বিদ‘আতী ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা সম্পর্কে ইসলামি শরীয়তের বিধান

ইসলামি শরীয়তের আলোকে বিদ‘আতীর পিছনে সালাত আদায়ের বিধানটি দুই প্রকার হতে পারে। যথা: (ক) বিদ‘আত কুফরী পর্যায়ের হওয়া এবং (খ) বিদ‘আত কুফরী পর্যায়ের না হওয়া। নিম্নে উভয় প্রকারের বিধান রেফারেন্স ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

▪️(ক) বিদ‘আত কুফরী পর্যায়ের হওয়া: আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের ঐকমত্যে বিদ‘আত যদি কুফরী পর্যায়ের হয়, তাহলে ঐ বিদ‘আতীর পিছনে সালাত আদায় করা শুদ্ধ হবে না। যদিও সে বিদ‘আতের দিকে আহ্বান করুক কিংবা না করুক। তবে কেউ যদি কুফরী পর্যায়ের বিদ‘আতকারীর পিছনে সালাত আদায় করে, তাহলে সেই সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে কি না সে ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, আদায় করতে হবে। আবার কেউ বলেছেন, যদি তার বিদ‘আত সম্পর্কে না জানা থাকে, তাহলে আদায় করতে হবে না। তবে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতে, তার সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কেননা কুফরী পর্যায়ের বিদ‘আতী সালাতের ইমামতির অধিকারী নয়। সুতরাং তার পিছনে সালাত আদায় সহীহ হবে না। (ড. ইব্রাহীম ইবনু আমির আর-রুহায়লী, মাওক্বিফু আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আতি মিন আহলিল হাওয়া ওয়াল বিদাঈ, মদীনা মুনাওয়ারা: মাকতাবাতুল গুরাবা আল-আছরিয়্যাহ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৫ হি., ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪৪)

বিধানগত দিক থেকে বিদ‘আতীদের কুফরীর কারণে তাদের পিছনে সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ। যেমন জাহমিয়্যাহ, ক্বাদারিয়্যাহ, রাফেযী (শী‘আ), মু‘তাযিলা ইত্যাদি ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না। অতএব কোন ইমাম যদি কুফরী পর্যায়ের বিদ‘আতে লিপ্ত থাকে, তাহলে তার পিছনে সালাত আদায় করা বৈধ নয়। যেমন: কোন ইমাম যদি বিশ্বাস করে নবী বা ওলীরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, হুলুল তথা আল্লাহ সৃষ্টিজগতের সাথে একাকার হওয়াতে বিশ্বাস করেন, আবু বকর, উমার এবং উসমান (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)-কে গালাগালী করেন,কুরআন আল্লাহর সৃষ্টি বলে বিশ্বাস করেন, বিপদাপদে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যকে ডাকেন অথবা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর জন্য কোন পশু যবেহ ও মানত করেন ইত্যাদি ভ্রান্ত আক্বীদা পোষণ করেন, তাহলে তার পিছনে সালাত আদায় করা কোনভাবেই বৈধ হবে না। বরং সে ইমাম হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। এ বিষয়ে সালাফদের বক্তব্য নিম্নরূপ:

(১). ওয়াছিলা ইবনুল আসক্বা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তাঁর নিকট ক্বাদারিয়া আক্বীদায় বিশ্বাসী লোকের পিছনে সালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, لَا يُصَلِّى خَلْفَهُ أَمَا لَوْ صَلَّيْتُ خَلْفَهُ لَأَعْدَتُّ صَلَاتِيْ ‘তার পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না। তবে আমি যদি কখনো সালাত আদায় করেই ফেলি, তাহলে আমি আবার পুনরায় সালাত আদায় করে নেই।’(হিবাতুল্লাহ ইবনুল হাসান ইবনু মানছূর আল-লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আতি, রিয়ায: দারু ত্বাইয়েবা, ১৪০২ হি., ১ম খণ্ড, পৃ. ৭৩১, আছার নং-১৩৪৭)

(২). সালাম ইবনু আবিল মুতীঈ (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, একদা তাঁকে জাহমিয়্যাহদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, كُفَّارٌ وَلَا يُصَلِّي خَلْفَهُمْ ‘তারা কাফির। তাদের পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না।’(শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আতি, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩২১, আছার নং-৫১৭)

(৩). ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ)-কে ক্বাদারিয়্যাহ আক্বীদায় বিশ্বাসী ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সালাত ফাউত হয়ে গেলেও তাদের পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না। অতঃপর জিজ্ঞেসকারী বলল, জুমু‘আর সালাতও কি নয়? তিনি বললেন, না, জুমু‘আর সালাতও নয়।(মাওক্বিফু আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আতি মিন আহলিল হাওয়া ওয়াল বিদাঈ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪৫)

(৪). ক্বাযী আবু ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, لَا أُصَلِّي خَلْفَ جَهْميٍّ وَلَا رَافِضِيٍ وَلَا قَدَرِيٍّ ‘আমি জাহমী, রাফেযী ও ক্বাদেরীদের পিছনে সালাত আদায় করি না।’(শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আতি, ১ম খণ্ড, পৃ. ৭৩৩, আছার নং-১৩৫৬)

৫). সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ডে বিদ‘আতী ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, ‘যদি বিদ‘আত কুফর ও শিরক পর্যায়ের হয়, তাহলে তার পেছনে সালাত অশুদ্ধ আর বিদ‘আতকারীর বিদ‘আত যদি কুফরি পর্যায়ের না হয় যেমন মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পড়া ইত্যাদি, তাহলে তার নিজের সালাত শুদ্ধ এবং তার পিছনে সালাত আদায়কারীর সালাতও শুদ্ধ হবে।’(ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৪-৩৬৫, ফৎওয়া নং-১২০৮৭)
.
▪️(খ) বিদ‘আত কুফরী পর্যায়ের না হওয়া: ইমাম সাহেবের বিদ‘আত যদি কুফরী বা শিরকী পর্যায়ের না হয়, তাহলে তার পিছনে সালাত আদায় করা যাবে। ইমাম ত্বাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, وَنَرَى الصَّلَاةَ خَلْفَ كُلِّ بَرٍّ وَفَاجِرٍ مِنْ أَهْلِ الْقِبْلَة وَعَلَى مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ ‘আহলে ক্বিবলার প্রতিটি সৎ এবং পাপী লোকের পিছনে সালাত পড়া যাবে এবং তাদের কেউ মারা গেলে তার জানাযা পড়া যাবে।’(ছাদরুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনু আলাউদ্দীন আলী ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবীল ঈয আল-হানাফী, শারহুল ‘আক্বীদাতিত ত্বাহাবিয়্যাহ, ওয়াযারাতুশ শুয়ূনিল ইসলামিয়্যাহ ওয়াল আওক্বাফ ওয়াদ দাওয়াতি ওয়াল ইরশাদ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৮ হি., পৃ. ৩৬৫)

হাদীছে এসেছে, আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তারা তোমাদের সালাত পড়ালে যদি সঠিকভাবে আদায় করে তবে তোমাদের জন্য সওয়াব রয়েছে, আর যদি ভুল করে তাহলেও তোমাদের জন্য সওয়াব আছে এবং তাদের ভুল তাদের উপর বর্তাবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৯৪; মিশকাত,হা/১১৩৩)। উল্লেখ্য, যে ব্যক্তির বিদ‘আত এবং ফাসেকী সম্পর্কে জানা যাবে না, তার পিছনে সাথে সালাত পড়া জায়েয। কেননা কোন মুক্তাদির জন্য ইমামের পিছনে ইকতেদা করার ব্যাপারে ইমামের আক্বীদা জানাটা শর্ত নয় এবং তাকে পরীক্ষা করাও জরূরী নয় যে তাকে বলবে, আপনার আক্বীদা কী? বরং যার অবস্থা জানা যাবে না তার পিছনে সালাত পড়বে। আর যদি বিদ‘আতের দিকে আহ্বানকারী কোন বিদ‘আতী বা প্রকাশ্যে অপরাধকারী কোন ফাসেক ইমাম নিযুক্ত থাকে, যেমন জুমু‘আহ, ঈদ বা হজ্জের সময় আরাফার ইমাম ইত্যাদি, যদি তার পিছনে ব্যতীত সালাত পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে সকল পূর্ববর্তী সালাফ ও পরবর্তী আলেমদের মতে তার পিছনে সালাত পড়া যাবে। নিম্নে এ সম্পর্কে সালাফদের বক্তব্য, সাহাবী ও তাবেঈগণ এবং পরবর্তীতে তাদের অনুসারী সালাফগণের আমল উল্লেখ করা হলো,

(১). ওবায়দুল্লাহ ইবনু আদী ইবনু খিয়ার (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি খলীফা উসমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর নিকট উপস্থিত হলেন, যখন তিনি স্বীয় গৃহে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আপনিই জনসাধারণের ইমাম কিন্তু আপনার উপর এই বিপদ উপস্থিত, যা আপনি দেখছেন আর বিদ্রোহী নেতা আমাদের সালাত আদায় করাচ্ছে, অথচ এটাকে আমরা গুনাহ বলে মনে করি। তখন তিনি বললেন, মানুষ যে সকল কাজ করে থাকে সেসকলের মধ্যে উত্তম কাজ হলো সালাত। সুতরাং যখন মানুষ ভালো কাজ করবে, তখন তাদের সাথে শরীক হবে। আর যখন মন্দ কাজ করবে, তখন তাদের মন্দ কাজ হতে দূরে থাকবে।’(সহীহ বুখারী, হা/৬৯৫; মিশকাত, হা/৬২৩)

(২). ক্বাতাদা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রাহিমাহুল্লাহ)-কে বললাম, আমরা কি হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পিছনে সালাত আদায় করব? তিনি বললেন, আমরা তার চেয়ে মন্দ ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায় করি।’(ইবনু হাযম আন্দালুসী, আল-মুহাল্লা বিল আছার, বৈরূত: দারুল ফিকর, তাবি, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৩০)

(৩). আবুল হাসান আশ‘আরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
আমরা আমাদের দ্বীনের মধ্যে প্রত্যেক পাপচার ও তাক্বওয়াশীল ইমামের পিছনে জুমু‘আহ, ঈদ, সকল ধরনের সালাত ও জামা‘আতে সালাত আদায় করে থাকি। যেমন: ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফের পিছনে সালাত আদায় করেছিলেন।’(আবুল হাসান আলী ইবনু ইসমাঈল আল-আশ‘আরী, আল-ইবানাতু ‘আন উছূলিদ দিয়ানাতি, কায়রো: দারুল আনছার, ১ম সংস্করণ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩০)

(৪). শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বিদআতী ইমামের পিছনে সালাত আদায়ের মাসআলায় মতভেদ ও ব্যাখ্যা রয়েছে। তাকে ছাড়া যদি অন্য কোন ইমাম না পাওয়া যায়, যেমন কোন শহরে মাত্র এক জায়গায় জুমু‘আহ ও দুই ঈদের সালাত কায়েম করা হয় এবং হজ্জের মৌসুমের সালাত গুলোতে যদি বিদ‘আতী ইমাম ছাড়া অন্য কোন ইমাম না থাকে, তাহলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের ঐকমত্যে এ সালাতগুলো বিদ‘আতী ইমামের পিছনে আদায় করা বৈধ। তবে বিদ‘আতী যদি রাফেযী (শী‘আ) এবং তাদের অনুরূপ হয় যে, জুমু‘আহ ও জামা‘আত আবশ্যক মনে করে না, তাহলে তার পিছনে সালাত বর্জন করতে হবে। আর কোন গ্রাম বা শহরে যদি মাত্র একটি মসজিদ থাকে এবং মসজিদের ইমাম বিদ‘আতী হয়, তাহলে বাড়িতে একাকী সালাত আদায় করার চেয়ে পাপাচারী (বিদ‘আতী) ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা উত্তম। যাতে করে জুমু‘আহ ও জামা‘আত সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত না হয়ে যায়। তবে যদি বিদ‘আতী ছাড়া অন্য ইমামের পিছনে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে সেটাই উত্তম হবে। কিন্তু সুন্নী ইমাম থাকতে বিদ‘আতীর পিছনে আদায়কৃত সালাত বিশুদ্ধ হবে কিনা, এ মাসআলায় আলেমদের মতভেদ ও ব্যাখ্যা রয়েছে। ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) ও আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মতে, সুন্নী ইমাম থাকতে বিদ‘আতী ইমামের পিছনে সালাত সহীহ হবে। আর ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) ও আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর মতে, মাসআলাটি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। যেসব বিদ‘আত আল-কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী যেমন; রাফেযী, জাহমী এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিদ‘আত, এসব বিদ‘আতীর পিছনে সালাত আদায় করা বৈধ নয়। আর দ্বীনের যেসব মাসআলায় অনেক আলেম মতভেদ করেছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলার কালাম অক্ষর ও আওয়াজের সমষ্ঠিগত নাম কি না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে মতভেদকারীদের প্রত্যেকেই বিদ‘আতী হতে পারে। তাদের প্রত্যেকেই অজ্ঞ ও ব্যাখ্যাকারী হতে পারে। এদের একজন অন্যজনের পিছনে সালাত বর্জন করা কখনো উত্তম হতে পারে না। তবে যদি সুন্নাত সুস্পষ্ট হয়, জ্ঞাত হয় এবং কোন একজন তার বিরোধিতা করে, তাহলে তার পিছনে সালাত হবে কি না, এব্যাপারেই কেবল মতভেদ রয়েছে।(তাক্বীউদ্দীন আবুল আব্বাস আহমাদ ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, দারুল ওয়াফা, ৩য় সংস্করণ, ১৪২৬ হি./২০০৫ খ্রি., ২৩তম খণ্ড, পৃ. ৩৫৫)
.
পরিশেষে উভয় পর্যায়ের আলোচনায় এ কথা সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয় যে, বিদ‘আতীর বিদ‘আত যদি স্পষ্ট কুফরী বা শিরকী পর্যায়ের হয়, তাহলে তার পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না। পক্ষান্তরে বিদ‘আত যদি কুফরী বা শিরকী পর্যায়ের না হয় ফাসেকী হয়, তাহলে তার পিছনে সালাত আদায় করা যাবে এবং উভয়ের সালাত বিশুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। এটাই অগ্রগণ্য অভিমত। উল্লেখ্য, বর্তমানেও অসংখ্য জাহমিয়্যা, ক্বাদারিয়া, মু‘তাযিলা, রাফেযী (শী‘আ) ইত্যাদি ভ্রান্ত আক্বীদার আলেম রয়েছে, যারা বিভিন্ন মসজিদে ছদ্মবেশে ইমামতি করে যাচ্ছে। কেউ কেউ বুক ফুলিয়ে তার আক্বীদার প্রচারও করছে। বর্তমানে তো হাদীস অস্বীকারকারী বিদ‘আতীদের উৎপাত বেড়েছে। সুতরাং এ সকল বিদ‘আতীদেরকে চিহ্নিত করে ইমামিতর দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং সর্বত্র তাদেরকে বয়কট করা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ঈমানদার মুসলিমগণের উপর আবশ্যক কর্তব্য। কেননা এরূপ ইমামের পিছনে ফরয সালাত আদায় করলে যদি তা বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তাদের পিছনে সালাত আদায় করার তো কোন প্রশ্নই আসে না। অতএব সাবধান! [সংকলিত আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
______________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।