একজন মহিলা হোটেল থেকে মসজিদে হারামে গিয়ে মাহরাম ছাড়া জামারাতে পাথর মারা এবং মসজিদে হারামে তাওয়াফ করতে পারবে কি

একজন মহিলার জন্য, যদি তিনি মক্কায় থাকেন, তাহলে তার জন্য মাহরাম ছাড়া হোটেল থেকে মসজিদে হারামে হেঁটে যাওয়া এবং অনুরূপভাবে তাওয়াফ করা ও জামারাতে পাথর মারা জায়েয রয়েছে। তিনি মাহরাম ছাড়া একাকী যেমন সেখানে যেতে পারেন; তেমনি মহিলাদের একটি দলের সাথেও যেতে পারেন। কারণ নিদিষ্ট দূরত্বে সফরের জন্য শুধুমাত্র একজন মাহরাম থাকা আবশ্যক; শহরের অভ্যন্তরে মাহরাম থাকা জরুরী নয়।তবে একজন মহিলা বাইরে পর্দার বিধি বিধান মেনে নিরাপদে যাবেন এবং সাজসজ্জা বা মেক-আপ করে বাইরে যাবেন না। যদি একজন মহিলা এক শহরে থাকেন এবং ট্যাক্সিতে কোথাও যেতে চান, তবে শর্ত রয়েছে যে- তিনি গাড়ি চালকের সাথে একা থাকবেন না; যদি তার সাথে একজন ধার্মিক মহিলা থাকে তাহলে যেতে পারেন। কেননা তখন তিনি তার সাথে একা নয়।(ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৪৫৬০১)
.
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.]-বলেন: শহরের অভ্যন্তরে খুলওয়াহ
(বিপরীত লিঙ্গের সদস্যের সাথে একা থাকা) অর্থাৎ একজন মহিলার জন্য গাড়িতে ড্রাইভারের সাথে একা থাকা জায়েজ নয়, এমনকি অল্প দূরত্বের জন্য হলেও। কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; “কোন পুরুষের জন্য মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলার সাথে একা থাকা জায়েজ নয়।” কিন্তু যদি তার সাথে অন্য একজন মহিলা থাকে এবং চালক বিশ্বস্ত হয়, তাহলে কোন সমস্যা নেই এবং তার ও অন্য মহিলার গাড়িতে যাতায়াত করাতে কোন দোষ নেই, যতক্ষণ না তাদের সফরকে “ভ্রমণ” হিসাবে গণ্য করা হয়। এমতাবস্থায় আমরা বলতে পারি যে- উপস্থিত অন্য মহিলার কারণে কোন খুলওয়াহ অর্থাৎ নির্জনতা নেই। কিন্তু আমরা এটা বলতে পারি না যে, যে মহিলা তার সাথে যায় তাকে মাহরাম বলে গণ্য করা হয়; বরং আমরা বলি যে- শহরের অভ্যন্তরে পুরুষের একাকী একজন মহিলার সাথে থাকা হারাম।সফরের বিপরীতে, সেক্ষেত্রে একজন মহিলার জন্য মাহরাম ছাড়া একা সফর করা হারাম। এই দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট। (উসাইমীন,মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খন্ড:২১ পৃষ্ঠা:১৯১) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।