বিবাহের অলীমাহ

প্রশ্ন: বিবাহের অলীমাহ করার হুকুম কি? অলীমাহ করার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা আছে কি? বিবাহের ওয়ালীমা করার দায়িত্ব কার ছেলে পক্ষের নাকি মেয়ে পক্ষের? অলীমায় কাদেরকে দাওয়াত দিতে হবে?
▬▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: ‘وليمة‎‎’ ওয়ালিমাহ শব্দটি আল-ওয়ালাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যেটির অর্থ একত্রিত করা। এটি দ্বারা আরবীতে ভোজ/বৌভাত অর্থাৎ বিবাহ পরবর্তী খাবারের অনুষ্ঠানকে নির্দেশ করা হয়। বিবাহের ক্ষেত্রে ওয়ালিমার আয়োজন করা বিশুদ্ধ মতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। যদিও কেউ কেউ ওয়াজিব বলেছেন। এটি বিয়ের প্রচারণার অন্তর্ভুক্ত এবং আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করার শামিল। (মুসনাদে আহমদ,ত্বাহাবী ,আদাবুয যিফাফ ১৪৪পৃঃ)। আলী (রাঃ) যখন ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহের পয়গাম পাঠালেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন,‘অবশ্যই নববধুর জন্য ওয়ালীমা হতে হবে।’ (মুসনাদে ইমাম আহমাদ, আদাবুয যিফাফ, মাসআলা নং- ২৪)
.
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ)-এর শরীরে হলুদের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন, কিসের রং এটা? তিনি বললেন, আমি জনৈকা (আনসারী) নারীকে খেজুর দানার সমপরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে বিয়ে করেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তা‘আলা তোমার বিয়েকে বরকতময় করুন। একটি বকরী দিয়ে হলেও তুমি ওয়ালীমাহ্ কর। (সহীহ বুখারী হা/ ৫১৪৮, সহীহ মুসলিম হা/ ১৪২৭, মিশকাতুল মাসাবিহ হা/৩২১০)। উপরোক্ত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনু আওফ-কে বিবাহোত্তর ওয়ালীমাহ্ খাওয়ানোর নির্দেশ করেন। ইবনুল মালিক বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই প্রকাশ্য নির্দেশসূচক বাক্য দ্বারা কতিপয় উলামাহ্ বিবাহোত্তর ওয়ালীমাহ্ খাওয়ানোকে ওয়াজিব বলে মন করেন। তবে অধিকাংশ উলামারা বলেন, এ নির্দেশ মুস্তাহাব অর্থে ব্যবহৃত হবে। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২০৪৯)
.
▪️ওয়ালীমাহ্ কখন করতে হবে? ওয়ালীমা করার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা আছে কি?
____________________________________
এর উত্তরে আহালুল ইমামগনের মধ্যে কয়েকটি মতামত দেখা যায়। যেমন; (১). কেউ বলেন, ওয়ালীমাহ্ হবে বাসর উদযাপনের পরে (২). কেউ আবার বিবাহের আকদ সম্পাদন হওয়ার পরেই মতামত পেশ করেছেন। (৩). কেউবা আবার বিবাহের সময় এবং বাসর উদযাপনের পর দু’ সময়েই ওয়ালীমা করার কথা বলেছেন। (৪). ইমাম মালিকের একদল অনুসারী তো সাতদিন ভরে ওয়ালীমাগ্ খাওয়ানো মুস্তাহাব বলে মনে করে থাকেন। তবে অধিকাংশ ওলামাদের নির্ভরযোগ্য এবং পছন্দনীয় মত হলো ওয়ালীমাহ্ খাওয়ানো বিবাহকারীর সাধ্য ও সামর্থ্যের উপর নির্ভর করবে। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২০৪৯; শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪২৭; মিরকাতুল মাফাতীহ)
.
তবে সামর্থ্য থাকলে বাসর রাতের পরের দিন ওয়ালীমা করাই সুন্নাত। রাসূল (ﷺ) যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)-এর সাথে বাসর রাত অতিবাহিত করার পরদিন ওয়ালীমা করেছিলেন। (বুখারী হা/৫১৭০; ইবনু তায়মিয়াহ. ফাতাওয়াউল কুবরা ৫/৪৭৮)। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) স্বীয় বিবি যয়নাবের বিবাহে যত বড় ওয়ালীমা করেছিলেন, তত বড় ওয়ালীমা তিনি পরবর্তী কোন স্ত্রীর বিবাহে করেননি। তাতে তিনি একটি বকরী দিয়ে ওয়ালীমা করেছেন। (সহীহ মুসলিম হা/২৫৬৯, মিশকাত হা/৩২১১)। এছাড়া সাফিয়াহ (রাঃ) তিনি ছিলেন মূসা (আঃ)-এর ভাই হারূন ইবনু ইমরান (আঃ)-এর বংশের হুয়াই ইবনু আখতাব-এর কন্যা। তাকে বিবাহের পর তিনদিন যাবৎ ওয়ালীমা খাইয়েছিলেন। (মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৩৮৩৪, সনদ হাসান)। তবে কারণবশতঃ ওয়ালীমার দিন বিলম্বিতও করা যায়। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, সাতদিন বা অনুরূপ দিন পর্যন্ত ওয়ালীমা করা যায়। রাসূল (ﷺ) অলীমার সময়কে এক বা দুই দিনের জন্য খাছ করেননি। (সহীহ বুখারী; ১৭/২৬৫)। এর ব্যাখ্যায় ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ তিনি অলীমার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করেননি যেদিন অলীমা করাকে ওয়াজিব বা মুস্তাহাব বলা হবে। আর এটি তিনি আম হাদীস থেকে নিয়েছেন (ফাৎহুল বারী; ৯/২৪৩)। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, উক্ত হাদীসে দিনের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। তাছাড়া সাহাবী উবাই বিন কা‘বকে সপ্তম দিনে অলীমার দাওয়াত দেওয়া হলে তিনি কবুল করেন। (ফাৎহুল বারী; ৯/২৪৩)।

▪️বিবাহের ওয়ালীমা করার দায়িত্ব কার ছেলে পক্ষের নাকি মেয়ে পক্ষের?
_______________________________________
ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে বিবাহের ক্ষেত্রে কন্যা পক্ষের কোন দায়-দায়িত্ব নেই মেহমানদারী ব্যতীত। তাও সেটা বাধ্যতামূলক নয় বরং ইচ্ছাধীন। আর ছেলে পক্ষের উপর ওয়ালীমা করা বিশুদ্ধ মতে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অর্থাৎ ওয়ালীমা অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ করা ছেলের উপর কর্তব্য মেয়ের নয়, এবং উক্ত অনুষ্ঠানে বর-কনে উভয়ের নিকট আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার গরীব অসহায় মুসলিমদের দাওয়াত দেয়া উত্তম। তবে মেয়ের পিতা যদি সন্তুষ্টি চিত্তে ওয়ালীমার অনুষ্ঠান করে বর পক্ষের লোককে দাওয়াত করে তাহলে তারা খেতে পারবে, এতে কোন সমস্যা নেই। কেননা মেয়ের বাবার জন্যও ওলীমাহ করা জায়েয কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। (কিতাবু মাওকেউ ইসলাম সওয়াল ও জওয়াব, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২৮৮)। খাবারের বিষয়ে কোন নিদিষ্টতা নেই বরং সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন হালাল খাবার দিয়ে অলীমাহ করা জায়েজ রয়েছে সুতরাং মেয়ে পক্ষ তাদের নিজ ইচ্ছায় চাইলে অলীমাহ করতে পারে। যেমন: ৫ম হিজরীতে রাসূল (ﷺ)-এর সাথে যয়নবের বিয়ের পর তার ওয়ালীমার জন্য উম্মে সুলায়েম (রাঃ) তাঁর ছেলে আনাস (রাঃ)-এর মাধ্যমে খেজুর, ঘি ও পনির দিয়ে তৈরী খাদ্য ‘হাইস’ প্রেরণ করেন। (সহীন বুখারী হা/৫১৬৩; মুসলিম হা/১৪২৮; মিশকাত হা/৫৯১৩)। ৭ম হিজরীতে খায়বার যুদ্ধের পর সাফিয়া (রাঃ)-এর সাথে রাসূল (ﷺ)-এর বিবাহ হলে রাত্রিতে উম্মে সুলায়েম (রাঃ) তার জন্য বাসর সজ্জার ব্যবস্থা করেন এবং রান্না খাবার সহ উপঢৌকন প্রেরণ করেন। অতঃপর সকালে ওয়ালীমার জন্য রাসূল (ﷺ) দস্তরখান বিছিয়ে দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, যার কাছে যা আছে নিয়ে এস। তখন কেউ খেজুর, কেউ ঘি, কেউ ছাতু নিয়ে আসল। অন্য বর্ণনায় এসেছে ‘পনির’। অতঃপর তা দিয়ে উন্নতমানের ‘হাইস’ খাদ্য বানানো হলো ও তা দিয়ে ওয়ালীমা করা হলো। (সহীহ বুখারী হা/৩৭১, ৫০৮৫; মুসলিম হা/১৩৬৫)। ২য় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পর আলী (রাঃ)-এর সাথে ফাতেমা (রাঃ)-এর বিবাহের ওয়ালীমায় আনসার সাহাবীগণ সহযোগিতা করেন। (আহমাদ হা/২৩০৮৫; আলবানী, আদাবুয যিফাফ ১৭৩ পৃ.)। রাসূল (ﷺ)-এর অন্যতম খাদেম রাবী‘আ আসলামীর বিবাহের ওয়ালীমায় রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশে আনসার সাহাবীগণ সহযোগিতা করেন। (আহমাদ হা/১৬৬২৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৭৩৩৪; সহীহাহ হা/৩২৫৮)। সুতরাং বিবাহের দিন খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বা পরদিন ওয়ালীমায় উভয়পক্ষ পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কোন অবস্থাতেই কোন পক্ষকে বাধ্য করা যাবেনা।
.
▪️ওয়ালীমায় কাদেরকে দাওয়াত দেওয়া উচিত?
_______________________________________
ওয়ালীমার মাধ্যমে বিবাহের কথা সকলের মাঝে প্রচার হয়। ওয়ালীমায় প্রতিবেশি ধনী-গরীব সবাইকে দাওয়াত করতে হবে। তারা দাওয়াত গ্রহণ করে ওয়ালীমাতে আসবেন ও নবদম্পতির ভবিষ্যত মঙ্গলের জন্য দো‘আ করবেন। রাসূল (ﷺ) বলেন, খাদ্যের মধ্যে নিকৃষ্ট খাবার ঐ ওয়ালীমার খাবার, যাতে শুধু ধনীদেরকে দাওয়াত দেয়া হয় এবং দরিদ্রদেরকে ত্যাগ করা হয়। আর ওয়ালীমার দাওয়াত যে কবুল করল না, সে আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধিতা করল। (সহীহ বুখারী হা/৫১৭৭, মুসলিম হা/১৪৩২)। কোন মুসলিম ভাই ওয়ালীমার দাওয়াত দিলে দাওয়াত কবুল করা ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, إِذَا دُعِىَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْوَلِيْمَةِ فَلْيَأْتِهَا- ‘তোমাদের কাউকে ওয়ালীমার দাওয়াত করা হ’লে সে যেন তাতে অংশগ্রহণ করে।’ (সহীহ বুখারী হা/৫১৭৩, মুসলিম হা/১৪২৯)
.
ওয়ালিমার দাওয়াত পেলে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। যে ব্যক্তি বিনা ওজরে এমন ভোজে উপস্থিত হয় না, সে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য। এমনকি নফল সিয়াম রাখলেও দাওয়াত কবুল করা সুন্নত।আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; তোমাদের কাউকেও ওয়ালীমার দাওয়াত দিলে সে যেন তাতে শামিল থাকে। (সহীহ বুখারী ৫১৭৩, সহীহ মুসলিম ১৪২৯, আবু দাঊদ ৩৭৩৬, মিশকাতুল মাসাবিহ হা ৩২২৬)। অপর বর্ণনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি দা‘ওয়াত বর্জন করল সে আল্লাহ ও তদীয় রসূলের নাফরমানী করল।’’ (সহীহ মুসলিম হা/১০৬, ১৪৩১)
.
সৌদি সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেন: আলেমগণ বলেন; বিয়ের প্রথম দাওয়াত কবুল করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথম ওয়ালিমার। যদি নিমন্ত্রণকারী কিংবা তার প্রতিনিধি কিংবা কার্ড পাঠানোর মাধ্যমে ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্টভাবে দাওয়াত দেয়া হয়। তবে শর্ত হচ্ছে-এ অনুষ্ঠানে যেন শরীয়ত গর্হিত কোন কিছু না থাকে। আর যদি এ অনুষ্ঠানে শরীয়ত গর্হিত কোন কিছু থাকে তাহলে এর হুকুম ব্যাখ্যাসাপেক্ষ: যদি ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে এ গর্হিত কাজে নিষেধ করা সম্ভবপর হয় তাহলে এ ব্যক্তির জন্য উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। আর যদি উপস্থিত হয়ে এ গর্হিত কাজে বাধা দেয়া সম্ভবপর না হয়, তাহলে এ ব্যক্তির জন্য উপস্থিত হওয়া নাজায়েয। (লিকাউল বাব আল-মাফতুহ ১৩/১৩৩)
.
তবে যে সকল ওযরের কারণে দাওয়াত কবুলের আবশ্যকতা রহিত হবে অর্থাৎ দাওয়াত পরিহার করা যাবে সেগুলো হলো: (১).খাদ্য সন্দেহযুক্ত হওয়া, (২).খাদ্যানুষ্ঠানে যদি শুধু ধনীদের খাস করে দাওয়াত করা হয় এবং গরীবদের বর্জন করা হয়, (৩).সেখানে এমন লোক আছে যে উপস্থিত সভ্যদের কষ্ট দেয়, (৪).সেখানে এমন সব লোক বসবে যাদের সাথে বসা উচিত নয়। (৫).দাওয়াতকারী তার অনিষ্টতা চাপা দেয়ার জন্য কিংবা তার যশ, খ্যাতি প্রকাশের লোভে দাওয়াত করেছে। (৬).দাওয়াতকারী তার বাতিল ও নিষিদ্ধ কর্মের সমর্থন আদায় বা সাহায্যের জন্য দাওয়াত করছে।(৭). কিংবা সেখানে নিষিদ্ধ কর্ম হয়ে থাকে যেমন মদ্যপান, অশ্লীল গান-বাজনা ও খেল-তামাশা ইত্যাদি।(৮).এমনকি বিছানাও যদি রেশমীর বিছানা হয় এ জাতীয় অনুষ্ঠানের দাওয়াত বর্জন করা বৈধ। বর্তমানের দাওয়াতী অনুষ্ঠানগুলোতে কোনো না কোনো দিক থেকে এ জাতীয় কর্মকান্ড হয়েই থাকে। সুতরাং, এ জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগদান না করার ওযর বিদ্যমান এবং গ্রহণযোগ্য। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫১৭৩, শারহে মুসলিম ৯ম/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪২৯; মিরকাতুল মাফাতীহ)। (আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন)
________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।