আপনি কথা বলে যাচ্ছেন আর আপনার সঙ্গী মোবাইল টিপছে তাকাচ্ছেও না

আপনি কথা বলে যাচ্ছেন, আর আপনার সঙ্গী মোবাইল টিপছে; তাকাচ্ছেও না। নিঃসন্দেহে এমন পরিস্থিতিতে খুবই কষ্ট লাগে।
▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
এবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব রাসূল (ﷺ) অবস্থা দেখুন। পারস্পরিক কথাবার্তায় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চেহারা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির দিকে নিবদ্ধ করে রাখতেন, যাতে সে আনন্দ পেতে পারে। রাসূল (ﷺ) মানুষকে এমনভাবে মূল্যায়ন করতেন যে, লোকজন ভাবতো, তিনি হয়তো তাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেন! এমনকি তিনি কোনো গোত্রের নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথে কথা বলার ক্ষেত্রেও এভাবেই কথা বলতেন। (সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: ২৬৪)
.
আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজে ঠেকে, শিক্ষা পেয়ে, অবহেলিত বা অপমানিত হয়ে শিখতে পছন্দ করি। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে আছে আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হয়েও তিনি নিকৃষ্ট ব্যক্তিদেরও সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করতেন। সেখানে আমি-আপনি এমন কী হয়ে গেলাম যে, লোকেরা আমাদের সাথে কথা বলার সময় বিরক্তিবোধ করে, হতাশ হয়!?
.
একজন সাহাবি বর্ণনা করেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথায় কঠোরতা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের ভাব থাকত না।’(বায়হাকি, শু‘আবুল ঈমান: ১৩৬২; সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: ১৬৭)
.
কেউ কথা বলার সময় যদি আপনি মোবাইল টিপেন বা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তো তাকে অবমূল্যায়ন করলেন, তাকে তুচ্ছজ্ঞান করলেন। এমনটি করা উচিত নয়। এটি কোনো মুমিনের সিফাত (বৈশিষ্ট্য) নয়। এছাড়া, আপনি আল্লাহপ্রদত্ত প্রাকৃতিক উপায়ে এর বদলাও পেয়ে যেতে পারেন। দেখবেন, অন্য সময় আপনিও এভাবে অবমূল্যায়ন বা অবহেলার শিকার হচ্ছেন।
.
একজন প্রকৃত মুমিন সর্বদা মানুষের সাথে সেই আচরণটাই করে, যে আচরণ সে অন্যের কাছ থেকে পেতে ভালোবাসে। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
.