অযূর সময় মাথার কতটুকু অংশ মাসাহ করতে হবে এবং কিভাবে মাসাহ করতে হবে

প্রশ্ন: অযূর সময় মাথার কতটুকু অংশ মাসাহ করতে হবে এবং কিভাবে মাসাহ করতে হবে? এই পোস্টে মাথা মাসাহ সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। ▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬ উত্তর: মুসলিমগণ সর্বসম্মতভাবে একমত যে, ওযু করার সময় নারী পুরুষ উভয়ের জন্য মাথা মাসেহ করা ফরজ/ওয়াজিব, এটি নিয়ে কারো মধ্যে মতানৈক্য নেই। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন: یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ …

Read more

Share:

লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে কি ওযু বাতিল হয়ে যায় এবং কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করা আর সরাসরি স্পর্শ করার হুকুম কি সমান

লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে ওযু ভঙ্গ হবে কিনা এ বিষয়ে আহালুল আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। আহালুল আলেমগনের সমস্ত মতামতগুলো একসাথে করলে এ বিষয়ে চারটি মতামত পাওয়া যায়। যেমন: (১). যদি কোন ব্যক্তি স্বহস্তে সরাসরি তার লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তাহলে তার ওযু ভঙ্গ হবে। এখানে স্পর্শ দ্বারা উদ্দেশ্য হাতের তালুর উপর বা নিম্নভাগ দ্বারা কোন প্রকার আবরণ …

Read more

Share:

বমি করলে কি অযু ভঙ্গ হবে এবং এই বিষয়ে ইসলাম কি বলে

বমি করলে অযু ভঙ্গ হবে কিনা এটি নিয়ে আহালুল আলেমগনের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ এবং ইমাম আহমেদ রাহিমাহুল্লাহ এর একটি মতে বমি করলে অযু ভঙ্গ হবে। তবে ইমাম আহমাদ এক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছেন যে অত্যধিক বমি করলে অযু ভঙ্গ হবে কিন্তু অত্যধিক না হলে নয়, অপরদিকে ইমাম শাফেঈ ইমাম মালেক ও ইমাম আহমাদ …

Read more

Share:

সূর্যের তাপে গরম হওয়া পানি দিয়ে ওযু-গোসল করার হুকুম

ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যের তাপে হোক আর স্বাভাবিক গরম পানি হোক সব ধরনের পবিত্র পানি দিয়ে অযু করতে কোন আপত্তি নেই। কারণ সূর্যের তাপে গরম হওয়া পানি দিয়ে অযু গোসল করা নিষেধ মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন সহীহ দলীল নেই, যা আছে সবই জাল-যয়ীফ। . গরম পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের হুকুম সম্পর্কে …

Read more

Share:

স্ত্রীর হায়েজ-নিফাস অবস্থায় সহবাস করার বিধান

প্রথম কথা হল, হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, “আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েজ সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না; যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের …

Read more

Share:

ওযু ও গোসলের পূর্বে শরীর থেকে যে সব বস্তু তুলে ফেলা আবশ্যক আর যে সব বস্তু তুলে ফেলা আবশ্যক নয়

নারী-পুরুষ সকলের জানা জরুরি! ওযু ও গোসলের পূর্বে শরীর থেকে যে সব বস্তু তুলে ফেলা আবশ্যক আর যে সব বস্তু তুলে ফেলা আবশ্যক নয় ▬▬▬▬◢✪◣▬▬▬▬ ওযুর ক্ষেত্রে ওযুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক। অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না। বিশেষ করে ওযুর কোনও অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার …

Read more

Share:

গোসল সংক্রান্ত যে সকল বিষয় প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জানা জরুরি

🚿 গোসল ফরয (আবশ্যক) হওয়ার কারণ সমূহ: নিম্ন লিখিত কারণগুলোর যে কোন একটির মাধ্যমে গোসল ফরয (আবশ্যক) হয়: ১) স্বপ্নদোষ বা অন্য কোন কারণে (ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায়-পুরুষ বা মহিলার) বীর্যপাত হওয়া। (বুখারী ও মুসলিম) ২) পুরুষ ও মহিলার লজ্জাস্থান পরস্পর মিলিত হলেই উভয়ের উপর গোসল ফরজ হয়- বীর্যপাত হোক বা না হোক। (আহমাদ, মুসলিম) ৩) …

Read more

Share:

ওযু (পবিত্রতা)র ফযিলত, পদ্ধতি ও ভুল-ত্রুটি

সুপ্রিয় দীনি ভাই! বিশ্ব প্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সৃষ্টি করে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন কেবল একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। আর তা হচ্ছে তাঁর দাসত্ব বা গোলামী করা। এ দাসত্ব অনেক ভাবেই হয়ে থাকে। যেমন, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, দান-সাদকা, কুরবানি আশা-ভরসা, প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি। এ গুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হল নামায। নামায পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জন …

Read more

Share:

অসুস্থ ব্যক্তির পবিত্রতা ও সালাতের পদ্ধতি (চিত্র সহ)

অসুস্থ ব্যক্তির পবিত্রতা ও সালাতের পদ্ধতি (চিত্র সহ) মূল লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল ঊছাইমীন (রহঃ) অনুবাদক: আবদুল্লাহ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল সম্পাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল পবিত্রতা: অসুস্থ মানুষের উপর আবশ্যক হল ছোট নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি দ্বারা ওযু করা এবং বড় নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি দ্বারা …

Read more

Share:

ঋতুবতি মহিলাগণ কিভাবে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করবে

মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব কদর রাত পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়। তাই ঋতুবতি মহিলাগণ এ রাতে নামায, কুরআন তিলাওয়াত ও কাবা শরীফের ত্বওয়াফ ছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার ইবাদত করতে পারে। যেমন: বেশি বেশি দরুদে ইব্রাহীম পাঠ করা, তাসবীহ, যিকর-আযকার, যেমন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্ হামদু ল্লিল্লাহ” “সুবহানাল্লাহ”, “আল্লাহুআকবার” “আস্তাগফিরুল্লাহ”, “লা হাওলা ওয়ালা কুউআতা ইল্লা বিল্লাহ”। দুআ-মুনাজাত, বিশেষ …

Read more

Share: