যে সকল আমলের মাধ্যমে মানুষের দোআয় শামিল হওয়া যায়

ভূমিকা: মহান আল্লাহ আদম ও হাওয়া (আঃ) থেকে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন (সূরা নিসা ৪/১)। সে হিসাবে পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রয়েছে। তবে বিশেষ ভাবে মুসলিম জাতি সৃষ্টি ও আক্বীদাগত উভয় দিক দিয়ে সুদৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ إِخْوَةٌ ‘মুমিনগণ পরস্পরে ভাই ব্যতীত নয়।’ (সূরা হুজুরাত ৪৯/১০)। সুতরাং ভাই ভাই হিসাবে তাদের পারস্পরিক আচরণ কেমন হবে এবং তাদের কিরূপ শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে এ বিষয়ে বিস্তর বিবরণ রয়েছে ইসলামে। যেগুলি পালন করলে ইহকালে জীবন-যাপন যেমন সুন্দর ও সুখময় হবে, তেমনি পরকালে প্রভূত কল্যাণ লাভ করা যাবে। শিষ্টাচারের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো মানুষের দোআ পাওয়া। আমরা সবাই অন্যের কাছে দোআ প্রত্যাশা করি। সেই জন্য সুযোগ পেলেই দ্বীনদার মানুষের কাছে নিজের জন্য এবং নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য দোআ চেয়ে থাকি। কিন্তু ইসলামী শরীআত আমাদের জন্য এমন কিছু উপায় করে দিয়েছে, যা অবলম্বন করে আমরা অনায়াসে মানুষের দোআয় শামিল হতে পারি। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা অপরের উপর ওয়াজিব করে দেই যে, তারা আমাদের জন্য দোআ করবে। আবার কখনো কখনো দোআ না চাইতেই তারা অবলীলায় আমাদের জন্য দোআ করবে। আলোচ্য নিবন্ধে মানুষের দোআয় শামিল হওয়ার কতিপয় উপায় আলোকপাত করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
.
(১). নেক সন্তান প্রতিপালন করা: মানুষের দোআ লাভের অন্যতম উপায় হলো নেক সন্তান। নেককার সন্তান পিতা-মাতার ছওয়াব লাভের উপায়। কেননা এমন কত পরহেযগার মানুষ আছে, যাদের মৃত্যুর পর আমলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু যে পিতা-মাতা নেককার-পরহেযগার সন্তান রেখে কবরে যান, মৃত্যুর পর তার নেকী অর্জনের পথ বন্ধ হয় না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ، ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তিনটি আমল ছাড়া, সাদাক্বায়ে জারিয়া, এমন ইলম যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দোআ করে।’(সহীহ মুসলিম হা/১৬৩১; আবু দাঊদ হা/২৮৮০; তিরমিযী হা/১৩৭৬; মিশকাত হা/২০৩। আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন মুসনাদে বায্যার হা/৭২৮৯; সহীহুত তারগীব হা/৭৩, সনদ হাসান লিগাইরিহী। আহমাদ হা/ ১০৬১০; মিশকাত হা/২৩৫৪, সনদ হাসান। ইবনুল জাওযী, ছায়দুল খাত্বের, পৃ: ৩৪)
.
(২). পরোপকার ও সদাচরণ: মানুষের দোআর ছায়ায় আশ্রয় লাভের অন্যতম উপায় হলো পরোপকার ও সদাচরণ। মানুষ তার সচ্চরিত্র ও উপকারের জ্যোতি দিয়ে অন্যের মন জয় করতে পারে। তাই উপকারকারীর জন্য দোআ করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে আশ্রয় কামনা করে, তাকে নিরাপত্তা দাও। যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে চায়, তাকে তা দিয়ে দাও। যে ব্যক্তি তোমাদের দাওয়াত দেয়, তার দাওয়াত গ্রহণ কর। আর যে ব্যক্তি তোমাদের উপকার করে, তাকে বিনিময় দিয়ে দাও। যদি বিনিময় আদায়ের মতো কোন কিছু না থাকে, তার জন্য দোআ করো, যতদিন না তুমি বুঝবে যে, তার উপকারের বিনিময় আদায় হয়েছে।’(আবু দাঊদ হা/১৬৭২; নাসাঈ হা/২৫৬৭; মিশকাত হা/১৯৪৩, সনদ হহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেছেন, ‘যার প্রতি উত্তম আচরণ করা হবে (উপকার করা হবে) সে যেন সদাচরণকারী ব্যক্তির জন্য দোআ করে বলে, جَزَاكَ اللهُ خَيْرًا ‘(জাযাকাল্লাহু খায়রান) আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।'(তিরমিযী হা/২০৩৫;সহীহুল জামে’ হা/৬৩৬৮; মিশকাত হা/৩০২৪)। ওমর (রাঃ) বলেন, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ বলাতে কি কল্যাণ রয়েছে লোকেরা যদি তা জানত, তাহলে পরস্পরকে বেশী বেশী বলত। (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৭০৫০)।
.
(৩). মানুষের কাছে দোআ চাওয়া: মানুষের দোআয় নিজেকে শামিল করার আরেকটি উপায় হলো সৎকর্মশীল বান্দাদের কাছে দোআ চাওয়া। আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর জামাই সাফওয়ান ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ‘আমি সিরিয়াতে আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর বাড়িতে গেলাম। আমি তাকে বাড়িতে পেলাম না; বরং সেখানে উম্মুদ্দারদা (রাঃ)-কে পেলাম। তিনি আমাকে বললেন, أَتُرِيدُ الْحَجَّ الْعَامَ؟ ‘তুমি কি এই বছর হজ্জে যেতে চাও?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন,আল্লাহর নিকটে আমাদের জন্য কল্যাণের দোআ করো। কেননা নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘কোন মুসলিম ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতে দোআ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। যখন সে তার ভাইয়ের কল্যাণের দোআ করে, তখন নিয়োজিত ফেরেশতা বলে, আমীন! তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ বর্ষিত হোক।’ সাফওয়ান (রহঃ) বলেন, আমি বাজারে গিয়ে আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর দেখা পেলাম, তিনিও আমাকে এই হাদীস শুনালেন। (মুসলিম হা/২৭৩৩; আবূদাঊদ হা/২৮৯৫; ইবনু মাজাহ হা/৬২৫)। অন্যের কাছে দোআ চাওয়া অবৈধ নয়; বরং এটা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সাহাবায়ে কেরাম, সালাফে- সালেহীন নেককার বান্দাদের কাছে নিজেদের জন্য দোআ চাইতেন। বিশেষ করে পিতা-মাতার প্রতি আনুগত্যশীল সদাচরণকারী ব্যক্তিদের কাছে তারা দোআ চাইতেন। হাদীসের পাতায় সোনালী হরফে লেখা উওয়াইস ইবনু আমের আল-কারণী (রহঃ)-এর কাহিনীতে এর প্রকৃষ্ট নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়।(সহীহ মুসলিম,২৫৪২ রিয়াদুস সালেহীন,৩৭৭)
.
(৪). হাঁচি দিয়ে সরবে আলহামদুলিল্লাহ বলা অথবা হাঁচির জবাব দেওয়া: ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। জীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগে ইসলামের সুমহান আদর্শের প্রতিফলন ঘটেছে। এমনকি হাঁচি দেওয়ার ক্ষেত্রেও। হাঁচির মাধ্যমে হাঁচিদাতা এবং এর উত্তরদাতা পরস্পর পরস্পরের দোআয় নিজেকে শামিল করে নিতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ হাঁচি দেওয়া পন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন। যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে, তখন তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ (আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন) বলা ওয়াজিব হয়ে যায়। আর হাই তোলা শয়তাদের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যক্তির হাই উঠলে, সে যেন সাধ্যানুযায়ী তা রোধ করে। কেননা হাই তুললে শয়তান তাকে দেখে হাসে।’(বুখারী হা/৬২২৩; আবূদাঊদ হা/৫০২৮; তিরমিযী হা/২৭৪৭)। অপরদিকে হাঁচির উত্তরদাতার জন্যও ইসলাম দো‘আ লাভের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,‘যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দেয়, সে যেন আলহামদুলিল্লাহ বলে। আর তার মুসলিম ভাই অথবা বন্ধু হাঁচিদাতার জবাবে বলবে, ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’। যখন শ্রোতা ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে, তখন হাঁচি দাতা বলবে, ইয়াহদিকুমুল্লাহু ওয়া ইয়ূছ্লিহ বা-লাকুম (আল্লাহ আপনাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং আপনাদের মনের অবস্থা সংশোধন করুন)।’(সহীহ বুখারী হা/৬২২৪; রিয়াদুস সালেহীন,৮৮৪ মিশকাত হা/৯৭৩)
.
(৫). অন্যকে মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনার শিক্ষা দেওয়া: যারা অপর মুসলিমের জন্য দোআ করে, তারা সৌভাগ্যবান। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি বলেন,مَنِ اسْتَغْفَرَ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِكُلِّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ حَسَنَةً ‘যে ব্যক্তি মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে (দুনিয়ার) প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর বিনিময়ে একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করবেন।’(ত্বাবারাণী, মুসনাদুশ শামিঈন হা/২১৫৫; ছহুীহুল জামে’ হা/৬০২৬, সনদ হাসান)। জীবিত ও মৃত সকল মুমিন পুরুষ ও নারী এই দোআতে শামিল হবে।(আত-তানওয়ীর শারহু জামি‘ইছ ছাগীর ১০/৯০) অর্থাৎ পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আগত সকল মুমিনের সংখ্যা সমপরিমাণ নেকী লেখা হবে ক্ষমা প্রার্থনাকারীর জন্য। তবে আগে নিজের জন্য দোআ করতে হবে, তারপর অপরের জন্য। যেমন আল্লাহ নির্দেশ দিয়ে বলেন, وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ‘আর তোমার ত্রুটির জন্য এবং মুমিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্য তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর।’ (মুহাম্মাদ ৪৭/১৯)। নূহ (আঃ) ফরিয়াদ করে বলেছিলেন,رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ، ‘হে রব! তুমি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মুমিন হয়ে আমার বাড়ীতে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং সকল মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা কর।’(নূহ ৭১/২৮)। ইবরাহীম (আঃ) দোআ করে বলেছিলেন, رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ، ‘হে আমার প্রতিপালক! যেদিন হিসাব হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিও।’ (ইবরাহীম ১৪/৪১)। এই দোআগুলো যত বেশী অপর কাউকে শিখানো যাবে, নিজেকে তাদের দোআয় তত বেশী শামিল করা যাবে।
.
(৬). সালামের প্রসার ঘটানো: সালাম একটি সম্মানজনক ইসলামী অভিবাদন। মূলতঃ সালামের আদান-প্রদানের মাধ্যমে মুসলিমগণ পরস্পরের জন্য দোআ করে থাকেন। সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং জবাব দেওয়া ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একজন মুমিনের ওপর অপর মুমিনের ছয়টি হক রয়েছে। যথা- (১) যখন কোন মুমিনের রোগ-ব্যাধি হয়, তখন তার সেবা-শুশ্রূষা করা, (২) কেউ মৃত্যুবরণ করলে, তার জানাযা ও দাফন-কাফনে উপস্থিত হওয়া, (৩) কেউ দাওয়াত করলে তা গ্রহণ করা অথবা কারো ডাকে সাড়া দেয়া, (৪) সাক্ষাৎ হলে সালাম প্রদান করা, (৫) হাঁচি দিলে জবাব দেয়া এবং (৬) উপস্থিত-অনুপস্থিত সকল অবস্থায় মুমিনের কল্যাণ কামনা করা।'(নাসাঈ হা/১৯৩৮; তিরমিযী হা/২৭৩৭; মিশকাত হা/৪৬৩০, সনদ সহীহ)। সালাম প্রদানের ভাষা হলো, اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ ‘আসসালা-মু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হ’ (আপনার বা আপনাদের উপর শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ষিত হৌক)’। জবাবে বলবে, وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ ‘ওয়া আলাইকুমুস সালা-মু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহূ’ (আপনার বা আপনাদের উপরেও শান্তি এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া সমূহ বর্ষিত হৌক)। শুধু ‘আসসালা-মু আলায়কুম’ বললে ১০ নেকী, ‘ওয়া রাহমাতুল্লা-হ’ যোগ করলে ২০ নেকী এবং ‘ওয়া বারাকা-তুহূ’ যোগ করলে ৩০ নেকী পাবে।(তিরমিযী হা/২৬৮৯; আবূদাঊদ হা/৫১৯৫, সনদ সহীহ)
.
সুতরাং সালাম শুধু অভিবাদন নয়; বরং এর মাধ্যমে আমরা একজন অপরজনের জন্য দোআ করে থাকি এবং নেকী লাভ করে থাকি। যদি আমরা কাউকে সালাম দেই বা তার জন্য শান্তি বর্ষণের দোআ করি, তাহলে আমাদের জন্য দোআ করা তার উপরে ওয়াজিব করে দেই। কেননা সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সুতরাং সালাম প্রদানের মাধ্যমেও আমরা অন্যের দোআয় শামিল হতে পারি।
.
অতএব আসুন! আলোচিত উপায়গুলো অবলম্বন করে আমরা অন্য মানুষের দোআয় শামিল হওয়ার চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
__________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।