কুনুতে নাযেলা

প্রশ্ন: কুনুতে নাযেলা কী? মুসলিমদের বিপদাপদে কুনুতে নাযেলা হিসেবে এই দু’আটি পড়তে পারেন।
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: আরবি قُنُوْت কুনূত’ শব্দের অর্থ বিনম্র আনুগত্য। আরবি نَازِلَة নাযেলা শব্দের অর্থ:আকস্মিক দুর্ঘটনা, বিপদ-মুসিবত। পরিভাষায় কুনুতে নাজেলা হলো: মুসলমানদের উপর প্রাকৃতিক কিংবা কা-ফির-দের চাপিয়ে দেওয়া বিপদ-মুসিবত ও অত্যাচারের সময় আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর কাছে এই বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দু‘আ করা।
.
শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কুনূত দু’প্রকার। (১).কুনূতে রাতেবাহ ও (২).কুনূতে নাযেলাহ। প্রথমটি বিতর সালাতের শেষ রাকআতে রুকুর পূর্বে অথবা পরে পড়তে হয়। দ্বিতীয়টি মুসলিমদের উপর বিপদাপদ ও বিশেষ কোন যরূরী কারণে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় ফরয সালাতের শেষ রাক‘আতে পড়তে হয়।
.
❑ ইসলামী শরীয়তে কুনুতে নাজেলার প্রমাণ কী:
.
কুনুতে নাযেলা একটি প্রমাণিত আমল। সহীহ সূত্রে আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, একটি কাফের গোষ্ঠী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ৭০ জন (কুরআন হাফেজ) সাহাবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। অথচ তখন এদের সাথে মুসলিমদের সন্ধি ছিলো। এই ঘটনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভীষণ কষ্ট পান। তাই তিনি এদের বিরুদ্ধে এক মাস পর্যন্ত কুনুত (নাজেলা) পড়েছেন।(সহীহ বুখারী হা/ ৩১৭০ সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৭) শুধু এই ঘটনাই নয়, রাসূল (ﷺ) আরও বিভিন্ন সময়ে কুনুতে নাজেলা পড়েছেন।অতএব,মুসলিমদের বিপদ-মসীবতের সময় সালাতের মধ্যে কুনূত পড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত এবং শরীয়তে এটি একটি প্রমাণিত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটি প্রয়োজনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে পড়া যায়। এই মর্মে ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ বক্তব্য হ’ল, মুসলমানদের উপর শত্রু উপস্থিত হ’লে এবং দুর্ভিক্ষ, মহামারী, অনাবৃষ্টি, দুনিয়াবী ক্ষতি বা অনুরূপ যেকোন বিপদাপদের সময় পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যাবে (নববী শরহ নববী:খন্ড: ৫ পৃষ্ঠা: ১৭৬) শাইখুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
যেকোন বিপদে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা সুন্নাত, যা মুহাদ্দিছ ফক্বীহগণসহ খোলাফায়ে রাশেদীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত। (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া খন্ড: ২৩ পৃষ্ঠা: ১০৯-১১০)
.
❑ কুনুতে নাজেলার পদ্ধতি কী?
.
ফরজ নামাজের শেষ রাকাতে রুকু থেকে “সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর কুনুতে নাজেলা পড়তে হয়। কুনুত পড়া শেষ হলে দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় চলে যেতে হবে। এরপর নামাজের বাকি অংশ স্বাভাবিক নিয়মে সমাপ্ত করতে হবে। রাসূল ﷺ এমনটিই করতেন। দলিল হচ্ছে, ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো এক মাস যোহর, ‘আসর, মাগরিব, ‘ইশা ও ফজরের সালাতে শেষ রাক‘আতে ‘‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ বলার পর কুনূত পাঠ করেছেন। এ সময় তিনি বনু সুলাইমের কয়েকটি গোত্র, যেমন রি‘ল, যাকওয়ান ও উসাইয়্যার উপর বদদু‘আ করেছেন এবং তাঁর পিছনের মুক্তাদীরা আমীন আমীন বলেছেন।(মুসনাদে আহমেদ হা/২৭৪৬ আবু দাউদ হা /১৪৪৩ এছাড়া ইমাম ইবনে খুজাইমাহ সাবিত ইবনু যায়িদ হতে বর্ননা করেছেন সহীহ ইবনু খুযাইমাহ হা/ ৬১৮ হাদিসটি হাসান)
.
❑.কুনুতে নাজেলার নিদিষ্ট কোন দু‘আ আছে কী?
.
ইসলামি শরীয়তে কুনুতে নাজেলার জন্য নির্দিষ্টভাবে একক কোনো দু‘আ ফিক্সড করা হয়নি। বরং নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবিগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাক্যে কুনুতে নাজেলা পড়েছেন। তাই, যখন যে বিপদ থাকবে, তখন সেটির উপর দু‘আ হবে। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, যেহেতু কুনূতে নাযিলার জন্য কোন নির্ধারিত দু‘আ কুরআন ও সহীহ হাদীসে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়নি, রাসূল (ﷺ) প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দু‘আ করেছেন (সহীহ বুখারী, হা/৪০৭০; সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৯; আবূ দাঊদ, হা/১৪৪৩)। তাই কুনূতে নাযিলাতে পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোন বৈধ দু‘আ পাঠ করা যেতে পারে। তবে বিতর-এর কুনূতের জন্য নির্ধারিত দু‘আ কুনূতে নাযিলায় পাঠ করা যাবে না। কেননা সেটি তার জন্যই নির্ধারিত (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২২/২৭১ পৃ.; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৯/৪৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব,ফৎওয়া নং-৩৩৪১৫৮)।
.
❑.কুনুতে নাযেলা পড়ার সময় কোন কোন দু’আগুলো পড়া যায়?
.
আগেই উল্লেখ করেছি কুনুতে নাযেলার নিদিষ্ট কোন দু’আ বর্নিত হয়নি, এটি পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী পড়া হবে, তবে হাদীসে বর্নিত কুনুতে নাজেলার কয়েকটি দু‘আ রয়েছে, আজ আমরা প্রখ্যাত সাহাবী ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ২৩ হি.] থেকে প্রমানিত কুনুতে নাযেলা হিসেবে একটি দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। যা তিনি ফজরের সালাতে পাঠ করতেন এবং যা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে দৈনিক পাঁচবার সালাতে পাঠ করা যেতে পারে। যেমন-

اَللَّهُمَّ اغْفِرْلَنَا وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ، وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ ، وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ، اَللَّهُمَّ الْعَنِ الْكَفَرَةَ الَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُوْنَ أَوْلِيَاءَكَ، اَللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ وَزَلْزِِلْ أَقْدَامَهُمْ وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِيْ لاَ تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ-

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগফির লানা ওয়া লিল মু’মিনীনা ওয়াল মু‘মিনা-তি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমা-তি, ওয়া আল্লিফ বায়না কুলূবিহিম, ওয়া আছলিহ যা-তা বায়নিহিম, ওয়ানছুরহুম ‘আলা ‘আদুউবিকা ওয়া ‘আদুউবিহিম। আল্লা-হুম্মাল‘আনিল কাফারাতাল্লাযীনা ইয়াছুদ্দূনা ‘আন সাবীলিকা ওয়া ইয়ুকাযযিবূনা রুসুলাকা ওয়া ইয়ুক্বা-তিলূনা আউলিয়া-আকা। আল্লা-হুম্মা খা-লিফ বায়না কালিমাতিহিম ওয়া ঝালঝিল আক্বদা-মাহুম ওয়া আনঝিল বিহিম বা’সাকাল্লাযী লা তারুদ্দুহূ ‘আনিল ক্বাউমিল মুজরিমীন।
.
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এবং সকল মুমিন-মুসলিম নর-নারীকে ক্ষমা করুন। আপনি তাদের অন্তর সমূহে মহববত পয়দা করে দিন ও তাদের মধ্যকার বিবাদ মীমাংসা করে দিন। আপনি তাদেরকে আপনার ও তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! আপনি কাফেরদের উপরে লা‘নত করুন। যারা আপনার রাস্তা বন্ধ করে, আপনার প্রেরিত রাসূলগণকে অবিশ্বাস করে ও আপনার বন্ধুদের সাথে লড়াই করে। হে আল্লাহ! আপনি তাদের দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে দিন ও তাদের পদসমূহ টলিয়ে দিন এবং আপনি তাদের মধ্যে আপনার প্রতিশোধকে নামিয়ে দিন, যা পাপাচারী সম্প্রদায় থেকে আপনি ফিরিয়ে নেন না’।(মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক হা/৪৯৬৯; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ হা/৭০২৭; ইমাম বায়হাকী আস সুনানুল কুবরা, খন্ড; ২ পৃষ্ঠা; ২১০ হাদীসটি সহীহ)
.
এবার এভাবে আরবী এবং বাংলা উচ্চারণসহ সহজে মুখস্থ করুন:
.
اَللَّهُمَّ اغْفِرْلَنَا وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ،
(আল্লা-হুম্মাগফির লানা ওয়া লিল মু’মিনীনা ওয়াল মু‘মিনা-তি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমা-তি)

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এবং সকল মুমিন-মুসলিম নর-নারীকে ক্ষমা করুন।
.
وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ ،
(ওয়া আল্লিফ বায়না কুলূবিহিম, ওয়া আছলিহ যা-তা বায়নিহিম)

অর্থ: আপনি তাদের অন্তর সমূহে মহববত পয়দা করে দিন ও তাদের মধ্যকার বিবাদ মীমাংসা করে দিন।
.
وَانْصُرْهُمْ عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ،
(ওয়া আসলিহ যা-তা বায়নিহিম, ওয়ানছুরহুম ‘আলা ‘আদুউবিকা ওয়া ‘আদুউবিহিম)

অর্থ: আপনি তাদেরকে আপনার ও তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন।
.
اَللَّهُمَّ الْعَنِ الْكَفَرَةَ
(আল্লা-হুম্মাল‘আনিল কাফারাতা)

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি কাফেরদের উপরে লা‘নত করুন।
.
الَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُوْنَ أَوْلِيَاءَكَ،
(আল্লাযীনা ইয়াছুদ্দূনা ‘আন সাবীলিকা ওয়া ইয়ুকাযযিবূনা রুসুলাকা ওয়া ইয়ুক্বা-তিলূনা আউলিয়া-আকা)

অর্থ: যারা আপনার রাস্তা বন্ধ করে, আপনার প্রেরিত রাসূলগণকে অবিশ্বাস করে ও আপনার বন্ধুদের সাথে লড়াই করে।
.
، اَللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ وَزَلْزِِلْ أَقْدَامَهُمْ وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ
(আল্লা-হুম্মা খা-লিফ বায়না কালিমাতিহিম ওয়া ঝালঝিল আক্বদা-মাহুম ওয়া আনঝিল বিহিম বা’সাকা)

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি তাদের দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে দিন ও তাদের পদসমূহ টলিয়ে দিন এবং আপনি তাদের মধ্যে আপনার প্রতিশোধকে নামিয়ে দিন,
.
الَّذِيْ لاَ تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ-
(আল্লাযী লা তারুদ্দুহূ ‘আনিল ক্বাউমিল মুজরিমীন)

অর্থ: যা পাপাচারী সম্প্রদায় থেকে আপনি ফিরিয়ে নেন না’।
.
প্রিয় পাঠক! কুনুতে নাযেলা হিসেবে পড়ার মত আরো বহু দু’আ রয়েছে, যা পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী পড়বেন। কুনুতে নাযেলা দু’আগুলো পড়ার নিয়ম হচ্ছে,জামাআতে নামাজে পড়লে ইমাম ফরজ নামাজের শেষ রাকাতে রুকুর পর “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলার পর পড়বেন কুনূত শব্দে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত শব্দগুলি যোগ করার ক্ষেত্রে কোন দোষ নেই যা পরিস্থিতির সাথে উপযুক্ত হতে পারে, কারণ এটি দু’আ (দোয়া) এবং দু’আ’র সমস্যা। দু’আ’র বিষয়টির পরিধি বিস্তৃত এবং এর সাথে যোগ করা ইসলামে অনুমোদিত। উমর (রা) থেকে বর্ণিত দু’আ সম্পর্কে বলা হয়েছে: … এবং তিনি মুসলমানদের জন্য যা কিছু কল্যাণ করতে পারেন তার জন্য প্রার্থনা করতেন, তারপর তিনি মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।(বিস্তারিত জানতে দেখুন ইমাম উসাইমীন আস শারহুল মুমতি: খন্ড: ৪ পৃষ্ঠা: ৫২) কুনূতে নাযিলাহ ও কুনূতে বিতর পড়ার সময় ইমামের পিছনে মুক্তাদীগণ আমীন আমীন বলতে পারবেন।(আবু দাঊদ হা/১৪৪৩, সনদ হাসান; আরো বিস্তারিত আল-মাজমূঊ, ৩/৪৯৩-৫০২;উসাইমীন মাজমূঊ ফাতাওয়া খন্ড: ১৩ পৃষ্ঠা: ১৩৯; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৭/৪৮; বিন বায মাজমূঊ ফাতাওয়া খন্ড: ১২ পৃষ্ঠা: ৩৩৯; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১৮০২৩)।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________
আপনাদের দ্বীনি ভাই
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।