কুরবানী কি ওয়াজিব নাকি সুন্নত?

যিলহজ্জ ও কুরবানীর ধারাবাহিক ষষ্ঠ পর্ব।

প্রশ্ন: কুরবানী কি ওয়াজিব নাকি সুন্নত? কোনটি সঠিক
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: প্রতি বছর কুরবানী আসলেই একটি প্রশ্ন বিভিন্ন মহল থেকে করতে দেখা যায় কুরবানী কি ওয়াজিব নাকি সুন্নত? কুরবানী ওয়াজিব হোক আর সুন্নত হোক সেটা নিয়ে পড়ে না থেকে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর অন্যতম দায়িত্ব হল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদেশ্যে কুরবানী করা। কারন কুরবানী আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এতে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর সুন্নাত আদায়ের সাথে সাথে প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতও পালন করা হয়। কেননা তিনি নিজে কুরবানী করেছেন এবং তাঁর উম্মতের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ হিসাবে অবশিষ্ট রেখে গেছেন। ফলে ক্বিয়ামত পর্যন্ত কুরবানীর বিধান বলবৎ থাকবে ইনশাআল্লাহ।তাছাড়া এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যাধিক।তবে কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত এই মাসালায় ওলামায় কেরামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে আর দুই মতেরই দলীল রয়েছে। তাই কোন একটার প্রতি পক্ষপাতিত্ব সহজ নয়। যার জন্য কিছু সংস্কারক ও ইসলামিক স্কলার কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পক্ষ সমর্থন করেন। তাঁদের মধ্যে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) ও হানাফি মাজহাব অন্যতম। কিন্তু অধিকাংশ সাহাবা, তাবেয়ীন এবং ফকীহগণের মতে কুরবানী সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ (তাকীদপ্রাপ্ত সুন্নাত)। অবশ্য মুসলিমের জন্য মধ্যপন্থা এই যে, সামর্থ্য থাকতে কুরবানী ত্যাগ না করাই উচিত।বরং উচিত নিজের ও পরিবার-পরিজনের তরফ থেকে কুরবানী করা। যাতে আল্লাহর আদেশ পালনে এবং মহানবী (সা.)-এর অনুকরণে বিরাট সওয়াবের অধিকারী হতে পারে।আল্লাহ তাআলা বলেন,(فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ)অতএব তুমি নামায পড় তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে এবং কুরবানী কর।(সূরা আল কাউসার ২)

উপরোক্ত এই আয়াত আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (সা.)-কে নামায ও কুরবানী এই দু’টি ইবাদাতকে একত্রিত করে পালন করতে আদেশ করেছেন। যে দু’টি বৃহত্তম আনুগত্যের অন্যতম এবং মহত্তম সামীপ্যদানকারী ইবাদত। আল্লাহর রসূল (সা.) সে আদেশ যথাযথভাবে পালন করেছেন। সুতরাং তিনি ছিলেন অধিক নামায কায়েমকারী ও অধিক কুরবানীদাতা। ইবনে উমার (রা.) বলেন,‘‘নবী (সা.) দশ বছর মদীনায় অবস্থানকালে কুরবানী করেছেন।’’[মুসনাদে আহমদ,৪৯৫৫ তিরমিজি,
১৫০৭ মিশকাত, ১৪৭৫ হাদীসটির সনদ জয়ীফ হলেও মর্ম সঠিক মির‘আত ৫/৭১, ৭৩ পৃ.)।
.
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) (৬৯১-৭৫১ হি.) বলেন,إِنَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَدَعُ الْأُضْحِيِّةَ ‘নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো কুরবানী করা থেকে বিরত থাকেননি’।[মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর শামসুদ্দীন ইবনে ক্বাইয়িম আল-জাওযিয়াহ, যাদুল মা‘আদ ফী হাদই খায়রিল ইবাদ (বৈরূত মুওয়াস্সাসাতুর রিসালাহ, ২৭ তম সংস্করণ ১৪১৫ হি./১৯৯৪ খ্রি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৩১৭)
.
আনাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক কুরবানীর ঈদে ধূসর রং ও শিংওয়ালা দু’টি দুম্বা কুরবানী করলেন। নিজ হাতে তিনি এ দুম্বা দু’টিকে বিস্মিল্লা-হ ও আল্ল-হু আকবার বলে যবেহ করলেন। আমি তাকেঁ (যবেহ করার সময়) দুম্বা দু’টির পাঁজরের উপর নিজের পা রেখে ‘বিস্মিল্লা-হি ওয়াল্ল-হু আকবার’ বলতে শুনেছি। (সহীহ বুখারী ৫৫৬৫, মুসলিম ১৯৬৬, আত্ তিরমিযী ১৪৯৪, নাসায়ী ৪৩৮৭, ইবনু মাজাহ্ ৩১২০, আহমাদ ১৩২০২, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৮৯৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯১৬০, ইরওয়া ১১৩৭, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৫৪৩। মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৪৫৩)
.
যেমন তিনি তাঁর কর্ম দ্বারা কুরবানী করতে উম্মতকে অনুপ্রাণিত করেছেন, তেমনি তিনি তাঁর বাক্য দ্বারাও উদ্বুদ্ধ ও তাকীদ করেছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি (ঈদের) নামাযের পূর্বে যবেহ করে সে নিজের জন্য যবেহ করে। আর যে নামাযের পরে যবেহ করে তার কুরবানী শুদ্ধ হয় এবং সে মুসলমানদের তরীকার অনুসারী হয়।’’(সহীহ বুখারী ৫২২৬)
.
তিনি আরো বলেছেন,সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’(মুসনাদে আহমদ,৮০৭৪ দারাকুৎনী, মির‘আত বেনারস ৫/৭২; নায়লুল আওত্বার ৬/২২৭ পৃঃ ইবনু মাজাহ হা/৩১২৩)
.
তবে কোনো সুস্পষ্ট সহীহ হাদীস দ্বারা কুরবানী ওয়াজিব প্রমাণিত না হলেও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সর্বদা কৃত আমল দ্বারা কেউ কেউ মনে করেন তা ওয়াজিব। যেমন- ‘আল-হিদায়া’ গ্রন্থকার ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)-এর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, প্রত্যেক স্বাধীন, ধনী ও ঘরে অবস্থানকারী মুসলিমের উপর কুরবানী ওয়াজিব।(আবুল হাসান আলী ইবনু আবুবকর আল-মারগিনানী, আল-হিদায়াহ (দিল্লী ছাপা, তাবি), ৪র্থ খ-, পৃ. ৪৪৩)
.
জেনে রাখা ভালো যে, ইসলামী শরী‘আতের কোন বিধান মানব মস্তিষ্কপ্রসূত বাণী, অভিমত, যুক্তি অথবা কোন যঈফ-জাল হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হয় না। যে হাদীসের ভিত্তিতে কুরবানীকে ওয়াজিব দাবী করা হয় সেটা বিশুদ্ধ নয়।হাদীসটি হল আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, كُتِبَ عَلَيَّ النَّحْرُ وَلَمْ يُكْتَبْ عَلَيْكُمْ ‘আমার উপর কুরবানীকে ফরয করা হয়েছে, কিন্তু তোমাদের উপর ফরয করা হয়নি’।(মুসনাদে আহমাদ, হা/২৯২০; দারাকুৎনী, হা/৪৮১৩; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১১৮০২; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৯০৩১; মিশকাত, হা/৫৭৭৫ সনদ জয়ীফ বিস্তারিত দেখুন সিলসিলাতুল আহাদীছিয যঈফাহ ওয়াল মাওযূ‘আহ, ৬ষ্ঠ খ-, পৃ. ৪৯৩, হা/২৯৩৭-এর আলোচনা দ্র.; বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : ফাৎহুল বারী শারহু সহীহিল বুখারী, ১০ম খ-, পৃ. ৩-৪)
.
তবে কুরবানী যে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তার একটি বড় প্রমান
নিম্নলিখিত হাদীস থেকে পাওয়া যায় যেমন,উম্মে সালামাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,‘যখন যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ তারিখ শুরু হয়, আর তোমাদের মধ্যে কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেন নিজের চুল বা শরীরের কোন অংশ স্পর্শ না করে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, সে যেন চুল না কাটে এবং নখ না কাটে। অন্যত্র রয়েছে, যে ব্যক্তি যিলহজ্জের নতুন চাঁদ দেখে এবং কুরবানী করার ইচ্ছা করে, সে যেন নিজের চুল না ছাঁটাই করে এবং নখসমূহ না কাটে’।(সহীহ মুসলিম, হা/১৯৭৭; তিরমিযী, হা/১৫২৩, সনদ সহীহ; মিশকাত হা/১৪৫৯)

উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী করতে চায়’ এ হাদীসটি প্রমাণ করে কুরবানী ওয়াজিব না কেননা কুরবানীকে ন্যাস্ত করা হয়েছে ইচ্ছার উপর। বলা হয়েছে (وَأَرَادَ) যে ইচ্ছা করে। আর যদি ওয়াজিব হত তাহলে ইচ্ছার উপর ন্যাস্ত করত না।এছাড়াও আরো বহু প্রমান রয়েছে যেমন:-

▪️(১)লোকেরা যাতে এটাকে ওয়াজিব মনে না করে, সেজন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব, ওমর ফারূক্ব, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবীগণ কখনো কখনো কুরবানী করতেন না (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৯৫০৬-৭, সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল, হা/১১৩৯, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৫৪) মির‘আত ৫/৭২-৭৩; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/১০)

▪️(২)আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পক্ষে ছিলেন না। [আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী, ৯/২৬৫; এর সনদ সহীহ]

▪️(৩) বিলাল রাযিয়াল্লাহু আনহু কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পক্ষে ছিলেন না। [আল মুহাল্লা লি ইবনে হাযম, ৭/৩৫৮; এর সনদ সহীহ]

▪️(৪). আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এটি একটি সুন্নত এবং ভালো কাজ। [সহীহুল বুখারীর তালীক, ২/৮৩২; তাগলীকুত তালীক লি ইবনে হাজর, ৫/৩; এর সনদ সহীহ] হাফিয ইবনে হাজর এর সনদকে জাইয়েদ বলেছেন।

▪️(৫)ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, اَلْأُضْحِيَّةُ سُنَّةٌ وَلَيْسَتْ بِوَاجِبَةٍ ‘কুরবানী করা সুন্নাত, ওয়াজিব নয়’।[তিরমিযী (ইফাবা অনুবাদ), পৃ. ৮০, ১৩নং রেওয়াত দ্র.; মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালিক, পৃ. ১৮৯)

▪️(৬)ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, الضَّحَايَا سُنَّةٌ لَا أُحِبُّ تَرْكَهَا ‘কুরবানী সুন্নাত’, এই সুন্নাত ত্যাগ করা আমি পছন্দ করি না’।(আবূ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস আশ-শাফেঈ, আল-উম্ম (বৈরূত : দারুল মা‘আরিফাহ, ১৪১০ হি./১৯৯০ খ্রি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৩)

▪️(৭)হানাফী মাযহাবের ইমাম আবু ইউসুফ, মালিকী মাযহাবের ইমাম আশহাব এবং অধিকাংশ আলিমের মতে, তা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা।(ফাৎহুল বারী শারহু ছহীহিল বুখারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৩।)

▪️(৮)ইমাম ইবনু হাযম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, কুরবানী ওয়াজিব নয়। এটি কোন ছাহাবী থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়নি।(. لَا يَصِحُّ عَنْ أَحَدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ أَنَّهَا وَاجِبَةٌ-
ফাৎহুল বারী শারহু ছহীহিল বুখারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৩)

▪️(৯)ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আহলে ইলম বা কুরআন-হাদীছের জ্ঞানীদের আমল ছিল এই যে, কুরবানী ওয়াজিব নয়, বরং নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।(তিরমিযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৮২; ফাৎহুল বারী শারহু ছহীহিল বুখারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৩)

▪️(১০) আল্লামাহ ইবনে হাযম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন সাহাবি থেকে কুরবানী ওয়াজিব হওয়া প্রমাণিত নয়। [আল মুহাল্লা বিল আসার, ৬/১০]

▪️(১১). আল্লামাহ শাতিবি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, সাহাবাগন কুরবানী করা জরুরি মনে করতেন না। [আল ইতিসাম, ২/৬০২]

▪️(১২)ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসীনদের কাছেও কুরবানী করা সুন্নত।

পরিশেষে,উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কুরবানী করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত, ফরয বা ওয়াজিব নয়।
তবে কুরবানীতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের খাতে অর্থব্যয় (ও স্বার্থত্যাগ) হয়। যাতে তাওহীদবাদীদের ইমাম ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর সুন্নাহ জীবিত হয়। ইসলামের একটি প্রতীকের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। পরিবার ও দরিদ্রজনের উপর খরচ করা হয় এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য হাদিয়া ও উপঢৌকন পেশ করা হয়। এত কিছুর মাধ্যমে মুসলিম ঈদের খুশীর স্বাদ গ্রহণ করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আনুগত্য করতে পেরেই মুসলিম আনন্দলাভ করতে পারে। সেই খুশীই তার আসল খুশী।আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন (আল্লাহই অধিক জ্ঞানী)।
________________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।