একজন মুমিনের মৃত্যুর পূর্ব সময় থেকে শুরু করে কবরস্থ করার পর পর্যন্ত কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে করনীয় ও বর্জনীয় তৃতীয় পর্ব

একজন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে অসিয়তনামার পদ্ধতি ও বিধি-বিধান কেমন হবে? অসিয়তনামা কোন বিষয়ে হবে এবং কাদের জন্য ও কী পরিমাণ হবে?
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
মানুষের জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত এবং ভাগ্যের অবধারিত লিখন [ইবনু তায়মিয়াহ,মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৮/৫১৭]।কেননা প্রত্যেক প্রাণীর জন্য ‘মৃত্যু’ যেমন অনিবার্য তেমনি তার দিন-ক্ষণও নির্ধারিত। সেই নির্ধারিত সময়েই তার মৃত্যু হবে। এতে সামান্য এদিক-সেদিক হবে না। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কারো মৃত্যু হতে পারে না। কেননা, তা সুনির্ধারিত।[সূরা আল ইমরান :১৪৫]যেহেতু জীবন মৃত্যুর একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলা এবং পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রাণীর জীবনকাল আল্লাহ তাআলার নিকট সুনির্ধারিত। অতএব মৃত্যুর পূর্বে পরকালীন কল্যাণ লাভের জন্য প্রয়ােজনীয় উপকরন সংগ্রহের পাশাপাশি যথাসম্ভব অসিয়ত প্রস্তুত করা বা লিখে দেওয়া কর্তব্য। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন, “কোন মুসলিমের জন্য সমীচীন নয় যে, তার অসিয়ত করার কিছু থাকলে তা লিখে মাথার নিকট প্রস্তুত না রেখে সে দুটি রাত্রিও অতিবাহিত করে।” ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, “আমি যখন থেকে নবী (ﷺ)-এর নিকট উক্ত কথা শুনেছি, তখন থেকে আমার নিকট অসিয়ত প্রস্তুত না রেখে একটি রাত্রি যাপন করিনি।(সহীহ বুখারী ২৭৩৮, সহীহ মুসলিম,১৬২৭)
.
অসিয়তনামায় শুধু তাদেরকে সম্পদের অংশ দেবে যারা মীরাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যেমন নিজের পুত্র বা কন্যা মারা যাওয়ার কারণে তার সন্তানেরা অর্থাৎ নাতি-নাতনীরা ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়, এসব বঞ্চিতদের জন্য অথবা যারা ওয়ারিশ নয় তাদের জন্য অসিয়ত করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,তোমাদের মধ্যে যখন কারো মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং সে যদি ধনসম্পত্তি রেখে যায়, তবে পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য ন্যায় সঙ্গত অসিয়ত করার বিধান তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। মুত্তাকীদের পক্ষে তা অবশ্য পালনীয়।(সুরা বাকারাহ,১৮০)কিন্তু মীরাসের আয়াতে যথানির্ধারিত ভাগ পিতা-মাতা এবং অন্যান্য ওয়ারেস আত্মীয়দেরকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং এ বিধান কেবল তাদের জন্য বহাল আছে যারা মীরাস থেকে বঞ্চিত,অর্থাৎ মিরাস পাবেনা। (তাফসীরে সা’দী ৬৮ পৃঃ)মৃত ব্যাক্তির সম্পদের ওয়ারিশী অংশ পাবে এমন কারো জন্য অসিয়ত বৈধ নয় (আবু দাউদ: ২৮৭০)। আর অসিয়তকারী তার সম্পদের সর্বোচ্চ তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ অসিয়ত করতে পারে, এর বেশি নয়।বরং তার চাইতে আরো কম হলে সেটাই উত্তম।হাদীসে এসেছে, আমের বিন সা‘দ বর্ণনা করেন, তার পিতা সা‘দ বলেন, বিদায় হজ্জের সময় আমি রোগাক্রান্ত হয়ে মরণাপন্ন হয়ে পড়ছিলাম। নবী করীম (ছাঃ) সে সময় আমাকে দেখতে এলেন। তখন আমি বললাম, আমি যে রোগাক্রান্ত, তা আপনি দেখছেন। আমি একজন বিত্তবান লোক। আমার এক মেয়ে ব্যতীত কোন ওয়ারিছ নেই। তাই আমি কি আমার দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ ছাদাক্বা করে দিতে পারি? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে অর্ধেক সম্পদ? তিনি বললেন, না। এক-তৃতীয়াংশ অনেক। তোমার ওয়ারিছদের মানুষের কাছে ভিক্ষার হাত বাড়ানোর মত অভাবী রেখে যাবার চেয়ে তাদের বিত্তবান রেখে যাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম। আর তুমি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যা কিছুই ব্যয় করবে নিশ্চয়ই তার প্রতিদান দেয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লোকমাটি তুলে দিয়ে থাক, তোমাকে এর প্রতিদান দেয়া হবে। আমি বললাম, তাহ’লে আমার সঙ্গীগণের পরেও কি আমি বেঁচে থাকব? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তুমি এদের পরে বেঁচে থাকলে তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যা কিছু নেক আমল কর না কেন, এর বদলে তোমার মর্যাদা ও সম্মান আরও বেড়ে যাবে। আশা করা যায় যে, তুমি আরও কিছু দিন বেঁচে থাকবে। এমনকি তোমার দ্বারা অনেক কওম উপকৃত হবে। আর অনেক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারপর তিনি দো‘আ করলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার ছাহাবীগণের হিজরতকে বহাল রাখুন। আর তাদের পেছনে ফিরে যেতে দিবেন না। কিন্তু সা‘দ ইবনু খাওলাহ-এর দুর্ভাগ্য। (কারণ তিনি বিদায় হজ্জের সময় মক্কায় মারা যান) সা‘দ বলেন, মক্কায় তাঁর মৃত্যু হওয়ায় রাসূল (ছাঃ) তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন’।(সহীহ বুখারী হা/১২৯৬ ও ৬৩৭৩; মুসলিম হা/১৬২৮; মিশকাত হা/৩০৭১)
.
অসিয়ত করার ব্যাপারে দুইজন দ্বীনদার মুসলিমকে সাক্ষী মানা জরুরী। সেরূপ কোন মানুষ না পেলে ২জন বিশ্বস্ত অমুসলিম ব্যক্তিকেও সাক্ষী রেখে নিতে হবে। যাতে সন্দেহ ও মতবিরোধের সময় তাদের সাক্ষ্য দ্বারা নিশ্চয়তা লাভ সম্ভব হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
হে ইমানদারগণ! তোমাদের কারো যখন মৃত্যুসময় উপস্থিত হয় তখন অসিয়ত করার সময় তোমাদের মধ্যে হতে দুজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে। তোমরা সফরে থাকলে এবং তোমাদের মৃত্যুরূপ বিপদ উপস্থিত হলে তোমাদের ছাড়া অন্য লোকদের (অমুসলিমদের) মধ্য হতে দুজন সাক্ষী মনোনীত করবে। তোমাদের সন্দেহ হলে নামাযের পর তাদেরকে অপেক্ষমাণ রাখবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমরা ওর বিনিময়ে কোন মূল্য গ্রহণ করব না – যদি সে আত্মীয়ও হয় এবং আমরা আল্লাহর সাক্ষ্য গোপন করব না, করলে আমরা নিশ্চয় পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হব। তবে যদি এ প্রকাশ পায় যে, তারা দুজন অপরাধে লিপ্ত হয়েছে তবে যাদের স্বার্থহানি ঘটেছে তাদের মধ্য হতে নিকটতম দুজন তাদের স্থলবর্তী হবে এবং আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের হতে। অধিকতর সত্য এবং আমরা সীমালংঘন করি নি, করলে অবশ্যই আমরা যালেমদের দলভুক্ত হব।(সূরা মায়েদাহঃ ১০৬-১০৭)
.
তবে অতীব গুরুত্বপূর্ণ যে, অসিয়তের দ্বারা সম্পদের কোন ভাগীদার বঞ্চিত থাকে এমন উদ্দেশ্য যেন না থাকে।যেমন, পিতা-মাতা,পুত্র বা কন্যা অথবা বিবির নামে অসিয়ত করা (জমি-জায়গা লিখা) এবং কোন ওয়ারিস (যেমন, বিবাহিত কন্যা বা স্ত্রী)কে মীরাস থেকে বঞ্চিত করা বৈধ নয়। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক হকদারকে তার প্রাপ্য হক প্রদান করেছেন। সুতরাং কোন ওয়ারেসের জন্য অসিয়ত বৈধ নয়।(আবু দাউদ ২৮৭০, তিরমিযী, ২১২০আবু দাউদ ২৮৯৪)।
.
সম্পদের ভাগীদার অর্থাৎ ওয়ারিশ হিসেবেই সম্পদ পাবে এমন কারোর জন্য সম্পদ কম বেশ করে দেওয়ার ব্যাপারে কোন অসিয়ত করা জায়েয নেই। নিজের কোন এক সন্তানকে একটু মায়া করে তাকে একটু বাড়িয়ে দেওয়া বা রাগ হয়ে কোন সন্তানকে তার প্রাপ্যের চেয়ে কম দেওয়া বা দেওয়ার জন্য অসিয়ত করা জায়েয নেই।আল্লাহ তাআলা বলেন,অর্থাৎ, মাতা-পিতা এবং আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং মাতা-পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে, তাতে তা অল্পই হোক অথবা বেশীই হোক। প্রত্যেকের জন্য এক নির্ধারিত অংশ রয়েছে। (সুরা নিসা,৭)আল্লাহ তাআলা মীরাসের আয়াতের শেষ অংশে বলেন,অর্থাৎ, — এ ছাড়া যা অসিয়ত করে তা দেওয়া এবং ঋণ পরিশোধের পর যদি এ কারো জন্য হানিকর না হয়। এ হল আল্লাহর নির্দেশ, বস্তুতঃ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।(সুরা নিসা,১২)।সুতরাং কোন ওয়ারেসের জন্য অসিয়ত করা অন্যায় করলেও এমন ইনসাফহীন অসিয়ত বাতিলরূপে পরিগণিত হয়। কারণ, নবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীনের) ব্যাপারে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে, ওর অন্তর্ভুক্ত নয় তা প্রত্যাখ্যাত।” (সহীহ বুখারী ২৭৯৭, সহীহ মুসলিম ১৭১৮)
.
তাছাড়া অসিয়তনামায় এও থাকবে যে,যেহেতু বর্তমান যুগে দ্বীনে বিশেষ করে জানাযায় বহু সুন্নাহ পরিপন্থী ভেজাল কার্যক্রম অনুপ্রবেশ করে বহু বিদআত রচিত হয়ে সুন্নাহর আকার ধারণ করেছে, সেহেতু মরণাপন্ন ব্যক্তির এ অসিয়ত করাও উচিত এবং ওয়াজিব যে,তার মৃত্যুর পর যেন লোকেরা কান্নাকাটি না করে, বিলাপ না করে,তার গোসল কাফন-দাফন ইত্যাদি শেষক্রিয়া যেন বিদআতমুক্ত সুন্নাহর পদ্ধতি অনুযায়ী হয় এবং এ বিষয়ে কোন প্রকারে বিদআতকে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়। কেননা এমনি অসিয়ত যুগশ্রেষ্ঠ বহু সালফগন তাঁদের উত্তরাধিকারীদেরকে করে গেছেন।যেমন সাহাবী হোযায়ফা (রাঃ) অছিয়ত করে বলেন, আমি মারা যাওয়ার পরে কাউকে সংবাদ দিয়ো না। আমার ভয় হয় এটা না‘ঈ বা শোক সংবাদ হবে কি-না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ থেকে নিষেধ করেছেন’। অন্যান্য সাহাবী থেকেও এধরনের অছিয়ত বহু রয়েছে। [তিরমিযী হা/৯৮৬; ইবনু মাজাহ হা/১৪৭৬; তালখীছ, পৃঃ ১৯, ১০।] সেকারণ ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, প্রত্যেকের উচিৎ এভাবে অছিয়ত করে যাওয়া, যেন তার মৃত্যুর পরে কোন প্রকার বিদ‘আত না করা হয়।[তালখীছ, পৃঃ ১০।]তাছাড়া আল্লাহ তাআলার সেই বাণী ও নির্দেশের উপরেও আমল হয়, যাতে তিনি বলেন,হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবারপরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যার নিয়ন্ত্রণভার অর্পিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোর-স্বভাব ফিরিশতাগণের উপর; যারা আল্লাহ যা আদেশ করেন তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদিষ্ট হয় তাই করে। (সুরা তাহরীম,৬)
◾কিভাবে লিখিত অসিয়তনামা করবেন তার একটি নমুনা:
________________________________________
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,
ইন্নাল হামদা লিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম।আমি——মহান আল্লাহ,ও তাঁর রাসূল (সা.)এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রেখে জেনে- বুঝে, সজ্ঞান ও সুস্থ মস্তিষ্কে আমার স্ত্রীসন্তান ও (ওয়ারিশদের) এ মর্মে অসিয়ত করে যাচ্ছি; যা ইব্রাহীম ও ইয়াকুব (আঃ) তাদের পুত্রগণকে করেছিলেন, “হে পুত্রগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দ্বীন (ইসলাম)কে মনোনীত করেছেন। সুতরাং আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) না হয়ে তোমরা কখনও মৃত্যুবরণ করো না।” (সুরা বাক্বারাহ ১৩২) আর যা রসূল (ﷺ) তাঁর উম্মতকে করেছিলেন, “তোমরা নামাযে যত্নবান হও।”হে আমার স্ত্রীসন্তান,তোমরা সদা-সর্বদা ইসলামের উপর অটল ও অবিচল থেকো এবং তোমাদের মৃত্যু যেন হয় ঈমানের সাথে, সেজন্য সচেষ্ট থেকো। সদা-সর্বদা অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয় রেখে চলো। তোমরা সকলে মিলে-মিশে থাকবে। পরস্পর সুন্দর আচরণ করবে। আত্মীয়তার ও রক্ত সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে। আত্মীয়-স্বজন ও আপনজনদেরকে দাওয়াত দেবে ও তাদের দাওয়াত কবুল করবে। একজনের প্রয়োজনে অপরজন এগিয়ে যাবে, পরস্পর সহযোগিতা করবে। আল্লাহ না করুক তোমাদের কারোর অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে অপরজনেরা তার পাশে এসে দাঁড়াবে। আল্লাহ তোমাদের ইহকাল ও পরকালীন মঙ্গল দান করুন।
.
আমার মৃত্যুর পর তোমরা কেউই বিলাপ করে কান্নাকাটি করবে না। জানাযা ও কাফন-দাফনে সহীহ সুন্নাহ মোতাবেক সবকিছু সম্পন্ন করবে। সাত দিনে বা চল্লিশ দিনে কোন খানাপিনার আয়োজন করবে না। বিদআত ও শরীআত বহির্ভূত অন্য কোন কাজ করবে না। আমি শরীয়তের পরিপন্থী প্রত্যেক কর্ম ও কথা থেকে সম্পর্কহীন। আমার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বা টাকার এত পরিমাণ প্রথমে আমার কৃত ঋণ পরিশোধ,তারপর অমুক মসজিদ, অমুক মাদ্রাসা বা ব্যক্তিকে এবং অমুক ইয়াতীমখানায় এত টাকা প্রদান করিও। এই আমার অসিয়ত। “সুতরাং যে এ (অসিয়ত) শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন সাধন করবে, তবে তার পাপ তাদের উপরেই বর্তাবে যারা তাতে পরিবর্তন করবে।” (সুরা বাকারাহ ১৮১)
[বিশেষ দ্রষ্টব্য: আর নাতি-নাতনি রেখে নিজের কোন পুত্র-কন্যা মারা গেলে লিখবেন এভাবে….] আমার মৃত অমুক ছেলের ইয়াতীম সন্তানদের জন্য আমার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে মোট।(চার ভাগের এক ভাগ) দিয়ে দিও অথবা লিখবেন তিন ভাগের এক ভাগ দিয়ে দেওয়ার জন্য অসিয়ত করছি। আমার এ অসিয়তনামায় কেউ কোন পরিবর্তন করতে পারবে না, ব্যাঘাত ঘটাবে না। ঘটালে এর পাপের বোঝা তার ঘাড়েই বর্তাবে।আর আল্লাহর নিকট সকলের জন্য সৎকর্মের তওফীক এবং শুভমরণ কামনা করি। অস্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ, অআলা আ-লিহি অসাহবিহী আজমাঈন।
ইতি,–
সাক্ষী (১)———— নাম: ——-পিতা: ———-
সাক্ষী (২)————-নাম: ———–পিতা: ——————-
তারিখঃ————(স্বাক্ষর) —————-
.
পরিশেষে,কবি আবুল ‘আতাহিয়াহ (১৩০-২১৩ হি.) বলেন,নিশ্চয়ই শেষ বিচারের দিন বড়ই কঠিন দিন, সেদিন যালেমদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না’। ‘অতএব হে বিজয়ী! তুমি কবরে যাওয়ার পূর্বে এবং পুলসিরাতের ভয়াবহ দৃশ্য আসার পূর্বে পাথেয় সঞ্চয় কর’।হে আল্লাহ! তুমি আমাদের আখেরাত বিশ্বাসকে দৃঢ় কর এবং তার জন্য আমাদেরকে দ্রুত পাথেয় সঞ্চয়ের তাওফীক দাও- আমীন!(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
___________________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি