উমরাহ-এর গুরুত্ব ও ফজিলত এবং ওমরা ফরয হওয়ার শর্তাবলী, রুকন, ওয়াজিব, সুন্নাহসমুহ

প্রশ্ন: উমরার সংজ্ঞা কি?উমরাহ-এর গুরুত্ব ও ফজিলত কি? ওমরা ফরয হওয়ার শর্তাবলী, রুকন, ওয়াজিব, সুন্নাহসমুহ কি কি? বিস্তারিত বর্ননাসহ
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
🔰উমরার সংজ্ঞা: ইসলামী শরী‘আতের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বছরের যে কোনো সময় মসজিদুল হারামে গমন করে নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পাদন করাকে উমরাহ বলা হয়।

🔰উমরাহ-এর গুরুত্ব ও ফজিলতঃ
______________________________
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘উমরাহ; এক উমরাহ থেকে পরবর্তী উমরাহর মধ্যবর্তী সময়ে যা কিছু পাপ (সগীরা) কাজ ঘটবে তার জন্য কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত করে)’’।[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬৫০]

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় রমযান মাসের উমরাহ একটি হজের সমান।’'[মিশকাত, হাদীস নং ২৫০৯]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘রমযান মাসে উমরাহ পালন করা -আমার সাথে হজ করার ন্যায়।’’[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৬ ও ৩০৩৯]

হাদিসে এসেছে, ‘রমজান মাসে উমরা করা এক হজ্জের সমান।’[তিরমিযী: হাদিস নং ৮৬১ ; ইবনে মাজাহ : হাদিস নং ২৯৮২]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনদশায় ৪ বার উমরাহ করেছেন।[মিশকাত, হাদীস নং ২৫১৮]

মসজিদুল হারামে প্রবেশ করা থেকে শুরু করে তাওয়াফ, সা‘ঈ ও হালাল হয়ে উমরাহ সম্পন্ন করতে ২-৩ ঘন্টা সময় লাগে মাত্র।

🔰উমরা আদায়ের লক্ষ্যে কুরআন-হাদীসের নির্যাস নিম্ন লিখিত সংক্ষিপ্ত বিষয়গুলি সকলের জন্য অনুসরণীয়:
_______________________________
◾[ক]একনিষ্ঠতার সাথে শুধুমাত্র আল্লাহ্‌কে রাযী-খুশী করার জন্য ওমরা পালন করা।[সূরা আনআম, ১৬২ সূরা কাহফ ১১০]

◾[খ] উহা পালনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের তরীকা ও পদ্ধতি অনুসরণ করা।[মুসলিম হা/১৭১৮]

◾[গ]হালাল বা বৈধ উপার্জন থেকে ওমরা পালন করা। কেননা হালাল উপার্জন ছাড়া ইবাদত কবুল হয়না।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০]

◾[ঘ]ওমরার বিধান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করা। কেননা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা সবার জন্য ফরজ।[ইবনে মাজা,২২৪]

◾[ঙ]পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত সঠিকভাবে আদায় করা। কেননা সালাত আদায় না করলে ওমরা করে কোন লাভ নেই।[মুসলিম ৮২, আবূ দাঊদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিযী ২৬২০]

◾[চ]যাবতীয় শির্‌ক, বিদআত ও পাপাচার থেকে বিরত থাকা।[সূরা নিসা: ৩৬, ৪৮ মায়েদা:৭২]

🔰ওমরাহ ফরয হওয়ার শর্তাবলী:
_____________________________
◾(১) মুসলিম হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ, নিশ্চয় মুশরিকরা নাপাক, সুতরাং তারা যেন মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয় তাদের এ বছরের পর।’[সূরা তাওবা: ২৮]
বুঝা গেল, এতে যেকোনো ইবাদত সহীহ ও কবুল হওয়ার জন্য মুসলিম হওয়া পূর্বশর্ত।

◾(২) জ্ঞান সম্পন্ন হওয়াঃ বিবেকশূন্য ব্যক্তির ওপর হজ-উমরা জরুরী নয়। কারণ সে ইসলামের বিধি-বিধান জানা এবং আল্লাহর আদেশ বুঝার ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং সে দায়িত্ব পালনে অক্ষম। তাই আল্লাহর নির্দেশ পালনে সে আদিষ্ট নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বাচ্চা, পাগল ও ঘুমন্ত ব্যক্তির ওপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়।’[ইবন মাজাহ্‌ : ২৪০২]

◾(৩) স্বাধীন হওয়া। [আহমাদ, আবু দাউদ, নাসায়ী]

◾(৪) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়াঃ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চা-যদিও সে বুঝার মত বা ভালো-মন্দ পার্থক্য করার মত জ্ঞান রাখে- তার জন্য হজ-উমরা আবশ্যক নয়। কেননা তার জ্ঞান ও শক্তি এখনো পূর্ণতা পায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,তিনজন থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে: (তন্মধ্যে) শিশু থেকে, যতক্ষণ না সে যৌবনে উপনীত হয়।’[তিরমিযী: ৩২৪১] অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘এবং শিশু থেকে যতক্ষণ না সে বালেগ হয়।[আবু দাউদ: ৩০৪৪] তবে বাচ্চারা যদি হজ বা উমরা আদায় করে, তবে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। ইবন আব্বাস রা. বলেন, ‘একজন মহিলা একটি শিশুকে উঁচু ধরে জানতে চাইল, ‘হে আল্লাহর রাসূল, এর জন্য কি হজ রয়েছে?’ তিনি বললেন.‘হ্যাঁ, আর সওয়াব হবে তোমার।’[মুসলিম : ২/৪৭৯]

◾(৫) অর্থিক ও শারীরিক ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়াঃ
মহান আল্লাহ বলেন, এবং সামর্থবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বাইতুল্লাহ্‌র হজ করা ফরয। আর যে কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।’[আলে ইমরান: ৯৭] আপনার কোন ঋণ থেকে থাকলে হজ করার পূর্বেই তা পরিশোধ করে নিন। যাকাত, কাফফারা ও মানত ইত্যাদি পরিশোধ না করে থাকলে তাও আদায় করে নিন। কেননা এগুলো আল্লাহর ঋণ। মানুষের ঋণও পরিশোধ করে নিন। মনে রাখবেন, যাবতীয় ঋণ পরিশোধ ও হজের সফরকালীন সময়ে পরিবারের ব্যয় মেটানোর ব্যবস্থা করে হজের কার্যাদি সম্পন্ন করার মত অর্থ-কড়ি বা সামর্থ যদি আপনার থাকে তাহলে হজে যেতে আপনি আর্থিকভাবে সামর্থবান।

◾(৬) মহিলার জন্য স্বামী অথবা মাহরাম থাকাঃ ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম আহমদ রহ.-এর মতে সফরের দূরত্বে গিয়ে হজ করতে হলে মাহরাম সাথে থাকা শর্ত। যে মহিলার মাহরাম নেই তার ওপর হজ ফরয নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,কোন মহিলা যেন মাহরাম ছাড়া সফর না করে আর কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সাথে মাহরাম থাকা ছাড়া তার কাছে না যায়।’এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি অমুক অমুক যুদ্ধে যাবার ইচ্ছা করেছি। এদিকে আমার স্ত্রী হজের ইচ্ছা করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে যাও।’[বুখারী : ১৮৬২] ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন মহিলা যেন মাহরাম ছাড়া কখনো হজ না করে।’[দারা কুতনী: ২/৩০]

🔰ওমরার রুকন ও তার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
_____________________________
হজ্জ কিংবা উমরায় যে সকল কাজ সম্পাদন করা একান্ত জরুরী এবং তা ছুটে গেলে হজ্জ-উমরা বিশুদ্ধ হয় না, সেগুলোকে হজ্জ-উমরার রুকন বলে।
উমরার রুকন তিনটি। যথা :
◾ ১. ইহরাম বাঁধা,
◾২. ত্বাওয়াফ করা এবং
◾৩. সা‘ঈ করা

🔰রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
_____________________________
◾ইহরাম বাঁধা: উমরা বা হজ্জের জন্য অন্তরে নিয়্যত করে মুখে ‘লাব্বাইকা উমরাতান’ অথবা হজ্জের জন্য হলে ‘লাব্বাইকা হাজ্জান’ বলাকে ইহরাম বাঁধা বলে। অবশ্য হজ্জ ও ‍উমরার ক্ষেত্রে বাক্যগুলো উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করা সুন্নাত। উমরার জন্য নির্ধারিত মীক্বাত (স্থান) হতে ইহরাম বাঁধতে হবে। ‘হজ্জে ক্বিরান’ ও ‘হজ্জে ইফরাদ’ এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মীক্বাত হতে ইহরাম বাঁধতে হবে। আর ‘হজ্জে তামাত্তু’ হলে যুলহিজ্জার ৮ তারিখে যেখানে অবস্থান করা হয়, সেখান থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে।

◾ত্বাওয়াফ করা: কা‘বা ঘরের চতুর্দিকে সাত চক্কর ঘুরতে হবে। আল্লাহ তাআলা ত্বওয়াফ করার জন্য আদেশ করে বলেন, وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ ‘তারা যেন প্রাচীন ঘর কা‘বা ঘরের ত্বওয়াফ করে।’(আল-হজ্জ, ২২/২৯) এই আয়াতে বুঝা যায়, ত্বাওয়াফ হজ্জ ও উমরার জন্য ফরয কাজ। উমরার প্রথম কাজ কা‘বা ঘর ত্বওয়াফ করা। উল্লেখ্য যে, হজ্জের জন্য যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে যে ত্বাওয়াফ করা হয়, তাকে ত্বাওয়াফে ইফাযা বা ত্বাওয়াফে যিয়ারা বলা হয়।

◾সা‘ঈ করা: সাফা পর্বত হতে মারওয়া পর্বত পর্যন্ত দৌড়ানোকে এক সা‘ঈ বলে। এভাবে মারওয়া হতে সাফা আসলে আরেক সা‘ঈ হয়। এভাবে সাতবার সা‘ঈ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,‘নিশ্চয়ই সাফা এবং মারওয়া পাহাড় আল্লাহর নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহয় হজ্জ এবং উমরা করবে, তার এই দুই পাহাড় ত্বাওয়াফ করাতে কোনো গুনাহ নেই’ (আল-বাক্বারা, ২/১৫৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,হে মানবমণ্ডলী! তোমরা সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করো। কেননা সা‘ঈ তোমাদের জন্য আল্লাহ ফরয করে দিয়েছেন।[ দারাকুৎনী, হা/২৬১৬; আহমাদ, হা/২৭৪০৮; ইরওয়াউল গালীল, হা/১০৮৭]

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা কোনো মানুষের হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সাফা-মারওয়া সা‘ঈ করবে’।[ছহীহ বুখারী, হা/১৭৯০]এই হাদীছ প্রমাণ করে, সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ করা ফরয কাজ। উল্লিখিত তিনটি রুকন উমরা এবং হজ্জ উভয়ের জন্যই ফরয।

🔰উমরার ওয়াজিবসমূহ:
_________________________
হজ্জ কিংবা উমরায় যে সকল আমল সম্পাদন করা জরুরী, কিন্তু ছুটে গেলে হজ্জ-উমরা বাতিল হয়ে যায় না, তবে জরিমানা স্বরূপ কাফফারা দিতে হয়, সে সকল আমলকে হজ্জ-উমরার ওয়াজিব বলা হয়। ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, যে ব্যক্তি হজ্জ বা উমরার জরুরী আমল ভুলে গেছে অথবা ছেড়ে দিয়েছে, সে যেন রক্ত প্রবাহিত করে।[মুওয়াত্ত্বা মালেক, ১/৪১৯।অর্থাৎ পশু যবেহ করে।

🔰ওমরাহ্‌র ওয়াজিব ২টি:
◾(১) মীকাত হতে ইহরাম বাঁধাঃ যে ব্যক্তি উমরার নিয়ত করবে না তার উমরা হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,নিশ্চয় আমলসমূহ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেকের জন্য তাই হবে, যা সে নিয়ত করে।’[সহীহ বুখারী : ১]

◾(২) চুল কামানো বা ছোট করাঃকারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছোট করার আদেশ দিয়ে বলেন, وَلْيُقْصِرْ ، وَلْيُحِلل অর্থাৎ সে যেন মাথার চুল ছোট করে এবং হালাল হয়ে যায়।[বুখারী :১৬৯১ মুসলিম: ১২২৭।] এ ছাড়া বাদবাকি সমস্ত কাজগুলো হচ্ছে সুন্নাত।

🔰এক নজরে উমরার সুন্নাতসমূহ:
________________________________
হজ্জ ও উমরার সুন্নাত বলতে এমন সব কাজকে বুঝায়, যা পালন করলে নেকী হবে, কিন্তু ছুটে গেলে হজ্জ ও উমরা বাতিল হবে না এবং দমও ওয়াজিব হবে না।

◾(১) ইযতেবা অর্থাৎ পুরুষদের ইহরামের চাদর ডান বগলের নিচ দিয়ে নিয়ে বাম কাঁধের উপরে তুলে দেওয়া এবং ডান কাঁধ খালি রাখা। এটা শুধু প্রথম ত্বাওয়াফের সময় করতে হবে।

◾ (২) রমল অর্থাৎ প্রথম ত্বাওয়াফের প্রথম তিন চক্কর দৌঁড়ের মতো করে দ্রুতপদে হাঁটা। অবশ্য এটা শুধু হজ্জ-উমরার উদ্দেশ্যে প্রথম যখন মক্কায় প্রবেশ করে উমরা করবে সেই উমরার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পরবর্তী ত্বাওয়াফগুলোতে এটা করার প্রয়োজন নেই।[আবূ দাঊদ, হা/২০০১; মিশকাত, হা/২৬৭৩।]

◾(৩) ত্বাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদে চুম্বন করা অথবা হাত দিয়ে স্পর্শ করে হাত চুম্বন করা, অথবা লাঠি দিয়ে ইশারা করে লাঠি চুম্বন করা অথবা পাথরের দিকে হাতের ইশারা করা এবং আল্লাহু আকবার বলা। উল্লেখ্য, হাত দ্বারা ইশারা করলে হাত চুম্বন করতে হবে না।

◾(৪) রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা। আর স্পর্শ করতে না পারলে এখানে হাত দ্বারা ইশারা করার বিধান নেই।
◾(৫) ত্বাওয়াফ শেষে দুই রাকআত ছালাত আদায় করা।
◾(৬) ত্বাওয়াফোত্তর ছালাত শেষে যমযমের পানি পান করা।
◾(৭) সাফা-মারওয়া পাহাড়ে উঠে কিবলামুখী হয়ে যিকির করা, তাকবীর দেওয়া ও দুই হাত তুলে দু‘আ করা। আল্লাহু আলাম। (চলবে)
________________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।