জামা‘আতে সালাতের গুরুত্ব ও ফযীলত এবং পুরুষের জন্য জামাতে সালাত আদায়ের বিধান

প্রশ্ন: জামা‘আতে সালাতের গুরুত্ব ও ফযীলত কি? পুরুষের জন্য জামাতে সালাত আদায়ের বিধান কি?
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: নামায ও তার গুরুত্বের কথা কুরআন মাজীদের বহু জায়গাতেই আলোচিত হয়েছে।কোথাও নামায কায়েম করার আদেশ দিয়ে, কোথাও নামাযীর প্রশংসা ও প্রতিদান এবং বেনামাযীর নিন্দা ও শাস্তি বর্ণনা করে, আল্লাহ তাআলা নামাযের প্রতি বড় গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক স্থানে তিনি বলেন, তারপর তারা যদি তওবা করে নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। (নচেৎ নয়।)। (কুরআন মাজীদ:৯/১১)। মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর।’ (বাক্বারাহ:২/৪৩)। এখানে আল্লাহ তা‘আলা রুকূ দ্বারা সালাত বুঝিয়েছেন। কারণ রুকূ সালাতের অন্যতম প্রধান রুকন। ‘রুকূকারীদের সাথে’ এ কথা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন যে, রুকূ একাকী হবে না। বরং রুকূকারীদের সাথে হতে হবে। আর এটি জামা‘আতে সালাত আদায় ব্যতীত সম্ভব নয়। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদীকে রুকূকারীদের সাথে রুকূ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তোমরা মুমিনদের উত্তম ও সৎকর্মে তাদের সঙ্গী হয়ে যাও। তার মধ্যে বিশেষ ও পূর্ণাঙ্গ হ’ল সালাত।(তাফসীরে ইবনু কাছীর,১/২৪৫-২৪৬)।

◾জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফযীলত:
______________________________________
মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِلَّا الْمُصَلِّيْنَ، الَّذِيْنَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُوْنَ ‘সালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, যারা তাদের সালাতের ক্ষেত্রে নিয়মিত।’ (মা‘আরিজ ৭০/২২-২৩)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, এর অর্থ সালাতের আবশ্যক বিষয় সমূহ সহ সময় মত সালাত আদায়কারীগণ। (তাফসীরে ইবনু কাছীর, অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য ৮/২২৬)।অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلاتِهِمْ يُحَافِظُونَ، أُولَئِكَ فِي جَنَّاتٍ مُكْرَمُونَ ‘আর যারা নিজেদের সালাত হেফাযত করে, তারাই জান্নাত সমূহে সম্মানিত হবে।’ (মা‘আরিজ ৭০/৩৪-৩৫)। আর সালাত হেফাযতের অন্যতম মাধ্যম হলো জামা‘আতে সালাত আদায় করা। জামা‘আতে সালাত আদায়ের কতিপয় ফযীলত নিম্নে আলোচনা করা হল:

ক. জামা‘আতে সালাত আদায়ের সওয়াব পঁচিশ থেকে সাতাশ গুণ বেশী। (সহীহ বুখারী হা/২১১৯; মুসলিম হা/৬৪৯ মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত হা/১০৫২; সহীহুল জামে‘ হা/৩৮৪২ বুখারী হা/৬৪৫; মিশকাত হা/১০৫২)।

খ. জামা‘আতে লোক সংখ্যা বেশী হলে সওয়াব বেশী হবে: (দেখুন আবুদাঊদ হা/৫৫৪;সহীহুল জামে‘ হা/২২৪২; মিশকাত হা/১০৬৬ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৮৪৮৫)।

গ. মসজিদ হ’তে বাড়ির দূরত্ব বেশী হলে সওয়াব বেশী হবে। (বুখারী হা/৬৫১; মুসলিম হা/৬৬২; মিশকাত হা/৬৯৯; মুসলিম হা/৬৬৬; সহীহ তারগীব হা/১১৮১ আবুদাঊদ হা/৫৬৩; সহীহুল জামে‘ হা/৪৪০; সহীহ তারগীব হা/৩০১; মুসলিম হা/৬৬৩; সহীহ তারগীব হা/৩০৮)।

ঘ. যে ব্যক্তি এশার সলাত জামা‘আতে সাথে আদায় করেছে,সে যেন অর্ধেক রাত সলাতরত থেকেছে।আর যে ব্যক্তি ফাজরের সলাত জামা‘আতে আদায় করেছে, সে যেন পুরো রাত সলাত আদায় করেছে। (মুসলিম হা/৬৫৬; মিশকাত হা/৬৩০;সহীহ তারগীব হা/৪১৫ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৭,৩৩৭৮; শু‘আবুল ঈমান হা/২৮৭৮; ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৩৬, সনদ ছহীহ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৪, ৩৩৭৭, ৩৩৫৫; শু‘আবুল ঈমান হা/২৬১৯, সনদ সহীহ)।

ঙ. সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমনকারী আল্লাহর মেহমান। (সহীহ বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯; মিশকাত হা/৬৯৮ইবনু বাত্ত্বাল, শারহু ছহীহিল বুখারী ২/২৮৫ ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৫৩)।

চ. জামা‘আতে সালাত আদায়কারীর জাহান্নাম ও মুনাফিকী থেকে মুক্তি লাভ। (তিরমিযী হা/২৪১; সহীহ তারগীব হা/৪০৯; সহীহাহ হা/২৬৫২; সহীহুল জামে‘ হা/৬৩৬৫; মিশকাত হা/১১৪৪ মিরক্বাত ৩/৮৮০; মির‘আত ৪/১০২)।

ছ. জামা‘আতের প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের ফযীলত: আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,‘যদি লোকেরা জানত যে,আযান ও প্রথম কাতারে সালাত আদায়ে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা পরস্পরে প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপ ভাবে যদি তারা জানত এশা ও ফজরের সালাতে কি নেকী রয়েছে,তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ঐ দুই সালাতে আসত।’ (সহীহ বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭; মিশকাত হা/৬২৮ ‘সালাতের ফযীলতসমূহ’ অনুচ্ছেদ-৩)।

জ. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত: আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দিব না, যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ সমূহ দূর করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন?তা হলো,কষ্টকর অবস্থায়ও পূর্ণরূপে ওযু করা, মসজিদের দিকে অধিক পদচারণা এবং এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই রিবাত, এটাই রিবাত, এটাই রিবাত।’ (মুসলিম হা/২৫১; মিশকাত হা/২৮২; সহীহুল জামে‘ হা/২৬১৮; সহীহ তারগীব হা/১৯২ আবুদাঊদ হা/৫৫৮; সহীহুল জামে‘ হা/৬২২৮; সহীহ তারগীব হা/৩২০,৬৭৫; মিশকাত হা/৭২৮)। এতে অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেয়ার ন্যায় সওয়াব রয়েছে।

◾পুরুষের জন্য জামা‘আতে সালাত আদায়ের বিধান কি? এবং কি কি কারনে জামাত ত্যাগ করা যায়, বিস্তারিত। ______________________________________
স্বাধীন জ্ঞানসম্পন্ন মুসলিম পুরুষের জন্য সুস্থতা-অসুস্থতা, ঘরে-সফরে, বিপদে-নিরাপদে সর্বাবস্থায় যথাসাধ্য জামাআতে শামিল হয়ে ফরজ নামায আদায় করা ওয়াজিব। বিনা ওজরে ত্যাগ করা বড় অপরাধ এবং কবিরা গুনাহ।পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসে জামা‘আতে সালাত আদায়ের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা এসেছে। এমনকি যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর সম্মুখে থাকা অবস্থায়ও জামা‘আতে সালাত আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।[সূরা নিসা ৪/১০২] মহান আল্লাহ আরো বলেন, وَأَقِيْمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ- ‘তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর এবং রুকূ কারীদের সাথে রুকূ কর।’ (বাক্বারাহ ২/৪৩)। এখানে আল্লাহ তা‘আলা রুকূ দ্বারা সালাত বুঝিয়েছেন। কারণ রুকূ সালাতের অন্যতম প্রধান রুকন। ‘রুকূকারীদের সাথে’ এ কথা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন যে, রুকূ একাকী হবে না। বরং রুকূকারীদের সাথে হতে হবে। আর এটি জামা‘আতে সালাত আদায় ব্যতীত সম্ভব নয়। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মাদী রুকূকারীদের সাথে রুকূ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন,তোমরা মুমিনদের উত্তম ও সৎকর্মে তাদের সঙ্গী হয়ে যাও। তার মধ্যে বিশেষ ও পূর্ণাঙ্গ হলো সালাত।’ (তাফসীরে ইবনু কাছীর ১/২৪৫-২৪৬)।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ ‘তোমরা যথাযথভাবে ছালাত আদায় কর, যাকাত প্রদান কর এবং সালাত আদায় কারীদের সঙ্গে ছালাত আদায় কর’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ৪৩)। বরং জামা‘আত সহকারে সালাত আদায় না করলে তার সালাত কবুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يَأْتِهِ فَلَا صَلَاةَ لَهُ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ ‘যে ব্যক্তি আযান শুনল অথচ সে কোন ওযর (বৈধ কারণ) না থাকা সত্ত্বেও জামা‘আতে উপস্থিত হল না, তার কোন ছালাত নেই। (অর্থাৎ ঘরে ছালাত আদায় করলেও তার সালাত কবুল হয় না)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওযর কী? নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা’ (ইবনু মাজাহ, হা/৭৯১; আবূ দাঊদ, হা/৫৫১; ইরওয়াউল গালীল, হা/৩৩৭, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৭; ছহীহুল জামি‘, হা/৬৩০০, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেন, مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَارِغًا صَحِيْحًا فَلَمْ يُجِبْ فَلَا صَلَاةَ لَهُ ‘যে ব্যক্তি সুস্থ শরীরে ও অবসর সময়ে আযান শুনল, অথচ সে সাড়া দিল না, তার কোন সালাত নেই’ (ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪৩৪; ইরওয়াউল গালীল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৮; হাকিম, হা/৮৯৯, সনদ হাসান সহীহ)।

ইবনু উম্মে মাকতূম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি তো অন্ধ, আমার ঘরও দূরে অবস্থিত। আমার একজন পথচালকও আছে, কিন্তু সে আমার অনুগত নয়। এমতাবস্থায় আমার জন্য ঘরে ছালাত আদায়ের অনুমতি আছে কি? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? ইবনু উম্মে মাকতূম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তোমার জন্য কোন ছাড় নেই’ (আবূ দাঊদ, হা/৫৫২-৫৫৩; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৫৩; নাসাঈ, হা/৮৫১)। উক্ত হাদীসের আলোকে ইবনুল মুনযির বলেন, ‘যেখানে একজন অন্ধ ব্যক্তির জন্য জামা‘আতে সালাত পরিত্যাগ করার অনুমতি নেই, সেখানে একজন সুস্থ ব্যক্তির অনুমতি না থাকার বিষয়টি আরো সুস্পষ্ট।’ (আল-আওসাত্ব ৪/১৩৪)। ইবনু কুদামাহ (রহঃ) বলেন, যেখানে অন্ধ ব্যক্তিকে বাড়িতে সালাত আদায়ের অনুমতি দেওয়া হলো না, যার কোন পথ দেখানোর লোক নেই। তাহলে অন্যদের বিষয়টি অতীব গুরুতর।’ (আল মুগনী ২/৩)।
.
এমনকি যারা সালাতের জামা‘আতে উপস্থিত হয় না, ওযর বা শরী‘আতসম্মত কারণ না থাকা সত্ত্বেও মসজিদে হাজির হয় না, মহানবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন (সহীহ বুখারী, হা/৬৫৭, ৬৪৪, ২৪২০ সহীহ মুসলিম, হা/৬৫১, ১৩৬৭-১৩৭৯)।
.
তাছাড়া জামা‘আত ত্যাগ করা মুনাফিক্বের বৈশিষ্ট্য (সহীহ মুসলিম, হা/৬৫৪; আবূ দাঊদ, হা/৫৫০; নাসাঈ, হা/৮৪৯; ইবনু মাজাহ, হা/৭৭৭)। আল্লাহ তা‘আলা এদের সম্পর্কে বলেন, ‘তারা ছালাতে শৈথিল্যের সাথেই উপস্থিত হয় এবং তারা অনিচ্ছাকৃতভাবেই দান করে থাকে’ (সূরা আত-তওবাহ : ৫৪) রাসূল (ﷺ) অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায়ও জামা‘আতে হাযির হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। (বুখারী হা/৬৮৭; মিশকাত হা/১১৪৭)।

◾যে সকল ওযর থাকলে জামা’আত ছাড়া যায়? ___________________________________
নিন্মলিখিত কারনে জামা’আত ত্যাগ করলে গুনাহ হবেনা ইনশাআল্লাহ। যেমন:

১. বড় ধরনের অসুস্থতা,

২. মসজিদে যাওয়ার সময় বড় ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামার শিকার হতে পারে এমন ভয়ভীতি থাকলে,

৩. নিজের জীবন, সম্পদ ও ইজ্জতের নিরাপত্তাহীনতা,

৪. প্রচুর বৃষ্টি এবং পিচ্ছিল কর্দমাক্ত পথ, যে কারনে যাওয়া সম্ভব নয়,

৫. প্রচণ্ড বাতাস, ঠাণ্ডা ও ঘোর অন্ধকার,

৬. খাবার এসে গেলে এবং খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লে,

৭. পেশাব-পায়খানার চাপ বেড়ে গেলে,

৮. মুখ, শরীর ও কাপড় দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেলে,

৯. ঘুমের চাপ সামলাতে না পারলে,

১০.সফরের সঙ্গী হারিয়ে ফেলায় আশঙ্কা থাকলে ইত্যাদি। (দলীল: ইবনে মাজাহ: ৭৯৩, বুখারী: ৯০১, ৬৩২, ৬৭১, ৬৭৪)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
_____________________________
উপস্থাপনায়,
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।