জুতা বা স্যান্ডেল পরার সুন্নাহ সম্মত নিয়ম

প্রশ্ন: জুতা বা স্যান্ডেল পরার সুন্নাহ সম্মত নিয়ম কি? রাসূল (ﷺ) একপায়ে জুতা পরে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছেন। হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা কি?
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য জুতা পরিধান সংক্রান্ত আমার প্রিয় পাঠক, দ্বীনি ভাই বোনদের মনে যতগুলো প্রশ্ন আসতে পারে কুরআন সুন্নার আলোক শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সবগুলো প্রশ্ন একসাথে করলে সর্বমোট ৭ টি বিষয় লক্ষণীয়। যেমন:

(১). নারী পুরুষ সবার জন্য বসে জুতা পরা সুন্নাহ/মুস্তাহাব।
.
জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) দাঁড়িয়ে জুতা পায়ে দিতে নিষেধ করেছেন। (আবু দাঊদ হা/৪১৩৫, তিরমিযী হা/১৭৭৫, মিশকাত হা/৪৪১৪)। উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে জুতা পড়তে নিষেধ করেছেন। এর কারণ হলো, বসে জুতা পরিধান করা অনেক সহজ। অন্যদিকে দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করা; উল্টে পড়ে যাওয়ার কারণও হতে পারে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে জুতা পরিধান করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নিরাপদে তা পরিধানে হাতের সাহায্য গ্রহণ করা যায়। আল্লাহ অধিক জানেন। (আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড,২৩৫ পৃ:হাঃ ৪১৩১)। ফিতাবিহীন সাধারণ জুতা-স্যান্ডেল পরা কষ্টকর নয় বিধায় দাঁড়িয়ে পরায় কোন দোষ নেই। রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না…।(সহীহ বুখারী হা/৬১২৪, সহীহ মুসলিম হা/১৭৩২, মিশকাত হা/৩৭২২)। শায়খ ইবনে উসাইমীন (রহিমাহুল্লাহ) দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জুতা না পরার নির্দেশ সম্পর্কে বলেন: এটি এমন জুতাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেগুলিকে পরার জন্য কিছু পরিশ্রম করতে হয়, কারণ যদি একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জুতা পরিধান করে তাহলে উল্টে পড়ে যাওয়ার কারণও হতে পারে। কিন্তু আজকাল যে ধরনের জুতা বা স্যান্ডেল পরিচিত, সেগুলি দাঁড়ানো অবস্থায় পরলে কোনো দোষ নেই এবং তা এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়, কারণ বর্তমানে আমাদের কাছে যে জুতা আছে সেগুলো খুলে ফেলা এবং পরা সহজ। আর আল্লাহই ভাল যানেন। (রিয়াদুস সালেহীন ১খন্ড/১৯৫৩)
.
(২). জুতা পরার সময় ডান পায়ের জুতা আগে পরা এবং খোলার সময় বাম পায়ের জুতা আগে খোলা মুস্তাহাব।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; তোমাদের কেউ যখন জুতা পরিধান করে, সে যেন ডান পা হতে আরম্ভ করে, আর যখন খুলবে, তখন যেন বাম পা হতে শুরু করে। যাতে জুতা পরার সময় ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে। (সহীহ বুখারী হা/ ৫৮৫৬, সহীহ মুসলিম হা/১৯, মিশকাত হা/৪৪১০)। তবে এগুলি বাধ্যগত বিষয় নয়। বরং ব্যক্তি তার সুবিধামত সহজ পন্থায় এগুলি করবে। যেমনটি হাদীসে রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না…।(সহীহ বুখারী হা/৬১২৪, সহীহ মুসলিম হা/১৭৩২, মিশকাত হা/৩৭২২)।
.
(৩). কখনো কখনো খালি পায়েও পথ চলা মুস্তাহাব।
.
ফাযালাহ বিন উবাইদ যখন মিসরে (বা শামে) আমীর মুআবিয়ার নায়েব ছিলেন, তখন এক সাহাবী (মদীনা থেকে গিয়ে) তাঁকে দেখলেন, তিনি এলোমেলা বেশে অবস্থান করছেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি ব্যাপার যে, আমি আপনাকে এলোমেলা বেশে দেখছি, অথচ আপনি দেশের আমীর?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘যেহেতু আল্লাহর রাসুল (ﷺ) আমাদেরকে অতিরিক্ত বিলাসিতা করতে নিষেধ করেছেন।’ তিনি বললেন, ‘কিন্তু আপনার পায়ে জুতা দেখছি না কেন?’ উত্তরে ফাযালাহ বললেন, ‘যেহেতু রাসুল (ﷺ) আমাদেরকে কখনো কখনো খালি পায়ে চলতে আদেশ করতেন।(মুসনাদে আহমাদ হা/২৩৪৪৯, আবু দাঊদ হা/৪১৬০)। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন এক পায়ে জুতা পরিধান করে না হাঁটে। হয়তো দু’পায়ে জুতা পরিধান করবে কিংবা খালি পায়ে হাটবে। (সহীহ বুখারী ৫৮৫৫, মুসলিম হা/২০৯৭, সহীহ ইবনু হিব্বান হা/৫৪৫৯,তিরমিযী ১৭৭৪, ইবনু মাজাহ ৩৬১৭, সহীহুল জামি হা/৭৭৮২)। বিশেষ করে সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে চলতে আধুনিক যুগের ডাক্তারগণও উপদেশ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া তা মানুষের মাঝে বিনয় সৃষ্টি করে। তাই মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস করুন।
.
(৪). একটি জুতা কিংবা একটি মোজা পরিধান করে পথ চলাফেরা করা নিষেধ।
.
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা জুতা পরে চলাফেরা করতে নিষেধ করেছেন।(সহীহ মুসলিম হা/২০৯৯), সহীহ ইবনু হিব্বান ৫২২৫, আবু দাঊদ ৩৩৭৭, ইবনু মাজাহ ২১৭০, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ ২৯৭৪, মিশকাত হা/৪৩১৫)। অপর বর্ণনায় জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ৰাম হাতে খেতে এবং এক পায়ে জুতা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। (সহীহ মুসলিম হা/৫৬২০; মুসনাদে আহমাদ হা/১৪১৫৩; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৩৩৩২)
.
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেছেন, জুতা কিংবা এক মোজা পরিধান করে পথ চলা মাকরূহ। কারণ, এতে মানুষের স্বাভাবিক আকৃতির বিকৃতি ঘটে। এটা ভদ্রতা এবং গাম্ভীর্যতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। পা উঁচু-নীচুর ফলে শরীরের ভারসাম্যতা বিনষ্ট হয়, এতে চলাচল হয় কষ্টকর, এমনকি চলতে কখনো কখনো হোঁচট খেতে হয়। (শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হা/২০৯৭)

ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন; আলোচ্য হাদীসে একপায়ে জুতা পরে চলা নিষেধ হওয়ার হিকমাত হলো শারী‘আতে জুতা পরিধান করার বিধান এসেছে, পা-কে জমিনের অনিষ্টতা থেকে বেঁচে রাখার জন্য। যখন এক পা খালি থাকবে তখন পথ চলা ব্যক্তি এক পা জমিনের অনিষ্টতা থেকে নিরাপদ রাখতে পারবে অন্যটি নয়। কেউ কেউ বলেন, এক পায়ে জুতা পরে চলার কারণে ব্যক্তি তাঁর নিজ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতি সুবিচার করতে পারে না তথা যথাযথ যত্ন নিতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলাই অধিক জানেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১৩২)। )
.
বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, একখানা জুতা পরে চলাফেরা করতে নিষেধ করার প্রজ্ঞা হলো এটি শয়তানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যেমনটি ইবনুল আরাবী বলেছেন। (সিলসিলা সহীহা হা/৩৪৮ আলোচনা দষ্টব্য:)
.
৫. খালি ময়দানে অথবা মাটির উপর সালাত পড়লে এবং জুতা পরিষ্কার থাকলে অর্থাৎ নাপাকি না থাকলে জুতা পরে সালাত আদায় করা মুস্তাহাব।
.
রাসূল (ﷺ) জুতা পায়ে দিয়ে সালাত আদায় করেছেন (আবুদাঊদ, হা/ ৬৫০মিশকাত হা/৭৬৬) অপর বর্ননায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা জুতা-মোজাসহ সালাত আদায় করে ইয়াহূদীদের বিপরীত কাজ করবে। কারণ জুতা-মোজা পরে তারা সালাত আদায় করে না।(আবু দাউদ হা/৬৫২ সহীহুল জামে হা/৩২১০ মিশকাত হা/৭৬৫) এই হাদীসের আলোকে শাইখ ইবনে বায (রহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলঃ জুতা পরে সালাত পড়ার হুকুম কি? তিনি জবাবে বলেন: হুকুম হল, জুতা পরিষ্কার কিনা তা পরীক্ষা করার পর মুস্তাহাব, কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন, তোমরা জুতা-মোজাসহ সালাত আদায় করে ইয়াহূদীদের বিপরীত কাজ করবে। কারণ জুতা-মোজা পরে তারা সালাত আদায় করে না। (আবু দাউদ হা/৬৫২ সহীহুল জামে হা/৩২১০ মিশকাত হা/৭৬৫) কিন্তু কেউ যদি খালি পায়ে নামায পড়ে তবে তাতে কিছু আসে যায় না, কারণ এটাও প্রমাণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কখনো কখনো খালি পায়ে সালাত আদায় করেছেন। যদি মসজিদটি কার্পেট দিয়ে সজ্জিত করা হয়, তাহলে জুতা খুলে ফেলাই উত্তম, যাতে কার্পেট নোংরা না করা বা অন্য মুসলমানদের তাতে সিজদা করার চিন্তা থেকে বিরত রাখা যায়।(মাজমু’ ফাতাওয়া ইবনে বায ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং ৬৯৭৯৩)জেনে রাখা ভাল, যে হাদীসে জুতা খুলে ফেলার কথা বলা হয়েছে সে হাদীছের ব্যাখ্যা হ’ল, ঐ জুতাতে নাপাকী লেগে ছিল বলেই জুতা খুলতে বলা হয়েছিল। (আবূদাঊদ,ইরওয়া হা/৭৬০,৩/২১১)।
.
(৬). মসজিদে এবং কবরস্থানে প্রবেশ করার সময় জুতা খুলে প্রবেশ করা সুন্নত/মুস্তাহাব।বিশেষ করে বিলাসী জুতা পরে গর্ব সহকারে কবরস্থানে যাওয়া জায়েজ নয়।
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুক্ত দাস বাশীর (রাঃ)বলেন, রাসূল (ﷺ) একজন লোককে সিবতী জুতা পরে কবরস্থানে চলতে দেখে বললেন, হে সিবতী জুতাওয়ালা! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি তোমার জুতা খুলে ফেল। লোকটি রাসূল (ﷺ)-এর দিকে দেখে রাগ বুঝতে পেরে জুতা খুলে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। (আবু দাঊদ হা/৩২৩০)। উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম ত্বাহাভী, ইবনু হাযম ও ইমামা খাত্ত্বাবী বলেন, হাদীসটি নিষেধাজ্ঞার অর্থে নয়, বরং জুতায় অপবিত্রতা লেগে থাকলে কিংবা বিশেষ করে সিবতী জুতার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। কেননা এই জুতা সাধারণতঃ বিলাসী লোকদের পরিধেয়, যাতে অহংকারের প্রকাশ ঘটে। আর কবরস্থানে বিনয় ও তাক্বওয়ার লেবাস পরিধানই কাম্য। সেকারণে রাসূল (ﷺ) এটাকে অপছন্দ করেছিলেন।(খাত্ত্বাবী,মা‘আলিমুস সুনান ১/৩১৭; মুবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১৩১-১৩২)। ইবনে কুদামাহ (রহঃ) বলেছেন: কবরস্থানে প্রবেশ করার সময় তার জুতা খুলে ফেলা মুস্তাহাব। (আল-মুগনী, ২/২২৪) শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: জুতা পরে কবরের মাঝখানে হাঁটা সুন্নাতের পরিপন্থী এবং প্রয়োজন ছাড়া কবরের মাঝখানে চলার সময় জুতা খুলে ফেলা উত্তম, তবে যদি এমন হয় যে কবরস্থানে কাঁটা আছে বা খুব গরম আছে অথবা কঙ্কর আছে যা পায়ে আঘাত করবে, সেক্ষেত্রে কবরের মাঝখানে চলার সময় জুতা পরিধান করতে কোন দোষ নেই। (মাজমু ফাতাওয়া ইবনে উসাইমীন, ১৭/২০২)।
.
(৭). পুরুষদের জন্য নারীদের জুতা এবং নারীদের জন্য পুরুষদের জুতা পরিধান জায়েজ নয়।
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীবেশী পুরুষদেরকে এবং পুরুষবেশী নারীদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন”(সহীহ বুখারী; মিশকাত, হা/ ৪৪২৮) এ অনুকরণ উঠাবসা, চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যেমন: দৈহিকভাবে মেয়েলী বেশ ধারণ করা, কথাবার্তা ও চলাফেরায় মেয়েলীপনা অবলম্বন করা কিংবা পুরুষের বেশ ধারণ করা ইত্যাদি। পোশাক ও অলংকার পরিধানেও অনুকরণ রয়েছে। সুতরাং পুরুষের জন্য গলার হার, হাতের চুড়ি, পায়ের মল, কানের দুল পরা চলবে না।অনুরূপভাবে মহিলারাও পুরুষদের জামা, পাজামা, প্যান্ট,শার্ট, পাঞ্জাবী এবং হুবাহুব জুতা পরতে পারবে না। নারীদের পোশাকের ডিজাইন পুরুষদের থেকে ভিন্নতর হবে। শায়খ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, যদি মহিলাদের কোন জুতা পুরুষের জুতার মত হয় এবং কোন ব্যক্তি যদি সেগুলিকে দেখে সে মনে করবে যে সেগুলি পুরুষের জুতা, তাহলে মহিলাদের জন্য সেগুলি পরা জায়েজ নয়। অনুরূপভাবে, কোনো পুরুষ যদি এমন জুতা খুঁজে পায় যা দেখতে মহিলাদের জুতার মতো, যদিও পায়ের তলা এবং হিলগুলি পুরুষদের জুতার মতো দেখায়, তবে তার জন্য সেগুলি পরা জায়েয হবে না, কারণ জিনিসগুলি দেখতে কেমন তা গুরুত্বপূর্ণ। বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ দিয়েছেন এমন পুরুষদেরকে যারা নারীদের অনুকরণ করে এবং নারীদেরকে যারা পুরুষের অনুকরণ করে। (সহীহ বুখারী ৫৮৮৬, দারিমী ২৬৪৯, আবূ দাঊদ ৪৯২৯, ইবনু মাজাহ ১৯০২, ইরওয়া ১৭৯৭ ইসলামি সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-১০৮২৪)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_______________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।