হায়েয কি এবং হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার আলামত কি

প্রশ্ন: হায়েয কি? হায়েয থেকে পবিত্র হওয়ার আলামত কি? ইস্তেহাযা কি ও তার বিধান কি? যদি নারীর (জরায়ু থেকে) অনেক বেশি রক্তপাত হয় তথা সে ইস্তেহাযাগ্রস্ত হয় তাহলে কীভাবে সালাত পড়বে? ▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক …

Read more

Share:

একজন ঋতুমতী নারী সূর্যাস্তের আগে পবিত্র হলে

(১) প্রশ্ন: একজন হায়েজ (ঋতুমতী) নারী সূর্যাস্তের আগে পবিত্র হলে, তিনি কি শুধু আসরের নামাজ পড়বেন, নাকি যোহর ও আসর উভয় নামাজই পড়বেন? আর যদি তিনি এশার সময়ে পবিত্র হন, তাহলে কি শুধু এশা পড়বেন, নাকি মাগরিব এবং এশা উভয় পড়বেন? ▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের …

Read more

Share:

হায়েজ নিফাস অবস্থায় নারীরা কুরআন তেলাওয়াত করতে এবং তেলাওয়াতের সিজদাহ দিতে পারবে কি

প্রথমত: অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তেলোয়াত করা যাবে কিনা যদিও এই মাসালায় মতানৈক্য রয়েছে, তবে অধিক বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, অপবিত্র ব্যক্তি ও ঋতুবতী মহিলা মূল আরবি কুরআনের মুসহাফ স্পর্শ না করে যিকির হিসাবে মুখস্থ বা মোবাইল/কম্পিউটার থেকে কুরআন তেলোয়াত করতে পারে। পাশাপাশি কুরআনের আয়াত ও অনুবাদ সম্বলিত অন্যান্য ইসলামী গ্রন্থ, হাদীস ও তাফসীর গ্রন্থ, সাধারণ যিকির-আযকার …

Read more

Share:

বীর্য কামরস ও সাদা স্রাব কী এবং কিভাবে বীর্য ও কামরসের মাঝে পার্থক্য করা যায় এবং এসবের হুকুম

প্রশ্ন: বীর্য, কামরস এবং সাদা স্রাব কী? আমরা কিভাবে বীর্য ও কামরসের মাঝে পার্থক্য করতে পারি? বীর্য, কামরস এবং সাদা স্রাব এই তিনটির হুকুমগত দিক থেকে পার্থক্য কী? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: ১.বীর্য এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: (ক)। হলুদ রঙের পাতলা। এ বৈশিষ্ট্যটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে- “নিশ্চয় পুরুষের পানি ঘন সাদা। আর মহিলার …

Read more

Share:

হায়েজ-নিফাস শেষ হওয়ার পর ফরজ গোসল করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করার বিধান

প্রশ্ন: হায়েজ-নিফাস শেষ হওয়ার পর ফরজ গোসল করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করার বিধান কি? কেউ এমন অবস্থায় সহবাস করলে তার করনীয় কী? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: কুরআন-সুন্নাহর দলিল এবং সালাফদের অধিক বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী একজন ঈমানদার ব্যক্তির জন্য হায়েয বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর গোসলের মাধ্যমে পূর্ণ পবিত্র হওয়া পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া জায়েজ নয়। …

Read more

Share:

মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে নির্গত সাদাস্রাবের হুকুম কী

প্রশ্ন: মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে নির্গত সাদাস্রাবের হুকুম কী? সাদাস্রাব বের হওয়ার কারণে কী অযু ভঙ্গ হবে? ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: সাদা স্রাব হচ্ছে মেয়েদের গর্ভাশয় থেকে নির্গত এক প্রকার তরল পদার্থ, যা স্বচ্ছ। এমনও হতে পারে এটি নির্গত হওয়ার সময় নারী টেরও পায় না। এক মহিলা থেকে অপর মহিলার ক্ষেত্রে এটি বের হওয়ার পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। …

Read more

Share:

নারীরা জন্ম নিরোধক পিল সেবনের ফলে হায়েয অনিয়মিত হলে শরীয়তের বিধি বিধান পালনের ক্ষেত্রে করনীয় কী

বর্তমানে অনেক নারী জন্ম নিরোধক পিল সেবনের ফলে তাদের হায়েয অনিয়মিত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে শরীয়তের বিধি বিধান পালনের ক্ষেত্রে করনীয় কী? ▬▬▬▬▬▬▬▪️🌻▪️▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: স্বাভাবিক ভাবে হায়েজের সময় হায়েজ নিবারক ট্যাবলেট সেবন করে হায়েজ বন্ধ রাখা উচিত নয়। বরং আল্লাহর বিধানের উপর সন্তুষ্ট থাকার মধ্যে বান্দার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তবে বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছু …

Read more

Share:

অপবিত্রতা সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রশ্ন: নাজাসাত বা অপবিত্রতা কাকে বলে? ইহা কত প্রকার ও কি কি? অপবিত্র বস্ত্ত থেকে পবিত্রতা অর্জনের সঠিক পদ্ধতি কি। ▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: নাজাসাত হলো ত্বহারাত এর বিপরীত শব্দ। পরিভাষায়, শরীয়াত নির্ধারিত নাপাকীর নাম নাজাসাত। মুসলিমদের জন্য এরূপ নাজাসাত থেকে পবিত্রতা অর্জন করা এবং তা শরীর বা কাপড়ে লেগে গেলে ধৌত করা ওয়াজিব। (নাজাসাত)النجاسة বা অপবিত্র …

Read more

Share:

স্ত্রীর হায়েজ-নিফাস অবস্থায় সহবাস করার বিধান

প্রথম কথা হল, হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, “আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েজ সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না; যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের …

Read more

Share:

ঋতুবতি মহিলাগণ কিভাবে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করবে

মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব কদর রাত পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়। তাই ঋতুবতি মহিলাগণ এ রাতে নামায, কুরআন তিলাওয়াত ও কাবা শরীফের ত্বওয়াফ ছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার ইবাদত করতে পারে। যেমন: বেশি বেশি দরুদে ইব্রাহীম পাঠ করা, তাসবীহ, যিকর-আযকার, যেমন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্ হামদু ল্লিল্লাহ” “সুবহানাল্লাহ”, “আল্লাহুআকবার” “আস্তাগফিরুল্লাহ”, “লা হাওলা ওয়ালা কুউআতা ইল্লা বিল্লাহ”। দুআ-মুনাজাত, বিশেষ …

Read more

Share: