প্রশ্ন: রাসূল ﷺ বলেন: “তুমি তোমার হৃদয়ের কাছ থেকে ফাতওয়া গ্রহণ করো, যদিও মুফতিরা তোমাকে ফাতওয়া দিয়ে থাকে।”(মুসনাদে আহমেদ হা/১৭৫৩৮) এই হাদিসটির বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা কি?
▬▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। অতঃপর:
প্রথমত: প্রশ্ন উল্লেখিত হাদিসটি ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) সংকলন করেছেন।বর্ননাটি হচ্ছে সাহাবী ওয়াবেস্বাহ ইবনে মা‘বাদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ‘‘তুমি পুণ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে এসেছ?’’ আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি তোমার অন্তরকে (ফতোয়া) জিজ্ঞাসা কর। পুণ্য হল তা, যার প্রতি তোমার মন প্রশান্ত হয় এবং অন্তর পরিতৃপ্ত হয়। আর পাপ হল তা, যা মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং অন্তর সন্দিহান হয়; যদিও লোকেরা তোমাকে (তার বৈধ হওয়ার) ফতোয়া দিয়ে থাকে।’’(মুসনাদে আহমেদ হা/১৭৫৩৮; ১৭৫৪০; ১৭৫৪৫; সুনানে দারেমী হা/২৫৩৩)
.
এটি ইমাম নববী (রহিমাহুল্লাহ)-এর সংকলিত চল্লিশ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত একটি মহামূল্যবান হাদীস। ইমাম নববী, ইমাম মুনযিরি এবং ইমাম শাওকানী হাদিসটিকে সহীহ (বা হাসান)’ হাদীস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) ও সহীহ আত-তারগীব হা/১৭৩৪) গ্রন্থে এটিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সহীহ (বা হাসান) রূপে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ হাদীসটি ওয়াবেস্বাহ ইবনে মা‘বাদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু)-এর বর্ণিত অনুরূপ আরেকটি হাদীসের মতোই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। হাদীসটি হলো: নাওওয়াস ইবনু সাম’আন আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে পূণ্য ও পাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তখন তিনি জবাব দিলেন, পূণ্য হলো উন্নত চরিত্র। আর পাপ হলো যা তোমার অন্তরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এবং লোকে তা জানুক তা তুমি অপছন্দ করো।”(সহীহ মুসলিম হা/৬৪১০)
.
আবূ সা‘লাবাহ খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সৎকর্ম হল তা, যার প্রতি তোমার মন প্রশান্ত হয় এবং অন্তর পরিতৃপ্ত হয়। আর পাপ হল তা, যা মনে খট্কা সৃষ্টি করে এবং অন্তর সন্দিহান হয়; যদিও লোকেরা তোমাকে (তার বৈধ হওয়ার) ফতোয়া দিয়ে থাকে।’’(মুসনাদে আহমেদ খণ্ড: ২৯; পৃষ্ঠা: ২৭৮-২৭৯; শায়খ শু’আইব আল-আরনা’উত (রাহিমাহুল্লাহ) সহীহ বলেছেন; ইমাম মুনযিরি বলেছেন: এর সনদ উত্তম (জায়িদ)। আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব (৩/২৩) হাফিজ ইবনু হাজার (রাহিমাহুল্লাহ) জামি’আল-উলুম ওয়াল-হিকাম; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২৫১ এ অনুরূপ কিছু বলেছেন, যেমনটি ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) সহীহ আত-তারগীব; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ১৫১ সহীহ বলেছেন)
.
দ্বিতীয়ত: অনেকেই এই হাদিসটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন। তারা নিজেদের ইচ্ছা, প্রবৃত্তি বা পছন্দকে মানদণ্ড বানিয়ে কোন কিছু হালাল বা হারাম বলার জন্য এ হাদীসটি ব্যবহার করেন। এমনকি কেউ কেউ নানা রকম অবৈধ কাজ করেও হাদীসটি উদ্ধৃত করে বলেন: “তোমার অন্তরের সাথে পরামর্শ করো, দেখো মন কী বলে!” অথচ হাদীসটির প্রকৃত উদ্দেশ্য এটি নয়।মূলত, হাদীসটির তাৎপর্য হলো— এক মুমিন ব্যক্তি যখন কোনো বিষয়ে সংশয়ে পড়ে এবং জ্ঞানীদের থেকে ফতওয়া নেয়, তখন যদি তার অন্তর সেই হালাল হারামের ফাতওয়ায় অস্বস্তি অনুভব করে, তবে সে যেন নিজ অন্তরের সততা ও তাকওয়ার অনুসরণে তা পরিত্যাগ করে। কারণ পবিত্র হৃদয় অন্যায়ের প্রতি প্রশান্তি পায় না।
.
শাইখ, আল্লামাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফাক্বীহ,আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আবু বকর ইবনু কাইয়্যিম আল-জাওজিয়্যা,(রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৭৫১ হি.] বলেছেন:
“لا يجوز العمل بمجرد فتوى المفتي إذا لم تطمئن نفسه ، وحاك في صدره من قبوله ، وتردد فيها ؛ لقوله صلى الله عليه وسلم : (استفت نفسك وإن أفتاك الناس وأفتوك) .
فيجب عليه أن يستفتي نفسه أولا ، ولا تخلصه فتوى المفتي من الله إذا كان يعلم أن الأمر في الباطن بخلاف ما أفتاه ، كما لا ينفعه قضاء القاضي له بذلك ، كما قال النبي صلى الله عليه وسلم : (من قضيت له بشيء من حق أخيه فلا يأخذه ، فإنما أقطع له قطعة من نار) .
والمفتي والقاضي في هذا سواء ، ولا يظن المستفتي أن مجرد فتوى الفقيه تبيح له ما سأل عنه إذا كان يعلم أن الأمر بخلافه في الباطن ، سواء تردد أو حاك في صدره ، لعلمه بالحال في الباطن ، أو لشكه فيه ، أو لجهله به ، أو لعلمه جهل المفتي ، أو محاباته في فتواه ، أو عدم تقيده بالكتاب والسنة ، أو لأنه معروف بالفتوى بالحيل والرخص المخالفة للسنة ، وغير ذلك من الأسباب المانعة من الثقة بفتواه ، وسكون النفس إليها”
“আর যদি তুমি কোনো ফতোয়ার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ো এবং তোমার মনে অস্বস্তি অনুভব করো, তবে এর ভিত্তিতে আমল করা তোমার জন্য হালাল হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তুমি তোমার হৃদয়ের কাছ থেকে ফাতওয়া গ্রহণ করো, যদিও মুফতিরা তোমাকে ফাতওয়া দিয়ে থাকে।” (মুসনাদে আহমাদ হা/১৮০০১; সহীহুল জামে হা/৯৪৮) সুতরাং প্রথমেই তোমার উচিত তোমার হৃদয়ের অনুভূতির দিকে খেয়াল করা। কেননা, যদি তুমি নিশ্চিত হও যে কোনো মুফতির কাছ থেকে তুমি যে ফতোয়া পেয়েছো, তা আল্লাহর সামনে তোমার দায়মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে না—যদি তুমি জানো যে বাস্তবে যে বিষয়টি ঘটেছে তা ঐ ফতোয়ার বিপরীত—তাহলে সে ফতোয়া কোনো কাজে আসবে না। একইভাবে, কোনো বিচারক যদি তোমার পক্ষে রায় দেয়, সেটাও তোমার কোনো উপকারে আসবে না, যদি তুমি জানো যে, তুমি যে হক দাবি করছো, তা প্রকৃতপক্ষে তোমার ভাইয়ের ন্যায্য অধিকার। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:”যদি আমি কাউকে তার ভাইয়ের কোন হক দিয়ে ফেলি,(বাস্তবে হয়ত এতে তার কোন অধিকারই নেই) তবে সে যেন তা গ্রহণ না করে; কেননা,এতে যেন আমি তাকে জাহান্নামের এক খণ্ড আগুন প্রদান করলাম।”(সহিহ বুখারী হা/৭১৬৯; সহিহ মুসলিম হা/৪৩৬৫) এই দৃষ্টিকোণ থেকে মুফতি ও বিচারক উভয়েই সমান। আর কোনো প্রশ্নকারী ব্যক্তি যেন এই ভুল ধারণা না করে বসে যে, একজন আলেম ফতোয়া দিয়েছেন বলেই তার জন্য সেটাই হালাল হয়ে গেছে,যখন তিনি জানেন যে বাস্তবে তা সঠিক ফতোয়া থেকে ভিন্ন। সে হয়তো সংশয়বোধ করেছিল, অথবা তার অন্তরে অস্বস্তি অনুভব করেছিল। কারণ, হয় সে জানত বাস্তবতা কী,অথবা সে সন্দেহে ছিল, অথবা সে নিজেই সে বিষয়ে অজ্ঞ ছিল, অথবা সে জানত যে, মুফতিও সে বিষয়ে অজ্ঞ, অথবা সে জানত মুফতি ব্যক্তি পক্ষপাতিত্ব করে, অথবা সে জানে, তিনি (মুফতি) কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ফতোয়া দেন না, অথবা তিনি পরিচিত এমন ফতোয়া দেওয়ার জন্য, যাতে সুন্নাহ পরিপন্থী ছাড় (রুখসাহ্) ও চালাকি (হীলা) রয়েছে। এবং এরকম আরও অনেক কারণ থাকতে পারে—যেগুলোর কারণে সেই ফতোয়ার ওপর আত্মবিশ্বাস স্থাপন করা এবং তার উপর অন্তরকে শান্ত রাখা বৈধ হয় না—যদি সে জানে যে, এই সব বিষয় সত্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।”(ইমাম ইবনু কাইয়্যিম, ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ইন খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা: ২৫৪)
.
সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেছেন:
أي : حتى وإن أفتاك مفتٍ بأن هذا جائز ، ولكن نفسك لم تطمئن ولم تنشرح إليه فدعه ، فإن هذا من الخير والبر ، إلا إذا علمت في نفسك مرضا من الوسواس والشك والتردد فلا تلتفت لهذا ، والنبي صلى الله عليه وسلم إنما يخاطب الناس أو يتكلم على الوجه الذي ليس في قلب صاحبه مرض
অর্থাৎ, যদি কোনো মুফতি তোমাকে ফতোয়া দেন যে — এটি বৈধ, কিন্তু তোমার মন এতে প্রশান্তি অনুভব করে না এবং এটি গ্রহণে তোমার হৃদয় উদার হয় না, তাহলে সেটিকে ছেড়ে দাও। কেননা, এটিই কল্যাণ ও পূণ্যের অন্তর্ভুক্ত। তবে যদি তুমি জানো যে, তোমার মনে কোনো রোগ আছে, যেমন: ওয়াসওয়াসাহ্ (অতিরিক্ত সন্দেহ), সংশয় ও দ্বিধা তাহলে সে অবস্থায় এ অনুভবের প্রতি কর্ণপাত কোরো না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই উপদেশ কেবল সেইসব লোকদের উদ্দেশ্যেই দিয়েছিলেন যাদের অন্তর রোগমুক্ত, যাদের হৃদয় স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে বিচার করতে সক্ষম।”(ইবনু উসাইমিন, শারহু রিয়াদিস সালিহিন: খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ২৪৮)
.
যে ব্যক্তি নিজের হৃদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক ও ভুলের মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারে—সে হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যার হৃদয় পবিত্র ও আল্লাহভীতি সম্পন্ন।পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির হৃদয় পথভ্রষ্ট ও পাপপ্রবণ,যদি সে কবীরা গোনাহ নিয়ে নিজের হৃদয়ের সাথে পরামর্শ করে,তবে সে নিশ্চয়ই তা বৈধ মনে করবে। কেননা, তার হৃদয়ে আর সত্য-মিথ্যার মাঝে কোনো স্পষ্ট পার্থক্য থাকে না।” এ সম্পর্কে বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেন:
(الإثم ما حاك في نفسك) أي : تردد وصرت منه في قلق (وكرهت أن يطلع عليه الناس) لأنه محل ذم وعيب ، فتجدك متردداً فيه وتكره أن يطلع عليك الناس .وهذه الجملة إنما هي لمن كان قلبه صافياً سليماً ، فهذا هو الذي يحوك في نفسه ما كان إثماً ، ويكره أن يطلع عليه الناس .أما المُتَمَرِّدون الخارجون عن طاعة الله الذين قست قلوبهم فهؤلاء لا يبالون ، بل ربما يتبجحون بفعل المنكر والإثم ، فالكلام هنا ليس عاماً لكل أحد ، بل هو خاص لمن كان قلبه سليماً طاهراً نقياً ، فإنه إذا هَمَّ بإثم وإن لم يعلم أنه إثم من قبل الشرع تجده متردداً يكره أن يطلع الناس عليه ، فهذا علامة على الإثم في قلب المؤمن”
“পাপ হলো সেই বিষয়, যা তোমার অন্তরে দ্বিধা ও সংশয়ের সৃষ্টি করে” অর্থাৎ, তুমি তাতে দ্বিধায় পড়ে যাও এবং তা নিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা ও অস্বস্তি অনুভব করো। আর তুমি চাও না যে মানুষজন এ ব্যাপারে জানুক; কারণ এটি নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক কিছু। ফলে তুমি নিজেকে এতে দ্বিধায় পড়া অবস্থায় পাবে, এবং চাইবে না যে কেউ তা জেনে ফেলুক। এই উপদেশ মূলত তার জন্য, যার অন্তর বিশুদ্ধ ও সুস্থ। এমন ব্যক্তিই হলো সেই ব্যক্তি, যার অন্তরে পাপসমূহ ঘুরপাক খায় (অন্তর তা নিয়ে দোলাচলে পড়ে), এবং যে চায় না মানুষ তা জানুক। অথচ যারা অবাধ্য, আল্লাহর আনুগত্য পরিত্যাগ করেছে এবং যাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে—তারা এসব নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয়; বরং কখনো কখনো তারা প্রকাশ্যেই গর্ব করে অন্যায় ও পাপ কাজ করার ব্যাপারে।সুতরাং, এই হাদীসের বক্তব্য সবার জন্য নয়; বরং শুধু তার জন্য, যার অন্তর সুস্থ, নির্মল ও পবিত্র রয়েছে। কারণ, এমন ব্যক্তি যখন কোনো পাপের দিকে মনোনিবেশ করে এমনকি যদি শরিয়তের দৃষ্টিতে তা স্পষ্টভাবে পাপ কি না, সে না জানে—তবুও তার অন্তরে দ্বিধা সৃষ্টি হয় এবং সে চায় না যে মানুষ তা জানুক।এটি একজন মু’মিনের অন্তরে পাপ-সচেতনতার পরিচায়ক।”(ইবনু উসাইমীন; শারহ আরবাইন আন-নববিয়্যাহ পৃষ্ঠা: ২৯৪-২৯৫) আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১৩৭২৬৭)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পাদনায়: ইব্রাহিম বিন হাসান হাফিজাহুল্লাহ।
অধ্যয়নরত, কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি সৌদি আরব।