প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِىْ أُصَلِّىْ ‘তোমরা সালাত আদায় কর সেভাবেই যেভাবে তোমরা আমাকে দেখছ।’(সহীহ বুখারী, হা/৬৩১)। এই হাদীস সালাত আদায়ের স্পষ্ট একটি নীতিমালা।উক্ত নীতিমালার আলোকে তাকবীরে তাহরীমা থেকে শুরু করে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সালাতে সর্বোচ্চ দুটি বৈঠক রয়েছে। যার প্রথম বৈঠকে বসার শরী‘আত সম্মত পদ্ধতিকে ‘ইফতিরাশ’এবং শেষ বৈঠকে বসার শরী‘আত সম্মত পদ্ধতিকে তাওয়াররুক বলে। যেমন মাগরিব, এশা, যোহর ও আসর সালাতের প্রথম তাশাহুদে ইফতিরাশ করা এবং শেষ তাশাহুদে তাওয়াররুক করা সুন্নত। .
.
ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইফিতরাশ বলতে বুঝায়, বাম পাকে বিছিয়ে দিয়ে তার উপর নিতম্ব রেখে বসা, আর ডান পাকে খাড়া করে রাখা।’(কিতাবুল মাজমূঊ, ৩/৪৩৭ পৃ.)। যা দুই রাক‘আত বিশিষ্ট সালাতে করতে হয় যাতে শুধু একটি-ই তাশাহ্হুদ থাকে। এটাই সুন্নাত।যেমন ফজরের দুই রাকাআতে। (নাসাঈ হা/১১৫৯; মুসলিম হা/৪৯৮; তামামুল মিন্নাহ,পৃ: ২২৩; বিস্তারিত আলোচনা দ্র. মির‘আতুল মাফাতীহ হা/৯১৭-এর ব্যাখ্যা)। অপরদিকে যে সকল সালাতে দুটি বৈঠক রয়েছে সেসকল সালাতের শেষ বৈঠকে বসার শরী‘আত সম্মত পদ্ধতিকে ইসলামী পরিভাষায় ‘তাওয়াররুক’ বলা হয়। তাওয়াররুক বলতে বুঝায় ‘দ্বিতীয় বা শেষ বৈঠকে বসার সময় ডান পাকে খাড়া করে রাখা এবং বাম পাকে ডান পায়ের নিচ দিয়ে বের করে দেয়া অতঃপর বাম নিতম্বের উপর ভর করে ভূপৃষ্ঠের উপর বসা।’(ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৩৮৮৬) জেনে রাখা ভাল যে, অনেকে ফজরের দুই রাকাআতে তাওয়াররুক করে বসে যা সুন্নাত সম্মত নয়। কারন তাওয়াররুক হবে তিন চার রাকআত বিশিষ্ট সালাতের শেষ বৈঠকে।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহুদ পড়ার জন্য বৈঠক বসতেন তখ তাঁর বাম হাত বাম পায়ের হাঁটুর উপর এবং ডান হাত ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। এই সময় তিনি তাশাহুদ পাঠ করতেন এবং ডান হাতের (তর্জনী ছাড়া) সমস্ত আঙ্গুলগুলোকে বন্ধ করে নিতেন। আর তর্জনী (শাহাদতের) আঙ্গুল দ্বারা কেবলার দিকে ইশারা করতেন এবং আঙ্গুলের উপরেই নিজ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতেন। এখন শাহাদাত আঙ্গুল ব্যতীত বাকি আঙ্গুলসমূহ কিভাবে বন্ধ করে নিতেন হাদীস থেকে এর কয়েকটি চিত্র দেখা যায়। যেমন:
(১).প্রথমত কনিষ্ঠা,অনামিকা মধ্যমা অঙ্গুলি বন্ধ করে তর্জনীকে খাড়া রাখা আর বৃদ্ধাঙ্গুলিকে তর্জনীর গোড়ার সাথে লাগিয়ে রাখা।
(২). দ্বিতীয়ত সকল আঙ্গুলকে মুষ্টিবদ্ধ করবে নিরাপদে আর তর্জনী দ্বারা ইশারা করা। এর স্বপক্ষে মুসলিমের হাদীস রয়েছে যা, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত (সহীহ মুসলিম হা/ ৫৮০, মুসনাদে আহমাদ হা/ ৬১৫৩, মিশকাত হা/৯০৬)।
(৩). তৃতীয়ত কনিষ্ঠা, অনামিকা বন্ধ করে তর্জনীকে খাড়া রেখে বৃদ্ধা আঙ্গুল ও মধ্যমাকে গোল করা তথা বৃদ্ধা আঙ্গুল ও মধ্যকার মাথাকে পরস্পরে মিলিয়ে বৃত্তের মতো করা। যেমনটি ওয়ায়িল-এর হাদীস সামনে আসছে।
(দেখুন সহীহ নাসায়ী ৮৮৯, ইরওয়া ৩৬৭, আবূ দাঊদ ৭২৬)
(৪). চতুর্থত ডান হাত ডান রানের উপর রেখে তর্জনী দ্বারা ইশারা করা। আর বৃদ্ধা আঙ্গুল মধ্যমার উপর রাখবে। যেমনটি ‘আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র এর হাদীস সামনে আসছে।(সহীহ মুসলিম হা /৮৭৯ মিশকাত হা/৯০৮) উপরোক্ত বিভিন্ন পদ্ধতি সংক্রান্ত হাদীসগুলোর মধ্যে কোন মতবিরোধ নেই প্রত্যেক পদ্ধতি জায়িয রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন পদ্ধতি করতেন। যেমন:
.
ওয়ায়িল ইবনু হূজর (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি (তাশাহুদের বৈঠক সম্পর্কে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি বাম পা বিছিয়ে দিলেন। বাম হাতকে বাম রানের উপর রাখলেন। এভাবে তিনি ডান কনুইকে ডান রানের উপর বিছিয়ে রাখলেন। এরপর (নব্বইয়ের বন্ধনের ন্যায়) ডান হাতের কনিষ্ঠা ও অনামিকা বন্ধ করলেন। (মধ্যমা ও বৃদ্ধার দ্বারা) একটি বৃত্ত বানালেন এবং শাহাদাত আঙ্গুল উঠালেন। এ সময় আমি তাঁকে দেখলাম, তিনি তাশাহুদ পাঠ করতে করতে ইশারা করার জন্য শাহাদাত আঙ্গুল নাড়ছেন।(সহীহ নাসায়ী ৮৮৯, ইরওয়া ৩৬৭, আবূ দাঊদ ৭২৬) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি সালাতে তাশাহুদ পড়ার সময় শাহাদাতের দু’ আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করতে লাগলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, এক আঙ্গুল দিয়েই ইশারা কর, এক আঙ্গুল দিয়েই ইশারা কর।(তিরমিযী ৩৫৫৭, নাসায়ী ১২৭২, দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩১৬।মিশকাত হা/৯১৩) ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহুদ পড়ার জন্য বসলে তাঁর বাম হাত বাম পায়ের হাঁটুর উপর এবং ডান হাত ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। এ সময় তিনি তিপ্পান্নের মতো করার জন্য আঙ্গুল বন্ধ করে রাখতেন, তর্জনী দিয়ে (শাহাদাত) ইশারা করতেন। (সহীহ মুসলিম হা/ ৫৮০, মুসনাদে আহমাদ হা/ ৬১৫৩, মিশকাত হা/৯০৬) ভারতবর্ষে হাদীসশাস্ত্রের আরেক দিকপাল, মিশকাতুল মাসাবীহ’র বিখ্যাত ভাষ্যগ্রন্থ মির‘আতুল মাফাতীহ’র সম্মানিত মুসান্নিফ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ইমাম ‘উবাইদুল্লাহ বিন ‘আব্দুস সালাম মুবারকপুরী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪১৪ হি./১৯৯৪ খ্রি.] বলেছেন,আঙ্গুল ইশারার মাধ্যমে আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেওয়া হয়। (মির‘আত খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা:২২৯)
.
অতএব উপরোক্ত আলোচনা থেকে একথা পরিস্কার যে সালাতে তাশাহ্হুদে তর্জনী আঙ্গুলী ইশারা করা একটি সুপ্রমাণিত সুন্নত। যে ব্যাপারে আহালুল ইমামগনের মধ্যে কোন মতানৈক্য নাই” কিন্তু আঙ্গুল কিভাবে এবং কখন নাড়ানে হবে এ ব্যাপারে আহালুল ইমামগনের মধ্যে যথেষ্ট মত বিরোধ রয়েছে। যেমন:
(১). হানাফীগণ বলেন যে তাশাহুদে “আশ-হাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)” বাক্যাংশে “লা (না)” বলার সময় আঙ্গুল উঠানো উচিত এবং যখন বলা হয়, “ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ব্যতীত)। তখন তা নামানো উচিত।
(২). শাফাঈগণ বলেন, “ইল্লাল্লাহ” বলার সময় ইশারা করা উচিত।
(৩). মালেকিরা বলে যে, সালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আংগুল ডানে বামে ইশারা করতে হবে।
(৪). হাম্বলী মাযহাবের মতে আল্লাহর নাম বলার সময় আঙুল দিয়ে ইশারা করতে হবে। (ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১১৫২৭ ও ৭৫৭০)
.
বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, প্রচলিত আছে যে, ‘লা ইলা-হা’ বলার সময় আঙ্গুল উঠাতে হবে। কেউ বলেন, ‘ইল্লাল্লাহ’ বলার সময় উঠাতে হবে। এগুলো সবই ব্যক্তি মতামত। হাদীসে এগুলোর কোন দলীল নেই। সহীহ সনদে নেই, যঈফ সনদে নেই, এমনকি জাল সনদেও নেই। অনুরূপভাবে আঙ্গুল উঠিয়ে রেখে দেয়ারও কোন ভিত্তি নেই। বরং সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সালাম পর্যন্ত আঙ্গুল নড়াতে থাকতে হবে। (মিশকাত হা/৯১২ নং হাদীসের টিকা)
.
সৌদি সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] কে প্রশ্ন করা হয়েছে, তাশাহুদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তর্জনী আঙ্গুল নড়ানোর বিধান কি?
জবাবে তিনি বলেনঃ তর্জনী আঙ্গুল নাড়ানো শুধুমাত্র দু’আর সময় হবে। পূরা তাশাহুদে নয়। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ “তিনি উহা নাড়াতেন ও দু’আ করতেন।” এর কারণ হচ্ছেঃ দু’আ আল্লাহর কাছেই করা হয়। আর আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আসমানে আছেন। তাই তাঁকে আহবান করার সময় উপরে আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করবে। তাই আমরা বলি:
(১) আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান-নাবিইউ ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
অর্থ: হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।
(২) আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন।
অর্থ: সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।
(৩) আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলি মুহাম্মাদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ ও মুহাম্মদের পরিবার-পরিজনের প্রতি রাহমাত বর্ষণ কর।
(৪) আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি বারাকাত নাযিল কর মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি।
(৫) আঊযুবিল্লাহি মিন আযাবি জাহান্নাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের শাস্তি হতে।
(৬) ওয়া মিন আযাবিল ক্বাবরি।
অর্থ: তোমার কাছে আশ্রয় চাই ক্ববরের শাস্তি হতে।
(৭) ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামাত।
অর্থ: তোমার কাছে আশ্রয় চাই জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা হতে।
(৮) ওয়ামিন ফিতনাতল মাসীহিদ্দাজ্জাল।
অর্থ: তোমার নিকট আশ্রয় চাই দাজ্জালের পরীক্ষা হতে।
উপরোক্ত আটটি স্থানে আঙ্গুল নাড়াবে এবং তা আকশের দিকে আঙ্গুল উত্থিত করবে কেননা এগুলো দু’আ। এগুলো ছাড়া অন্য কোন দু’আ পাঠ করলেও আঙ্গুল উপরে উঠাবে অন্যথায় নয়। (সহীহ বুখারী হা/ ৩৩৭০, মুসলিম হা/ ৫৯০, আবূ দাঊদ ১৫৪২,তিরমিযী ২৮৯, ১১০৫, ইমাম উসাইমীন আল-শারহ আল-মুমতি, খন্ড ৩ পৃষ্ঠা:২০২ ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১১৫২৭ ও ৭৫৭০)
.
জেনে রাখা ভাল যে, অনেকে আঙ্গুল উঠিয়ে রাখে কিন্তু ইশারা করে না। এটাও ঠিক নয়। কারণ উক্ত মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ। যেমন: আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) যখন দু‘আ করতেন তখন আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন। কিন্তু নাড়াতেন না।(আবুদাঊদ হা/৯৮৯, ১/১৪২ পৃঃ; নাসাঈ, আল-কুবরা ১/৩৭২; বায়হাক্বী ২/১৩২; মিশকাত হা/৯১২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮১৫, ২/৩০৬ পৃঃ) তাহক্বীক্ব :বর্ণনাটি যঈফ। (যঈফ আবুদাঊদ হা/৯৮৯; তামামুল মিন্না, পৃঃ ২১৮) আঙ্গুল নাড়াতেন না’ অংশটুকু সহীহ হাদীসে নেই। বরং আঙ্গুল নাড়ানোর পক্ষেই সহীহ হাদীস রয়েছে। যেমন- ثُمَّ رَفَعَ أُصْبُعَهُ فَرَأَيْتُهُ يُحَرِّكُهَا يَدْعُو بِهَا ‘অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুল উঠাতেন। রাবী ওয়ায়েল বিন হুজর বলেন, আমি দেখতাম তিনি আঙ্গুল নাড়িয়ে দু‘আ করতেন’(নাসাঈ হা/৮৮৯, ১/১০৩ পৃঃ ও ১২৬৮, ১/১৪২ পৃঃ সনদ সহীহ) অতএব তাশাহহুদ পড়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত কিংবা শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা সর্বদা ইশারা করবে এবং দু’আর সময় নাড়াবে। এ সময় দৃষ্টি থাকবে আঙ্গুলের মাথায়। দুই তাশাহ্হুদেই ইশারা করবে। (নাসাঈ হা/১২৭৫, ১/১৪২ পৃঃ, হা/১১৬০, ১/১৩০ পৃঃ বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৯০৩ সিফাতু সালাতিন নবী, পৃঃ ১৫৯) (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_______________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।