হাদিস থেকে বাছাইকৃত উচ্চারণ ও অর্থসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি দুআর মধ্যে ১৫তম দুআ

জ্বীন সয়তান এবং মানুষ সয়তানের অনিষ্ঠ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার সুন্দর একটি দু’আ
▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: যে ব্যক্তি আজকের দু’আটি রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ভয় পেলে পাঠ করবে তাহলে শয়তানের কুমন্ত্রণা পাঠকারী ব্যক্তির কোন ক্ষতি করতে পারবে না। হাদীসটি বর্ননা করেছেন রাসূল ﷺ এর সাহাবী আমর ইবনু শু‘আইব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন সে যেন বলে: দু’আটির মূল আরবী হচ্ছে:—
.
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ ‏
.
[মোটামুটি উচ্চারণ: আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন গযাবিহী ওয়া ‘ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়া মিন হামযা-তিশ শায়া-ত্বীনি ওয়া ইয়ঁ ইয়াহ্‌যুরূন’।(আরবির সঠিক উচ্চারণ বাংলায় লেখা কোনোভাবেই শতভাগ সম্ভব নয়; তাই আরবি টেক্সট মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন,পাশাপাশি আরবির সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়ুন, না হয় ভুল শিখতে হবে)।

অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি, আল্লাহর রাগ ও তার শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের
অনিষ্ট থেকে;এবং শয়তানের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হতে। এবং আমার কাছে তাদের (শয়তানদের) উপস্থিতি থেকে। (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৯৩; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; মিশকাত, হা/২৪৭৭; সনদ হাসান)।
.
এবার এভাবে আরবী এবং বাংলা উচ্চারণসহ সহজে মুখস্থ করুন—
.
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ
(আ‘উযু বি কালিমা ~তিল্লা~হিত তা~ম্মা~তি) অর্থ:
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা আশ্রয় চাই,
.
مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ
(মিন গাদ্বাবিহি, ওয়া ‘ইক্বা~বিহি) অর্থ: তাঁর রাগ ও শাস্তি থেকে
.
وَشَرِّ عِبَادِهِ
(ওয়া শাররি ‘ইবা~দিহি) অর্থ: তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে,
.
وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
(ওয়া মিন হামাযা~তিশ শায়াত্বীনি) অর্থ: শয়তানদের উসকানি থেকে,
.
وَأَنْ يَحْضُرُونِ ‏
(ওয়া আন ইয়াহদ্বুরুন) অর্থ: এবং (আমার কাছে) তাদের (শয়তানদের) উপস্থিতি থেকে।
.
প্রিয় পাঠক! দু’আটি একটু বড় হলেও খুবই সুন্দর এবং চমৎকার একটি দু’আ।দু’আটিতে জ্বীন সয়তান এবং মানুষ শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে।তাই প্রত্যেকের দু‘আটি মুখস্থ করা উচিত,এবং নিয়মিত পড়া উচিত।যাদের ঘুমের মধ্যে সমস্যা হয়, তারা ঘুমের পূর্বে এবং ভয়ার্ত হয়ে ঘুম ভাঙার পর এই দু‘আটি পড়বেন।যারা সাধারণভাবে দু‘আ করতে চান, তারাও এটি যেকোনো দু‘আর মধ্যে পড়তে পারেন। কারণ এর অর্থটি খুবই সুন্দর এবং ব্যাপক—দু’আটি শুধু ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।চাইলে নামাজের সিজদায়ও দু‘আটি পড়তে পারেন।নামাজের সিজদায় পড়ার নিয়ম হলো: প্রথমে সিজদার তাসবিহ “সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা”। ৩/৫/৭ বার পড়ে নেবেন, এরপর এই দু‘আটি পড়বেন। এবং অন্তরে আল্লাহর প্রতি সুধাণা রাখবেন। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ সবার ইলমে আমলে বারাকাহ দান করুক। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________
আপনাদের দ্বীনি ভাই:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।