ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করার হুকুম

প্রশ্ন: ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে (১৪ই ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করার হুকুম কি?
▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর: ইসলামী শরীয়তে ভালবাসা দিবস নামে কোন দিবস নেই। ইতিহাস থেকে জানা যায় খ্রিষ্টানরা ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’ উদযাপন করে। দিবসটির উৎপত্তি খ্রিষ্টীয় ও প্রাচীন প্রথা থেকে। খ্রিষ্টানদের কাছে এটি একটি মহৎ ও পবিত্র দিন। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এদিনে তারা তাদের যাজক ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’কে বিশেষভাবে স্মরণ করে। এ তারিখটি তাদের সংস্কৃতির অংশ। মধ্য ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার কাউন্টির তরুণীরা এ দিনের মধ্যরাতে দলবেঁধে ৩ থেকে ১২ বার চার্চ প্রদক্ষিণ করত এবং সুর করে প্রেমগীতি আবৃত্তি করত। অর্থডক্স খ্রিষ্টানরা ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’ উদযাপন করে ৭ জুলাই। তারাও এদিনে গির্জায় আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করে। দিবসটির অপর নাম ‘ফিস্ট অব সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’। ভ্যালেন্টাইন নামের ব্যক্তিটি নিজেই রহস্যাবৃত। তাকে নিয়ে স্বয়ং খ্রিষ্টসমাজ দ্বিধাবিভক্ত। এই ভ্যালেনটাইনকে নিয়ে যত কাহিনী প্রচলিত আছে সবগুলোর ভিত্তিই হলো পৌরাণিক ও খ্রিষ্টধর্মীয় উপকাহিনী। বর্তমানে প্রতি বছর ১৪ ফ্রেব্রুয়ারিতে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এই দিন মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে চিঠি, কার্ড, ফুল, গহনা-সহ নানাবিধ উপহার সামগ্রী গিফট করে পাশ্চাত্য উচ্ছৃংখলতা, নোংরামি, বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনার নোংরা স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়। বিভিন্ন মুসলিম ও অমুসলিম দেশে তথাকথিত মুসলিমরাও এই নোংরা খ্রিষ্টীয় উৎসবে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে প্রেম ও প্রণয়লীলার অবৈধ সরোবরে ডুব দেয়। তারাও উদযাপন করে কথিত ভালোবাসা দিবস নামের এই হারাম খ্রিষ্টীয় উৎসবটি।আল-ইয়াযু বিল্লাহ।আপনি কি জানেন?১৪ই ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নিজের বউকে ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানালেও মূলত দিনটিকে উদযাপন করা হয়। সুতরাং এটা থেকে বিরত থাকুন। কারন অমুসলিমদের অনুকরণে যেসব দিবস পালিত হয়, তার সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। এগুলি স্রেফ জাহেলিয়াত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি মাত্র।
.
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ নামে কোনো দিবস নেই। আমরা হুজুগে মাতালরা বেকুবের মতো ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’কে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছি। এ দিবসটিতে ভালোবাসার নামে ‘মন্দবাসা’ ও কম হয় না। তরুণ-তরুণীদের পরস্পরকে আনন্দিত করতে নির্দ্বিধায় চলে নষ্টামি আর দেহপ্রদর্শনের নাটক। হাজার হাজার যুবক-যুবতী এ দিনে তার সতীত্ব ও চরিত্রকে বিসর্জন দিয়ে নিঃস্ব হয়ে ঘরে ফেরে। তাই অনেকে এ দিবসটিকে উল্লেখ করে থাকেন ‘বিশ্ব বেহায়া দিবস’, বিশ্ব নগ্নতা দিবস’, ‘বিশ্ব লুচ্চামি দিবস’ হিসেবে।অথচ ইসলামে সবধরনের অশ্লীলতা ও বেলাল্লাপনা নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার অশ্লীলতা করা তো দূরে থাক অশ্লীলতার নিকটবর্তী হতেও নিষেধ করেছেন। (সূরা বনি-ইসরাইল; ৩২, আন‘আম; ১৫১)। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (আবু দাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। অপর বর্ণনায় রাসূল (ﷺ) স্বীয় উম্মতকে সাবধান করে বলেন, তোমরা ইহূদী-নাসারাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে হাতে হাতে ও বিঘ’তে বিঘ’তে। তারা যদি গুই সাপের গর্তে ঢুকে পড়ে, তোমরাও সেখানে ঢুকবে।’(ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯৪, সনদ হাসান) আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,ইসরাইল সম্প্রদায় যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাহও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতোর একটি অপরটি মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উম্মাহর মধ্যেও কেউ তাই করবে।” [তিরমিযি, হা/২৬৪১; সনদ: হাসান] কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমানে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপনের মাধ্যমে মুসলিম যুবক যুবতীরা খ্রিষ্টানদের অনুসরণ করছে। এমনকি তথাকথিত সুশীল সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই। ওয়াল্লাহুল মুস্তাআন।
.
▪️এবার যুগশ্রেষ্ঠ কয়েকজন ইমামের ফাতওয়া দেখুন
_______________________________________
(১).ভালোবাসা দিবস উদযাপন সম্পর্কে সৌদি আরবের ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা) আলিমগণ বলেছেন, ফতোওয়াটি সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদে বিশ্লেষণের পর এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে যে, কুরআন-সুন্নাহর স্পষ্ট প্রমাণাদি দ্বারা এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে, ইসলামে ঈদ বা উৎসবের দিন মাত্র দু’টি। সালাফে সালেহীনগণও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। ইসলামে স্বীকৃত ঈদ দুটির একটি হল ঈদুল ফিতর, অপরটি হলো ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। উল্লিখিত ঈদ দু’টি ব্যতীত যত ঈদ বা উৎসব আছে, হোক না তা কোন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত, বা কোন গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত, বা কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত, তা বিদআত। মুসলমানদের তা পালন করা বা পালন করতে বলা বৈধ নয় এবং এ উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করা ও এ ব্যাপারে কিছু দিয়ে সাহায্য করাও নিষেধ। কেননা এ ধরনের কাজ আল্লাহ তা’আলার সীমা লঙ্ঘন বৈ অন্য কিছু হবে না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করবে সে নিজের উপর অত্যাচার করবে। এ ধরনের কালচার বিধর্মীদের অনুসরণকল্পে গ্রহণ করা হলে অপরাধ আরো মারাত্বক হবে। কারণ এর মাধ্যমে তাদের সদৃশ্যতা গ্রহণ করা এবং তাদেরকে এক ধরনের বন্ধু বানানো হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে এ থেকে বারণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, من تشبه بقوم فهو منهم যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করল সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য। ভালবাসা দিবস পালন করাও এ নিষেধের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এটি খৃষ্টানদের উৎসব। যে মুসলমান আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার জন্য এ কাজ করা, এই দিনে কাউকে ফুল বা অন্যকোনো উপহার দেয়া বৈধ নয়। বরং তার কর্তব্য হলো আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের হুকুম পালন করা এবং আল্লাহর শাস্তি ও গযব আসে এমন কাজ থেকে নিজে দূরে থাকা ও অন্যদের দূরে রাখা। অতএব এ দিবসকে কেন্দ্র করে পানাহার করা, ক্রয়-বিক্রয় করা, কোন কিছু প্রস্তুত করা বা উপঢৌকন দেয়া, চিঠি-পত্র চালাচালি করা ও প্রচার-পত্র বিলি করা অবৈধ। এ সমস্ত কাজের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানি করা হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, নেককাজ ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পর সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।‌ (সূরা মায়েদা; ৫/২,ফাতাওয়া আল-লাজনাতুদ দাইমাহ লিল বুহূসিল ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা ফতোয়া নং-: ২১২০৩; গ্রুপ নং: ২; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ২৬৩-২৬৪; গৃহীত:Islamhouse]
.
(২).ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে সৌদি সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] কে প্রশ্ন করা হয় এভাবে,পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লা-হর নামে শুরু করছি। সম্মানিত শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন (হে আল্লাহ, তাঁকে আপনি হেফাজত করুন), আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভালোবাসা দিবস’ উদযাপন অনেকের (বিশেষ করে ছাত্রীদের) মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে, যা খ্রিষ্টানদের একটি উৎসব। তখন প্রত্যেকের বস্ত্র হয় সম্পূর্ণ লাল রঙের পোশাক-জুতা সবই আর তারা পরস্পরের নিকট লাল ফুল বিনিময় করে। শ্রদ্ধেয় শাইখের নিকট এ-জাতীয় উৎসব উদযাপন করার বিধান বর্ণনা করার জন্য অনুরোধ রইল। তাছাড়া এরূপ বিষয়ে মুসলিমদের প্রতি আপনাদের দিক-নির্দেশনা কী? আল্লাহ আপনাদের হিফাযত ও রক্ষা করুন।
.
উক্ত প্রশ্নের জবাবে শাইখ বলেন, পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। কয়েকটি কারণে ‘ভালোবাসা দিবস’ উদযাপন জায়েয নয়: (১).এটি একটি নব-উদ্ভাবিত বিদ‘আতী দিবস, শরী‘আতে যার কোনো ভিত্তি নেই। (২).এটি অনৈতিক-প্রেম পরিণতির দিকে মানুষকে ধাবিত করে। (৩).এর কারণে সালাফে সালেহীনের পথ-পদ্ধতির বিরোধী এরূপ অর্থহীন বাজে কাজে মানুষের মন-মগজ ব্যস্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই এদিনে দিবস উদযাপনের কোনো কিছু প্রকাশ করা কখনও বৈধ নয়; চাই তা খাদ্য-পানীয় গ্রহণ, পোশাক-আশাক পরিধান, পরস্পর উপহার বিনিময় কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমেই হোক না কেন। আর প্রত্যেক মুসলিমের উচিৎ নিজ দ্বীন নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং অনুকরণপ্রিয় না হওয়া। কেউ করতে দেখলে সেও করবে, কেউ আহ্বান করলেই তাতে সাড়া দিবে, এমনটি যেন না হয়। আল্লাহর নিকট দো‘আ করি, তিনি যেন প্রত্যেক মুসলিমকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় ফিতনা থেকে হিফাযত করেন। আর আমাদেরকে তিনি তাঁর অভিভাবকত্ব ও তাওফীক প্রদান করে ধন্য করেন।(ইমাম ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ, মাজমুউ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়িল; খণ্ড: ১৬; পৃষ্ঠা: ১৯৯-২০০; দারুস সুরাইয়্যা, রিয়াদ কর্তৃক; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি গৃহীত:Islamhouse)
.
(৩).সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ফাকিহুয যামান আশ-শাইখুল আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] এর- ফতোয়া—প্রশ্ন: সম্মানিত শাইখ, আল্লাহ আপনার ওপর দয়া করুন। ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে। লোকেরা আপনার কাছ থেকে এই দিবস উদযাপনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বক্তব্য আশা করছে। আর এ বিষয়ে সৌদি আরবের ফাতাওয়া প্রদানকারী স্থায়ী কমিটির (আল-লাজনাতুদ দাইমাহ) ফাতওয়া আশা করছে।

উত্তর: “ভালোবাসা দিবস? এটা তো খ্রিষ্টানদের উৎসব। মুসলিমদের জন্য খ্রিষ্টানদের সাথে শরিক হওয়া বৈধ নয়। আর এ ব্যাপারে তাদেরকে উৎসাহিত করা এবং মিথ্যা উৎসবে উপস্থিত হওয়া প্রভৃতিও বৈধ নয়। এগুলো কাফিরদের উৎসব, মুসলিমরা তাদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করবে না। ভালোবাসা, তা সেই ভালোবাসাটা কার জন্য? ইবলিসের জন্য? নাকি মাসীহ (ইসা আলাইহিস সালাম) এর জন্য? নাকি কাফিরদের জন্য? তাদের মধ্যে ভালোবাসা নেই, তারা তো কাফির। (যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,) “তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করছ, অথচ তাদের অন্তরসমূহ বিচ্ছিন্ন (অর্থাৎ, তাদের অন্তরের মিল নেই)”। (সুরা হাশর: ১৪) তারা বলে, নারীর সাথে ভালোবাসা? কিন্তু এটা তো অশ্লীলতা।”(দ্র.:সালেহ আল ফাওযান অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ফাতওয়া নং-৩৮৫৩ শেষের ফাতওয়াটির অনুবাদক আব্দুল্লাহ মৃদা ভাই)
.
পরিশেষে প্রিয় পাঠক! যখন এ পৃথিবীর বিপুল সংখ্যক মানুষ না খেয়ে থাকে, যখন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কান্ডারী শিশুরা ক্ষুধায়, অপুষ্টিতে ভুগে মারা যায়; তখন আমরা অবৈধ বিনোদনের নামে নোংরামী করে অজস্র অর্থ নষ্ট করি কোন মানবিকতায়?হে মুসলিম ভাই বা বোন, আমি আপনাকে বলছি। নিজের স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে পরের লেজ আঁকড়ে ধরার মধ্যে কোনো সফলতা নেই। সুতরাং এসব নোংরামি, আর বেহায়াপনা বর্জন করুন। ভয় করুন সেই সত্তাকে, যিনি চক্ষুর চোরাচাহনি ও অন্তরের গুপ্ত বিষয় সম্পর্কেও অবগত। [সুরা মুমিন: ১৯] ভয় করুন সেই সত্তাকে, পাপাচারীকে শাস্তি দানে যিনি অত্যন্ত কঠোর। [সুরা মায়িদা: ৯৮]আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, হে আমাদের প্রভু, প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল ফিতনা থেকে আপনি আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং যথাযথভাবে আপনার দ্বীন পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন, ইয়া রব্বাল আলামিন।আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন-আমীন! (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)
________________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।