নবী রাসূলগনের মধ্যে জাতির পিতা কে

প্রশ্ন: নবী রাসূলগনের মধ্যে জাতির পিতা কে আদম (আলাইহিস সালাম) নাকি ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) কোনটি সঠিক?
▬▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: প্রথমতঃ পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী হিসাবে মহান আল্লাহ পাক নবী আদম (আলাইহিস সালাম)-কে নিজ দু’হাত দ্বারা সরাসরি সৃষ্টি করেছেন। (সূরা সোয়াদ;৩৮/৭৫)। মাটির সকল উপাদানের সার-নির্যাস একত্রিত করে আঠালো ও পোড়ামাটির ন্যায় শুষ্ক মাটির তৈরী সুন্দরতম অবয়বে রূহ ফুঁকে দিয়ে আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা মুমিনূন; ২৩/১২, সূরা সাফফাত; ৩৭/১১, সূরা রহমান; ৫৫/১৪, সূরা তীন; ৯৫/৪)। সুতরাং পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানুষ এবং ভাষা,স্থান,কাল, জাতি, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র মানব জাতির আদি পিতা তিনিই। এই মর্মে মহান আল্লাহ বলেন; হে মানবমন্ডলী! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফ্স থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। (সূরা আন-নিসা,৪/১)। উক্ত আয়াতে একটি প্রাণ বলতে মানবকুলের আদি পিতা আদম (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। আর زَوْجَهَا অর্থাৎ ‘তাঁর সঙ্গিনী’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মা হাওয়া। অর্থাৎ, আদম (আঃ) থেকেই তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন। যেমনটি সহীহ বুখারীর হাদীসে এসেছে। (দেখুন, সহীহ বুখারী; হা/৩৩৪০, ৪৭১৩)।
.
আদম (আলাইহিস সালাম) যে মানব জাতির পিতা সেটা নিম্নলিখিত হাদিস থেকে আরও স্পষ্ট হয়। আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন- ‘কিয়ামতের দিন আমি হব সকল মানুষের নেতা। তোমরা কি জান, কি কারণে? কিয়ামতের দিন পূর্বাপর সমগ্র মানবজাতি একই ময়দানে সমবেত হবে। [সে ময়দানটি এমন হবে যে,] সেখানে দর্শক তাদেরকে দেখতে পাবে এবং আহ্বানকারী [নিজ আহবান] তাদেরকে শুনাতে পারবে। সূর্য একেবারে কাছে এসে যাবে। মানুষ এতই দুঃখ-কষ্টের মধ্যে নিপতিত হবে যে, ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতাই তাদের থাকবে না। তারা বলবে, ‘দেখ, তোমাদের সবার কি ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, তোমাদের কী বিপদ এসে পৌঁছেছে! এমন কোন ব্যক্তির খোঁজ কর, যিনি পরওয়ারদেগারের কাছে সুপারিশ করতে পারেন।’ লোকেরা বলবে, ‘চল আদমের কাছে যাই।’ সে মতে তারা আদমের কাছে এসে বলবে, (يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ) অর্থাৎ ইয়া আদম আনতা আবুল বাশার। অর্থ: হে আদম আপনি মানব জাতির পিতা। আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাতে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং ফুঁক দিয়ে তাঁর ‘রূহ’ আপনার মধ্যে সঞ্চারিত করেছেন। তাঁর নির্দেশে ফিরিশতাগণ আপনাকে সিজদা করেছিলেন। আপনাকে জান্নাতে স্থান দিয়েছিলেন। সুতরাং, আপনি কি আপনার পালনকর্তার দরবারে আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন না? আপনি কি দেখছেন না, আমরা কী কষ্টের মধ্যে আছি? আমরা কী যন্ত্রণা ভোগ করছি?’ আদম (আঃ) বলবেন, ‘আমার প্রতিপালক আজ ভীষণ ক্রুদ্ধ আছেন, এমন ক্রুদ্ধ তিনি আর কোনদিন হননি আর কখনো হবেনও না। তাছাড়া তিনি আমাকে একটি বৃক্ষের কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু আমি তার নির্দেশ অমান্য করেছিলাম। আমি নিজেকে নিয়েই চিন্তিত আছি! আমি নিজেকে নিয়েই চিন্তিত আছি! আমি নিজেকে নিয়েই চিন্তিত আছি! তোমরা বরং আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে যাও।……..(সহীহুল বুখারী হা/৩৩৪০, ৩৩৬১, ৪৭১২, মুসলিম ১৯৪, তিরমিযী হা/২৪৩৪, ২৫৫৭)
.
▪️দ্বিতীয়তঃ ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) হলেন ‘আবুল আম্বিয়া’ বা নবীগণের পিতা। কারন ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম-এর যুগ থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ (ﷺ) পর্যন্ত যত নবী এসেছেন সমস্ত নবী-ই তাঁর বংশোদ্ভূত এবং তিনি হলেন তাঁর পরবর্তী সময়ের মুসলিম জাতির পিতা, বিশেষ করে আরবীয়দের। মোটকথা ইব্রাহীম (আঃ) ছিলেন ইহুদী-খৃষ্টান-মুসলমান সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পিতা। কেননা আদম (আঃ) হতে ইব্রাহীম (আঃ) পর্যন্ত ১০/১২ জন নবী বাদে শেষনবী মুহাম্মাদ (ﷺ) পর্যন্ত সকল নবীগনের প্রায় সকলেই ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ)-এর বংশধর। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে- মহান আল্লাহ বলেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইবরাহীম ও আলে ইমরানকে বিশ্ববাসীর উপরে নির্বাচিত করেছেন। (সূরা আলে-ইমরান; ৩/৩৩)। এই নির্বাচন ছিল বিশ্ব সমাজে আল্লাহর তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য। ইব্রাহীম ছিলেন নবীগণের পিতা এবং পুত্র মুহাম্মাদ ছিলেন নবীগণের নেতা। সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] বলেন, ইব্রাহিম আ: যেমন পুত্র ইসমাঈলের পিতা হিসাবে আরব জাতির পিতা ছিলেন। তেমনি অপর পুত্র ইসহাক (আঃ)-এর পিতা হিসাবে বনু ইস্রাঈলেরও পিতা ছিলেন। (ইমাম উসাইমীন লিকাউল বাবিল মাফতূহু ১৬/১৮৯)।
.
তাই ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম)-কে সমগ্র মানব জাতির পিতা বলাটা উচিত নয়। কারণ তিনি তাঁর পূর্বের লোকেদের পিতা কিভাবে হবেন? তাঁর পক্ষে তো (আদাম আলাইহিস সালাম)-এর পিতা হওয়াটা অসম্ভব। কেননা আদম (আলাইহিস সালাম) ছিলেন মুসলিম এবং বংশ পরস্পরায় তিনিও ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম-এর পিতা। ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, مِلَّۃَ اَبِیۡکُمۡ اِبۡرٰہِیۡمَ ؕ ہُوَ سَمّٰىکُمُ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ‘তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত (ধর্মাদর্শ মেনে চল), তিনিই তোমাদের নামকরণ করেছেন ‘মুসলিম’। (সূরা আল-হাজ্জ; ৭৮)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) হলেন সমগ্র আরব জাতির পিতা এবং কোন কোন মুফাসসির বলেন, সকল মুসলিমকে উদ্দেশ্য করেই তাঁকে ‘পিতা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে যদিও সকল মুসলিম তার সন্তান নয়। এর কারণ হলো, মুসলিমদের নিকট ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর মর্যাদা পুত্রের নিকট পিতার মর্যাদা সমতুল্য। (তাফসীরে কুরতুবী, ১২/১০১ পৃ.)।
.
ইমাম বাগাভী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, যদি প্রশ্ন করা হয় যে, এই আয়াতে ‘তোমাদের পিতা’ বলার কারণ কী! অথচ সকল মুসলিমের বংশ পরম্পরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) পর্যন্ত পৌঁছে না? এর উত্তরে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের পিতা’ এ বাক্যটি দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা আরবদেরকে উদ্দেশ্য করেছেন। কারণ তারাই ছিল ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর বংশধর। অথবা এ কথা দ্বারা সকল মুসলিমই উদ্দেশ্য। তিনি মুসলিম জাতির পিতা এই মর্মে যে, তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং তাঁর অধিকার সংরক্ষণ করা ঠিক তেমনিভাবে অপরিহার্য যেমনিভাবে পিতার সম্মান রক্ষা করা অপরিহার্য। উক্ত আয়াতটি আল্লাহর এই বাণীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যেখানে তিনি বলেছেন, وَ اَزۡوَاجُہٗۤ اُمَّہٰتُہُمۡ ‘আর তাঁর অর্থাৎ নবী (ﷺ)-এর স্ত্রীগণ তাদের অর্থাৎ মুসলিমদের মা।’ (সূরা আল-আহযাব; ৬)। এবং নবী (ﷺ) বলেছেন, إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ مِثْلُ الْوَالِدِ ‘আমি তো তোমাদের জন্য পিতৃতুল্য।’ (নাসাঈ, হা/৪০; ইবনু মাজাহ, হা/৩১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৬৮, ৭৪০৯; তাফসীরে বাগাভী, ৫/৪০৩-৪০৪ পৃ.)।
.
ওয়াছিলাহ ইবনুল আসক্বা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন- আল্লাহ তা‘আলা ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর সন্তানদের মধ্য হতে ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম)-কে বেছে নিয়েছেন এবং ইসমাঈল-এর বংশে কিনানাহ গোত্রকে বংশ বেছে নিয়েছেন, কিনানাহ গোত্র হতে কুরাইশ বংশকে বেছে নিয়েছেন, কুরাইশ বংশ থেকে হাশিম উপগোত্রকে বেছে নিয়েছেন এবং বানী হাশিম হতে আমাকে বেছে নিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম, হা/২২৭৬; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩০২)। অপর বর্ননায় উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) সকাল-সন্ধ্যা একটি দো‘আ পাঠ করতেন। যার মধ্যে তিনি বলতেন, আমি সকাল করলাম … আমাদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাতের উপর, যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ও আজ্ঞাবহ। (মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৩৬৪; সিলসিলা সহীহাহ হা/২৯৮৯)। উল্লেখিত হাদীস দ্বারা সুস্পস্ট ভাষায় প্রমাণ হলো যে, আরব/ অনারব যে কোন মুসলিম ব্যক্তি দোয়া করার সময়ে বলবে “আমাদের পিতা” ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম)-এর মিল্লাতের উপর রাখুন।
.
▪️পরিশেষে উপরিউক্ত আলোচনা থেকে যে কয়েকটি বিষয় প্রতিভাত হয়; তা নিম্নরূপ:
.
(১). মূলত ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) হলেন রাসূল (ﷺ) ও কুরাইশ বংশ তথা আরব জাতির পিতা। কেননা আরব জাতি ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম)-এর বংশধর ছিল। সেই হিসাবে ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) হলেন আরববাসীর পিতা। অতঃপর কুরাইশদের অনুগামী হয়ে সমস্ত মুসলিম-ই এই সম্মানে ভূষিত হয়েছে। যেমন- আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন; ‘সব মানুষ-ই দ্বীনের ব্যাপারে কুরাইশদের অনুগামী। মুসলিমরা মুসলিম কুরাইশদের অনুগামী এবং কাফিররা কাফির কুরাইশদের অনুগামী।’ (সহীহ বুখারী, হা/৩৪৯৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮, ১৯, ৭৩০৬, ৭৫৫৬, ৮২৪৩, ৯১৩২, ৯৫৯৩)।
.
(২). যেহেতু অনারবরা অর্থাৎ বনি ইসরাইলরাও ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে একজন উচ্চ সম্মানীয় নবী হিসাবে শ্রদ্ধা করে। কারণ, বনী ইসরাইলের নবী ইসহাক ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ)-এর প্রথমা স্ত্রী সারাহ-এর গর্ভজাত একমাত্র পুত্র। ইব্রাহীম (আঃ) স্বীয় জীবদ্দশায় পুত্র ইসহাক্বকে বিয়ে দিয়েছিলেন রাফক্বা বিনতে বাতওয়াঈল (رفقا بنت بتوائيل )-এর সাথে। কিন্তু তিনিও বন্ধ্যা ছিলেন। পরে ইব্রাহীমের খাছ দো‘আর বরকতে তিনি সন্তান লাভ করেন এবং তাঁর গর্ভে ঈছ ও ইয়াকুব নামে পরপর দু’টি পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে। (আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ; ১/১৮১)। তার মধ্যে ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) নবী হন। পরে ইয়াকুবের বংশধর হিসাবে বনু ইস্রাঈলের হাজার হাজার নবী পৃথিবীকে তাওহীদের আলোকে আলোকিত করেন। কিন্তু ইহুদী নেতাদের হঠকারিতার কারণে তারা আল্লাহর গযবে পতিত হয় এবং অভিশপ্ত জাতি হিসাবে নিন্দিত হয়। যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, বল! আমি যে তোমাদেরকে (আমাদের প্রতি তোমাদের শত্রুতার চাইতে) পরিণামের দিক দিয়ে নিকৃষ্টতম লোকদের বিষয়ে খবর দিব? (তারা হলো ইহুদী) যাদেরকে আল্লাহ লা‘নত করেছেন ও তাদের উপর ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে করেছেন বানর, শূকর ও শয়তানের পূজারী। ওরাই হলো নিকৃষ্টতম মর্যাদার অধিকারী এবং সরল পথ হতে সর্বাধিক বিপথগামী। (সূরা মায়েদাহ; ৫/৬০)।
.
তাছাড়া আল্লাহ‌ তা‘আলা সমগ্র মানব জাতির জন্য ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে নেতা হিসাবে মনোনীত করেন। তিনি আনুগত্যের চরম পারাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। সুতরাং সমস্ত আনুগত্যকারীদের তিনি পিতা। তাছাড়া ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর সম্মান করা তেমনি অপরিহার্য যেমনি সন্তান তার পিতার সম্মান করা একান্ত কর্তব্য। কারণ, তিনি হলেন ইসলামের নাবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বংশ পরম্পরায় পিতা। আর এই জন্যই তিনি হলেন সকল উম্মাতে মুহাম্মাদীর পিতা। অর্থাৎ তিনি যদিও বংশ পরম্পরায় সকল মুসলিমের পিতা নন, কিন্তু সম্মানের দিক দিয়ে সকলের নিকট পিতৃতুল্য।(আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস,তাফসীরে কুরতুবী, ফাৎহুল ক্বাদীর কিছু নোট মাসিক আল ইখলাস থেকে সংকলিত)। জেনে রাখা ভালো যে, সকল নবী ও রাসুলগণ (আলাইহিমুস সালাম) নিজ নিজ জাতির জন্য ধর্মীয় পিতা তারা সরাসরি আমাদের পিতা নন বরং সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে তারা পিতৃতুল্য। অপরদিকে প্রত্যেকের জন্মদাতা পিতা হলেন তার প্রকৃত বা আসল পিতা। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
_____________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।