, সালাম, মুসাফাহা ও বিশেষ ক্ষেত্রে মুয়ানাকা করা। অনুরূপভাবে সন্তান বা স্নেহাস্পদ কাউকে কিংবা পিতামাতা, শ্বশুর, শাশুড়ি, মুরব্বি, শিক্ষক, আলেম, বুজুর্গ ইত্যাদি ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনার্থে কপালে বা হাতে চুম্বন করা। এ সব ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে বহু …

Read more

Share:

মুসলিম ও কাফেরের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য

মুসলিম ও কাফেরের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য প্রত্যেক মুসলমান নিশ্চয়ই একথা জানে যে, আল্লাহ তা’য়ালা মুসলমানকে পছন্দ করেন এবং কাফেরকে অপছন্দ করেন৷ মুসলমানের গোনাহ্ ক্ষমা করা হবে কাফেরের অপরাধের কোন ক্ষমা নেই৷ মুসলমান জান্নাতে যাবে এবং কাফের জাহান্নামে৷ কিন্তু মুসলমান এবং কাফেরের মধ্যে এতখানি পার্থক্য কেন হলো, সেই সম্বন্ধে একটু গভীরভাবে চিন্তা করা আবশ্যক৷ কাফের ব্যক্তিরা যেমন হযরত …

Read more

Share:

মুসলিম উম্মাহর কিছু সংখ্যক লোক মূর্তিপূজা করবে

  আল্লাহ তাআলা এরশাদকরেছেন,“আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে কিতাবের কিছু অংশ দেয়া হয়েছে? তারা ‘জিবত’ [প্রতিমা] এবং ‘তাগুত্কে বিশ্বাস করে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরা মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে”। (নিসাঃ৫১) আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন, “বলো, [হে মুহাম্মদ] আমি কি সে সব লোকদের কথা জানিয়ে দেবো?যাদের পরিণতি আল্লাহর কাছে [ফাসেক লোকদের পরিণতি] এর চেয়ে খারাপ। তারা এমন লোক যাদেরকে …

Read more

Share:

কেন শিরক সবচেয়ে বড় গোনাহ হিসাবে বিবেচিত?

🔸এক, এতে ‘ইলাহ’- এর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যে খালেক তথা সৃষ্টিকর্তার সাথে মাখলুক তথা সৃষ্ট বস্তুর তুলনা করা হয়। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করলো, সে প্রকারান্তরে তাকে আল্লাহর অনুরূপ ও সমকক্ষ বলে স্থির করলো। মহান আল্লাহতাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়।’ — [সূরা লুক্বমান, আয়াত : ১৩] জুলুম বলা হয় …

Read more

Share: