শরীয়তের আলোকে আহলে কুরআন বা হাদীস অস্বীকারকারীদের বিধান

ইসলামী শরী‘আতের প্রধান দু’টি উৎস হল, কুরআন এবং সহীহ হাদীস, যা মুসলিম মিল্লাতের মূল সম্পদ। কুরআন ইসলামের আলোকস্তম্ভ আর হাদীস হল তাঁর বিচ্ছুরিত আলোকচ্ছটা। মূলত হাদীস হল কুরআনের নির্ভুল ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং রাসূল (ﷺ)-এর আদর্শ, কর্মনীতি ও শরী‘আতের বিস্তৃত বিবরণ। এজন্য হাদীছ ছাড়া কুরআনের মর্ম বুঝা অসম্ভব। তাই যারা নিজেদেরকে ‘আহলে কুরআন’ দাবী করে, তারা মিথ্যুক, পথভ্রষ্ট ও ধোঁকাবাজ। এরাই প্রচার করছে যে, শুধু কুরআন মানতে হবে হাদীস মানা যাবে না। কারণ হাদীছের মধ্যে সহীহ,যঈফ, জাল ইত্যাদি ভাগ রয়েছে। এই অজ্ঞতাপূর্ণ যুক্তির কুপ্রভাব এখন সর্বত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা হাদীস ও সুন্নাতের ব্যাপারে যুবকদের মধ্যে সন্দেহের তীর ছুড়ে মারছে। কূটকৌশলের মাধ্যমে তারা এই মিথ্যা দাবী প্রচার করছে। অথচ তারা অধিকাংশই অশিক্ষিত ও কুরআন-সুন্নাহর ইলম সম্পর্কে নিম্নশ্রেণীর জাহেল।
.
সমাজে আরেক শ্রেণীর লোক মাযহাব বা তরীক্বার দোহাই দিয়ে হাদীস অস্বীকার করে থাকে। যে সমস্ত হাদীছ মাযহাবী ফৎওয়ার বিরোধী, সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করার অস্ত্র হিসাবে তারা অনেক মিথ্যা উছূল তৈরি করেছে। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৮)। এই মারণাস্ত্র দিয়ে বহু হাদীসকে পিষ্ট করেছে, হাদীছের আমলকে সমাজ থেকে উঠিয়ে দিয়েছে, হাদীছের উপর গবেষণা বন্ধ করে দিয়েছে। এরা মাযহাবী গোঁড়ামিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রাসূলের হাদীছের উপর ছুরি চালিয়েছে এবং ধর্মের আড়ালে রাসূল (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এদের সংখ্যাই বেশি।সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের জানা আবশ্যক যে, কুরআনে কারীম ও সহীহ হাদীস দু’টিই আল্লাহ তা‘আলার অহী। উভয়ের উপর সমানভাবে ঈমান আনয়ন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।
.
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের সর্বসম্মত মতানুযায়ী আহলে কুরআন বা হাদীস অস্বীকারকারীরা কাফির। কারণ কুরআনের অনুসারীদের উপর হাদীস মানাও ফরয। হাদীসের সত্যতা ও বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কেউ আহলে কুরআন হতে পারে না। বুঝা যাচ্ছে যে, ‘আহলে কুরআন’ নামক দলটি কুরআন-সুন্নাহ তথা শরী‘আতের দলীলাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তারা কুরআনের কিছুই বুঝে না। কারণ হাদীস ছাড়া কুরআন বুঝা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। এদের ভ্রান্ত মতবাদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মতকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘জেনে রাখ! আমাকে কুরআন এবং তার সঙ্গে অনুরূপ কিছু দেয়া হয়েছে। জেনে রাখ! এমন এক সময় আসবে যখন কোন প্রাচুর্যবান ব্যক্তি তার আসনে বসে বলবে, তোমরা শুধু এ কুরআনকেই আঁকড়ে ধর, তাতে যা হালাল পাবে তাকে হালাল হিসাবে এবং যা হারাম পাবে তাকে হারাম হিসাবে গ্রহণ কর। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘জেনে রাখ! গৃহপালিত গাধা তোমাদের জন্য হালাল নয় এবং ছেদন দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র পশুও নয়’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৪-
৪৬০৫; তিরমিযী, হা/২৬৬৩-২৬৬৪, সনদ হাসান)।অর্থাৎ এগুলোকে রাসূল (ﷺ) হারাম করেছেন।
.
মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ لَا تُبۡطِلُوۡۤا اَعۡمَالَکُمۡ ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আর তোমাদের আমল বিনষ্ট করে দিও না।’ (সূরা মুহাম্মাদ: ৩৩)। ইমাম কুরতুবী (মৃ. ৬৭১ হি.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুক্বাতিলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,يقول الله تعالى إذا عصيتم الرسول فقد أبطلتم أعمالكم ‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যদি তোমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অমান্য কর, তবে তোমরা তোমাদের আমল বিনষ্ট করে দিলে।’(শামসুদ্দীন কুরতুবী, তাফসীরে কুরতুবী; কায়রো: দারুল কুতুব আল-মিসরীয়্যাহ, ২য় সংস্করণ, ১৩৮৪ হি./১৯৬৪ খ্রি., ১৬তম খণ্ড, পৃ. ২৫৫) পবিত্র কুরআনের নয়টি আয়াতে আল্লাহ পরিস্কারভাবে কেবল তাঁর নিজের প্রতি আনুগত্যের আদেশই দেননি বরং তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্যের আদেশও দিয়েছেন। কুরআনুল কারীমে یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا (হে বিশ্বাসীগণ) বলে সম্বোধন করে বোঝানো হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মেনে চলা ও অনুসরণ করার আদেশ কেবল নবীর জীবদ্দশার সময়কাল ও তাঁর সাহাবীদের মাঝে সীমিত নয়। বরং যে নিজেকে বিশ্বাসী বলে দাবী করে, তাদের বেলায়ই এই আদেশ প্রযাজ্যে। যা বর্তমানে অনেকে বলে থাকে যে, তার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করাটা জরূরী নয়। কেননা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করাটা কেবল তাঁর জীবদ্দশায় প্রযাজ্যে ছিল। কার্যত সে এমন লোকদের মতই কথা বলছে যারা ঈমানদার নয়। এরা তাদেরই অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে আল্লাহ কুরআনে কাফির বলে সম্বোধন করেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীসের অনুসরণকে ওয়াজিব করে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে অন্যূন ৪০ স্থানে বর্ণনা করেছেন। (ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ৮৩)। কারণ ঈমান ও কুফরীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো, হাদীসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা না করা। (সহীহ বুখারী, হা/৭২৮১; মিশকাত, হা/১৪৪)। হাদীসের বিরোধিতা করা, অমান্য করা সুস্পষ্ট কুফরী ও তার পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম। মহান আল্লাহ বলেন- বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ্‌ ও রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কাফেরদেরকে পছন্দ করেন না।’ (সূরা আলে-ইমরান: ৩২; সহীহ বুখারী, হা/৭২৮০)। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সর্বসম্মত মতানুযায়ী আহলে কুরআন বা হাদীস অস্বীকারকারীরা কাফের। তারা ইসলাম থেকে বহিস্কৃত। এরা কেউ মারা গেলে কোন মুসলিম তার জানাযা পড়বে না এবং মুসলিমের কবরস্থানে তাকে দাফনও করা যাবে না। তাই এদের ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করতে হবে, যেন কেউ এদের প্রতারণার জালে পা না দেয়।

▪️হাদিস অস্বীকারকারী কাফের নিম্নে কয়েকজন বিদ্বানের মতামত উল্লেখ করা হল:
_______________________________________
(১). আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মহান ইমাম, শাইখুল ইসলাম আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বাল আশ-শাইবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ২৪১ হি.] বলেছেন, হাদীস অস্বীকারকারীদের ধ্বংস অনিবার্য।(শারহু উছূলি ‘ইতিক্বাদ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪৭৮)।

(২). ইমাম ইসহাক্ব ইবনু রাহ্ওয়াইহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যার কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কোন একটি সহীহ হাদীস পৌঁছেছে, অতঃপর সে কোন ভয়ের আশঙ্কা ছাড়াই তাকে অস্বীকার করেছে, তবে সে নিশ্চিতরূপে কাফির।’(ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১৫১২৫)।

(৩). শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যারা মনে করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আনুগত্য করা অপরিহার্য নয়, তারা কাফির, তাদের হত্যা করা অপরিহার্য।’(আল-ওয়াসিয়্যাতুল কুবরা লি ইবনি তাইমিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩১৫)।

(৪). ইমাম ইবনু দাক্বীক্ব আল-ঈদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীস প্রমাণিত হওয়ার পরেও যারা তা প্রত্যাখ্যান করে তারা স্পষ্ট কাফির।’(শারহুল ইলমাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৭৭-১৭৮)।

(৫). ইমাম সূয়ুত্বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যারা নবী (ﷺ)-এর হাদীসকে অস্বীকার করে তারা কাফির এবং তারা ইসলামের গণ্ডি ও চৌহদ্দি থেকে নিষ্কাষিত হয়ে ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান অথবা অন্য কোন বিধর্মী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।’(মিফতাহুল জান্নাহ ফিল ইহতিজাজি বিস সুন্নাহ, পৃ. ১৪)।

(৬). ইমাম ইবনু হায্ম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি বলে, আমরা শুধু কুরআনের বিধানই মানব, হাদীস মানব না, তবে সে সর্বসম্মতিক্রমে কাফির।'(আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮০)।

(৭). শায়খ আবু বাকর আল-আজুর্রী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন- আলিমগণ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনের মধ্যে যে সমস্ত বিধানকে ফরয করেছেন, তার পদ্ধতি ও নিয়ম-কানূন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নাত ছাড়া উপলব্ধি করা অসম্ভব। আর যারা এর বিপরীত বলবে, অর্থাৎ যারা বলবে যে, সুন্নাত ছাড়াও ইসলাম মানা সম্ভব তারা কাফির। তারা ইসলামী দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নাস্তিকদের অন্তর্ভুক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে’।(আশ-শারী‘আহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪১২)

(৮). বিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী, শাইখুল ইসলাম, ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেন, ‘যারা সুন্নাতকে অস্বীকার করে তারা কাফির ও স্বধর্মত্যাগী। কেননা সুন্নাতকে অস্বীকার করা কুরআনকে অস্বীকার করার নামান্তর। যে কিতাব ও সুন্নাতকে অথবা এর কোন একটিকে অস্বীকার করে সে সর্বসম্মতিক্রমে কাফির। অবশ্যই তাকে এ সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করা দরকার।’(ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০৩ ও ৯ম খণ্ড, পৃ. ১৭৬-১৭৮)

(৯). সঊদী আরবের ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) আলিমগণ বলেছেন,‘যারা সুন্নাত অনুযায়ী আমাল করাকে অস্বীকার করে তারা কাফির।’(ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৯৪ ও ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৯-২০)

(১০). ইবনুল আরাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কোন ব্যক্তি বা ইমামের কথায় একটি আয়াত কিংবা একটি সহীহ হাদীসও বর্জন করা জায়েয নয়। যে বর্জন করবে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট হবে এবং আল্লাহর দ্বীন ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।’(ফতূহাতে মাক্কিয়াহ-এর বরাতে হাক্বীক্বাতুল ফিক্বহ, পৃ. ১০২)। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কেউ যদি একটি হাদীসও বর্জন করে তবে আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী বলতেন, সে কাফের হয়ে যাবে।’(মুক্ষুল বারী তরজমা সহীহ বুখারী, পৃ. ১২)।

উপরিউক্ত মতামতের পক্ষের দলীল বর্ণনায় নিম্নে দু’টি হাদীস উল্লেখ করা হলো: আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِيْ فَلَيْسَ مِنِّيْ ‘সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি ঔদাসীন্য ও বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।'(সহীহ বুখারী, হা/৫০৬৩; সহীহ মুসলিম, হা/১৪০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৫৩৪) অপর বর্ননায় আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “, مَنْ أَطَاعَنِيْ فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَقَدْ عَصَى اللهَ ‘যে আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহ তা‘আলারই আনুগত্য করল। আর যে আমার নাফরমানী করল, সে আল্লাহ তা‘আলারই নাফরমানী করল।'(সহীহ বুখারী, হা/২৯৫৭, ৭১৩৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৩৫) (মাসিক আল ইখলাস থেকে সংকলিত)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_____________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।