আজকের যিকিরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফজিলত রয়েছে, তাই দেরি না করে অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই যিকিরটি মুখস্থ করে ফেলুন।
▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: আজকের দু’আটি অতি সহজ চাইলে সবাই মুখস্ত করতে পারি।কেননা এই দু’আটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে।
(১).দু‘আ পড়ে কোন প্রার্থনা করলে আল্লাহ তার আবেদন মঞ্জুর করেন এবং
(২).ব্যক্তি যদি রাতে ওযূ করে (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায় করে,আল্লাহ তার সে সালাত কবুল করেন। হাদীসটি বর্ননা করেছেন রাসূল ﷺ সাহাবী ওবাদা বিন সামিত (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যদি কারো রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায় এরপর সে নিন্মের যিকরের বাক্যগুলো পাঠ করে এবং এরপর সে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায় অথবা কোনো প্রকার দু’আ করে বা কিছু চায় তাহলে তার দু’আ কবুল করা হবে। আর যদি সে এরপর উঠে ওযূ করে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত কবুল করা হবে।”দু’আটির মূল আরবি হচ্ছে,
.
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ وَسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى.
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর, ওয়া সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ আল্লাহুম্মাগ ফিরলী।(আরবির সঠিক উচ্চারণ বাংলায় লেখা কোনোভাবেই শতভাগ সম্ভব নয়; তাই আরবি টেক্সট মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন, পাশাপাশি আরবির সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়ুন, না হয় ভুল শিখতে হবে)।
.
অর্থ: ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই, তিনি সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান, আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা‘বূদ নেই, আল্লাহ অতি মহান, আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত আমার কোন শক্তি ও সামর্থ্য নেই’।”হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও। (সহীহ বুখারী, হা/১১৫৪, আবু দাউদ হা/ ৫০৬০ ইবনু মাজাহ হা/ ৩৮৭৮ তিরমিজি, হা/৩৪১৪)
.
এবার এভাবে আরবী এবং বাংলা উচ্চারণসহ সহজে মুখস্থ করুন:
.
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
(লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু) অর্থ: আল্লাহ ছাড়া হক কোন ইলাহ নেই।
.
وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ
(ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহু) অর্থ: তিনি একক,তার কোন অংশীদার/শরিকদার নেই), .
.
لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
(লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু) অর্থ: রাজত্ব তাঁরই, এবং প্রশংসা তাঁরই,
.
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
(ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর) অর্থ: তিনি সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান,
.
وَسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ
(ওয়া সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি) অর্থ: আর আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর,
.
وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ
(ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ-হু ওয়াল্লা-হু আকবার) অর্থ: আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত হক কোন ইলাহ নেই, এবং আল্লাহ আ’আলা সুমহান।
.
وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ
(ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ) অর্থ: আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত (ভাল মন্দ করার জন্য) আমার কোন শক্তি ও সামর্থ্য নেই।
.
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى.
(আল্লাহুম্মাগ ফিরলী) অর্থ:”হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দিন।”
.
প্রিয় পাঠক! অতি ছোট্ট এবং সহজ একটি দু’আ,অথচ এই সহজ দু’আটির বিরাট ফজিলত রয়েছে। আমরা যদি রাতে দিন যখনই ঘুম থেকে জেগে উঠি তারপর আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দু‘আটি পড়ি,আশা করা যায় আল্লাহ্ আমাদেরকে উক্ত ফজিলত দান করবেন ইনশাআল্লাহ্। তাই আমার পাঠকদের কে বলবো, আপনারা উপরোক্ত বাক্যগুলোর অর্থ খেয়াল করে, আমলটি করতে পারেন।তবে শুধু ঘুম থেকে জেগে উঠার সাথেই খাস নয় চাইলে মাঝে মধ্যে এই দু’আটি নামাজের সিজদায়,শেষ বৈঠকে কিংবা নামাজের বাহিরেও পড়তে পারেন, নামাজের সিজদায় পড়ার নিয়ম হলো: প্রথমে সিজদার তাসবিহ “সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা”। ৩/৫/৭ বার পড়ে নেবেন, এরপর এই দু‘আটি পড়বেন দু’আ পড়ার সময় অন্তরে আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখবেন।আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ সবার ইলমে আমলে বারাকাহ দান করুন। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________
আপনাদের দ্বীনি ভাই:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।