কোন কোন ক্ষেত্রে দফ বাজানো জায়েজ

প্রশ্ন: শরীয়তের দৃষ্টিতে সবধরনের বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল গান-বাজনা হারাম। কিন্তু কিছু হাদীস প্রমান করে দফ বাজানো জায়েজ। প্রশ্ন হল কোন কোন ক্ষেত্রে দফ বাজানো জায়েজ?
▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: প্রথমত: স্বাভাবিক ভাবে সবধরনের বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল গান-বাজনা ইসলামে হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহর পথ হতে (মানুষকে) বিচ্যুত করার জন্য গান ক্রয় করে এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে; তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি (সূরা লোকমান,৩১/৬)।উক্ত আয়াতের তাফসিরে প্রখ্যাত সাহাবী ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৩২ হি.] বলেছেন,এখানে ‘বাজে কথা’ অর্থ গান-বাজনা (ইবনু কাসীর সূরা লোকমানের ৬ নং আয়াতের তাফসির)। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মদ, জুয়া ও সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন’(আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বীহা/২১৫১৯ আবূ দাঊদ ৩৬৯৬, সহীহ ইবনু হিব্বান হা/ ৫৩৬৫ মিশকাত হা/৪৫০৩)
.
আবু মালেক আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে, যারা যেনা-ব্যভিচার, রেশমী কাপড় ব্যবহার, মদ্যপান ও গান-বাজনাকে হালাল মনে করবে। রাতের অন্ধকারেই আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিবেন এবং তাদের উপর পর্বতকে ধ্বসিয়ে দিবেন ও তাদের কারু কারু আকৃতি বানর-শূকরে পরিবর্তিত করে দিবেন, যা ক্বিয়ামতের দিন পর্যন্ত থাকবে’ (বুখারী হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)। বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ কোন কোন পাপীকে দুনিয়াতে বাস্তব শাস্তি দিবেন এবং তাদের আকৃতি পরিবর্তন করে দিবেন। সাথে সাথে ঐ পশুর মত তাদের জ্ঞানের পরিবর্তন ঘটাবেন। ইবনুল আরাবী বলেন, হতে পারে তাদের আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যাবে, যেমন পূর্ববর্তী উম্মতের হয়েছিল। অথবা হতে পারে তাদের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটবে (পশুর ন্যায়)। আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন আমি বলি যে, দু’টিই হতে পারে, হাদীসের বক্তব্যে যা দ্রুত বুঝা যায়’ (সিলসিলা সহীহাহ হা/৯১-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অপর বর্ননায় যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুফাসসিরকুল শিরোমণি, উম্মাহ’র শ্রেষ্ঠ ইলমী ব্যক্তিত্ব, সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) [মৃত: ৬৮ হি.] বলেছেন; দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম। (সুনানে সুগরা লিল বায়হাকী, হা/৩৩৫৯, সুনানে কুরবা লিল বায়হাকী হা/২১০০০)। উপরোক্ত হাদীসগুলো বাদ্যযন্ত্র হারাম হওয়া নির্দেশ করে। হাদীসের ভাবার্থ হচ্ছে কিছু সম্প্রদায় উল্লেখিত হারাম সামগ্রীকে কিছু বানোয়াট মনগড়া দলীলের ভিত্তিতে বৈধ মনে করবে। যেমন তাদের কোন কোন আলিম বলবে; রেশমী কাপড় যদি শরীরের সাথে লেগে থাকে তাহলে হারাম হবে। কিন্তু যদি কাপড়ের উপর দিয়ে পরিধান করে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। এটা রাসূল (ﷺ)-এর হাদীসের স্পষ্ট বিরোধী। তিনি (ﷺ) বলেছেন, (مَنْ لَبِسَ الْحَرِيرَفِي الدُّنْيَا،لَمْا يَلْبَسْهُ فِي الْاٰخِرَةِ) “যারা দুনিয়াতে রেশমী কাপড় পরিধান করবে তারা পরকালে তা পরিধান করতে পরবে না।”(ফাতহুল বারী ১০/৫৫৯০, আওনুল মা’বুদ ৭/৪০৩৫)
.
তবে এমন কিছু হাদীস রয়েছে যা নির্দেশ করে যে কিছু পরিস্থিতিতে নারীদের জন্য দাফ বাজানো জায়েয। বিশেষ করে বিবাহ প্রচার করার উদ্দেশ্যে দফ বাজানো যাবে। এছাড়াও ঈদ এবং অনুপস্থিতদের আগমনে ছোট্ট মেয়ে শিশুরা দফ বাজাতে পারে মর্মে দলিল রয়েছে যেমন:
.
(১). আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (বিদায় হাজ্জে) মিনায় অবস্থানকালে আবু বাকর তাঁর নিকট গেলেন। সে সময় আনসারদের দু’জন বালিকা সেখানে গান গাচ্ছিল ও দফ্ বাজাচ্ছিল। অন্য বর্ণনায় আছে, তারা বু‘আস যুদ্ধে আনসার গোত্রের লোকেরা যে সব গান গেয়ে গর্ব করেছিল সে সব গান আবৃত্তি করছিল। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর মুড়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন। এ অবস্থা দেখে আবু বাকর বালিকা দু’টিকে ধমক দিলেন। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাপড় হতে মুখ খুলে বললেন, হে আবু বাকর! ওদেরকে ছেড়ে দাও। এটা ঈদের দিন। অন্য বর্ণনায় আছে, হে আবু বাকর! প্রত্যেক জাতির একটা ঈদের দিন আছে। আর এটা হল আমাদের ঈদের দিন। (সহীহ বুখারী ৯৮৭, ৩৫২৯, মুসলিম ৮৯২, নাসায়ী ১৫৯৩, ইবনু হিব্বান ৫৮৭৬)
.
(২). রুবাই বিন্‌ত মুআব্বিয ইব্‌নু আফরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বাসর রাতের পরের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এলেন এবং আমার বিছানার ওপর বসলেন, যেমন বর্তমানে তুমি আমার কাছে বসে আছ। সে সময় আমাদের ছোট মেয়েরা দফ বাজাচ্ছিল এবং বদরের যুদ্ধে শাহাদাত প্রাপ্ত আমার বাপ-চাচাদের শোকগাঁথা গাচ্ছিল। তাদের একজন বলে বসল, আমাদের মধ্যে এক নবী আছেন, যিনি আগামী দিনের কথা জানেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন; এ কথা বাদ দাও, আগে যা বলছিলে, তাই বল। (সহীহ বুখারী হা/৫১৪৭, আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭০) অপর বর্ননায় মুহাম্মদ বিন হাতেব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হালাল ও হারামের মাঝে ব্যবধান হচ্ছে- “বিয়েতে দফ বাজানো ও চেঁচামেচি করা” (তিরমিযী, হাদীস নং ১০৮৮; নাসাঈ, হাদীস নং ৩৩৬৯; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৮৯৬; আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ আখ্যায়িত করেছেন)। ইমাম শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন; “হাদীসটি প্রমাণ করে যে, বিয়ের অনুষ্ঠানে দফ বাজানো ও কবিতা ইত্যাদি আবৃতি করা বৈধ, যেমন أتيناكم أتيناكم জাতীয় কবিতা, তবে প্রবৃত্তকে উসকে দেয় এমন গান নিষিদ্ধ, যেখানে সৌন্দর্যের বর্ণনা, অশ্লীলতার প্রকাশ ও মদের প্রতি আসক্তি রয়েছে। যা বিবাহ এবং বিবাহের বাইরে সর্বদাই হারাম, অনুরূপ অন্যান্য হারাম গান-বাদ্যও হারাম।(নাইলুল আওতার’: ৬/২০০)
.
(৩). বুরাইদাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক যুদ্ধাভিযানে যান। তিনি ফিরে এলে এক কৃষ্ণবর্ণা মেয়ে এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল! আমি মানত করেছিলাম যে, আপনাকে আল্লাহ তা’আলা হিফাযাতে (সুস্থাবস্থায়) ফিরিয়ে আনলে আপনার সম্মুখে আমি দফ বাজাব এবং গান করব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন; তুমি সত্যিই যদি মানত করে থাক তবে দফ বাজাও, তা না হলে বাজিও না। সে দফ (এক মুখ খোলা ঢোল) বাজাতে লাগল। এই অবস্থায় সেখানে আবু বাক্‌র (রাঃ) এলেন এবং সে দফ বাজাতে থাকে, তারপর আলী (রাঃ) এলেন এবং সে ওটা বাজাতে থাকে। তারপর উসমান (রাঃ) এলেন, সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। তারপর উমার (রাঃ) এসে প্রবেশ করলে সে দফটি তার নিতম্বের নীচে রেখে তার উপর অবস্থান করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন; হে উমার! তোমাকে দেখলে শাইতানও ভয় পায়। আমি উপবিষ্ট ছিলাম আর ঐ মেয়েটি দফ বাজাচ্ছিল। পরে আবু বাক্‌র এসে প্রবেশ করলে সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। এরপর আলী প্রবেশ করলে সে সময়ও সে তা বাজাতে থাকে। এরপর উসমান এসে প্রবেশ করলে তখনও সে তা বাজাতে থাকে। অবশেষে তুমি এসে যখন প্রবেশ করলে, হে উমার! সে সময় সে দফটি ফেলে দিল। (জামে’ আত-তিরমিজি হা/৩৬৯০, নাক্বদুল কিত্তানী, ৪৭-৪৮, সিলসিলা সহিহাহ হা/২২৬১)
.
উপরোক্ত হাদীসগুলো নির্দেশ করে যে এই তিনটি অবস্থায় দফ প্রহার করা জায়েয। (একমুখ খোলা অপর প্রান্তে চামড়া লাগানো তবলাকে দফ বলা হয়) তাছাড়া, নীতিটি রয়ে গেছে যে এটি হারাম। কোনো কোনো আলেম বিষয়টিকে আরও বিস্তৃত করে বলেন যে, শিশুর জন্মের সময় এবং খৎনা করানো হলে দাফ বাজানো বৈধ; অন্যরা বিষয়টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায় এবং বলে যে এটি এমন সমস্ত অনুষ্ঠানে জায়েজ যা আনন্দ প্রকাশের কারণ, যেমন একজন অসুস্থ ব্যক্তির পুনরুদ্ধারের মতো। (আল-মাওসুআহ আল-ফিকহিয়্যাহ, ৩৮/১৬৯)
.
দ্বিতীয়ত: সঠিক মত হল; নারী ব্যতীত পুরুষদের জন্য দাফ বাজানো জায়েয নয়। যদি কোন পুরুষ তা করে তবে সে নারীদের অনুকরণ করছে, যা একটি বড় পাপ। শাইখুল-ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭২৮ হি.] বলেছেন; সাধারণভাবে, এটি ইসলাম ধর্মের একটি সুপরিচিত নীতি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই উম্মাহর ধার্মিক পুরুষ, একনিষ্ঠ আবেদ এবং সন্ন্যাসীদেরকে কবিতার আয়াত শোনার জন্য সমবেত হওয়ার নির্দেশ দেননি। কারো জন্য ইসলামের সীমার বাইরে গিয়ে কুরআন ও সুন্নাহতে বর্ণিত বিষয় ব্যতীত অন্য কিছু অনুসরণ করা জায়েয নয়। সেটা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হোক বা বাহ্যিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হোক না কেন, সাধারণ মানুষ বা অভিজাতদের জন্যই হোক না কেন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিবাহ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে কিছু ধরণের বিনোদনের ক্ষেত্রে মহিলাদেরকে ছাড় দিয়েছেন। কিন্তু তার যুগের পুরুষরা কেউই দফ মারতেন না বা হাত তালি দিতেন না। বরং আল-সহীহ গ্রন্থে প্রমাণিত যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন;(সলাতে ইমাম ভুল করলে) তালি দেওয়া নারীদের জন্য এবং তাসবীহ পুরুষদের জন্য। সুতরাং যে সকল নারীরা পুরুষদের অনুকরণ করে এবং যেসকল পুরুষরা নারীদের অনুকরণ করে তারা অভিশপ্ত। যেহেতু গান গাওয়া, দফ পেটানো এবং হাত তালি দেওয়া মহিলাদের কাজ। তাই সালাফরা সেই ব্যক্তিকে মুখান্নাস (মেয়েলী,বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ভাষায় এমন ব্যক্তিকে “মায়ারী” বলে) বলতেন এবং পুরুষ গায়কদেরকে মাখানীস বলতেন। যা তাদের ভাষায় সুপরিচিত ছিল। (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ,খন্ড: ১১ পৃষ্ঠা: ৫৬৫-৫৬৬)
.
ইবনে হাজার (রাহিমাহুল্লাহ) তার ফাতহুল বারী গ্রন্থে বলেন; “মজবুত (কাওয়ি) হাদিসগুলোতে দফ বাজানোর যে অনুমতি এসেছে সেটা নারীদের জন্য খাস। এ অনুমোদনের মধ্যে পুরুষেরা অন্তর্ভুক্ত হবে না। যেহেতু সাধারণভাবে পুরষদেরকে নারীদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। (ফাতহুল বারী, ৯/২২৬; ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১২৯৬৩৫)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন; শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য দফ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পুরুষদের জন্য এটি ব্যবহার করা বৈধ নয়, না বিয়েতে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে। আল্লাহ তাআলা পুরুষদের জন্য তীর নিক্ষেপ করা, ঘোড়ায় চড়া, তার দ্বারা প্রতিযোগিতা করা ইত্যাদি অনুমতি দিয়েছেন। বিবাহের ক্ষেত্রে এমন গানের সাথে দফ বাজানো যাবেনা যেখানে মহিলাদের জন্য রাতের একটি সময়ে কোনও নিষিদ্ধ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো বা নিষিদ্ধ ব্যক্তির প্রশংসা করা রয়েছে। শুধুমাত্র বিয়ে প্রচার করার উদ্দেশ্যে দফ বাজানো যাবে। (মাজাল্লাত আল-জামিআহ আল-ইসলামিয়াহ, আল-মাদিনাহ আল-মুনাওয়ারাহ-এ ইসলামী,বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন, তৃতীয় সংস্করণ, ২য় বছর, মুহাররম,১৩৯০ হিজরি, পৃষ্ঠা: ১৮৫-১৮৬ বিস্তারিত জানতে দেখুন ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-২০৪০৬)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
______________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।