নখ পালিশ বা সুপার গ্লু বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে ওযু করার বিধান

প্রশ্ন: নখ পালিশ বা সুপার গ্লু বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে ওযু করার বিধান কি?
▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত সালাত কবুল হয় না এবং হারাম মালের সাদাক্বা কবুল হয় না। ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ‘পবিত্রতা ব্যতীত সালাত এবং হারাম মালের দান কবুল হয় না’। (সহীহ মুসলিম, হা/২২৫, মিশকাত, হা/২৮১)।

তিনি আরও বলেন,সালাতের চাবি হ’ল ওযূ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, দারেমী, মিশকাত হা/৩১২)।

কোন বস্তর কারণে যদি পানি পৌঁছতে বাধার সৃষ্টি হয়, তবে তা ওযু ও গোসলকারীর জন্য ব্যবহার করা জায়েয নয়। কেননা আল্লাহ বলেন,তোমরা মুখমন্ডল ও হাতদ্বয় ধৌত কর।(সূরা মায়েদা-৬)।

অতএব হাতে সুপার গ্লু অথবা নারীর নখে যদি নখ পালিশ থাকে তবে তা তো পানি পৌঁছতে বাধা দিবে। সুতরাং তা থাকা অবস্থায় ওযু বা গোসল করলে তো তার একটি অঙ্গ শুস্কই রয়ে গেল এবং ওযু বা গোসলের একটি ফরয কাজ পরিত্যাগ করল। চামড়াতে পানি পৌঁছতে বাধা দেয় এমন বস্ত্তকে ওযূ করার পূর্বেই দূর করা। অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি ওযূর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এমন বস্ত্ত ব্যবহার করে যা চামড়াতে পানি পৌঁছতে বাধা সৃষ্টি করে, তাহ’লে ওযূ করার পূর্বেই তা দূর করতে হবে। যেমন: কেউ নেইল পালিশ বা আঠা জাতীয় কিছু ব্যবহার করলে তা দূর করার পরে ওযূ করতে হবে। অন্যথা তার ওযূ ছহীহ হবে না। (ছালেহ আল-ফাউযান, আল-মুলাক্ষাছুল ফিকহী, ১/৪১ পৃঃ; আল-ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ ১৮)।

উল্লেখ্য, ওযুর অঙ্গে নখ পরিমাণ কোন জায়গাও শুকনো থাকলে ওযু হবে না। আর ওযু না হলে নামাযও হবে না, কাবাঘরে তাওয়াফও হবে না। (সহীহ মুসলিম হা/২৪৩, সুবুলুস সালাম) ।

এখন প্রশ্নে উল্লেখিত সুপার গ্লু এক ধরনের আঠা তাই অযুর পূর্বে ঘর্ষন দিয়ে অথবা সাবান ইত্যাদির মাধ্যমে সেটা ছাড়ানোর চেষ্টা করা জরুরি সুপার গ্লু তোলার জন্য সবথেকে ভালো হল ‘থিনার” ও “পেট্রল”এই দুটি এপ্লাই করলে আশা করা যায় সেটা দূর হবে। (আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। আল্লাহ সবচেয়ে ভাল যানেন)।
______________________
✍️জুয়েল মাহমুদ সালাফি