একজন মুমিনের মৃত্যুর পূর্ব সময় থেকে শুরু করে কবরস্থ করার পর পর্যন্ত কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে করনীয় ও বর্জনীয় অষ্টম পর্ব

প্রশ্ন:মাইয়্যেত গোসলের জন্য গোসলদাতার অপরিহার্য শর্তগুলো কী কী? এবং এতে কী কী সাওয়াব রয়েছে? গোসলের বিধিবিধানগুলো কী কী?মৃতের গোসল করানোর সহীহ পদ্ধতি কি?।
▬▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬▬
জরুরি কারন ছাড়া বিলম্ব না করে কিছু লোকের মাইয়্যেতকে গোসল দেওয়ার ব্যবস্থা করা জরুরী। মাইয়্যেতকে দ্রুত গোসল করানো ও কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা ফরজে কিফায়া।(সহীহ বুখারী, হা/১৩১৫, (ইফাবা হা/১২৩৬, ২/৩৯২ পৃ.); মিশকাত, হা/১৬৪৬)।যিনি মাইয়্যেত গোসল করাবেন তার জন্য অর্থাৎ যে ব্যক্তি গোসল দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তার জন্য রয়েছে বিরাট পরিমাণের সওয়াব। তবে এই সওয়াব লাভের শর্ত হল দুটি।প্রথমতঃসে যেন এ কাজ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করে এবং কোন প্রকারের পার্থিব প্রতিদান,স্বার্থ বা কৃতজ্ঞতা লাভের আশায় না করে। দ্বিতীয়তঃসে যেন মৃতের সকল ত্রুটি গোপন করে এবং অপ্রীতিকর কিছু দেখলে তা কারো কাছে প্রকাশ না করে।নবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে গোসল দেয় এবং তার সকল ত্রুটি গোপন করে আল্লাহ তাকে ৪০ বার ক্ষমা করে দেন।” আর এক বর্ণনায় আছে, “৪০টি কাবীরাহ গোনাহ মাফ করে দেন।” (হাকেম ১/৩৫৪ ৩৬২, বাইহাকী ৩/৩৯৫, মাযমাউয যাওয়াইদ ৩/২১)। অপর বর্ননায় তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি কোন মুদাকে গোসল দেয় এবং তার ত্রুটি গোপন করে, আল্লাহ সে ব্যক্তির গোনাহ গোপন (মাফ) করে দেন। আর যে ব্যক্তি মুর্দাকে কাফনায় আল্লাহ তাকে (বেহেস্তী) ফাইন রেশমের বস্ত্র পরিধান করাবেন।” (ত্বাবারানী কাবীর, সহীহুল জামে’ ৬৪০৩)
.
গোসল দেওয়ার অধিক হকদার সেই ব্যক্তি যাকে মাইয়্যেত জীবিতাবস্থায় অসিয়ত করে যাবে। তা না হলে তার সবচেয়ে অধিক নিকটাত্মীয় গোসল দেবে। অবশ্য যে ব্যক্তি গোসলের সুন্নাহদির অধিক জ্ঞান রাখে এবং যার মধ্যে আমানতদারী; কথায়, কাজে নামাযে ও দ্বীনদারীতে বেশী আমানতদারী আছে।তাকেই এ কাজের জন্য প্রাধান্য দেওয়া উচিত।অবশ্য স্ত্রীর জন্য স্বামীকে গোসল দেওয়া এবং স্বামীর জন্য স্ত্রীকে গোসল দেওয়া অধিক শোভনীয় ও সমীচীন। যেহেতু দাম্পত্য জীবন থেকেই উভয়েই এক অপরের দেহের গোপনীয়তা রক্ষায় যত্নশীল। তাই এই বিদায় মুহূর্তেও সেই গোপনীয়তার সাথেই শেষ খেদমত পাওয়ার উভয়েই উপযুক্ত।মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘যা হয়ে গেছে তা যদি আবার ফিরে আসত তাহলে নবী (ﷺ)-কে তাঁর স্ত্রীগণ ছাড়া অন্য কেউ গোসল দিত না।”(ইবনু মাজাহ, হা/১৪৬৫; ইরওয়াউল গালীল, হা/৭০০, ৩/১৬০ পৃ.; হাকেম, হা/৪৭৬৯; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/৬৯০৭; বায়হাক্বী, মা‘রেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, হা/২১৫৭; দারাকুৎনী, হা/১৮৭৩; সনদ হাসান, ইরওয়াউল গালীল, হা/৭০১)
◾মৃতের গোসল করানোর সহীহ পদ্ধতি কি?
_______________________________________
▪️(১)গোসল দেওয়ার জন্য স্থানটি পাঁচ দিকে ঘেরা হবে। (উপর দিকেও ছাদ অথবা পর্দা হতে হবে।)এবং পূর্ণ আদবের সাথে বরইপাতা দেয়া পানি এবং সাবান দিয়ে গোসল করাবে।(ছহীহ বুখারী, হা/১২৫৩, ১২৫৪, (ইফাবা হা/১১৮০, ২/৩৬২ পৃ.); মিশকাত, হা/১৬৩৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৫৪৬, ৪/৪৮)।
.
▪️(২). গোসলদাতা সহায়তার জন্য ২/১ জন ভালো লোক সঙ্গে নিতে পারে। বাকি ঐ পর্দারসীমার ভিতরে যেন কেউ না থাকে ও গোসল না দেখে। অবশ্য গোনাহ করে এমন লোককেও সঙ্গে রাখা চলে। যাতে সে মুর্দার হাল দেখে উপদেশ গ্রহণ এবং তাওবা করতে পারে। আর উপদেশের জন্য মৃত্যু যথেষ্ট।
.
▪️(৩). গোসলদাতা নিজের মুখ বন্ধ করে নিতে পারে অথবা নাকে-মুখে কাপড় বেঁধে নিতে পারে; যদি দুর্গন্ধ পাওয়ার কোন রকম আশঙ্কা থাকে তবে। অতিরিক্ত এমন কোন কাপড় শরীরের সম্মুখ ভাগে বেঁধে নিতে পারে যাতে কোন নাপাকী তার শরীর বা পোশাকে লেগে না যায়। উভয় হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরা উত্তম। যাতে হাতে ময়লা না লাগে এবং লাশের লজ্জাস্থান সরাসরি স্পর্শ না হয়।
.
▪️(৪). একই উদ্দেশ্যে দুই পায়ে গাম-বুট ব্যবহার করতে পারে।
.
▪️(৫). মাইয়্যেতের দেহ অনুযায়ী পরিমাণমতো পানি প্রস্তুত রাখবে। ১ বালতি সাদা সাধারণ পানি, ১ বালতি বড়ই পাতা মিশ্রিত পানি এবং অপর আর ১ বালতি কর্পূর মিশ্রিত পানি প্রস্তুত রাখবে। বড়ই পাতা পিষে পানিতে দিয়ে এমনভাবে ঘটবে যাতে পানিতে ফেনা দেখা যায়। প্রতি লিটার পানিতে দুই টুকরা কপুর দিতে হবে। এর সঙ্গে প্রয়োজনে সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করাও উত্তম।
.
▪️(৬). লাশ তুলে আস্তে করে একটি তক্তা বা কাঠের উপর রাখবে। এ তক্তার যেদিকে লাশের মাথা রাখা হবে সেদিকটা যেন একটু উঁচু হয়।যাতে কোমরের দিকের পানি পায়ের দিকে গড়িয়ে নেমে পড়তে পারে। এই তক্তা কেবলামুখী হওয়া জরুরি নয়। উল্লেখ্য যে, লাশ তোলা-নামা করার সময় লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহর যিকির করা বিদআত। এরপর লাশের লজ্জাস্থানের উপর একটি মোটা কাপড় রেখে গায়ের সমস্ত কাপড় খুলে ফেলবে। নবী (সা.)-এর যুগে এরূপই আমল ছিল (হাকেম- ৩/৫৯-৬০)। উল্লেখ্য যে, নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর ও লজ্জাস্থান দেখা সকলের জন্যই হারাম। মহিলা গোসলদাত্রীও মহিলার ঐ স্থান দেখবে না।
.
▪️(৭). বরফে জমা লাশ হলে অথবা কোন কাপড় খুলতে অসুবিধা হলে কাপড় কেটে বের করে নেবে।
.
▪️(৮).নখ,গোঁফ ইত্যাদি কেটে ফেলার ব্যাপারে হাদীসে কোন নির্দেশ আসেনি। কোন কোন আলেম এসব কাটা বিদআত বলেছেন।(আহকামুল জানায়ে ১৪পৃঃ, মুজামুল বিদা ১২৯পৃঃ)।
.
▪️(৯). নাক ও মুখের ভিতরে ময়লা থাকলে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে পরিষ্কার করে নেবে। এগুলো দিয়ে ময়লা বের হতে থাকলে তুলা বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে ছিদ্র পথ বন্ধ করে দেবে।
.
(১০). মাইয়্যেতের দেহের কোন অংশে জমাট বাঁধা ময়লা থাকলে এবং কুলের পাতা দ্বারা দূর হলে তা সাবান অথবা অন্য কিছু দিয়ে পরিষ্কার করে নেবে।
.
(১১). বাম হাতে (গ্লাভসের উপরেই) একটি ন্যাকড়া জড়িয়ে নেবে। অতঃপর সাথী-সঙ্গীদের সাহায্যে লাশের মাথার দিক একটু তুলে অর্ধ বসার মতো বসাবে এবং ধীরে ধীরে ২/৩ বার পেটের উপর চাপ দেবে যাতে পেটে কোন নাপাকী থেকে থাকলে তা বের হয়ে যায়। ময়লা ন্যাকড়া হাত থেকে খুলে ফেলবে। তারপর গোসলদাতা গ্লাভস বা ন্যাকড়া জড়ানো বাম হাত পর্দার নিচে থেকে লজ্জাস্থান মাজাঘষা করে এবং উপর থেকে একজন পানি ঢেলে পরিষ্কার করে দেবে। তারপর গ্লাভস অথবা ময়লা ন্যাকড়াটি হাত থেকে খুলে ফেলবে।
.
(১২). ধোয়ার পরও যদি নাপাকী বারবার বের হতে থাকে, তাহলে ২/৩ বার ধুয়ে ফেলার পর ছিদ্র পথ তুলা বা কাপড়ের টুকরা দ্বারা বন্ধ করে দেবে। প্রয়োজন হলে এর উপর প্লাস্টার পট্টি ব্যবহার করতে পারে। তবে ন্যাকড়া ব্যবহার করাই উত্তম।
.
(১৩). অতঃপর গোসলদাতা গোসল দেবার নিয়ত করে ডান দিক থেকে মাইয়্যেতের উভয় হাত বিসমিল্লাহ বলে কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে দেবে। (ভিজে পরিষ্কার ন্যাকড়ার সাহায্যে) তিনবার মুখের ভিতর দাঁতসহ মাসেহ করবে। তিনবার নাকের ভিতর মাসেহ করে দেবে।তিনবার বা তিনের অধিক বেজোড় সংখ্যায় পানি ঢালা যাবে।
অতঃপর সাধারণ ওযূর ন্যায় মুখমণ্ডল,হাত ইত্যাদি যথা নিয়মে ধুইয়ে মাথা ও কান মাসেহ করে পা ধুইয়ে মাইয়্যেতকে ওযু করিয়ে দেবে। তবে নাকে ও মুখে পানি দেবে না।(ছহীহ বুখারী, হা/১২৫৪, (ইফাবা হা/১১৮০, ২/৩৬২ পৃ.); ছহীহ মুসলিম, হা/৯৩৯; মিশকাত, হা/১৬৩৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৫৪৬, ৪/৪৮)
মাইয়্যেত জিহাদের ময়দানে নিহত শহীদকে গোসল দিতে হয় না(সহীহ বুখারী, হা/১৩৪৩, (ইফাবা হা/১২৬২, ২/৪০৫ পৃ.); বুলূগুল মারাম, হা/৫৩৭; তালখীছ, পৃ. ২৮-৩৩)
.
(১৪). অতঃপর কুলের পাতা মিশ্রিত পানি দ্বারা মাইয়্যেতের মাথা ও মুখমণ্ডল (দাড়িসহ) উত্তমরূপে ধৌত করবে। মহিলার মাথায় খোপা বাঁধা থাকলে তা খুলে নিয়ে ভালোরূপে এবং প্রয়োজন হলে শ্যাম্পু দ্বারা ধৌত করবে।
.
(১৫). অতঃপর মাইয়্যেতকে বামপার্শ্বে শয়ন করিয়ে ঐ পানি দ্বারা কাঁধ থেকে শুরু করে ডান পায়ের শেষাংশ পর্যন্ত ভালোভাবে মাজা-ঘষা করে দেবে। তারপর ডান কাতে শুইয়ে বাম পাশ অনুরূপ ধৌত করবে। পর্দার নিচে লজ্জাস্থানে কাপড় মোড়ানো হাত বুলিয়ে ধুয়ে দেবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয়বার ঐ একই পানি দ্বারা একই রূপে গোসল দেবে। অতঃপর কর্পূর মিশ্রিত পানি দ্বারা মাথা ও মুখমণ্ডল ধুয়ে দেওয়ার পর এভাবে আরেকবার গোসল দেবে। এরপরেও নাপাকী দেখা গেলে তিনের অধিক ৫ ও ৭ বার বা ততোধিকবার বিজোড় সংখ্যায় গোসল দেওয়া যায়। তবে শেষ বারে যেন কপূর মিশ্রিত পানি দ্বারা গোসল হয়।(সহীহ বুখারী: ১১৭৫)
.
(১৬). এরপর শুষ্ক কাপড় দ্বারা মাইয়্যেতের দেহ মাথা, বুক, মুখ, পেট, হাত, পা মুছে দেবে । লজ্জাস্থানের উপর ভিজা কাপড়টিকে সরিয়ে অন্য একটি শুকনা কাপড় দিয়ে দেবে। মাইয়্যেতের চুল আঁচড়ে দেবে। (সহীহ বুখারী: ১১৭৬) মহিলার চুল আঁচড়ে বেণী গেঁথে কাফনের সময় লাশের পিছন দিকে ফেলে রাখবে। মাথার দুই পাশে দুটি এবং সামনের দিকে চুল নিয়ে একটি, মোট তিনটি বেণী করবে।(আহমাদ- ৫/৮৪-৮৫ ছহীহ বুখারী, হা/১২৫৩, ১২৫৪, (ইফাবা হা/১১৮০, ২/৩৬২ পৃ.); মিশকাত, হা/১৬৩৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৫৪৬; তালখীছ, পৃ, ২৮-৩০)।এ পর্যন্ত করলে লাশ কাফনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে ।
.
(১৭)লাশের কোন অঙ্গ অগ্নিদগ্ধ বা কোন দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে থাকলে কাপড় জড়িয়ে গোসলের পর ঐ অঙ্গে মাসাহ করে দেবে।। চারমাসের নিষ্মের গর্ভপাতজনিত ভ্রূণের গোসল, কাফন ও নামায নেই। একটি ছোট কবর খুঁড়ে তাকে দাফন করা হবে। চার মাসের উর্ধের ভ্রূণের কাফন-দাফন সাত বছরের নিম্মের বালক-বালিকার মতই। সুতরাং ঐ প্রাণের নাম রাখতে হবে এবং আকীকাও দিতে হবে। (আহকামুল জানাইয ৮১পৃঃ, আলবিজাযাহ ৭৫পৃঃ, আশ-শারহুল মুমতে’৫/৩৭৪, ৭/৫৩৯)
.
(১৮)সর্বদা মাইয়্যেতের সম্মানের খেয়াল রাখবে গোসলদাতা, যাতে গোসল দেওয়ার সময় বা অন্যান্য ক্ষেত্রে তার প্রতি ধস্তাধস্তি না হয় ও গোসলে শীতের সময় শীতল এবং গ্রীষ্মের সময় খুব গরম পানি ব্যবহার না করা হয়।
.
(১৯)লাশের মুখে বাঁধানো সােনার দাঁত থাকলে যদি মুখ এঁটে বন্ধ থাকে, তাহলে বল প্রয়োগ করে খোলার চেষ্টা করবে না। খোলা থাকলে এবং দাঁত সহজে বের করা সম্ভব হলে বের করে নেবে, নচেৎ বলপূর্বক বের করবে না। (আলবিজাযাহ ৭৫পৃঃ)
.
(২০)মাইয়্যেতের গোসল দেওয়ার সময় গোসলদাতা যদি তার কোন ত্রুটি বা অপ্রীতিকর কিছু দেখে থাকে – যেমন চেহারা কালি ও বিকৃত হয়ে যাওয়া, তার দেহ হতে দুর্গন্ধ বের হওয়া ইত্যাদি – তাহলে তা প্রচার করা বা কাউকে বলা বৈধ নয়। ভালো কিছু দেখলে; যেমন হাসি মুখ, দেহে ঔজ্জ্বল্য প্রভৃতি দেখলে বা সুগন্ধ পেলে তা প্রচার করতে পারে। (আল-মুমতে’৫/৩৭৬) গোসল দেওয়ার সময় কোন বাংলা মেয়েলী ছড়া বলা, প্রত্যেক অঙ্গে পানি ঢালার সময় নির্দিষ্ট দুআ বা কলেমার যিকর করা, গোসল দেওয়ার স্থানে কয়েকদিন ধরে বাতি জ্বালানো বা ধুপ ইত্যাদি দেওয়া বিদআত।
.
(২১)গোসল দেওয়ার সময় ব্যবহৃত ন্যাকড়াদি ফেলবার কোন নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। (মাটির) বাড়ির মধ্যেই যে কোন জায়গায় বা যেখানে। সুবিধা সেখানেই পুঁতে দেওয়া অথবা মিউনিসিপ্যালিটির ডিব্বায় ফেলে দেওয়া যায়। এ কাপড় বা ময়লা এমন কিছু নয় যে, এতে ভূত (?) জড়িয়ে থাকে- যেমন, অনেকের ধারণা। তাইতো এগুলো ঝুলতলায় (?) ফেলা হয় এবং ঝুলতলাকে সম্মাান অথবা ভয় করা হয়। আর ঐ ময়লা ফেলতে যাওয়ার সময় সঙ্গে লোহাও রাখা হয়। যা বিদআত ও শির্ক।অনুরূপ একটি অলীক ধারণা এই যে, অনেকে মনে করে লোয়ানোর পানি ডিঙ্গাতে নেই এবং ডিঙ্গালে কোন অমঙ্গল হয়। তাই তো ঐ পানির জন্য (নিকাশ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও) বিশেষ গর্ত খোড়া হয়।
(নোট ফিকহুল ইবাদত, জানাজা দর্পন আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_________________________
উপস্থাপনায়ঃ
জুয়েল মাহমুদ সালাফি