ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির কুরবানী দেওয়ার বিধান এবং অন্যের থেকে ঋণ নিয়ে কুরবানী দেওয়া যাবে কি

কুরআন-সুন্নাহ এবং জমহুর ইমামগনের বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী কুরবানী দেওয়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। অপরদিকে যারা কুরবানী ওয়াজিব বলেছেন তারা সবাই একমত যে, একজন ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- সামর্থ্য থাকা। সামর্থ্যের একটি দিক হচ্ছে- আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া। সুতরাং,যে ব্যক্তি আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নয় তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। তাই কারো যদি ঋণ থাকে এবং ঐ …

Read more

Share:

একজন সামর্থ্যবান নারী কি তার স্বামীর পক্ষ থেকে কুরবানী দিতে পারবে যার কুরবানী  দেওয়ার সামর্থ্য নেই

ইসলামী শরীয়তের বিধি বিধান নারী-পুরুষ সবার জন্য।যেখানে যেখানে পার্থক্য রয়েছে রাসূল (ﷺ) সেটা বলে গেছেন। কুরবানী ওয়াজিব হওয়া কিংবা সুন্নত হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত নয়। কোরবানী পুরুষদের উপর যেমন ওয়াজিব হয় তেমনি নারীদের উপরও ওয়াজিব হয়। কারণ ওয়াজিব হওয়ার দলিলগুলো নর-নারী সবাইকে সমানভাবে শামিল করে।”(আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা (৫/৭৯-৮১) সুতরাং কুরবানী যেহেতু শরীয়তের একটি বিধান সুতরাং …

Read more

Share:

সালাত পরিত্যাগকারীর কুরবানীর বিধান এবং বেনামাজির সাথে শরিকানা কুরবানীতে অংশগ্রহণ করার বিধান

ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত পরিত্যাগ করা কুফর, যা একজন ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়, যে ব্যক্তি সালাত আদায় করেনা তার যাকাত, রোজা, হজ্জ, কুরবানী ইত্যাদি কোনো আমলই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, রাসূল (ﷺ) আরো বলেছেন; আমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি হলো নামাযের। সুতরাং যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল, …

Read more

Share:

কুরবানীর পশুর সাথে আক্বীক্বা করার বিধান

প্রশ্ন: বর্তমানে অনেক যায়গায় কুরবানীর পশুর সাথে আক্বীক্বা করার প্রচলন দেখা যায়।ইসলামে এর কোন অনুমতি আছে কি? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: ইসলামী শরীয়তের একটি মূলনীতি যেমন: ইবাদত ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে সব কিছুই হালাল, যতক্ষণ কুরআন ও হাদীস থেকে হারাম হওয়ার দলীল পাওয়া না যাবে।তেমনি ইবাদতের ক্ষেত্রে মৌলিক নীতিমালার মূল হল যে সকল ইবাদতের কোন দলিল নেই …

Read more

Share:

মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি

▪️প্রথমত: কোন ব্যক্তির নামে কুরবানী করা এই কথাটি সঠিক নয়। কেননা কুরবানী করা একটি ইবাদত। আর কুরআন সুন্নাহ দ্বারা এ কথা প্রমাণিত যে,কোন নেক আমল বা আমলে সালেহ গৃহীত ও নৈকট্য দানকারী হয় না; যতক্ষণ না তাতে দু’টি শর্ত পূরণ হয়েছে; ইখলাস এবং রাসূল (ﷺ) এর নির্দেশিত বিধি-বিধান অনুযায়ী হওয়া।তাই কুরবানী কোন ব্যক্তির নামে নয় …

Read more

Share:

কুরবানী কি ওয়াজিব নাকি সুন্নাহ একটি ইনসাফপূর্ণ দলিল ভিত্তিক পর্যালোচনা

প্রতি বছর কুরবানী আসলেই একটি প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে করতে দেখা যায় কুরবানী কি ওয়াজিব নাকি সুন্নত? কুরবানী ওয়াজিব হোক আর সুন্নত হোক সেটা নিয়ে পড়ে না থেকে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর অন্যতম দায়িত্ব হল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদেশ্যে কুরবানী করা। কারন কুরবানী আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এতে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর …

Read more

Share:

কুরবানী কি ও কুরবানীর উদ্দেশ্য এবং ভাগে কুরবানী দেয়া সম্পর্কে দলিল ভিত্তিক পর্যালোচনা

প্রশ্ন: কুরবানী কাকে বলে? কুরবানীর উদ্দেশ্য কি? গরু বা উট ২/৩/৫/৭ ভাগে কুরবানী দেয়া যাবে কি? একটি দলিল ভিত্তিক পর্যালোচনা। ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ ➤উত্তর: আরবী ‘কুরবান’ (قربان) শব্দটি ফারসী বা ঊর্দূতে ‘কুরবানী’ রূপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য। পারিভাষিক অর্থে: আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় উৎসর্গকৃত পশু কিংবা অন্য যে কোনো কিছুকে আরবীতে ‘কুরবান’ বলা হয়। সীমাহীন আত্মত্যাগের …

Read more

Share:

শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কুরবানির ইতিহাস ও গুরুত্ব এবং ফজিলত

কুরবানির পরিচয়: আভিধানিক অর্থে, যে পশুকে কুরবানি করা হয় তথা ইদুল আজহার দিনগুলোতে জবেহ করা হয়, তাকেই উদ্বহিয়্যাহ বা কুরবানি বলে। উদ্বহিয়্যাহ’র বহুবচন হলো আদ্বাহী। পারিভাষিক অর্থে, আল্লাহ’র নৈকট্য অর্জনের জন্য ইদুল আজহার দিন থেকে শুরু করে আইয়্যামে তাশরীক্বের (১১, ১২ ও ১৩ই যুলহাজ্ব) শেষদিন পর্যন্ত যে গৃহপালিত চতুষ্পদ পশুকে কুরবানি করা হয়, তাকে উদ্বহিয়্যাহ …

Read more

Share:

যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর নখ, চুল, শরীরের চামড়া ইত্যাদি না কেটে ঈদের সালাতের পর কাটার এই সুন্নাতটি কি কেবল কুরবানী দাতার জন্য প্রযোজ্য

প্রশ্ন: যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর নখ, চুল, শরীরের চামড়া ইত্যাদি না কেটে ঈদের সালাতের পর কাটার এই সুন্নাতটি পালন সম্পর্কে কেউ বলেন এটি কেবল কুরবানী দাতার জন্য প্রযোজ্য আবার কেউ কেউ বলেন এটি সবার জন্য প্রযোজ্য। কোনটি সঠিক? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ ভূমিকা: আরবি মাসগুলোর তারিখ বা দিন শুরু হয় রাত থেকে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে। সে হিসাবে …

Read more

Share:

রামাদানের শেষ দশক শ্রেষ্ঠ নাকি যিলহজ্জের প্রথম দশক

ভূমিকা: মহান আল্লাহ কিছু মাস, দিন ও রাত্রিকে অপরাপর থেকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন; যাতে তা মুসলিমের আমল বৃদ্ধিতে সহযোগী হয়। তাঁর আনুগত্যে ও ইবাদতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং কর্মঠ মনে নতুন কর্মোদ্যম পুনঃ পুনঃ জাগরিত হয়। অধিক সওয়াবের আশায় সেই কাজে মনের লোভ জেগে ওঠে এবং তার বড় অংশ হাসিলও করে থাকে বান্দা। যাতে মৃত্যু …

Read more

Share: