মহিলাদের আযান ইকামত দেওয়ার বিধান

প্রশ্ন: মহিলাদের আযান ইকামত দেওয়ার বিধান কি? কেউ বলে মহিলাদের আযান ইকামত নেই আবার কেউ বলে আছে বিশুদ্ধ মত কোনটি?
▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬
উত্তর: আহালুল আলেমগন এ বিষয়ে একমত যে,আযান ও ইকামত উভয় ইসলামী শরী‘আতের বিধান।কুরআন সুন্নার আলোকে এবং জমহুর আলেমগনের বিশুদ্ধ মতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমু‘আর সালাত আদায়ের জন্য আযান ও ইকামত দেওয়া পুরুষদের ওপর ফরযে কিফায়া, বাড়িতে বা সফরে, একাকী বা জমা‘আতের সাথে সালাত আদায়কারী, অথবা কাযা সালাত আদায়কারী, স্বাধীন বা গোলাম সবার জন্য।মহান আল্লাহ বলেন, আর যখন তোমরা সালাতের দিকে ডাক, তখন ‎তারা একে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ ‎করে। তা এই কারণে যে, তারা এমন কওম, যারা ‎বুঝে না।(সুরা আল-মায়েদাহ,৫/৫৮) অপর আয়াতে বলেন, হে মুমিনগণ, যখন জুমু‘আর দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও”(সূরা আল-জুমু‘আ,৬২/৯) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“যখন সালাতের সময় হয়, তখন তোমাদের একজন যেন আযান দেয় এবং তোমাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করে”(সহীহ বুখারী ই:ফা:৬০০) এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আযান ফরযে কিফায়া। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেন, “মুতাওতির হাদীসে রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জন্য আযান দেওয়া হতো, এটা উম্মতের ইজমা‘। (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ খন্ড: ২২ পৃষ্ঠা: ৬৪)।
.
অপরদিকে পুরুষদের জন্য এই বিধান বাধ্যতামূলক হলেও মহিলাদের জন্য আযান, ইকামত দেওয়া ওয়াজিব নয়, তারা (মহিলারা) নিজেরা জামাআতে সালাত আদায় করুক অথবা একাকী আদায় করুক। হাম্বালী মাযহাবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন কুদামাহ আল-মাক্বদিসী আল-হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬২০ হি.] বলেছেন,মহিলাদের জন্য আযান ইকামত দেওয়া ওয়াজিব নয়, আমরা জানি না এ বিষয়ে কারো দ্বিমত রয়েছে।(ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী, খন্ড: ২ পৃষ্ঠা: ৬৮) তাছাড়া চৌদ্দশত বছর ধরে মুসলমানদের মধ্যে এই রীতি চলে আসছে যে, পুরুষ ছাড়া আর কেউ আযান দেয়নি। আর প্রমাণ হিসেবে এটাই যথেষ্ট যে, নারীরা পুরুষদের জন্য আযান দেওয়ার অনুমতি নেই। আর এর বিরুদ্ধে যাওয়া মানে মুমিনদের পথের বিরুদ্ধে যাওয়া, অথচ মহান আল্লাহ বলেন, আর কারো নিকট সৎ পথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে আমরা ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করাব, আর তা কতই না মন্দ আবাস!(সূরা নিসা, ৪/১১৫) এ আয়াত থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা বের হয়।(১). আল্লাহর রাসূলের বিরোধিতাকারী জাহান্নামী।

(২). কোন ব্যাপারে হক তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত প্রকাশিত হওয়ার পর সেটার বিরোধিতা করাও জাহান্নামীদের কাজ।

(৩). এ উম্মতের ইজমা বা কোন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছার পর সেটার বিরোধিতা করা অবৈধ। কারণ, তারা পথভ্রষ্টতায় একমত হবে না। মুমিনদের মত ও পথের বিপরীতে চলার কোন সুযোগ নেই।
.
নাফি‘ (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলতেন যে, মুসলিমগণ যখন মদিনায় আগমন করেন,তখন তাঁরা সালাতের সময় অনুমান করে সমবেত হতেন। এর জন্য কোন ঘোষণা দেয়া হতো না। একদা তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। কয়েকজন সাহাবী বললেন, নাসারাদের ন্যায় নাকূস বাজানোর ব্যবস্থা করা হোক। আর কয়েকজন বললেন, ইয়াহূদীদের শিঙ্গার ন্যায় শিঙ্গা ফোঁকানোর ব্যবস্থা করা হোক। ‘উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বললেন, সালাতের ঘোষণা দেয়ার জন্য তোমরা কি একজন লোক পাঠাতে পার না? তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে বিলাল, উঠ এবং সালাতের জন্য ঘোষণা দাও। (সহীহ বুখারী হা/৬০৪ সহীহ মুসলিম ৪/১, হাঃ ৩৭৭, আহমাদ ৬৩৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৭৭) এই হাদীছটি ইঙ্গিত করে যে, সাহাবায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত ছিল যে, পুরুষ ব্যতীত অন্য কেউ নামাযের আযান দেবে না এবং নারীদের জন্যও তা করার কোন অবকাশ নেই, কারণ উমর (রাঃ) বললেন, সালাতের ঘোষণা দেয়ার জন্য তোমরা কি একজন লোক পাঠাতে পার না?
.
সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত যে, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সালাতে কারো কিছু ঘটলে সুবহানাল্লাহ্ বলবে। সুবহানাল্লাহ্ বললেই তার প্রতি দৃষ্টি দেয়া হবে। আর হাতে তালি দেয়া তো মহিলাদের জন্য(সহীহ বুখারী হা/৬৮৪ ২৬৯৩, ৭১৯০ মুসলিম ৪/২২, হাঃ ৪২১ আহমাদ ২২৮৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৫০) অপর বর্ননায় উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রাহিমাহুল্লাহ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তাসবীহ পূরুষদের জন্য আর হাতে তালি দেওয়া নারীদের জন্য।(সুনানে নাসাঈ ইফাঃ হা/১২১৩)।
.
উক্ত হাদীসের ব্যাখায় হাফিজ ইবনে হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন: এটা যেন নারীদেরকে তাসবিহ বলা থেকে নিষেধ করা হয়েছে কেননা তাদেরকে সলাতের মধ্যে তাদের আওয়াজকে নিচু করার আদেশ করা হয়েছে যাতে করে ফেতনার ভয় না থাকে।(ফাৎহুল বারী খণ্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ৬৩)।
.
ইমাম যখন ভুল করবে তখন কোন নারী তার কথার মাধ্যমে ইমামকে সতর্ক করবে না এটা নিষেধ করা হয়েছে সে শুধুমাত্র তালি দিবে কেননা এখানে পুরুষদের উপস্থিতিতে তাদের আওয়াজকে উঁচু করতে নিষেধ করা হয়েছে (সালাতের মধ্যে পুরুষের উপস্থিতি থাকার কারণে মহিলারা ইমামের ভুল সংশোধন কথার মাধ্যমে করতে পারবে না বরং হাতের তালি দিয়ে সংশোধন করবে) তাহলে কিভাবে নারীদেরকে আযান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে?(ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-৩৯১৮৬)
.
আলেমগণ সর্বসম্মতিক্রমে একমত যে, মহিলাদের জন্য আযান দেওয়া জায়েয নয় এবং এ বিষয়ে তাদের কিছু বক্তব্য হলো: হানাফি মাজহাবের কিতাব বাদাঈস সানাঈ গ্রন্থে বলা হয়েছে:”মহিলাদের জন্য হাদীসের ঐক্যমত অনুযায়ী আযান দেওয়া মাকরূহ।”বাদাঈস সানাঈ খন্ড: ১ পৃষ্ঠা: ৪১১) মালেকি মাজহাবের কিতাব মাওয়াহিব আল-জালীল গন্থে বলা হয়েছে নারীর আযান বৈধ নয়।(মাওয়াহিব আল-জালীল, খন্ড: ২ পৃষ্ঠা: ৮৭)ইমাম শাফিঈ “আল-উম্ম “গ্রন্থে বলেছেন: একজন মহিলার আযান দেওয়া উচিত নয় । যদি সে পুরুষদের আযান দেয় তবে তার আযান তাদের জন্য যথেষ্ট হবে না। (আল-উম্ম “খন্ড: ১ পৃষ্ঠা: ৮৪) হাম্বলী মাজহাবের কিতাব আল ইনসাফ গ্রন্থে বলা হয়েছে নারীর আযান শরীয়ত সম্মত নয়।(আল ইনসাফ,খন্ড: ১পৃষ্ঠা: ৩৯৫) আরো বিস্তারিত জানতে ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-৩৯১৮৬)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: একজন মহিলা যখন অন্য মহিলাদের নামাযের ইমামতি করছেন তখন তার ইকামাত দেওয়া কি শরীয়তে নির্ধারিত আছে?

তারা উত্তরে বলেন: মহিলাদের জন্য নামাযের জন্য ইকামাত দেওয়া ফরজ নয়, তারা এককভাবে নামায পড়ুক বা একজন মহিলা অন্যদের নামাযে ইমামতি করুক যেমন তাদের জন্য আযান দেওয়া ফরজ নয়।(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়িমাহ খন্ড: ৬ পৃষ্ঠা: ৮৪)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: একজন মহিলার জন্য কি নামাযের জন্য আযান ও ইকামাত করা জায়েজ আছে?

শাইখ জবাবে বলেছেন, মহিলাদের সালাতের জন্য আযান ও একমত কোনটাই শরিয়ত সম্মত নয়। এগুলো পুরুষদের কাজ। মহিলাদের জন্য আযান ও একামত কোনটাই শরিয়ত সম্মত নয়। বরং তারা আযান-একামত ছাড়াই সালাত আদায় করবে। তারা সালাতের সময়ের দিকে খেয়াল রাখবে।”(বিন বায মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ খন্ড: ১০ পৃষ্ঠা: ৩৫৬)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল: মহিলাদের জন্য আজান এবং ইকামত দেওয়া কি আবশ্যক? যদি আবশ্যক না হয় তাহলে কেন? অথচ মহিলারা পুরুষদের বোন (বিধানের ক্ষেত্রে সমমান)।

উত্তরে শাইখ বলেন: আজান এবং একামত দেওয়া মহিলাদের ওপর আবশ্যক নয়,কেননা আজান এবং ইকামতের মধ্যে উচ্চস্বরে আওয়াজ হয়। আর মহিলাদেরকে আদেশ করা হয়েছে তারা যেন পর্দার সহিত থাকে এবং তাদের আওয়াজকে গোপন করে। এমনকি নামাজের মধ্যে যদি ইমাম ভুল করেন তাহলে মহিলারা পুরুষদের মত মুখে আওয়াজ করবে না বরং হাত তালি দিবে।কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সালাতের মধ্যে তোমাদের কেউ যদি সংশয়ে পড়ে তাহলে পুরুষেরা যেন তাসবীহ পাঠ করে আর মহিলারা যেন হাতের তালির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। মহিলারা পুরুষদের বোন (বিধানের ক্ষেত্রে সমমান ) এর দ্বারা যারা উদ্দেশ্য নিয়েছে যে মহিলারা পুরুষদের সম্মান তারা কোরআন এবং হাদীসের বিরোধী করেছেন কেননা এই কথাটি অগ্রহণযোগ্য কথা। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা পুরুষ এবং মহিলাদের মাঝে সৃষ্টিগতভাবে, আচার-আচরণগতভাবে, জ্ঞানগত এবং ধার্মিকতার ক্ষেত্রে পার্থক্য করেছেন। আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ হে মহিলা সমাজ! তোমরা সা’দকা করতে থাক। কারন আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা আরয করলেনঃ কী কারনে, ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর না-শোকরী করে থাক। বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যাক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি। তাঁরা বললেনঃ আমাদের দ্বীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষের অর্ধেক নয়? তাঁরা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়য অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না? তাঁরা বললেন, ‘হাঁ’। তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের দ্বীনের ত্রুটি। (বুখারী ১৪৬২, মুসলিম ১৪৪) মহিলা এবং পুরুষদের মাঝে আওয়াজের পার্থক্য রয়েছে,শক্তি, মনোযোগ,জ্ঞান চিন্তা-ভাবনার মাঝে পার্থক্য রয়েছে। শরীয়তের বিধানের ক্ষেত্রেও পার্থক্য রয়েছে যেমন ছেলেদের আকিকার ক্ষেত্রে দুইটা ছাগল লাগে আর মেয়েদের জন্য একটি ছাগল লাগে, একজন পুরুষের দিয়াত এর চেয়ে মহিলার দিয়াত হলো অর্ধেক।‌ একজন পুরুষ গোলাম মুক্ত করার সমান হলো দুইজন মহিলা গোলাম মুক্ত করা। এগুলো হলো শরীয়তের বিধান এছাড়া যে কোনো বাহ্যিকভাবে দেখা যায় তা তো আমরা বুঝতে পারছি।(উসাইমীন,ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, টেপ নং-৩৭৪)
.
জেনে রাখা ভাল যে, মহিলাদের জন্য সালাতের আযান নাজায়েজ হলেও বাড়িতে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে যদি নন মাহারাম পুরুষ তার কন্ঠের আওয়াজ শুনার সম্ভাবনা না থাকলে তাহলে তারা ইকামাত দিয়ে সালাত আদায় করতে পারে যদিও এটি তাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এই মর্মে একদল আলেম মত প্রকাশ করেছেন।হাফসা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) যখন সালাত আদায় করতেন, তখন ইক্বামত দিতেন’।(মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/২৩৩৯)(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
____________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।