অপবিত্রতা সম্পর্কে বিস্তারিত

প্রশ্ন: নাজাসাত বা অপবিত্রতা কাকে বলে? ইহা কত প্রকার ও কি কি? অপবিত্র বস্ত্ত থেকে পবিত্রতা অর্জনের সঠিক পদ্ধতি কি।
▬▬▬▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: নাজাসাত হলো ত্বহারাত এর বিপরীত শব্দ। পরিভাষায়, শরীয়াত নির্ধারিত নাপাকীর নাম নাজাসাত। মুসলিমদের জন্য এরূপ নাজাসাত থেকে পবিত্রতা অর্জন করা এবং তা শরীর বা কাপড়ে লেগে গেলে ধৌত করা ওয়াজিব। (নাজাসাত)النجاسة বা অপবিত্র বলতে এমন অপরিচ্ছন্ন বস্ত্ত যা থেকে দূরে থাকার জন্য ইসলামী শরী‘আত নির্দেশ প্রদান করেছে। (আল-ফিকহুল মুয়াস্সার, ৩৫ পৃঃ)।

◾অপবিত্র বস্ত্তর প্রকারভেদ: অপবিত্র বস্ত্ত তিন প্রকার। (আল-ফিকহুল মুয়াস্সার, ৩৫ পৃঃ, শারহুল মুমতে, ১/৪১৪ পৃঃ)। যথা-

▪️(১) نجاسة مغلظة (নাজাসাতে মুগাল্লাযা) অর্থাৎ যা বেশী অপবিত্র। যা অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত। যেমন- কুকুর ও শূকর।

▪️(২) نجاسة مخففة (নাজাসাতে মুখাফফাফাহ) অর্থাৎ যা অল্প অপবিত্র। যেমন- শিশুর পেশাব, যে খাদ্য খাওয়া আরম্ভ করেনি।

▪️(৩) نجاسة مةوسطة (নাজাসাতে মুতাওয়াসসেতা) অর্থাৎ মধ্যম অপবিত্র। যেমন- পেশাব ও পায়খানা।

◾অপবিত্র বস্ত্ত সমূহ: পৃথিবীতে এমন কিছু বস্ত্ত আছে যেগুলোকে ইসলামী শরী‘আত অপবিত্র ঘোষণা করেছে এবং তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যেমন-

➤(ক) মানুষের পেশাব ও পায়খানা: হাদীছে এসেছে, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন নিজের জুতা দিয়ে অপবিত্র জিনিস মাড়ায়, তখন মাটিই এর জন্য পবিত্রকারী।ইবনু মাজাহ্‌ও অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (সহীহ : আবূ দাঊদ ৩৮৫, ইবনু মাজাহ্ ৫৩২। মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৫০৩)।

আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে মসজিদে ছিলাম, এমন সময় একজন বেদুঈন এসে মাসজিদের মধ্যে পেশাব করতে শুরু করল। উপস্থিত লোকদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে বাধা দিতে দাঁড়ালে, রাসূল (ﷺ) বললেন, থাম তাকে পেশাব করতে বাধা দিওনা! আনাস (রাঃ) বলেন লোকটির পেশাব করা শেষ হলে, রাসূল (ﷺ) এক বালতি পানি আনিয়ে তার পেশাবের উপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী,৬০২৫ মিশকাত, হা/৪৬০, বঙ্গানুবাদ, এমদাদিয়া ২/১২২ পৃঃ) অতএব উপরোক্ত হাদীছদ্বয় দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পেশাব ও পায়খানা অপবিত্র যা থেকে পবিত্রতা অর্জন করার মাধ্যম হ’ল পানি এবং মাটি।

➤(খ) গোশত খাওয়া হালাল এমন পশুর প্রবাহিত রক্ত: যে সকল পশুর গোশত খাওয়া হালাল সেগুলি যবেহ করলে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তা অপবিত্র। তবে যেসব রক্ত গোশতের মধ্যে থেকে যায়, তা পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, أَوْ دَمًا مَسْفُوْحًا ‘কিংবা প্রবাহিত রক্ত’ (অপবিত্র) (আন‘আম ১৪৫)।

➤(গ) গোশত খাওয়া হারাম এমন প্রানীর মল-মূত্র: যে সকল প্রানীর গোশত খাওয়া হারাম সেগুলির মল-মূত্র অপবিত্র। যেমন- ইঁদুর, বিড়াল, কুকুর, গাধা ইত্যাদির মল-মূত্র। হাদীছে এসেছে, আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পায়খানা করার ইচ্ছা করলেন। তখন তিনি বললেন, আমাকে তিনটি পাথর নিয়ে এসে দাও। আমি তাঁর জন্য দু’টি পাথর ও গাধার মল পেলাম। তিনি পথর দু’টি গ্রহণ করলেন এবং (গাধার) মল ছুড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, এটা অপবিত্র’। (বুখারী হা/১৫৬,ও৩৮৫৯ তিরমিযী হা/১৭, নাসাঈ হা/৪২ ইবনে মাজা,৩১৪) এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, গোশত খাওয়া হারাম পশুর মল-মূত্র অপবিত্র।

➤(ঘ) মৃত প্রাণী: যে সকল পশু-পাখি শারঈ বিধান অনুযায়ী যবেহ ছাড়াই স্বাভাবিক ভাবে মৃতবরণ করে, সেসব অপবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِلاَّ أَنْ يَكُوْنَ مَيْتَةً ‘মৃত ব্যতীত’ (আন‘আম ১৪৫)। তবে দু’টি মৃত হালাল ও পবিত্র। তা হ’ল মাছ এবং পঙ্গপাল বা ফড়িং জাতীয় প্রাণী বিশেষ। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, দু’প্রকারের মৃত এবং দু’প্রকারের রক্ত তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। সেই মৃত দু’টি হ’ল মাছ ও টিড্ডি। আর দু’প্রকারের রক্ত হ’ল যকৃৎ ও প্লীহা’ (মুসনাদে আহমাদ, ৫৬ ইবনু মাজাহ, ৩৩১৪ মিশকাত হা/৩৯৫৩, সিলসিলা সহীহা, ১১১৮)।

আর যে সকল প্রাণীর রক্ত প্রবাহিত হয় না সেগুলি মৃত্যুবরণ করলেও তা পবিত্র। যেমন- মশা, মাছি, পিপিলিকা ইত্যাদি। হাদীছে এসেছে,আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের ‘কারো পানীয় বস্তুর মধ্যে মাছি পড়ে তখন সে যেন তাকে তাঁর মধ্যে ডুবিয়ে দেয়। তারপর তাকে বাইরে ফেলে দেয়। কেননা ওর এক ডানায় রোগ আর অন্য ডানায় আরোগ্য রয়েছে। (বুখারী (৩৩২০, ৫৭৮২) আবূ দাঊদে (অতিরিক্ত শব্দ) এসেছে; ‘মাছি তার জীবাণু যুক্ত ডানাটি (প্রথমে পানীয়ের মধ্যে ডুবিয়ে) তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। [সুনান আবূ দাঊদ ৩৮৪৪ বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ১৪) অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রক্ত প্রবাহিত হয় না এমন প্রাণী মৃত্যুবরণ করলেও পবিত্র।

➤(ঙ) المذي (মযী): স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সহবাসের চিন্তা অথবা ইচ্ছা করলে উত্তেজনা বসত যে সাদা তরল ও পিচ্ছিল পানি স্ত্রী ও পুরুষ লিঙ্গ থেকে নির্গত হয় যাতে শরীরিক কোন দুর্বলতা অনুভূত হয় না, তাকে মযী বলা হয়। এটা অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন। (ইমাম নববী, আল-মাজমু ২/৬; ইবনু ক্বুদামা, আল-মুগনী ১/১৬৮; সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ ১/৭২)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,যখনই তুমি মযী দেখবে তখন তোমার পুরুষাঙ্গ ধৌত করবে এবং ছালাত আদায়ের জন্য ওযূ করবে’। (নাসাঈ,১৯৩আবু দাউদ,হা/২০৬, নাছিরুদ্দীন আলবানী, তিনি হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন)। অতএব মযী অপবিত্র বলেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

➤(চ) الودي(ওয়াদী): এটা সাদা গরম পানি যা সাধারণত পেশাবের পরে বের হয়ে থাকে। এটা অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,أَمَّا الْوَدْىُ وَالْمَذْىُ فَقَالَ : اغْسِلْ ذَكَرَكَ أَوْ مَذَاكِيْرَكَ وَتَوَضَّأْ وُضُوْءَكَ لِلصَّلاَةِ. ‘আর ওয়াদী ও মযী সম্পর্কে তিনি বলেন, তুমি তোমার লজ্জাস্থান ধৌত কর এবং ছালাতের জন্য ওযূ কর। (সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী, ‘মযী এবং ওয়াদী গোসল ওয়াজিব করে না’ অনুচ্ছেদ, হা/৮৩২) অতএব ওয়াদী অপবিত্র বলেই ধৌত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

➤(ছ) হয়েযের রক্ত: হাদীছে এসেছে,আসমা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা নবী (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, (হে আল্লাহর রাসূল!) বলুন, আমাদের কারো কাপড়ে হায়েযের রক্ত লেগে গেলে সে কি করবে? তিনি বললেন, ‘সে তা ঘষে ফেলবে, তারপর পানি দিয়ে রগড়াবে এবং ভাল করে ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সেই কাপড়ে ছালাত আদায় করবে’। (সহীহ বুখারী ২২৭ ও ৩০৭, মুসলিম ২৯১, আবূ দাঊদ ৩৬১, মালিক ৪৯/১৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৫০। মিশকাতুল মাসাবিহ,হা/ ৪৯৩)। উল্লিখিত হাদীছ হায়েযের রক্তের অপবিত্রতা প্রমাণ করে।

➤(জ) কুকুরের লালা বা উচ্ছিষ্ট: হাদীছে এসেছে, আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো পাত্রে যখন কুকুর পানি পান করে, তখন সে যেন তা সাতবার ধুয়ে নেয়। (সহীহ বুখারী ১৭২, মুসলিম ২৭৯, নাসায়ী ৬৩, আহমাদ ৯৯২৯, সহীহ আল জামি‘ ৬২৭, ইবনু মাজাহ ৩৬৪) মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, তোমাদের কারো পাত্রে কুকুর মুখ দিলে সে যেন তা সাতবার ধুয়ে নেয় এবং এর প্রথমবার মাটি দিয়ে। (সহীহ মুসলিম ২৭৯ মিশকাতুল মাসাবিহ,হা/৪৯০)।

➤(ঝ) শুকরের গোশত: এটি আলিমগণের ঐকমত্যে নাপাক। কেননা এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ্‌ কুরআনে প্রকাশ্য নির্দেশ দিয়েছেন: বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের গোশত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র। (সূরা আল আনআম-১৪৫)।

◾অপবিত্র বস্ত্ত থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি:
________________________________________
➤(ক) যমীনে পতিত অপবিত্র বস্ত্ত থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি: যদি যমীনের কোন স্থানে পায়খানা জাতীয় নাপাকী থাকে যা শুধুমাত্র পানি ঢেলে দূর করা সম্ভব নয়, তাহ’লে তা পানি দ্বারা ভালভাবে ধৌত করতে হবে। আর যদি পেশাব জাতীয় নাপাকী থাকে, তাহ’লে তার উপর পানি ঢেলে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ বেদুঈনের পেশাবের উপর পানি ঢেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

➤(খ) হায়েযের রক্ত থেকে কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতি: হায়েযের রক্ত থেকে কাপড় পবিত্র করতে হ’লে তা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। হাদীছে এসেছে, ‘জনৈকা মহিলা নবী (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, (হে আল্লাহর রাসূল!) বলুন, আমাদের কারো কাপড়ে হায়েযের রক্ত লেগে গেলে সে কি করবে? তিনি বললেন, ‘সে তা ঘষে ফেলবে, তারপর পানি দিয়ে রগড়াবে এবং ভাল করে ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সেই কাপড়ে ছালাত আদায় করবে’। (সহীহ বুখারী ২২৭ ও ৩০৭, মুসলিম ২৯১, আবূ দাঊদ ৩৬১, মালিক ৪৯/১৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৫০। মিশকাতুল মাসাবিহ,হা/ ৪৯৩)।

➤(গ) পায়খানা ও পেশাব থেকে কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতি: যদি কাপড়ে পায়খানা লাগে তাহ’লে তা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। আর পেশাব লাগলে তার উপর পানি ঢেলে দিলেই পবিত্র হয়ে যাবে। তবে দুধ পানকারী ছেলে শিশুর পেশাবের উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। কিন্তু দুধ পানকারী মেয়ে শিশুর পেশাব পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। আবুস্‌ সাম্‌হ থেকে বর্ণিতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মেয়ে শিশুদের প্রস্রাব ধুতে হয়। আর ছেলে শিশুদের প্রস্রাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হয়। (সহীহ আবূ দাঊদ ৩৭৬, নাসায়ী ৩০৪, সহীহুল জামি‘ ৮১১৭ মিশকাত,৫০২)।

➤(ঘ) মযী থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি: মযী বের হয়ে কাপড়ে লাগলে তার উপর পানি ছিটিয়ে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। হাদীছে এসেছে,সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার অত্যধিক মযী নির্গত হ’ত, তাই আমি অধিক গোসল করতাম। অতঃপর আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন, মযী বের হওয়ার পরে ওযূ করাই তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন আমি বললাম, আমার কাপড়ে মযী লাগলে কি করব? তিনি বললেন, ‘কাপড়ের যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, এক অাঁজলা পানি নিয়ে তার উপর ছিটিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট হবে’ (আবু দাউদ, তাহক্বীক: নাছিরুদ্দীন আলবানী, ‘কাপড়ে শিশুর পেশাব লাগা’ অনুচ্ছেদ, হা/৩৭৬, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৬৮, বঙ্গানুবাদ, এমদাদিয়া ২/১২৫ পৃঃ) উল্লেখ্য যে, মযী শরীরের কোন স্থানে লাগলে সে স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে এবং কাপড়ে লাগলে তার উপরে শুধু পানি ছিটিয়ে দিলেই চলবে।

➤(ঙ) কুকুরের লালা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি: কুকুরের লালা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো পাত্রের পবিত্রতা লাভ করা হ’ল যখন তাতে কুকুর মুখ দেয় তখন তা সাতবার ধৌত করা এবং প্রথমবার মাটি দ্বারা’।(সহীহমুসলিম ‘কুকুরের লালার হুকুম’ অনুচ্ছেদ হা/৬৭৭, মিশকাত ‘অপবিত্র হ’তে পবিত্রকরণ’ অনুচ্ছেদ হা/৪৫৮, বঙ্গানুবাদ, এমদাদিয়া ২/১২১ পৃঃ)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬❂▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি
#Jewelmahmudsalafi