স্বামীর অন্য স্ত্রীর মেয়ের জামাই কি মাহরাম

প্রশ্ন: আমার স্বামীর অন্য স্ত্রীর মেয়ের জামাই আমার মাহরাম হবে কি? আমি কি তার সাথে দেখা দিতে পারব বা হজ্জে যেতে পারব?
▬▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: আপনার স্বামীর অন্য স্ত্রীর মেয়ের জামাই আপনার মাহরাম পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কাজেই তার সাথে পর্দা করতে হবে। কারন মহান আল্লাহ যাদেরকে মাহারাম হিসেবে গণ্য করেছেন তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত নন। মহান আল্লাহ বলেন, তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। এছাড়াও হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে যারা ইতিমধ্যে বিবাহিত,তবে আপনার ডান হাতের অধিকারী দাসীগন ছাড়া।এটি তোমাদের উপর আল্লাহর বিধান এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে (সূরা নিসা,২৩-২৪)
.
সুতরাং আপনি উক্ত মেয়ের জামাইয়ের সাথে দেখা করতে পারবেন না।তার সাথে হজ্জে যেতে পারবেন না।বরং আপনাকে তার সামনে হিজাব পালন করতে হবে এবং তার সামনে খোলামেলা হওয়া বা তার সাথে একা থাকা আপনার জন্য বৈধ নয়,কারণ তিনি অন্যান্য নন মাহরামদের মতো একজন অপরিচিত বা নন-মাহরাম।(ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১২০০৪১) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
______________________
জুয়েল মাহমুদ সালাফি