প্রশ্ন: সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেওয়া সুন্নত নাকি বিদআত? যদি এটা বিদআত হয় তাহলে কিভাবে তাকবির দেওয়া উচিত?
▬▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র প্রতি। অতঃপর ইবাদতের ক্ষেত্রে উসূল হচ্ছে সকল ইবাদতই নিষিদ্ধ শুধুমাত্র সেগুলো ছাড়া যেগুলো করার দলিল কুরআন সুন্নায় রয়েছে অর্থাৎ কোনও ইবাদত সওয়াবের নিয়তে করতে হলে অবশ্যই সেই ইবাদত সম্পর্কে কুরআন হাদীসে বিশুদ্ধ দলিল থাকতে হবে অন্যথায় বিনা দলিলে ইবাদত করলে বিদআত হবে। এর প্রমান হচ্ছে; আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন আমল করল যাতে আমার কোন নির্দেশনা নেই,তা পরিত্যাজ্য”(সহীহ মুসলিম হা/১৭১৮)। এই হাদীস প্রমান করে শরীয়তে যে আমলের দলিল নেই সেগুলো পরিত্যাজ্য এবং বাতিল। তাকবির দেওয়া এটি একটি ইবাদত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ আমাদেরকে অধিক পরিমাণে তাকবির পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন: আল্লাহ তাআলা বলেন,وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ“আর আল্লাহ তোমাদেরকে যে সঠিক পথ দেখিয়েছেন সে জন্য তাকবির পাঠ করো (আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দাও)।” [সূরা বাকারা: ১৮৫] মুফাসরিরগণের মতে এ আয়াতটি ঈদুল ফিতরের তাকবির পাঠের নির্দেশ করে। কেননা তা রমজান মাসের সিয়াম সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরে আলোচিত হয়েছে।অপর আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরো বলেন—وَٱذۡكُرُوا۟ ٱللَّهَ فِیۤ أَیَّامࣲ مَّعۡدُودَ ٰتࣲۚ ‘‘এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর যিকর কোরো।’’(সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৩) এই আয়াতের তাফসিরে ইবনে আব্বাস রা. বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, أيام التشريق “তাশরিকের দিন সমূহ।” [তাফসিরে ইবনে কাসির]এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, দুই ঈদ এবং ঈদুল আজহার পরে তাশরিকের দিনগুলোতে (জিলহজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ) তাকবির পাঠ করা শরিয়ত সম্মত। এই দিনগুলোতে আল্লাহর যিকর, অর্থাৎ একাকী,উচ্চৈঃস্বরে তকবীর পড়া সুন্নত। প্রখ্যাত সাহাবি আলি (রা.) আরাফার দিন (৯ই জিলহজ) ফজরের নামাজ থেকে তাকবির দিতেন এবং আইয়ামুত তাশরিকের শেষ দিন (জিলহজের ১৩ তারিখ) আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবির দিতেন। [ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান,আল আসার: ২০৮; বর্ণনাটির সনদ সহিহ] এছাড়া ইবনু উমার (রা.), ইবনু আব্বাস (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকেও বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা একাকী উচ্চস্বরে তাকবির দিতেন। এমনকি বাজারে যেতেও তাকবির পাঠ করতেন। সুতরাং এই আলোচনা থেকে প্রমাণ হয় যে তাকবীর উচ্চস্বরে দেওয়া সুন্নাহ এবং সেটা একাকী সম্মিলিতভাবে নয়।
.
▪️সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়ার বিধান:
.
আমাদের ফিকাহবিদ আলেমগণ বর্তমান যামানার সম্মিলিত তাকবীর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তারা এর স্বপক্ষে দলিলের সমর্থন পাননি বিধায় এটাকে বিদআত ফতোয়া দিয়েছেন। কারণ যে কোন ইবাদত নতুনভাবে চালু করা কিংবা কোন ইবাদতের পদ্ধতি ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নতুনত্ব আনা নিন্দিত বিদআত হিসেবে গণ্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বানী: “যে ব্যক্তি আমাদের এ বিষয়ের মধ্যে (ধর্মের মধ্যে) নতুন কিছু চালু করে যা তাতে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত”।(সহিহ মুসলিম হা/ ১৭১৮)
.
সৌদি আরবের প্রথম গ্র্যান্ড মুফতি, ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলুশ শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৩৮৯ হি.] বলেছেন,” التكبير الذي كان يعمل في المسجد الحرام يوم العيد ، يجلس شخص أو أشخاص في سطح زمزم ويكبرون ، وأناس يجاوبونهم في المسجد ، فقام الشيخ عبد العزيز بن باز وأنكر عليهم هذه الكيفية وقال : إنها بدعة . ومقصود الشيخ أنها بدعة نسبية بهذا الشكل الخاص ، ولا يقصد أن التكبير بدعة ، فتذمر من ذلك بعض عوام أهل مكة ، لأنهم قد ألفوا ذلك ، وهذا هو الذي حدا .. على رفعه هذه البرقية ، وسلوك هذه الكيفية في التكبير لا أعرف أنا وجهها ، فالمدعي شرعية ذلك بهذا الشكل عليه إقامة الدليل والبرهان ، مع أن هذه المسألة جزئية لا ينبغي أن تصل إلى ما وصلت إليه”মসজিদে হারামে যে তাকবীর দেয়ার প্রচলন ছিল সেটা হচ্ছে‑ এক বা একাধিক ব্যক্তি যমযম পানির ছাউনির বসে তাকবীর দিতেন এবং মসজিদে অবস্থিত অন্য লোকেরা তাদের সাথে সাড়া দিত। তখন শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ) এই পদ্ধতিতে তাকবীর দেয়ার বিরোধিতা করলেন এবং বললেন এটি বিদআত। শাইখের উদ্দেশ্য হচ্ছে‑ এই বিশেষ পদ্ধতিটা বিদআত। তাকবীর দেয়া বিদআত নয়। তখন মক্কার কিছু সাধারণ লোক এতে ক্ষুব্ধ হল। কেননা তারা এভাবে তাকবীর দিতে অভ্যস্ত ছিল। এ কারণে তিনি এই ফ্যাক্সটি পাঠিয়েছিলেন যে, এ পদ্ধতিতে তাকবীর দেয়ার কোন দলিল আমি জানি না। কেউ যদি এ পদ্ধতিতে তাকবীর দেয়াকে শরিয়তসম্মত দাবী করেন তাহলে তার কর্তব্য দলিল-প্রমাণ পেশ করা। যদিও এটি একটি মামুলি মাসয়ালা। এ মাসয়ালাকে নিয়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা কাম্য ছিল না।”(মাজমুউ ফাতাওয়াল আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম; খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ১২৭, ১২৮)
.
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায আন-নাজদী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন,
الحمد لله رب العالمين , والصلاة والسلام على نبينا محمد وعلى آله وأصحابه أجمعين، وبعد:فقد اطلعت على ما نشره فضيلة الأخ الشيخ : أحمد بن محمد جمال – وفقه الله لما فيه رضاه – في بعض الصحف المحلية من استغرابه لمنع التكبير الجماعي في المساجد قبل صلاة العيد لاعتباره بدعة يجب منعها , وقد حاول الشيخ أحمد في مقاله المذكور أن يدلل على أن التكبير الجماعي ليس بدعة وأنه لا يجوز منعه , وأيد رأيه بعض الكتاب ; ولخشية أن يلتبس الأمر في ذلك على من لا يعرف الحقيقة نحب أن نوضح أن الأصل في التكبير في ليلة العيد وقبل صلاة العيد في الفطر من رمضان , وفي عشر ذي الحجة , وأيام التشريق , أنه مشروع في هذه الأوقات العظيمة ، وفيه فضل كثير ; لقوله تعالى في التكبير في عيد الفطر : ( وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ) البقرة/185، وقوله تعالى في عشر ذيالحجة وأيام التشريق : ( لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ ) الحج/28، وقوله عز وجل: ( وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْدُودَاتٍ ) البقرة/203.ومن جملة الذكر المشروع في هذه الأيام المعلومات والمعدودات التكبير المطلق والمقيد , كما دلت على ذلك السنة المطهرة وعمل السلف ، وصفة التكبير المشروع : أن كل مسلم يكبر لنفسه منفردا ويرفع صوته به حتى يسمعه الناس فيقتدوا به ويذكرهم به ، أما التكبير الجماعي المبتدع فهو أن يرفع جماعة – اثنان فأكثر – الصوت بالتكبير جميعا ، يبدأونه جميعا ، وينهونه جميعا بصوت واحد وبصفة خاصة .
وهذا العمل لا أصل له ، ولا دليل عليه , فهو بدعة في صفة التكبير ما أنزل الله بها من سلطان , فمن أنكر التكبير بهذه الصفة فهو محق ; وذلك لقوله صلى الله عليه وسلم: ( من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد ) رواه مسلم . أي مردود غير مشروع . وقوله صلى الله عليه وسلم : ( وإياكم ومحدثات الأمور فإن كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة ) ، والتكبير الجماعي محدث ، فهو بدعة ، وعمل الناس إذا خالف الشرع المطهر وجب منعه وإنكاره ; لأن العبادات توقيفية لا يشرع فيها إلا ما دل عليه الكتاب والسنة , أما أقوال الناس وآراؤهم فلا حجة فيها إذا خالفت الأدلة الشرعية , وهكذا المصالح المرسلة لا تثبت بها العبادات , وإنما تثبت العبادة بنص من الكتاب أو السنة أو إجماع قطعي .والمشروع أن يكبر المسلم على الصفة المشروعة الثابتة بالأدلة الشرعية ، وهي التكبير فرادى .وقد أنكر التكبير الجماعي ومنع منه سماحة الشيخ محمد بن إبراهيم مفتي الديار السعودية رحمه الله ، وأصدر في ذلك فتوى , وصدر مني في منعه أكثر من فتوى , وصدر في منعه أيضا فتوى من اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء .وألف فضيلة الشيخ حمود بن عبد الله التويجري رحمه الله رسالة قيمة في إنكاره والمنع منه , وهي مطبوعة ومتداولة وفيها من الأدلة على منع التكبير الجماعي ما يكفي ويشفي والحمد لله.
أما ما احتج به الأخ الشيخ أحمد من فعل عمر رضي الله عنه والناس في منى فلا حجة فيه ; لأن عمله رضي الله عنه وعمل الناس في منى ليس من التكبير الجماعي , وإنما هو من التكبير المشروع ; لأنه رضي الله عنه يرفع صوته بالتكبير عملا بالسنة وتذكيرا للناس بها فيكبرون , كل يكبر على حاله , وليس في ذلك اتفاق بينهم وبين عمر رضي الله عنه على أن يرفعوا التكبير بصوت واحد من أوله إلى آخره , كما يفعل أصحاب التكبير الجماعي الآن , وهكذا جميع ما يروى عن السلف الصالح رحمهم الله في التكبير كله على الطريقة الشرعية، ومن زعم خلاف ذلك فعليه الدليل , وهكذا النداء لصلاة العيد أو التراويح أو القيام أو الوتر كله بدعة لا أصل له , وقد ثبت في الأحاديث الصحيحة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يصلي صلاة العيد بغير أذان ولا إقامة , ولم يقل أحد من أهل العلم فيما نعلم أن هناك
[ يعني: في الوارد في السنة ] نداء بألفاظ أخرى , وعلى من زعم ذلك إقامة الدليل , والأصل عدمه , فلا يجوز أن يشرع أحد عبادة قولية أو فعلية إلا بدليل من الكتاب العزيز أو السنة الصحيحة أو إجماع أهل العلم – كما تقدم – لعموم الأدلة الشرعية الناهية عن البدع والمحذرة منها , ومنها قول الله سبحانه: ( أم لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ) الشورى/21.ومنها الحديثان السابقان في أول هذه الكلمة , ومنها قول النبي صلى الله عليه وسلم: ( من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد ) متفق على صحته .وقوله صلى الله عليه وسلم في خطبة الجمعة : ( أما بعد فإن خير الحديث كتاب الله وخير الهدي هدي محمد صلى الله عليه وسلم وشر الأمور محدثاتها وكل بدعة ضلالة ) خرجه مسلم في صحيحه , والأحاديث والآثار في هذا المعنى كثيرة .والله المسئول أن يوفقنا وفضيلة الشيخ أحمد وسائر إخواننا للفقه في دينه والثبات عليه , وأن يجعلنا جميعا من دعاة الهدى وأنصار الحق , وأن يعيذنا وجميع المسلمين من كل ما يخالف شرعه إنه جواد كريم ، وصلى الله وسلم على نبينا محمد وآله وصحبه
আল্-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ, ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন। পর সমাচার: সম্মানিত ভাই শাইখ আহমাদ বিন মুহাম্মদ জামাল (আল্লাহ্ তাকে তাঁর সন্তুষ্টিমূলক কাজের তাওফিক দিন) একটি স্থানীয় পত্রিকায় ঈদের নামাযের আগে সম্মিলিতভাবে তাকবীরকে বিদআত গণ্য করে মসজিদগুলোতে সেটা নিষিদ্ধ করার বিষয়টির প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করে যে প্রবন্ধ লিখেছেন তা আমি পড়েছি। শাইখ আহমাদ সে প্রবন্ধে দলিল পেশ করার চেষ্টা করেছেন যে, সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়া বিদআত নয়; এ তাকবীর দিতে বাধা দেওয়া জায়েয হবে না। কিছু কিছু লেখক শাইখ আহমাদের মতকে সমর্থন করেছেন। যারা প্রকৃত বিষয়টি জানে না তাদের কাছে ধোঁয়াশা থেকে যাওয়ার আশংকা থেকে আমরা এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। চাঁদ রাতে, ঈদুল ফিতরের সালাতের আগে, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে ও তাশরিকের দিনগুলোতে তাকবীর দেয়ার মূল বিধান হলো‑ এটি এ মহান সময়গুলোতে শরিয়তসম্মত এবং এ আমলের রয়েছে মহান ফযিলত। আল্লাহ্ তাআলা ঈদুল ফিতর‑এর সময় তাকবীর দেয়া সম্পর্কে বলেন: “তিনি চান তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি যে তোমাদেরকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন সে জন্য ‘তাকবির’ উচ্চারণ কর (আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর)। আর যাতে তোমরা শোকর কর।”[সূরা বাকারা ২: ১৮৫] যিলহজ্জের দশদিনে তাকবীর দেয়া সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন‑ “যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে। এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা কিছু রিযিক হিসেবে দিয়েছেন সেগুলোর উপর নির্দিষ্ট কিছু দিনে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে পারে।”[সূরা হজ্জ, আয়াত: ২৮] তিনি আরও বলেন: “গুটি কয়েক দিনে আল্লাহকে স্মরণ কর…”[সূরা বাকারা, আয়াত: ২০৩]
নির্দিষ্ট কিছু দিনে ও গুটি কয়েক দিনে শরিয়ত অনুমোদিত যিকিরের মধ্যে রয়েছে‑ সাধারণ তাকবীর ও বিশেষ তাকবীর। যেমনটি পবিত্র সুন্নাহ্-তে ও সালাফদের আমলে পাওয়া যায়। শরিয়ত অনুমোদিত এ যিকিরের পদ্ধতি হল: প্রত্যেক মুসলিম নিজে নিজে একাকী উচ্চস্বরে তাকবীর দিবেন যাতে করে অন্যেরাও শুনতে পেয়ে তাকে অনুসরণ করে এবং তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিবেন। পক্ষান্তরে, সম্মিলিত বিদআতী তাকবীর হল‑ দুইজন বা ততোধিক ব্যক্তি সমস্বরে তাকবীর দেওয়া; একই সুরে সবাই একত্রে শুরু করা ও একত্রে শেষ করা।
এ আমলের কোন ভিত্তি নেই ও দলিল নেই। তাকবীরের এ পদ্ধতিটি বিদআত; এর সপক্ষে আল্লাহ্ কোন দলিল নাযিল করেননি। যে ব্যক্তি এমন পদ্ধতির তাকবীরকে অস্বীকার করেন তিনি হক্বপন্থী। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যাতে আমাদের অনুমোদন নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত।”[সহিহ মুসলিম] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন: “তোমরা নব-প্রবর্তিত বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকবে। কারণ প্রত্যেক নব-প্রবর্তিত বিষয় বিদআত। প্রত্যেক বিদআতই‑ ভ্রান্তি।” সম্মিলিত তাকবীর হচ্ছে‑ নব-প্রবর্তিত বিষয়। সুতরাং তা বিদআত। মানুষের কোন কাজ যখন পবিত্র শরিয়ত বিরোধী হয় তখন তাতে বাধা দেওয়া ও এর বিরোধিতা করা ওয়াজিব। কেননা ইবাদতগুলো হচ্ছে‑ তাওক্বিফি; অর্থাৎ ইবাদতের ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর দলিলের বাইরে কোন বিধান আরোপ করা যাবে না। আর মানুষের উক্তি বা দৃষ্টিভঙ্গি যদি শরয়ি দলিলের বিরোধী হয় তাহলে সেটা কোন দলিল হতে পারে না। অনুরূপভাবে ‘মাসালিহ মুরসালাহ’ এর দ্বারা কোন ইবাদত সাব্যস্ত হয় না। বরং ইবাদত সাব্যস্ত হয় সরাসরি কুরআন-সুন্নাহ্ বা অকাট্য ইজমা‑ এর দলিলের ভিত্তিতে। শরিয়তসম্মত হচ্ছে‑ শরয়ি দলিলের ভিত্তিতে সাব্যস্ত শরিয়তসম্মত পদ্ধতিতে তাকবীর দেওয়া; আর তা হল‑ ব্যক্তিগতভাবে তাকবীর দেওয়া। সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেওয়া থেকে বারণ করেছেন
সৌদি আরবের প্রাক্তন গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম (রহঃ) এবং তিনি এ বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছেন। সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়াকে বারণ করে আমার পক্ষ থেকেও একাধিক ফতোয়া ইস্যু হয়েছে এবং এটাকে বারণ করে সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকেও ফতোয়া ইস্যু হয়েছে। শাইখ হুমুদ বিন আব্দুল্লাহ্ আত্-তুওয়াইজিরি (রহঃ) সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেওয়া থেকে নিষেধ করে একটি পুস্তিকা রচনা করেছেন। সেটি ছাপা হয়েছে ও সুলভ। ঐ পুস্তিকাতে সম্মিলিতভাবে তাকবীর গর্হিত হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট দলিল-প্রমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। শাইখ আহমাদ ভাই মীনাতে সকল মানুষের উপস্থিতিতে উমর (রাঃ) কর্তৃক এ আমল করার যে দলিল দিয়েছেন সেটা দলিল নয়। কেননা মীনাতে উমর (রাঃ) এর আমল কিংবা অন্যান্য মানুষেরর আমল সম্মিলিত তাকবীর নয়। বরং সেটা শরিয়ত অনুমোদিত তাকবীর। কারণ উমর (রাঃ) সুন্নাহ্ অনুযায়ী আমল করতে গিয়ে ও মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে তাকবীর দিতেন তখন লোকেরাও তাকবীর দিত। প্রত্যেকেই নিজের মত তাকবীর দিত। এতে এমন কিছু ছিল না যে, লোকেরা উমর (রাঃ) এর সাথে একত্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই সুরে উচ্চস্বরে তাকবীর দিত; যেমনটি বর্তমানে সম্মিলিত তাকবীর দেওয়ার ক্ষেত্রে করা হয়। অন্যান্য সলফে সালেহীন থেকেও তাকবীরের ক্ষেত্রে যা বর্ণনা করা হয় তারা সকলে শরয়ি পদ্ধতিতেই তাকবীর দিতেন। যে ব্যক্তি এর বিপরীত দাবী করবে তার কর্তব্য হল দলিল উল্লেখ করা। অনুরূপভাবে ঈদের নামাযের জন্য আহ্বান, তারাবীর আহ্বান, কিয়ামুল লাইলের আহ্বান, বিতিরের আহ্বান ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিদআত; যেগুলোর পক্ষে কোন দলিল নেই। আমরা এমন কোন আলেম জানি না যিনি বলেছেন যে, ভিন্ন ধরণের কিছু ভাষ্যে আহ্বান রয়েছে (তিনি বলতে চাচ্ছেন সুন্নাতে উদ্ধৃত)। যদি কেউ এমন কিছু দাবী করে তার কর্তব্য হল‑ দলিল উল্লেখ করা। মূল অবস্থা হল‑ দলিল না থাকা। অতএব, কুরআন, সহিহ সুন্নাহ ও আলেমগণের ইজমা ব্যতিরেকে কোন বাচনিক ইবাদত বা কর্মগত ইবাদত চালু করা জায়েয নয়; যেমনটি ইতিপূর্বেও বলা হয়েছে‑ এ কারণে যে শরিয়তের সাধারণ দলিল নতুন প্রবর্তন থেকে বারণ করে ও সাবধান করে। যেমন আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “এদের কি এমন কতকগুলি অংশী (উপাস্য) আছে যারা এদের জন্য বিধান দিয়েছে এমন ধর্মের, যার অনুমতি আল্লাহ এদেরকে দেননি?”[সূরা শুরা, ৪২: ২১] এছাড়াও রয়েছে এ আলোচনার শুরুতে উল্লেখিত হাদিসদ্বয়। এর আরও রয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বানী: “যে ব্যক্তি আমাদের এ বিষয়ের মধ্যে (ধর্মের মধ্যে) নতুন কিছু প্রবর্তন করে যা তাতে নেই‑ সেটা প্রত্যাখ্যাত।”[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম] এবং জুমার খোতবাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “পর সমাচার, সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে‑ আল্লাহ্র কিতাব। সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে‑ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। সর্বনিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে‑ নব-প্রবর্তিত বিষয়গুলো। আর প্রত্যেকটি নব-প্রবর্তিত বিষয় গোমরাহী।”[সহিহ মুসলিম এবং এ অর্থবোধক হাদিস ও আছার অনেক](মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাতুম মুতানাওয়্যা‘আহ, খণ্ড/১৩; পৃষ্ঠা: ২০-২৩)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) ‘আলিমগণ বলেছেন,” يكبر كل وحده جهرا ، فإنه لم يثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم التكبير الجماعي ، وقد قال : ( من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد ) “”প্রত্যেকে নিজে নিজে উচ্চস্বরে তাকবীর দিবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়া সাব্যস্ত হয়নি। অথচ তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যাতে আমাদের অনুমোদন নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত।”(ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমাহ, খণ্ড: ৮; পৃষ্ঠা: ৩১০) স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) আরেক ফতোয়াতে আরও এসেছে যে, ‑التكبير الجماعي بصوت واحد ليس بمشروع بل ذلك بدعة
؛ لما ثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : ( من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد ) ، ولم يفعله السلف الصالح ، لا من الصحابة ، ولا من التابعين ، ولا تابعيهم ، وهم القدوة ، والواجب الاتباع وعدم الابتداع في الدين ”
একই সুরে সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়া শরিয়তসম্মত নয়; বরং বিদআত। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যাতে আমাদের অনুমোদন নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত”। সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীগণ তথা সলফে সালেহীনদের কেউ এটি করেননি। তাঁরাই হচ্ছেন আদর্শ। আমাদের কর্তব্য হল‑ অনুসরণ করা; অভিনব কিছু চালু করা নয়।”(ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমাহ, খণ্ড: ৮; পৃষ্ঠা: ৩১১) স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) আরেক ফতোয়াতে আরও এসেছে যে,”التكبير الجماعي بدعة ؛ لأنه لا دليل عليه ، وقد قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد ) وما فعله عمر رضي الله عنه ليس فيه دليل على التكبير الجماعي ، وإنما فيه أن عمر رضي الله عنه يكبر وحده فإذا سمعه الناس كبروا ، كل يكبر وحده ، وليس فيه أنهم يكبرون تكبيرا جماعيا”সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়া বিদআত। কেননা এর পক্ষে কোন দলিল নেই। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করে যাতে আমাদের অনুমোদন নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত”। উমর (রাঃ) যা করেছেন তাতে সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেওয়ার পক্ষে কোন দলিল নেই। বরং তাতে রয়েছে যে, উমর (রাঃ) নিজে তাকবীর দিতেন এবং তাঁর তাকবীর দেওয়া শুনলে লোকেরাও তাকবীর দিত। প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে তাকবীর দিত। তারা সম্মিলিতভাবে তাকবীর দিত না।”(ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমাহ, খণ্ড: ২৪; পৃষ্ঠা: ২৬৯)
.
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ‘ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা দ্বিতীয় ভলিউমে) আরও এসেছে যে,التكبير الجماعي بصوت واحد من المجموعة بعد الصلاة أو في غير وقت الصلاة – غير مشروع ، بل هو من البدع المحدثة في الدين ، وإنما المشروع الإكثار من ذكر الله جل وعلا بغير صوت جماعي بالتهليل والتسبيح والتكبير وقراءة القرآن وكثرة الاستغفار ، امتثالا لقوله تعالى : ( يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا ) ، وقوله تعالى : (فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ ) ، وعملا بما رغب فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم بقوله : ( لأن أقول : سبحان الله ، والحمد لله ، ولا إله إلا الله ، والله أكبر ، أحب إلي مما طلعت عليه الشمس ) رواه مسلم ، وقوله : ( من قال سبحان الله وبحمده مائة مرة غفرت له ذنوبه وإن كانت مثل زبد البحر ) رواه مسلم والترمذي واللفظ له ، واتباعا لسلف هذه الأمة ، حيث لم ينقل عنهم التكبير الجماعي ، وإنما يفعل ذلك أهل البدع والأهواء ، على أن الذكر عبادة من العبادات ، والأصل فيها التوقيف على ما أمر به الشارع ، وقد حذر النبي صلى الله عليه وسلم من الابتداع في الدين ، فقال : « من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد )”একই সুরে সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেওয়া সেটা নামাযের শেষে হোক কিংবা নামায ছাড়া অন্য সময়ে হোক‑ শরিয়তসম্মত নয়। বরং সেটি ধর্মের মধ্যে অভিনব বিদআত। শরিয়তসিদ্ধ হচ্ছে‑ বেশি বেশি আল্লাহ্র যিকির করা তথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়া, ‘তাসবিহ’ পড়া, ‘তাকবীর’ বলা, কুরআন তেলাওয়াত করা, বেশি বেশি ‘ইস্তিগফার’ করা; তবে সম্মিলিতভাবে নয়। সেটা আল্লাহ্র এ বাণীর নির্দেশ পালনার্থে: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা বেশী করে আল্লাহ্কে স্মরণ কর। আর সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ পড়”।[সূরা আহযাব, ৩৩: ৪১-৪২] এবং এ বাণীর নির্দেশ পালন করে: “অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব”।[সূরা বাক্বারা, ২: ১৫২] এবং যিকিরের প্রতি উৎসাহদানকারী এ হাদিসের উপর আমল করে: “আমি ‘সুবহানাল্লাহ্’ বলা, ‘আল্-হামদু লিল্লাহ্’ বলা, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা, ‘আল্লাহু আকবার’ বলা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সেসব কিছুর চেয়েও আমার কাছে অধিক প্রিয়”।[সহিহ মুসলিম] এবং এ হাদিসের উপর আমল করে: “যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি’ একশ বার বলবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হবে; এমনকি তার গুনাহ্ যদি সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয় তবুও”।[সহিহ মুসলিম ও সুনানে তিরমিযি; ভাষ্য তিরমিযির] এবং এ উম্মতের পূর্বসূরিদের অনুকরণে। যেহেতু তাঁদের কাছ থেকে এভাবে সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়ার বর্ণনা আসেনি। এভাবে সম্মিলিতভাবে তাকবীর দেয়‑ বিদআতপন্থী ও কুপ্রবৃত্তির অনুসারীরা। অথচ যিকির একটা ইবাদত। ইবাদতের ক্ষেত্রে মূলনীতি হল‑ তাওকীফ তথা শরিয়তপ্রণেতা যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটার সীমানাতে থেমে যাওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ধর্মীয় বিষয়ে অভিনব কিছু প্রবর্তন করা থেকে সাবধান করেছেন। তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাদের এই বিষয়ের মধ্যে (ধর্মের মধ্যে) এমন কিছু চালু করে যা তাতে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত”।(ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমাহ, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ২৩৬) গৃহিত ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১২৭৮৫১)
.
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং সব ধরণের ভ্রান্তি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
__________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।