একজন ধূমপায়ী ব্যক্তি ধূমপান করার সময় তার পাশে বসে থাকার হুকুম কি

সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] প্রশ্ন করা হয়েছিল: শাইখ ধূমপান সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি কারো অজানা নয়; কর্মস্থলে, বাড়ীতে ও পাবলিক স্থানগুলোর সবখানে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ধূমপায়ীদের সাথে বসে থাকা কি জায়েয? কোন ধূমপায়ীর সাথে আপনি নিজগৃহে কিংবা সাধারণ স্থানে বসে থাকলে তাকে রেখে কি উঠে যেতে হবে কিংবা সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে?
.
জবাবে শাইখ উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, যেমনটি প্রশ্নকারী ভাই উল্লেখ করেছেন সাধারণ দলিল প্রমাণের ভিত্তিতে ধূমপান হারাম। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সুনির্দিষ্ট কোন দলিল নেই। কারণ ধূমপান পরবর্তী যামানায় উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে, শরয়ি নীতিমালা সাধারণ এবং কোন কোন দলিলে ধূমপান হারাম হওয়ার ইঙ্গিত একেবারেই সুনির্দিষ্ট। যদি আপনার পাশে কোন ধূমপায়ী থাকে এবং ধূমপান করতে চায় তাহলে আপনি তাকে কোমল ভাষায় উপদেশ দিন; আপনি বলুন: ভাই, ধূমপান করা হারাম ও অবৈধ।

আমার ধারণা আপনি যদি তাকে কোমল কথা দিয়ে উপদেশ দেন সে শুনবে; এটি পরীক্ষিত। আমাদের যেমন এ ধরণের অভিজ্ঞতা আছে; অন্যদেরও অভিজ্ঞতা আছে। যদি এরপরও তিনি ধূমপান চালিয়ে যান তাহলে আপনার কর্তব্য হবে তাকে ছেড়ে চলে যাওয়া; আল্লাহ তাআলার সে বাণীর কারণে: “কিতাবে তিনি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে, আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এবং তা নিয়ে বিদ্রূপ করা হচ্ছে, তখন যে পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত না হবে তোমরা তাদের সাথে বসো না, নয়তো তোমরা তাদের মত হবে।”[সূরা নিসা৪/ ১৪০] তবে, পাবলিক স্থানগুলোর ক্ষেত্রে এ বিধান। আর কর্মস্থলের ক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে নসীহত করেন কিন্তু সে না শুনে এতে করে উক্ত চাকুরীতে বহাল থাকলে আপনার গুনাহ হবে না। কারণ এক্ষেত্রে আপনি নিরুপায়; আপনি এ অবস্থাকে এড়াতে পারবেন না। (শাইখ উসাইমীন লিকাউল বাব আল-মাফতুহ’,৫৪/১০১ ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৮২২) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।