রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম এবং মৃত্যুর তারিখ কোনটি এবং উনার জন্ম সংশ্লিষ্ট সমাজে প্রচলিত কিছু দলিল বিহীন কথা

প্রিয় পাঠক, আমি গত আর্টিকেল উল্লেখ করেছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব রাসূল (ﷺ) এর জন্মের দিন ছিল সোমবার, এটি নিয়ে পৃথিবীর কোন আলেমের মধ্যে মতানৈক্য নেই। কিন্তু জন্ম তারিখ নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। এ মতানৈক্যের যৌক্তিক কারণও রয়েছে। যেহেতু কারো জানা ছিল না যে, এ নবজাতক অর্থাৎ রাসূল (ﷺ) ভবিষ্যতে বড় কিছু হবে? অন্য নবজাতকের জন্মকে যেভাবে নেয়া হত তার জন্মকেও সেভাবে নেয়া হয়েছে। এ জন্য কারো পক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম তারিখ নির্দিষ্ট ভাবে নিশ্চিত করেননি। রাসূল (ﷺ) এর জন্ম তারিখ সম্পর্কে আহালুল ইমামগনের বক্তব্য থেকে পাঠকদের জন্য আমি কিছু বর্ণনা উল্লেখ করতে চাই। যেমন:
.
শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নাওয়াউয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] যিনি ইমাম নববী নামে পরিচিত তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্ম তারিখ নিয়ে যথেষ্ট মতানৈক্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, রবীউল আউয়ালের ২ তারিখ, কেউ বলেন ৮ তারিখ, কারো মতে ১০ তারিখ আবার কারো মতে ১২ তারিখ। তবে তাঁর মৃত্যু রবীউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ এতে কারো কোন দ্বিমত নেই।(আবু যাকারিয়া মহীউদ্দীন ইয়াহইয়া ইবনু শারফ আন-নববী। (বৈরূত দারু ইহইয়াইত তুরাছিল ‘আরাবিয়্যাহ,২য় সংস্করণ, ১৩৯২ হি., ১৫ তম খণ্ড,পৃষ্ঠা: ১০০)। সুতরাং একথা পরিষ্কার যে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্ম ও মৃত্যু উভয়ই সোমবারে হয়। তবে তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। যেমন:
.
(১). রাসূল (ﷺ)- এর জন্ম তারিখ ১০ রবীউল আউয়াল। এই মতটি হুসাইন (রা.)-এর পৌত্র মুহাম্মাদ ইবনে আলী আল-বাকের (১১৪ হি:) থেকে বর্ণিত। দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আমর ইবন শারাহীল আশ-শা‘বী (১০৪ হি:) থেকেও এই মতটি বর্ণিত। ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে ওমর আল-ওয়াকেদী (২০৭ হি.) এই মত গ্রহণ করেছেন। ইবনে সা‘দ তার বিখ্যাত ‘আত-ত্ববাকাতুল কুবরা’য় শুধু দুইটি মত উল্লেখ করেছেন, ২ তারিখ ও ১০ তারিখ। (ইবনে সা‘দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, বৈরূত: দারুল এহইয়াইত তুরাছিল আরাবী: খন্ড: ১পৃষ্ঠা: ৪৭)।
.
(২). ইবনে কাসীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কেউ বলেছেন, ৮ রবীউল আউয়াল। হুমাইদী এ বর্ণনাটি ইবনে হাযম থেকে বর্ণনা করেন। আর মালেক, উক্বাইল ও ইউনুস ইবনে ইয়াযীদ প্রমুখ এটি বর্ণনা করেন যুহরী থেকে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুতঈম থেকে। ইবনে আব্দুল বার বলেন, ঐতিহাসিকগণ এ মতটিকে সঠিক বলেছেন। হাফেয মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল-খাওয়ারেযমী এ তারিখের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত। ইবনে দিহইয়াহ ‘আত-তানবির ফী মাওলিদিল বাশিরীন নাযীর’ গ্রন্থে এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। (ইবনে সা‘দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, বৈরূত: দারুল এহইয়াইত তুরাছিল আরাবী: পৃষ্ঠা: ১ পৃষ্ঠা: ৪৭)।
.
(৩). কারও মতে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্ম তারিখ ১২ রবীউল আউয়াল। এই মতটি হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক্ব (১৫১ হি.) গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হস্তির বছরে রবীউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন। (ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়াহ, মিসর: দারুর রাইয়ান, ১ম সংস্করণ, ১৯৭৮, ১/১৮৩)। এখানে লক্ষণীয় যে, ইবনে ইসহাক্ব সীরাতুন্নবীর সকল তথ্য সাধারণত সনদসহ বণর্না করেছেন, কিন্তু এই তথ্যটির জন্য তিনি কোনো সনদ উল্লেখ করেননি। কোথা থেকে তিনি এই তথ্যটি গ্রহণ করেছেন তাও জানাননি বা সনদসহ প্রথম শতাব্দীর কোনো সাহাবী বা তাবেঈ থেকে মতটি বণর্না করেননি। এজন্য অনেক গবেষক এই মতটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন। (আহমাদ মাহদী রিযকুল্লাহ, আস-সীরাতুন নাবাবিয়াহ, পৃষ্ঠা: ১০৯)।
.
(৪). অন্যমতে, তিনি রামাযান মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। ৩য় হিজরী শতকের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক জুবাইর ইবনে বাক্কার (২৫৬ হি.) থেকে এই মতটি বর্ণিত। তাঁর মতের পক্ষে যুক্তি হলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্বসম্মতিক্রমে রামাযান মাসে নবুঅত পেয়েছেন। তিনি ৪০ বৎসর পূর্তিতে নবুঅত পেয়েছেন। তাহলে তাঁর জন্ম অবশ্যই রামাযানে হবে। (ইবনে সা‘দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১/১০০-১০১; আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-কাসতালানী, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, বৈরূত: দারুল কুতুব আল-ইলিময়া, ১ম সংস্করণ ১৯৯৬), ১/৭৪-৭৫; আল-যারকানী, শরহুল মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া, বৈরূত: দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১ম সংস্করণ ১৯৯৬, ১/২৪৫-২৪৮)।
.
(৫). মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাতে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত ১৮ রবীউল আউয়াল।(আবুল ফিদা হাফিয ইমাদুদ্দীন ইবনে কাসীর, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, মিসর: দারুর রাইয়ান লিত তুরাস, ১ম প্রকাশ ১৪০৮ হি./১৯৮৮), ১/২৪২)।
.
৬). আল্লামা শফিউর রহমান মোবারকপুরী লিখেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কার বিখ্যাত বনু হাশেম বংশে ৯ রবীউল আউয়াল হস্তির বছর সোমবার দিন রাতের মহাসন্ধিক্ষণে সুবহে সাদিকের সময় জন্মগ্রহণ করেন। ইংরেজি পঞ্জিকা মতে, তারিখটি ছিল ৫৭১ ঈসায়ী সালের ২০ অথবা ২২ এপ্রিল। এ বছরটি ছিল বাদশাহ নওশেরওয়ার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার ৪০তম বছর। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহাম্মাদ সুলায়মান সালমান (রাহি.) এবং মাহমূদ পাশা ফাল্কীর অনুসন্ধানলব্ধ সঠিক অভিমত হচ্ছে এটাই। (আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ. ৯৭)।
.
(৭). কারো মতে ২, ৮, ১০ ও ১৩ই রবীউল আউয়াল। (সিফাতুস সাফওয়াহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৪; সীরাতে সাইয়েদুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা: ১১৭,)।
.
(৮). আরবের গবেষক সৌরবিজ্ঞানী আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম (মৃ. ১৪১৬ হি.) লিখেছেন, ‘বিশুদ্ধ রেওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল (ﷺ)-এর জন্ম হয় ২০ এপ্রিল ৫৭১ ইংরেজিতে আমুল ফিল’-এ। সুতরাং তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন খুব সূক্ষ্মভাবে বের করা সম্ভব এর ভিত্তিতে। বর্ণনার বিচারে ও যুক্তির আলোকে রাসূল (ﷺ)-এর জন্ম তারিখ হলো ৯ রবীউল আউয়াল হিজরী পূর্ব ৫৩ সন মোতাবেক ২০ এপ্রিল, ৫৭১ খ্রিস্টাব্দ। (তাকবীমুল আযমান, পৃষ্ঠা: ১৪৩)।
.
(৯). আল্লামা হুমাইদী, ইমাম ইবনু হাযম, ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, ইবনু কাসীর, ইবনু হাজার আসক্বালানী, বদরুদ্দীন আইনী প্রমুখের মতে, ৯ই রবীউল আউয়াল সোমবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্ম দিন। (মীলাদুন্নবী কেন বিদ‘আত, পৃষ্ঠা: ২০)। আর এই মতটিই বেশী গ্রহণযোগ্য।

তাছাড়া সহীহ হাদীসসমূহের বর্ণনা অনুযায়ী রাসূল (ﷺ) -এর জন্ম সোমবারে হয়েছে। কোন তারিখ সেটা বলা নেই। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব মতে, ৮ হতে ১২ই রবীউল আউয়ালের মধ্যে ৯ তারিখ ব্যতীত সোমবার ছিল না। অতএব রাসূল (ﷺ)-এর সঠিক জন্ম দিবস ৯ই রবীউল আউয়াল সোমবার, ১২ই রবীউল আউয়াল বৃহস্পতিবার নয়। যা প্রসিদ্ধ আছে। আল্লাহু আলাম। (সুলায়মান ইবনে সালমান মানছূরপুরী, রহমাতুল্লিল আলামীন, উর্দূ, দিল্লী: ১৯৮০ খ্রি., ১/৪০ দ্র. মীলাদ প্রসঙ্গ, পৃ. ৭; মোস্তফা চরিত, পৃষ্ঠা: ২২৫)।

◾তাহলে বিশুদ্ধ মতে জন্ম ও মৃত্যুর সঠিক কোনটি?
_______________________________________
প্রিয় পাঠক! মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ১ম হস্তীবর্ষের ৯ই রবীউল আউয়াল (সুলায়মান বিন সালমান মানছূরপুরী, (মৃ. ১৯৩০ খ্রিঃ) রহমাতুল্লিল আলামীন (উর্দূ), দিল্লী: ১৯৮০ খ্রিঃ ১/৪০; আর-রাহীক্ব পৃঃ ৫৪; মা শা-‘আ ৫-৯ পৃঃ)। সোমবার সুবহে সাদিকের পর মক্কায় নিজ পিতৃগৃহে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১১ হিজরী সনের ১২লা রবীউল আউয়াল সোমবার সকাল ১০টার দিকে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর তারিখ নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে।তবে যেহেতু সহীহ হাদীস অনুযায়ী রাসূল (ﷺ) -এর জন্ম ও মৃত্যু দু’টিই সোমবারে হয়েছিল। (মুসলিম হা/১১৬২; বুখারী হা/১৩৮৭)। অতএব সেটা ঠিক রাখতে গেলে তাঁর জন্ম ৯ই রবীউল আউয়াল সোমবার এবং মৃত্যু ১লা রবীউল আউয়াল সোমবার হয়। (আল্লাহু আলাম)। কিন্তু অধিকাংশ জীবনীকারের মতে মৃত্যুর দিনটি ছিল ১১ হিজরীর ১২ই রবীউল আউয়াল মোতাবেক ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই জুন। [কাযী সুলায়মান বিন সালমান মানছূরপুরী (মৃ. ১৩৪৯/১৯৩০ খৃ:), রহমাতুল্লিল ‘আলামীন (দিল্লী: ১ম সংস্করণ ১৯৮০ খৃঃ) ২/১৬, ৩৬৮ পৃঃ; ১/৪০, ২৫১ পৃঃ)]। মোটকথা জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব মতে, রাসূল (ﷺ)-এর সঠিক জন্মদিবস হয় ৯ই রবীউল আউয়াল সোমবার। অথচ ১২ রবীউল আউয়াল মৃত্যুর দিন বিদআতিরা জন্মবার্ষিকী বা ‘মীলাদুন্নবী’র অনুষ্ঠান করে থাকে। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক।

◾পরিশেষে রাসূল (ﷺ)-এর জন্ম সংশ্লিষ্ট সমাজে প্রচলিত কিছু দলিল বিহীন কথা:
_______________________________________
রাসূল (ﷺ)-এর জন্মের কাহিনীতে প্রসিদ্ধ আছে যে,

(১) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাৎনাকৃত ও নাড়ী কাটা অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হন।

(২) কেউ তার লজ্জাস্থান দেখেনি।

(৩) শৈশবে বক্ষবিদারণের দিন জিবরীল (আ.) তাঁর খাৎনা করেন।(সিলসিলা যঈফাহ, হা/৬২৭০)।

(৪) জান্নাত থেকে আসিয়া (রা.) ও মারইয়াম (রা.) নেমে এসে ধাত্রীর কাজ করেন।

(৫) আবু লাহাব মৃত্যুর পরে তার পরিবারের কোনো একজনকে স্বপ্ন দেখান। তাকে বলা হয়, আপনার অবস্থা কী? তিনি বলেন, আমি জাহান্নামে। তবে প্রতি সোমবার আমার আযাব হালকা করা হয় এবং আমার এই দুই আঙুল থেকে পানি চুষে পান করি। আর এটা এ কারণে যে, নবী (ﷺ)-এর জন্মের সুসংবাদ দানের ফলে আমি আমার দাসী ছুয়াইবাহকে মুক্ত করে দিই এবং সে নবী (ﷺ)-কে দুধ পান করায়। উল্লেখ্য, আবু লাহাব ২য় হিজরীতে সংঘটিত বদর যুদ্ধের সপ্তাহকাল পরে মারা যায়। আব্বাস তখন কাফের ছিলেন এবং ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের দিন মুসলিম হন।

(৬) রাসূল (ﷺ) প্রসবের সময় তার মা বলছেন যে, আমার লজ্জাস্থান দিয়ে ‘নূর’ অর্থাৎ জ্যোতি বিকশিত হয়, যা শামে প্রাসাদসমূহকে আলোকিত করেছিল, উম্মাহাতুল মুমিনীন যা স্বচক্ষে দেখেছিলেন। এটি ছিল ভবিষ্যতে শাম এলাকা ইসলামের আলোকে আলোকিত হওয়ার অগ্রিম সুসংবাদ।

(৭) পারস্যের কিসরা রাজপ্রাসাদ কেঁপে উঠেছিল এবং তার ১৪টি চূড়া ভেঙে পড়েছিল। আর এটি ছিল তাঁর ভবিষ্যৎ নবী হওয়ার অগ্রিম সুসংবাদ।

(৮) এ সময় মাজূসীদের পূজার আগুন নিভে গিয়েছিল।

(৯) ইরাকের সাওয়া হ্রদের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল এবং তার পার্শ্ববর্তী গির্জাসমূহ ধ্বসে পড়েছিল ইত্যাদি। (আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব নাজদী, মুখতাছার সীরাতুর রাসূল (ﷺ) (রিয়াদ: ১ম সংস্করণ ১৪১৪/১৯৯৪ খ্রি.), পৃ. ১৮-২০; মুবারকপুরী, আর-রাহীকুল মাখতূম, (কুয়েত : ২য় সংস্করণ ১৪১৬/১৯৯৬ খ্রি.), পৃ. ৫৪)।

(১০) ঐ সময় কা‘বাগৃহের ৩৬০টি মূর্তি ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়ে। বলা বাহুল্য,উপরে বর্ণিত সকল বর্ণনাই ভিত্তিহীন কল্পকথা মাত্র। (সীরাতুর রাসূল ﷺ রাজশাহী : হাদীস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ), পৃ. ৫৬-৫৭-এর টীকা দ্রষ্টব্য)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
___________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।