মাহে রামাযানের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে একজন ঈমানদারের বর্জনীয় কার্যক্রম

অল্প কয়েকদিন পর ১২ মাসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মাস রামাযান। রামাযান মাসে তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন, দুআ কবুল হওয়া, রহমত, বরকত লাভ করা, ক্ষমা প্রাপ্তি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাত নিশ্চিত করার এক অনন্য মাস। রামাযানের মর্যাদার কারণে আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাতে ও দিনে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। উক্ত সাফল্য নির্বিঘ্নে অবিরত ধারায় নাযিলের জন্য সারাটা মাস আসমানের সমস্ত দরজা, জান্নাত ও রহমতের সমস্ত দরজা খুলে রাখা হয়। অন্যদিকে অগ্রগামী বান্দা যেন কোন ইবাদতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সে জন্য শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই রামাযান মাসের ইবাদতের সাথে অন্য মাসের কোন ইবাদতকে তুলনা করার সুযোগ নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলো, আমরা এই বরকতপূর্ণ মাস থেকে তেমন কিছুই অর্জন করতে পারছি না। ব্যবসা-বাণিজ্য আর দুনিয়ার ভোগ-বিলাশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও রামাযানের ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন করার জন্য কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করি না। দুনিয়াবী ব্যস্ততায় বিভোর থাকি। ফলে রামাযান শেষে প্রাপ্তিটা হয় শূন্য। তবে এরই মাঝে যারা মুক্তি পেতে চায়, তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে একজন প্রকৃত মুসলিম ও তাক্বওয়াশীল ব্যক্তি হওয়ার চেষ্টা করে থাকে। সুতরাং রমাদ্বন আগমন উপলক্ষে একজন ব্যক্তির যাবতীয় বর্জনীয় বিষয়গুলো আজ আমারা জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
.
(১). নিজেকে পরিশুদ্ধ না করা:
.
আমাদের মধ্যে অনেকের চিন্তা ভাবনা অনেকটা এরকম যে রমাদ্বন আসলে সবকিছু করে ফেলবো, সালাত আদায় করবো, সিয়াম পালন করবো, সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিব এককথায় যাবতীয় নিষিদ্ধ কর্ম ছেড়ে দিব। অথচ এমন আশায় বসে থাকা ভুল, প্রথমত তারা যে আগামীকাল বেঁচে থাকবে তার কি গ্যারান্টি আছে? দ্বিতীয়ত যারা এই আশায় বসে থাকে তারা রমাদ্বন আসলে তেমন কিছুই করতে পারেনা, কারন দাঁড়ানো থেকে হঠাৎ দৌড় দেওয়া যায় না। আগে হাঁটা শুরু করতে হবে তারপর এমনিতেই দৌড়ানোর শক্তি এসে যাবে।সুতরাং রমাদ্বনে যা কিছু করতে চান আজ থেকেই শুরু করুন। মহান আল্লাহ বলেন, আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্‌ স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। (সূরা লুকমান, ৩১/৩৪)
.
(২). আক্বীদা মানহাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ না দেওয়া:
.
দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের আক্বীদা-মানহাজে শিরক, কুফর বা বিদআত মিশ্রিত রয়েছে। তারা আক্বীদা-মানহাজ সংশোধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেনা, অথচ একজন মুসলিমের জীবনে বিশুদ্ধ আক্বীদাই মূল। কারণ আমলের চেয়ে আক্বীদার গুরুত্ব অনেক বেশী। আর আক্বীদা সহীহ না হলে কোন আমলই আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। (সহীহ বুখারী হা/১)। ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা বান্দার অন্তর ও আমলের উপর ভিত্তি করে বিচার-ফায়সালা করবেন। (সহীহ মুসলিম, হা/২৫৬৪; মিশকাত, হা/৫৩১৪)। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশিত পদ্ধতিতে ইবাদত করলে তাকে জান্নাতী বলে আখ্যায়িত করেছেন। (সহীহ বুখারী হা/১৩৯৭; মিশকাত হা/১৪)। জীবনে কোনদিন সৎআমল না করেও শুধু আল্লাহর ভয় করার কারণে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। (সহীহ মুসলিম হা/২৭৫৬)। ১০০ জনকে হত্যা করার পরেও শুধু আক্বীদা পরিবর্তন করার চেষ্টা করার কারণে আল্লাহ তাকেও ক্ষমা করে দেন। (সহীহ বুখারী, হা/৩৪৭০)। এমনকি শুধু কালেমায়ে শাহাদাত পাঠকে ক্বিয়ামতের দিন তার পাল্লা ভারী করবে বলে বলা হয়েছে। (তিরমিযী, হা/২৬৩৯; মিশকাত, হা/৫৫৫৯)। অতএব রামাযান আসার পূর্বেই আক্বীদা বিশুদ্ধ করুন।
.
(৩). রামাযানের আগমন উপলক্ষে ভাল সাজার চেষ্টা করা; রামাযান শেষ হলেই আবার আগের মত পাপাচারে লিপ্ত হওয়া:
.
আমরা অনেকেই রামাযান মাস আসলে তওবা- ইস্তেগফার করে সালাত, সিয়ামসহ যাবতীয় ইবাদতে মনোযোগী হই। কিন্তু রমাদ্বন শেষ হলেই আবার সেই আগের মত পাপাচারে লিপ্ত হই। এমনটা করা যাবেনা, কারন এটা মুনাফেকীর লক্ষণ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযান মাসে নিজের পাপসমূহ ক্ষমা করে নিতে পারল না, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। (তিরমিযী, হা/৩৫৪৫, সনদ সহীহ)। তাই আমাদের উচিত খাঁটিভাবে তওবা-ইস্তেগফার করে এখন থেকেই মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ এবং তার রাসূল (ﷺ)-এর আনুগত্য আদেশ-নিষেধ পালনের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা।
.
(৪). বিগত বছরের ফরয সিয়াম কাযা থাকা সত্বেও শাবান মাসে সেটা পূরণ না করা:
.
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা অথবা শরীয়ত গত কোন ওজরে গত রামাযানে বা তার আগে কিছু সিয়াম রাখা হয়নি। এবছরও শাবান মাস চলে যাচ্ছে অথচ কাযা সিয়ামগুলো রাখার কোন নাম গন্ধ নেই; অথচ এটি উচিত নয়। কারণ, শরীয়তের বিধান হলো ওজরের জন্য হোক আর স্বেচ্ছায় হোক সিয়াম ছেড়ে দিলে একটি সিয়ামের বদলে একটি ক্বাযা করতে হবে। স্বেচ্ছায় ছিয়াম ছেড়ে দিলে একটি সিয়ামের বদলে একটিই ক্বাযা করতে হয়। আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন, কোন লোকের সিয়াম থাকাবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে সে লোককে ঐ সিয়ামের কাযা আদায় করতে হবে না। কিন্তু কোন লোক ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে তাকে কাযা আদায় করতে হবে। (সুনানে তিরমিযী হা/৭২০)
.
(৫). রামাযান আসার পূর্বে ফযীলতের আশায় বিভিন্ন মিথ্যা ঘটনা প্রচার করা:
.
অনেকেই জেনে বা না জেনে অনলাইনে অফলাইনে হাদীসের নামে প্রচার করে, যে ব্যক্তি রামাযানের খবর মানুষের মাঝে প্রচার করবে বা ১০০/৫০০ জনকে রমাদ্বনের বার্তা পাঠাবে তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেয়া হবে বা এই ফজিলত সেই ফজিলত পাওয়া যাবে, অথচ এগুলো কোন হাদীস নয়। বরং মিথ্যা কথা এবং বিদ‘আতীদের অপপ্রচার। এগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে অন্যথায় পরিণতি হবে ভয়াবহ। কারণ রাসূল (ﷺ) বলেছেন,যে আমার ওপরে ইচ্ছাকৃত মিথ্যারোপ করবে তার থাকার জায়গা জাহান্নাম। (সহীহ বুখারী হা/৩৪৬১)
.
(৬). পরস্পরের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ থাকা সত্বেও মীমাংসা না করা:
.
বিভিন্ন কারণে অনেক সময় আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে মনোমালিন্য হতে পারে। কিন্তু সেটা মিমাংসা না করে তাদের সাথে কথা না বলা বা সম্পর্ক ছিন্ন করা শরীয়ত সম্মত নয়। কারণ রামাযানে মহান আল্লাহ অনেক মানুষকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু যাদের মাঝে বিবাদ-বিসম্বাদ আছে, তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না তারা তাদের মধ্যকার বিবাদ মিটিয়ে নেয়। রাসূল (ﷺ) বলেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজা খোলা হয় এবং প্রত্যেক বান্দাকে ক্ষমা করা হয় এ শর্তে যে, সে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করবে না। আর সে ব্যক্তি এ ক্ষমা থেকে বঞ্চিত থেকে যায়, যে কোন মুসলিমের সাথে হিংসা ও শত্রুতা পোষণ করে। ফেরেশতাদেরকে বলা হয় যে, এদের অবকাশ দাও, যেন তারা পরস্পর মীমাংসা করে নিতে পারে। (সহীহ মুসলিম হা/২৫৬৫, আবু দাউদ হা/৪৬১৬)। আয়শা (রাঃ) বলেন, আমার উপর রামাযানের যে কাযা হয়ে যেত তা পরবর্তী শাবান ব্যতীত আমি আদায় করতে পারতাম না।’ (বুখারী হা/১৯৫০; মুসলিম হা/১১৪৬)। উক্ত হাদীস প্রমাণ করে যে, ছুটে যাওয়া সিয়াম পরবর্তী রামাযান আসার পূর্বেই আদায় করতে হবে। বিশেষ ওযর ব্যতীত তা আদায়ে বিলম্ব করার কোন অবকাশ নেই।
.
(৭). সন্দেহের দিনে সিয়াম পালন করা:
.
অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সন্দেহপূর্বক রামাযানের একদিন আগে সিয়াম রাখা বিদআত। এ ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিনে সিয়াম পালন করবে, সে আবুল ক্বাসেম মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে অস্বীকার করল।’ (তিরমিযী হা/৬৮৬, সনদ সহীহ)
.
(৮). রামাযানের আগমন উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা:
.
অনেক এলাকায় রমাদ্বন আগমন উপলক্ষে পূর্ব থেকে বাড়িঘর রাস্তাগাটে আলোকসজ্জা করে। কিন্তু শরীয়তের দৃষ্টিতে শুধু রামাযান মাস উপলক্ষে মোমবাতি, বিভিন্ন রং-বেরং প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকসজ্জা করা এবং এর মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা বিদ‘আত। কারণ, উক্ত কার্যাবলীর শরীয়তে কোন দলিল নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুর উদ্ভব ঘটাল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’(সহীহ বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)।
.
(৯). রামাযানের আগমন উপলক্ষে মিছিল বের করা:
.
কিছু কিছু মুসলিম দেশে দেখা যায়, চাঁদ দেখার পর পরস্পরের মাঝে প্রচার করার জন্য মিছিল বের করা হয়। সাথে ঢাক-ঢোল পিটানো হয় বা সাইরেন বাজানো হয়, মসজিদের মাইকে কুরআন তেলাওয়াত, বক্তৃতা ও গযল ইত্যাদি বাজানো হয়। এগুলো বিদ‘আতী কর্মের অন্তর্ভুক্ত। আর বিদআতী আমলের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।
.
(১০). ছেলে-মেয়ে বালেগ হওয়ার পরও পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার অজুহাতে সিয়াম পালনে বিরত রাখা:
.
আমাদের সমাজে অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা বালেগ, রামাযান মাসে যদি তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তুমি কি সিয়াম রেখেছ? তারা সুন্দর করে উত্তর দেন, আমাদের আব্বু-আম্মু সিয়াম রাখতে দেন না। আমিতো রাখতেই চাই। কিন্তু আব্বু-আম্মু বলে সিয়াম পালন করলে শরীর নষ্ট হয়ে যাবে, পড়াশুনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে যে সকল অবিভাবক সিয়াম পালন করতে বালেগ ছেলে-মেয়েদের নিষেধ করে, তারা জানেনা যে আমার সন্তানের উপর সিয়াম ফরজ যেমন ফরজ আমাদের উপর। শুধু এই কারণে অভিভাবক বালেগ ছেলে-মেয়ে সকলকেই মহান আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের উচিত হবে বালেগ ছেলে-মেয়েদের সিয়াম পালনে উৎসাহিত করা। তাদের সিয়াম পালনে নিরুৎসাহিত করা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভু্ক্ত হবে। সাহাবায়ে কিরাম (রা.) তাদের ছোট ছোট নাবালেগ সন্তানদের রোজা রাখাতেন, মাসজিদে নিয়ে যেতেন এবং তাদের জন্য তুলা, পশম ইত্যাদির খেলনা বানিয়ে দিতেন। রোজা অবস্থায় (দিনের শেষভাগে) ক্ষুধায় কান্না করলে তারা তাদের শিশুদের খেলনা দিতেন। ওরা খেলনা পেয়ে খেলতো আর খাবারের কথা ভুলে যেতো। (বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৬০; মুসলিম, আস-সহিহ: ১১৩৬)।

(১১). রামাযানের নতুন চাঁদ দেখে আঙ্গুল উঁচু করা:
.
অনেকেই নতুন চাঁদ দেখে সেদিকে আঙ্গুল ইশারা করে, চুমু খায় অথচ এটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত। কেননা এ ব্যাপারে কোন সহীহ দলীল পাওয়া যায় না। শায়খ আলী ইবনু মাহফুয বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমনভাবে নতুন চাঁদের দিকে হাত উঠিয়ে দু‘আ করবে এবং চুমু খাবে সে সুন্নাত বিরোধী কাজ করবে। কারণ এ বিষয়ে শারঈ কোন বিধান আছে এটা আমি জানি না। (আল-ইবদা ফী রামাযানিল ইবতিদা, পৃ. ৩০৩)। শায়খ বকর বিন আব্দুল্লাহ আবু যায়েদ (১৩৬৫-১৪২৯ হি.) বলেন, ‘শুধু রামাযানের চাঁদ দেখে সেদিকে হাত উঠিয়ে দু‘আ করা একটি নোংরা বিদ‘আত, বড় ধরনের অজ্ঞতা এবং আল্লাহর বিধানের সাথে বেআদবী।’ (তাছহীহুদ দু‘আ, পৃ. ৫০৯)। তবে চাঁদ দেখার সুন্নাতী পদ্ধতি হলো দু‘আ পাঠ করা। দু‘আটি হল-اَللّهُمَّ أَهْلِلْهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّىْ وَرَبُّكَ اللهُ উচ্চারণ: আল্ল-হুম্মা আহলিলহু আলায়না বিল ইউম্নি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্ সালা-মাতি ওয়াল ইসলাম। রব্বী ওয়া রব্বুকাল্লহ।’ অনুবাদ: ‘হে আল্লাহ! এ চাঁদকে আমাদের মাঝে বরকত, ঈমান, শান্তি, নিরাপত্তা ও ইসলামের সাথে উদিত করুন। আমার রব ও তোমার রব আল্লাহ।’ (তিরমিযী, হা/৩৪৫১; মিশকাত, হা/২৩২৮, সনদ সহীহ)
_____________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।