হালাল ও জায়েয এবং হারাম ও নাজায়েযের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি

প্রশ্ন: ইসলামি শরীয়তে হালাল ও জায়েয এবং হারাম ও নাজায়েযের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: শরীয়তের পরিভাষায় হালাল ও জায়েজ উভয়টি বৈধ অর্থে এবং হারাম ও নাজায়েজ উভয়টা অবৈধ ও নিষিদ্ধ বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়,মৌলিক ভাবে এগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই অর্থাৎ যা হালাল তাই জায়েজ এবং যা হারাম সেটা নাজায়েজ। তবে কখনো কখনো ক্ষেত্রবিশেষ উভয়টার হুকুম ভিন্ন হয়। প্রত্যেক হারাম নাজায়েয হয়; কিন্তু প্রত্যেক নাজায়েয হারাম নয়। যদিও নাজায়েয শব্দ দ্বারা অধিকাংশ সময় হারাম ও মাকরূহ বোঝানো হয়। মাকরূহ শব্দটি কুরআন ও হাদীসে একেক স্থানে একেক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কখনো হারাম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে আবার কখনো অপছন্দনীয়, মন্দ ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন সূরা আল-ইসরা ৩৮ নং আয়াতে হারাম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে অধিকাংশ সময় হারাম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। (বিস্তারিত জানতে দেখুন ইবনুল কাইয়ুম বাদায়ে‘উল ফাওয়ায়েদ: খন্ড: ৪ পৃষ্ঠা: ৬)।
.
সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী শাইখুল ইসলাম, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, কোনও বিষয় শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ বা হালালের বিপরীত অর্থ বুঝাতে কখনো নাজায়েজ (لا يجوز-غير جائز) আবার কখনো হারাম (الحرام) শব্দ ব্যবহার করেন। সুতরাং শব্দের ভিন্নতা ছাড়া অর্থ ও উদ্দেশ্যগত কোনও পার্থক্য নেই। (বিন বায অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফাতওয়া নং ১০৩১২)
.
বিগত শতাব্দীতে সৌদি ‘আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ফক্বীহদের নিকট জায়েয ও হালাল এবং নাজায়েয ও হারামের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বরং উভয়ই সমার্থক হিসাবে ব্যবহৃত হয় (উসাইমীন ,লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১/১০; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১১২/০২)।আশা করি বুঝতে পেরেছেন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
____________________
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।