সালাতে কুরআন তেলোয়াত শোনার সময় আয়াতের জবাব দেওয়ার বিধান কি এবং কোন কোন আয়াতের জবাব প্রদান করতে হয়

সালাতে অথবা সালাতের বাহিরে কুরআন তেলোয়াত শ্রাবণের সময় আয়াতের জবাব দিতে হবে কিনা উক্ত মাসালায় কিছুটা মতানৈক্য থাকলেও জমহুর বা অধিকাংশ আলেমের মতে সালাত আদায়কারীর জন্য পবিত্র কুরআনের আযাবের আয়াত অতিক্রম কালে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া এবং রহমতের আয়াত অতিক্রমকালে রহমত প্রার্থনা করা মুস্তাহাব।দলিল আবু আব্দুল্লাহ হুযাইফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত; আমি এক রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নামায পড়লাম। তিনি সূরা বাক্বারাহ পড়তে আরম্ভ করলেন। অতঃপর আমি মনে মনে) বললাম যে, ‘তিনি একশো আয়াত পড়ে রুকুতে যাবেন।’ কিন্তু তিনি (তা না করে) ক্বিরাআত করতে থাকলেন। তারপর আমি (মনে মনে) বললাম যে, ‘তিনি এই সূরা এক রাকাআতে সম্পন্ন করবেন; এটি পড়ে রুকু করবেন।’ কিন্তু তিনি (সূরা) নিসা আরম্ভ করলেন। তিনি তা সম্পূর্ণ পড়লেন। তারপর তিনি (সূরা) আলে-ইমরান শুরু করলেন। সেটিও সম্পূর্ণ পড়লেন। (এত দীর্ঘ ক্বিরাআত সত্ত্বেও) তিনি ধীর শান্তভাবে থেমে থেমে পড়ছিলেন। যখন কোন এমন আয়াত এসে যেত, যাতে তাসবীহ (আল্লাহর পবিত্রতার বর্ণনা) আছে, তখন তিনি (ক্বিরাআত বন্ধ করে) তাসবীহ (অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ) পড়তেন। আর যখন প্রার্থনা সম্বলিত আয়াত এসে যেত, তখন প্রার্থনা করতেন। যখন আশ্রয় চাওয়ার আয়াত আসত, তখন আশ্রয় চাইতেন।…..(সহীহ মুসলিম হা/৭৭২, তিরমিযী হা/ ২৬২, নাসায়ী হা/ ১০০৮, ১০০৯, ১০৪৬, ১০৬৯, ১১৩৩, ১১৪৫, আবু দাউদ হা/৮৭১, ৮৭৪, ইবনু মাজাহ হা/ ৮৮৮, ৮৯৭, ১০৫১ মুসনাদে আহমাদ হা/ ২২৭২৯, ২২৭৫০, ২২৭৮৯)
.
শাফিঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেছেন, ইমাম শাফেয়ী ও আমাদের মাযহাবের আলেমগণ বলেন; সালাতে কিংবা সালাতের বাইরে তেলাওয়াতকারীর জন্য প্রত্যেক রহমতের আয়াত পাঠকালে আল্লাহ্‌র কাছে রহমত প্রার্থনা করা, আযাবের আয়াত পাঠকালে আল্লাহ্‌র কাছে আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা, তাসবীহের আয়াত পাঠকালে তাসবীহ পাঠ করা কিংবা উপমার আয়াত পাঠকালে অনুধাবন করা সুন্নাত। আমাদের মাযহাবের আলেমগণ বলেন; এটি ইমাম, মুক্তাদি ও একাকী নামায আদায়কারী সকলের জন্য মুস্তাহাব। সালাতের মধ্যে কিংবা সালাতের বাইরে প্রত্যেক তেলাওয়াতকারীর জন্য মুস্তাহাব; ফরয সালাত হোক কিংবা নফল সালাত হোক। আমীন বলার ন্যায় এ ক্ষেত্রে ইমাম, মুক্তাদি ও একাকী সালাত আদায়কারী সবাই সমান। এই মাসয়ালার পক্ষে দলিল হচ্ছে হুযাইফা (রাঃ) এর হাদিস…। এটি আমাদের মাযহাবের বিস্তারিত অভিমত। (ইমাম নববী আল মাজুম খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ৫৬২)
.
ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: সালাতের মধ্যে রহমতের আয়াত পাঠকালে রহমত প্রার্থনা করা কিংবা আশ্রয় প্রার্থনা করা মাকরূহ। আমাদের মাযহাবের অনুরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন সালফে-সালেহীন অধিকাংশ আলেম এবং তাদের পরবর্তী আলেমগণ।আল-বুহুতি (রহঃ) কাশ্শাফুল ক্বিনা গ্রন্থে বলেছেন: “ফরয সালাত ও নফল সালাতে রহমতের আয়াত কিংবা আযাবের আয়াত পাঠকালে তিনি দোয়া করতে পারেন ও আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন। (ইমাম বুহুতি কাশ শাফুল ক্বিনা খন্ড:১ পৃষ্ঠা:৩৮৪)।
.
সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: জেহরী নামাযে ইমাম তেলাওয়াতকালে মুক্তাদি যখন এমন কোন আয়াত শুনেন যে আয়াত আশ্রয় প্রার্থনাকে আবশ্যক করে কিংবা তাসবীহ পাঠকে আবশ্যক করে কিংবা আমীন বলাকে আবশ্যক করে তখন যে ব্যক্তি আমীন বলে, কিংবা জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চায় কিংবা সুবহানাল্লাহ্‌ বলে তার হুকুম কি?

জবাবে শাইখ বলেন: যে আয়াতগুলো তাসবীহ পাঠকে আবশ্যক করে, কিংবা আশ্রয় প্রার্থনাকে আবশ্যক করে, কিংবা দোয়া করাকে আবশ্যক করে তেলাওয়াতকারী যদি কিয়ামুল লাইল (রাতের নফল সালাত)-এ এমন আয়াতগুলো অতিক্রম করেন তখন তার জন্য আয়াতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আমলটি করা সুন্নাত। যদি কোন শাস্তির আয়াত অতিক্রম করে তখন আশ্রয় চাইবে। যদি কোন রহমতের আয়াত অতিক্রম করে তখন রহমত চেয়ে দোয়া করবে। আর যদি ইমামের তেলাওয়াত শুনে তাহলে চুপ থাকা ও তেলাওয়াত শুনা ব্যতীত অন্য কিছুতে ব্যস্ত না হওয়াই উত্তম। হ্যাঁ; যদি ধরে নেয়া হয় যে, ইমাম আয়াতের শেষে থামবেন এবং সেটি যদি রহমতের আয়াত হয় আর মুক্তাদি দোয়া করেন কিংবা যদি শাস্তির আয়াত হয় আর মুক্তাদি আশ্রয় প্রার্থনা করেন কিংবা যদি আল্লাহ্‌র মর্যাদাজ্ঞাপক আয়াত হয় আর মুক্তাদি তাসবীহ পড়েন এতে কোন অসুবিধা নেই। পক্ষান্তরে ইমাম যদি তার পড়া অব্যাহত রাখেন আর মুক্তাদি এ আমলগুলো করেন তাহলে আমার আশংকা হয় যে, এটি মুক্তাদিকে ইমামের তেলাওয়াত শুনা থেকে বিরত রাখবে। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাঁর সাহাবীদেরকে জেহরী সালাতে তাঁর পেছনে পড়তে শুনেছেন তখন তিনি বলেছেন: “তোমরা উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) ছাড়া অন্য কিছুর ক্ষেত্রে এটি করবে না। কারণ যে ব্যক্তি সেটি পড়বে না তার সালাত নেই। (ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব ও ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-৯৬০২৮)
.
আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) কে আরো জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: আমরা কিছু লোককে জামাআতে সালাত আদায় করতে শুনেছি, যখন ইমাম পাঠ করেন “আল্লাহ কি শ্রেষ্ঠ বিচারক নন? (সূরা আত্-তীন; ৯৫/৪৮)। তারা বলে: বালা (হ্যাঁ সত্যিই)। এটা কি গ্রহণযোগ্য? শাইখ উত্তরে বলেছেন : এটা গ্রহণযোগ্য, কারণ যখন আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ কি শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?” (আত্-ত্বীন,৯৫/৮)। আপনি বলতে পারেন; বালা (হ্যাঁ সত্যিই)।এবং যখনই অনুরূপ আয়াত পাঠ করা হয়, আমরা বলতে পারি বালা (হ্যাঁ সত্যিই)।” আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন?”(আল-জুমার; ৩৯/৩৬)। আপনি অবশ্যই হ্যাঁ বলতে পারেন। “আল্লাহ কি সর্বশক্তিমান, প্রতিশোধের অধিকারী নন?” (আল-জুমার; ৩৯/৩৭)। আপনি অবশ্যই হ্যাঁ বলতে পারেন। তিনি কি (যে আল্লাহ তা করেন) মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নন? (আল-কিয়ামাহ; ৭৫/৪০)-আপনি অবশ্যই হ্যাঁ বলতে পারেন। কিন্তু এটা বললে যদি ইমামের কথা শোনা থেকে মুসল্লির মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, তাহলে তার তা করা উচিত নয়। কিন্তু যদি এটি এমন একটি আয়াতের শেষে আসে যেখানে ইমাম বিরতি দেবেন, তবে এটি তাকে বিভ্রান্ত করবে না। তাই যখন তিনি বলেন: “আল্লাহ কি সর্বোত্তম বিচারক নন?” (আল-ত্বীন,৯৫/৮) তিনি হ্যাঁ বলতে পারেন। (ইমাম উসাইমিন লিকা’আল-বাব ইল-মাফতুহ খন্ড: ১১ পৃষ্ঠা: ৮১)
.
ভারতবর্ষে হাদীসশাস্ত্রের আরেক দিকপাল, মিশকাতুল মাসাবীহ’র বিখ্যাত ভাষ্যগ্রন্থ মির‘আতুল মাফাতীহ’র সম্মানিত মুসান্নিফ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, আল-আল্লামাহ, ইমাম উবাইদুল্লাহ বিন আব্দুস সালাম মুবারকপুরী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪১৪ হি./১৯৯৪ খ্রি.] বলেছেন,সালাতের মধ্যে হৌক বা বাইরে হৌক,পাঠকারীর জন্য উপরোক্ত আয়াত সমূহের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব। যা বর্ণিত হাদীস সমূহে উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু শ্রোতা বা মুক্তাদীর জন্য উপরোক্ত আয়াত সমূহের জওয়াব দেওয়ার প্রমাণে স্পষ্ট কোন মরফূ হাদীস আমি অবগত নই। তবে আয়াত গুলিতে প্রশ্ন রয়েছে। সেকারণে জওয়াবের মুখাপেক্ষী। কাজেই পাঠকারী ও শ্রোতা উভয়ের জন্য উত্তর দেওয়া বাঞ্ছনীয়। (মিরআত বেনারস, ভারত খন্ড: ৩ পৃষ্ঠা: ১৭৫)
.
বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, বক্তব্যটি মুতলাক্ব অর্থাৎ সাধারণ ভাবে এসেছে। অতএব তা সালাত ও সালাতের বাইরে এবং ফরয ও নফল সব সালাতকে শামিল করে। তিনি ‘মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা’র বরাতে একটি ‘আছার’ উদ্ধৃত করেন এই মর্মে যে, সাহাবী আবু মূসা আশ‘আরী ও মুগীরা বিন শো‘বা (রাঃ) ফরয সালাতে উক্ত জওয়াব দিতেন। ওমর ও আলী (রাঃ) সাধারণভাবে সকল অবস্থায় জওয়াব দিতেন। (আলবানী, সিফাতু সালা-তিন্নবী, পৃষ্ঠা: ৮৬)
.
▪️ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে যেসকল সূরা এবং আয়াাতের জবাব প্রদান করতে হয় সেগুলো হল:
_______________________________________
(ক). সূরা আ‘লার প্রথম আয়াত পাঠ করলে বলবে سُبْحَانَ رَبِّىَ الْأَعْلَى (সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা) অর্থ: মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক, যিনি সর্বোচ্চ)। (মুসনাদে আহমাদ হা/২০৬৬। আবু দাঊদ, হা/৮৮৩, ১/১২৮, সনদ সালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ ইমাম হাকিম)। এটিকে বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী তা সমর্থন করেছেন। (মিশকাত হা/৮৫৯)
.
(খ). সূরা ক্বিয়ামাহ-এর শেষে বলবে سُبْحَانَكَ فَبَلَى (সুবহা-নাকা ফা বালা) অর্থ: মহাপবিত্র আপনি! অতঃপর হাঁ, আপনিই মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন)। (আবু দাঊদ, হা/৮৮৪, ১/১২৮ পৃ., সনদ সহীহ)।
.
(গ) সূরা রহমানের আয়াত ‘ফাবি আইয়ি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকায্যিবা-ন’-এর জবাবে বলবে, لَا بِشَىْءٍ مِنْ نِعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ (লা বিশাইয়িম মিন নি‘আমিকা রব্বানা নুকায্যিবু ফালাকাল হাম্দ)। অর্থ:(হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার কোন একটি নেয়ামতকেও আমরা অস্বীকার করি না। অতঃপর তোমার জন্যই সকল প্রশংসা)। (তিরমিযী, হা/৩২৯১, ২/১৬৪ পৃ., ‘সূরা রহমানের তাফসীর’ অনুচ্ছেদ, সনদ হাসান; মিশকাত, হা/৮৬১;সিলসিলা সহীহাহ, হা/২১৫০ সহীহ আল জামি‘ ৫১৩৮)
.
▪️এক নজরে কয়েকটি জাল-জয়ীফ বর্ননা:
____________________________________
(ক). সূরা তীন-এর শেষে ‘বালা ওয়া আনা ‘আলা যা-লিকা মিনাশ শা-হেদ্বীন’ হাদীসটি জয়ীফ। কারণ এর সনদে একজন রাবী আছে, যার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। (জয়ীফ আবু দাঊদ হা/৮৮৭; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪২৪৫)
.
(খ). সূরায়ে মুরসালাত-এর শেষে ‘আ-মান্না বিল্লাহ’ বলার হাদীস ‘যঈফ’। (আবু দাউদ হা/৮৮৭, মিশকাত হা/৮৬০; হাদীসটি যঈফ, যঈফাহ হা/৪২৪৫,)
.
(গ). সূরা বাক্বারাহর শেষে ‘আমীন’ বলার হাদীস ‘যঈফ’। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৮০৬২; তাহক্বীক্ব তাফসীরে ইবনে কাসীর; ২/৩৭৪)
.
(ঘ). সূরা মুলকের শেষে দো‘আ পাঠের কোন ভিত্তি নেই।
.
(ঙ). সূরা জুমআ শেষে ‘আল্ল-হুম্মারযুক্বনা রিযক্বান হাসানাহ’ বলার কোন ভিত্তি নেই।
.
(চ). সূরা বানী ইসরাঈল শেষ করে ‘আল্লাহু আকবার কাবীরা’ বলা। দলিল নেই।
.
(ছ). সূরা ওয়াক্বিয়াহ ও হাক্কাহ শেষে ‘সুবহা-না রব্বিয়াল আযীম’ বলা। দলিল নেই।
.
(জ). মুলক শেষে ‘আল্লাহু ইয়া’তীনা ওয়া হুয়া রাব্বুল আলামীন’ বলার কোন দলীল নেই। এগুলো মোল্লাদের তৈরি বিদআতী প্রথা।
.
(ঝ). সূরা যোহা থেকে সূরা নাস পর্যন্ত সকল সূরা শেষে ‘আল্লাহু আকবার’ বলার যে বর্ণনা এসেছে, তা মুনকার বা অগ্রহণযোগ্য। (মুস্তাদরাক হাকেম হা/৫৩২৫; সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৩৩) অতএব সূরার জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_____________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।