সাধারণ মানুষ কিভাবে আওয়াল ওয়াক্ত নির্ধারণ করবে এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সঠিক সময়

প্রশ্ন: সমাজের সাধারণ মানুষ কিভাবে আওয়াল ওয়াক্ত নির্ধারণ করবে? কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সঠিক সময় কখন?
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল (ﷺ) এবং সাহাবায়ে কেরাম সর্বদা নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করতেন। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ একই সালাত বিভিন্ন সময়ে আদায় করে থাকে। একই স্থানে একই সালাতের আযান পৃথক পৃথক সময়ে হয়। কখনো এক ঘণ্টা আবার কখনো আধা ঘণ্টা আগে-পরে। কোন স্থানে একাধিক মসজিদ থাকলেও আযান ও জামা‘আত এক সঙ্গে হয় না; বরং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে মানুষও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে। রাসূল (ﷺ) জামা‘আতে সালাত আদায় করার যে গুরুত্বারোপ করেছেন,তা একেবারে ভঙ্গ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে যঈফ ও জাল হাদীস এবং কুরআন-সুন্নাহর ভুল অর্থ ও অপব্যাখ্যা। উল্লেখ্য যে, অনেক মসজিদে ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই আযান দেয়া হয়। এটা অতিরিক্ত পরহেযগারিতা ও বাড়াবাড়ি। উক্ত অভ্যাস বর্জন করতে হবে। প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্ত আরম্ভ হলেই আউওয়াল ওয়াক্ত শুরু হয়,যা মোট সময়ের প্রথম অর্ধাংশ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।(সহীহ মুসলিম, হা/৬১৩-৬১৪; আবূ দাঊদ, হা/৩৯৩, ৩৯৫, ৪১৭; তিরমিযী, হা/১৪৯)। এ জন্য আউওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায় করাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বোত্তম আমল হিসাবে অভিহিত করেছেন (সহীহ বুখারী, হা/৫২৭, ২৭৮২; আবূ দাঊদ, হা/৪২৬; তিরমিযী, হা/১৭০)। এছাড়া যদি লোকেরা সালাত দেরী করে পড়ে অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে না পড়ে,তাহলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাকী ছাউলাত আদায় করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।(সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৮; আবূ দাঊদ, হা/৪৩১)। এ থেকে আউওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায় করার গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। সে জন্য সালাতের সময়সূচির তালিকা লক্ষ্য করবে।

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘জোহরের সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে (মাথার উপর থেকে পশ্চিম দিকে) হেলে পড়ে এবং মানুষের ছায়া তার দৈর্ঘের সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আর আসরের সালাতের সময় না হওয়া পর্যন্ত তা থাকে। আসরের সালাতের সময় থাকে সূর্য বিবর্ণ হয়ে সোনালী বর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত। মাগরিবের সালাতের সময় থাকে সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যা গোধূলি বা পশ্চিম দিগন্তে উদ্ভাসিত লালিমা অন্তর্হিত না হওয়া পর্যন্ত। এশার সালাতের সময় থাকে অর্ধরাত্রি অর্থাৎ মধ্যরাত পর্যন্ত। আর ফজরের সালাতের সময় শুরু হয় ফজর বা ঊষার উদয় থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত (সহীহ মুসলিম, হা/৬১২; আবূ দাঊদ, হা/৩৯৬; নাসাঈ, হা/৫২২)।

⚫একনজরে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের সময়সীমা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হল:
_______________________________________
▪️(১) যোহরের ওয়াক্ত: সূর্য যখন মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়বে তখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে। সূর্য হেলে পড়া তথা যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়েছে কি-না, তা বুঝে নেয়ার পদ্ধতি হল একটি খুঁটি বা এ জাতীয় অন্য কিছু একটা উন্মুক্ত স্থানে পুঁতে রেখে খুঁটিটির প্রতি লক্ষ্য রাখা। পূর্বাকাশে যখন সূর্য উদিত হবে তখন খুঁটিটির ছায়া পশ্চিম দিকে পড়বে। সূর্য যত উপরে উঠবে ছায়ার দৈর্ঘ্য তত কমতে থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ছায়া কমতে থাকবে বুঝতে হবে যে, সূর্য তখনও ঢলে পড়েনি। এভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে কমা থেমে যাবে। তারপর খুঁটির পূর্বপাশে ছায়া পড়া শুরু হবে। যখন পূর্বপাশে খানিকটা ছায়া দেখা যাবে, তার মানে সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে এবং যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়েছে।(আশ-শারহুল মুমতি‘, ২/৯৬ পৃ.)। আর যোহরের ওয়াক্তের শেষ সময় হল, সূর্য মধ্যাকাশ হতে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর থেকে কোন বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ তথা ১ গুণ হওয়া পর্যন্ত। (সহীহ মুসলিম হা/১৪১৯, ১/২২৩ পৃঃ, ইফাবা হা/১২৬২; মিশকাত হা/৫৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩৪, ২/১৬৭ পৃঃ, সলাত’ অধ্যায়, ‘ওয়াক্ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ। আবুদাঊদ হা/৩৯৮, ১/৫৮ পৃঃ; বুখারী হা/৫৪১ ও ৭৭১।সহীহ বুখারী হা/৫৩৮, ১/৭৬ পৃঃ, (ইফাবা হা/৫১১, ২/১০ পৃঃ), ‘সালাতের ওয়াক্ত সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯; মিশকাত হা/৫৯১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪৩, ২/১৭৪ পৃঃ। সহীহ বুখারী হা/৫৩৯, ১/৭৬ পৃঃ;সহীহ মুসলিম হা/১৪৩১)।

▪️(২) আসরের ওয়াক্ত: আসরের সালাতের সঠিক সময় হল কোন বস্ত্তর ছায়া যখন মূল ছায়ার সমপরিমাণ হবে তখন আসরের সালাতের সময় শুরু হবে। আর দ্বিগুণ হলে শেষ হবে। তবে কোন সমস্যা জনিত কারণে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত পড়া যাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আসরের সালাতের সময় থাকে সূর্য বিবর্ণ হয়ে সোনালী বর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত।’ আমরা জেনেছি যে, যোহরের ওয়াক্ত শেষ হলে অর্থাৎ বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হলে আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। আসরের শেষ সময় দু’রকমের। যথা: (ক) সাধারণ সময় (وقت إختيار):রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী অনুযায়ী তা হল,আসরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে সূর্য হলুদ বর্ণ হওয়া পর্যন্ত। ঘড়ির কাটার হিসাবে ঋতুভেদে এ সময়টি বিভিন্ন হবে। (খ) জরুরী সময় (وقت إضطرار):সেটা হল সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করা থেকে শুরু করে সূর্য ডুবা পর্যন্ত। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্য অস্তমিত হবার আগে আসরের সালাত অন্ততপক্ষে এক রাক‘আত আদায় করতে পারল, সে পুরো আসরই পেয়ে গেল।’ (সহীহ বুখারী, হা/৫৭৯; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৮)।‌ উল্লেখ্য, (وقت إضطرار) বা জরুরী সময় হল, কেউ যদি অসুস্থ বা মহিলা হায়েয থেকে পবিত্র হয়, বেহুঁশ ব্যক্তির হুঁশ ফিরে এমন ব্যক্তির জন্য সূর্য ডুবার পূর্ব মুহূর্তে আসরের সালাত আদায় করা বৈধ। এতে সে ব্যক্তি গুনাহগার হবে না। কেননা এটা জরুরী সময়। (সহীহ বুখারী হা হা/৫৪৫, ১/৭৮ পৃঃ ৫৫০, ১/৭৮ পৃঃ,৫৫৬, ১/৭৯ পৃঃ ও হা/৫৭৯,২৪৮৫, ১/৩৩৮ পৃঃ; মুসলিম হা/১৪০৪; হা/১৪৪৬, ১/২২৫ পৃঃ হা/১৪৪৩, ১/২২৫ পৃঃমিশকাত হা/৫৯৩, পৃঃ ৬০; ৬০১। ৫৯২, পৃঃ ৬০;হা/৬১৫; সহীহ আবুদাঊদ হা/৩৯৩, ১/৫৬ পৃঃ, /৪২৬, ১/৬১ পৃঃ তিরমিযী হা/১৪৯, ১/৩৮ পৃঃ; ১৭০, ১/৪২ পৃঃমিশকাত হা/৫৮৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩৬, ২/১৬৯ পৃঃ। আহমাদ হা/১৫১৯৫; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/১৭৪; সনদ হাসান পৃঃ ৩০ ও ৩২, ‘কিতাব ও সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ; ইরওয়াউল গালীল হা/১৫৮৯, ৬/৩৪ পৃঃ)।

▪️(৩) মাগরিবের ওয়াক্ত: সূর্য ডুবার পর হতে মাগরিবের সময় শুরু হয়। পশ্চিমাকাশের লাল আভা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত বিদ্যমান থাকে। সুতরাং লাল আভা যখন অদৃশ্য হয়ে যাবে তখন মাগরিবের সময় শেষ হয়ে যাবে এবং এশার সময় শুরু হবে। ঋতুভেদে মাগরিবের ওয়াক্ত ঘড়ির কাটায় বিভিন্ন হয়ে থাকে। (সহীহ মুসলিম হা/১৪১৯, ১/২২৩ পৃঃ, (ইফাবা হা/১২৬২); মিশকাত হা/৫৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩৪, ২/১৬৭ পৃঃ,সালাত’ অধ্যায়, ‘ওয়াক্ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ)।

▪️(৪) এশার ওয়াক্ত: মাগরিবের সালাতের সময়ের পর থেকে এশার ওয়াক্ত শুরু হয় অর্থাৎ আকাশের লাল আভা অদৃশ্য হওয়ার সাথে সাথে এশার ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত তা বিদ্যমান থাকে। উল্লেখ্য, সূর্যাস্ত থেকে ফজরের সময় শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টুকুর ঠিক মধ্যবর্তী সময়টা মধ্যরাত্রি।তবে রাসূল (ﷺ) এশার সালাত দেরী করে পড়াকে উত্তম মনে করতেন। তাই মাগরিবের পরপরই এশার সালাত পড়া উচিৎ নয়, যা এদেশে চালু আছে।(সহীহ মুসলিম হা/১৪১৯, ১/২২২, (ইফাবা হা/১২৬২); মিশকাত হা/৫৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩৪, ২/১৬৭ পৃঃ।সহীহ মুসলিম হা/১৪৭৭, ১/২২৯ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৩১৮)।

▪️(৫) ফজরের ওয়াক্ত: ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয় দ্বিতীয় ঊষা থেকে। আর দ্বিতীয় ঊষা হচ্ছে-পূর্বাকাশে বিচ্ছুরিত সাদা রেখা, যা উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত থাকে। প্রথম ঊষা দ্বিতীয় ঊষার প্রায় একঘণ্টা পূর্বে বিলীন হয়ে যায়। এ দুই ঊষার মধ্যে পার্থক্য হল: (ক) প্রথম ঊষা লম্বালম্বিভাবে ফুটে উঠে, আড়াআড়িভাবে নয়। অর্থাৎ এটা পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বিভাবে বিচ্ছুরিত হয়। আর দ্বিতীয় ঊষা উত্তর-দক্ষিণে আড়াআড়িভাবে ফুটে উঠে। (খ) প্রথম ঊষা অন্ধকারের মধ্যে ফুটে উঠে। অর্থাৎ সামান্য সময়ের জন্য আলোর রেখা দেখা দিয়ে আবার অন্ধকারে ডুবে যায়। আর দ্বিতীয় ঊষার পর আলো বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়। (গ) দ্বিতীয় ঊষা দিগন্তের সাথে যুক্ত থাকে এবং দিগন্ত ও এর মাঝে অন্ধকার থাকে না। পক্ষান্তরে প্রথম ঊষা দিগন্ত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে এবং দিগন্ত ও এর মাঝে অন্ধকার বিদ্যমান থাকে (আশ-শারহুল মুমতি‘, ২/১০৭ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৯৪০, সহীহ বুখারী হা/৫৭৮, ১/৮২ ৫৫৬, ১/৭৯ পৃঃ,পৃঃ,৮৭২, ১/১২০ পৃঃ,৮৬৭, ১/১২০ পৃঃ মিশকাত হা/৫৯৮; ৬০১ নাসাঈ হা/৫৫২, ১/৬৫ পৃঃ)।

⚫সালাতের ওয়াক্ত-বিষয়ক আরো কিছু মাসায়েল জেনে রাখা ভাল:
___________________________________
➤১। যে ব্যক্তি ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে এক রাকআত নামায পেয়ে নেবে সে ওয়াক্ত পেয়ে যাবে। অর্থাৎ,তার নামায যথা সময়ে আদায় হয়েছে এবং কাযা হয়নি বলে গণ্য হবে।(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬০১নং)। বিধায় যে ব্যক্তি এক রাকআতের চেয়ে কম নামায পাবে,সে সময় পাবে না; অর্থাৎ তার নামায যথাসময়ে আদায় হবে না এবং তা কাযা বলে গণ্য হবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বিনা ওজরে শেষ সময়ে নামায পড়া বৈধ নয়।

তদনুরুপ যদি কোন ব্যক্তি এক রাকআত নামায পড়ার মত সময়ের পূর্বেই মুসলমান হয় অথবা কোন মহিলা অনুরুপ সময়ে মাসিক থেকে পবিত্রা হয় তবে ঐ ওয়াক্তের নামায তাদের জন্য কাযা করা ওয়াজিব।

যেমন কোন ব্যক্তি যদি সূর্য ওঠার পূর্বে এমন সময়ে ইসলাম গ্রহণ করে, যে সময়ের মধ্যে মাত্র এক রাকআত ফজরের নামায পড়লেই সূর্য উঠে যাবে, তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্য ফজরের ঐ নামায ফরয এবং তাকে কাযা পড়তে হয়। অনুরুপ যদি কোন পাগল জ্ঞান ফিরে পায় অথবা কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়, তাহলে তাদের জন্যও ঐ ফজরের নামায ফরয।

ঠিক তদ্রুপই যদি কোন মহিলা মাগরিবের নামায না পড়ে থাকে এবং এতটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তার মাসিক শুরু হয়ে যায়,যার মধ্যে এক রাকআত নামায পড়া যেত,তাহলে ঐ মহিলার জন্য ঐ মাগরিবের নামায ফরয। মাসিক থেকে পাক হওয়ার পরে তাকে ঐ নামায কাযা পড়তে হবে। (রাসাইল ফিকহিয়্যাহ্‌, ইবনে উসাইমীন ২৩-২৪পৃ:)

➤২। এশার নামায অর্ধরাত্রি পর্যন্ত দেরী করে পড়া আফযল হলেও আওয়াল ওয়াক্তে জামাআত হলে জামাআতের সাথে আওয়াল ওয়াক্তেই পড়া আফযল। কারণ,জামাআতে নামায পড়া ওয়াজিব। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।

——————–
উপস্থাপনায়,

জুয়েল মাহমুদ সালাফি।