প্রশ্ন: সুন্নাত বা নফল সালাত সম্পর্কে কি কি বিষয় সবার জানা উচিত।
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর:
নফল সালাতের সংজ্ঞা:
ফরয ব্যতীত সকল সালাতই নফল বা অতিরিক্ত। যে সকল সালাত পড়া বাধ্যতামূলক নয়, যা ত্যাগ করলে গুনাহ হয় না, কিন্তু পড়লে সওয়াব হয় সেই সকল সালাতকে শরীয়তের পরিভাষায় নফল বা অতিরিক্ত সালাত বলা হয়। নফল সালাত মূলত দুই প্রকার। যেমন:
(ক) সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ’ বা সুন্নাতে রাতেবাহ (খ) গায়ের মুওয়াক্কাদাহ’।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিয়মিত পড়তেন বা পড়তে তাকীদ করতেন, সেগুলিকে ফিক্বহী পরিভাষায় ‘সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ’ বা ‘সুন্নাতে রাতেবাহ’ বলা হয়। যেমন ফরয সালাত সমূহের আগে-পিছের সুন্নাত সমূহ। এই সুন্নাতগুলি ক্বাযা হলে তা আদায় করতে হয়। যেমন- যোহরের প্রথম দু’রাক‘আত বা চার রাক‘আত সুন্নাত ক্বাযা হলে তা যোহর সালাত আদায়ের পরে পড়তে হয় এবং ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত ক্বাযা হ’লে তা ফজরের সালাতের পরেই পড়তে হয়।(মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০৪৩; আবুদাঊদ হা/১২৬৫-৬৭; তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১০৪৪)। এজন্য তাকে বেলা ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়না।
২য় প্রকার সুন্নাত হলো ‘গায়ের মুওয়াক্কাদাহ’, যা আদায় করা সুন্নাত এবং যা করলে নেকী আছে, কিন্তু তাকীদ নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘দুই আযানের মধ্যে’ অর্থাৎ আযান ও এক্বামতের মাঝে সালাত রয়েছে (২ বার)। তৃতীয়বারে বললেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে। (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৬২ ‘আযানের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৫)। যেমন: আসরের পূর্বে দুই বা চার রাক‘আত সুন্নাত, মাগরিব ও এশার পূর্বে দু’রাক‘আত সুন্নাত। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৬২; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪২-৪৩)। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাগরিবের ব্যাপারে বিশেষভাবে বলেন, ‘তোমরা মাগরিবের সালাতের পূর্বে দু’রাক‘আত পড় (২ বার)। তৃতীয়বারে বললেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে।(মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৬৫ ‘সুন্নাত সমূহ ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৩০)।
.
◾সুন্নাত সালাত পড়ার ফযীলত সমূহ:
উম্মু হাবীবাহ (রাঃ) বলেন,রাসূল (ﷺ)বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনে রাতে ১২ রাক‘আত সালাত আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে। সেগুলো হল: যোহরের পূর্বে চার পরে দুই, মাগরিবের পরে দুই, এশার পর দুই এবং ফজরের পূর্বে দুই। (মুসলিম হা/১৭২৯, ১/২৫১ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৫৬৪), ‘মুসাফিরের সালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৫; তিরমিযী হা/৪১৫; মিশকাত হা/১১৫৯, পৃঃ ১০৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯১, ৩/৯০ পৃঃ)।
অন্য বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে সর্বমোট ১০ রাক‘আতের কথা এসেছে। সেখানে যোহরের পূর্বে দুই রাক‘আত বলা হয়েছে। (বুখারী হা/১১৮০; তিরমিযী হা/৪৩৩; মিশকাত হা/১১৬০, পৃঃ ১০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯২, ৩/৯১ পৃঃ)।
ক্বিয়ামতের দিন (মীযানের পাল্লায়) ফরয ইবাদতের কমতি হ’লে প্রতিপালক আল্লাহ বলবেন, দেখ আমার বান্দার কোন নফল ইবাদত আছে কি-না। তখন নফল দিয়ে তার ঘাটতি পূরণ করা হবে। অতঃপর তার অন্যান্য সকল আমল সম্পর্কেও অনুরূপ করা হবে’ যেমন: (সালাত, সিয়াম, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদিতে)। (আবুদাঊদ হা/৮৬৪-৬৬; তিরমিযী, নাসাঈ, আহমাদ, মিশকাত হা/১৩৩০, ‘সালাতুত তাসবীহ’ অনুচ্ছেদ-৪০)।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ফজরের দুই রাক‘আত সালাত দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু তা হতে উত্তম।(মুসলিম হা/১৭২১, ১/২৫১ পৃঃ; মিশকাত হা/১১৬৪, পৃঃ ১০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯৬, ৩/৯২ পৃঃ)। উম্মু হাবীবা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাক‘আত এবং পরে চার রাক‘আত আদায় করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।(আবুদাঊদ হা/১২৬৯, ১/১৮০ পৃঃ; তিরমিযী হা/৪২৮, সনদ সহীহ; মিশকাত হা/১১৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৯৯, ৩/৯৩ পৃঃ)।
রাসূল (ﷺ)আরো বলেন, তোমরা অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত্রির ন্যায় ঘনঘোর ফিতনা সমূহে পতিত হবার আগেই নেক আমল সমূহের প্রতি দ্রুত ধাবিত হও। যখন লোকেরা মুমিন অবস্থায় সকালে উঠবে ও কাফের অবস্থায় সন্ধ্যা করবে এবং মুমিন অবস্থায় সন্ধ্যা করবে ও কাফির অবস্থায় সকালে উঠবে। সে দুনিয়াবী স্বার্থের বিনিময়ে তার দ্বীনকে বিক্রি করবে। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩৮৩ ‘ফিৎনা সমূহ’ অধ্যায়-২৭, পরিচ্ছেদ-১)। অর্থাৎ চারিদিকে অন্যায় ছেয়ে যাবে। সঠিক পথের সন্ধান পাওয়া দুষ্কর হবে। নেক কাজের পথও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেমন: আজকাল শিরক ও বিদ‘আতযুক্ত আমলকে নেক আমল বলা হচ্ছে। পক্ষান্তরে সহীহ সুন্নাহভিত্তিক আমলকে বাতিল বলা হচ্ছে।
খাদেম রবী‘আহ বিন কা‘ব একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট দাবী করেন যে, আমি আপনার সাথে জান্নাতে থাকতে চাই। জবাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘তুমি বেশী বেশী সিজদার মাধ্যমে আমাকে সাহায্য কর।’ অনুরূপ একটি প্রশ্নে আরেক খাদেম সাওবানকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,তুমি অধিকহারে সিজদা কর। কেননা আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রতিটি সিজদার মাধ্যমে আল্লাহ তোমার সম্মানের স্তর একটি করে বৃদ্ধি করবেন ও তোমার থেকে একটি করে গোনাহ দূর করে দিবেন। (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৬-৯৭, ‘সিজদার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-১৪)।
◾নফল নামায ঘরে পড়া ভাল:
ফরয নামায বিধিবদ্ধ হয়েছে দ্বীনের প্রচার ও তার প্রতীকের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর উদ্দেশ্যে। তাই ফরয নামায প্রকাশ্যভাবে লোক মাঝে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পক্ষান্তরে নফল নামায বিধিবদ্ধ হয়েছে নিছক মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তাঁর নৈকট্য লাভ করার লক্ষ্যে। সুতরাং নফল নামায যত গুপ্ত হবে, তত লোকচক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ তথা ‘রিয়া’ থেকে অধিক দূর ও পবিত্র হবে। (ফাইযুল ক্বাদীর ৪/২২০)। আর সে জন্যই নফল নামায স্বগৃহে গোপনে পড়া উত্তম।
তাছাড়া নফল নামায ঘরে পড়লে নামাযের তরীকা ও গুরুত্ব পরিবার-পরিজনের কাছে প্রকাশ পায়। আর এ জন্য হুকুম হল, “তোমরা ঘরে নামায পড় এবং তা কবর বানিয়ে নিও না।” (বুখারী ৪৩২, মুসলিম, সহীহ ৭৭৭, আবূদাঊদ, সুনান ১৪৪৮, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, জামে ৩৭৮৪ নং)। অর্থাৎ, কবরে বা কবরস্থানে যেমন নামায নেই বা হয় না সেইরুপ নিজের ঘরকেও নামাযহীন করে রেখো না। মহানবী (ﷺ) আরো বলেন, “তোমরা স্বগৃহে নামায পড় এবং তাতে নফল পড়তে ছেড়ো না।” (সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৯১০, জামে ৩৭৮৬) আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “তোমাদের কেউযখন মসজিদে (ফরয) নামায সম্পন্ন করে তখন তার উচিৎ, সে যেন তার নামাযের কিছু অংশ (সুন্নত নামায) নিজের বাড়ির জন্য রাখে। কারণ বাড়িতে পড়া ঐ কিছু নামাযের মধ্যে আল্লাহ কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।” (মুসলিম, সহীহ ৭৭৮)।
ইমাম নববী বলেন, বাড়ীতে নফল সালাত আদায়ে উৎসাহ দানের উদ্দেশ্য এটা হতে পারে যে, সেটা গোপনে হয় এবং ‘রিয়া’ মুক্ত হয়, বাড়ীতে বরকত হয়, আল্লাহর রহমত এবং ফেরেশতা মন্ডলী নাযিল হয় ও শয়তান পালিয়ে যায়। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৩৬ পৃঃ)।
.
◾নফল নামাযে লম্বা কিয়াম করা উত্তম:
নফল নামায সাধারণত একার নামায। তাই তাতে ইচ্ছামত লম্বা ক্বিরাআত করা যায়। বরং এই নামাযে কিয়াম লম্বা করা মুস্তাহাব। মহানবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, সবচেয়ে উত্তম নামায কি? উত্তরে তিনি বললেন, “লম্বা কিয়াম বিশিষ্ট নামায।” (সুনানে আবু দাঊদ ১৪৪৯)।
আর এ কথা বিদিত যে, মহানবী (ﷺ) তাহাজ্জুদের নামাযে এত লম্বা কিয়াম করতেন যে, তাতে তাঁর পা ফুলে যেত। সাহাবাগণ বলেছিলেন, আল্লাহ আপনার আগের-পরের সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন তবুও আপনি কেন অনুরুপ নামায পড়েন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হ্ব না?” (বুখারী, মুসলিম, আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ্ মিশকাত ১২২০)।
◾নফল নামায বিনা ওজরে বসে পড়াও বৈধ: ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে যে, সক্ষম হলে ফরয নামায দাঁড়িয়ে পড়া ফরয। কিন্তু নফল নামায ক্ষমতা থাকতেও বসে পড়াও বৈধ। যদিও বসে নামায পড়ার সওয়াব দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সওয়াবের অর্ধেক। মহানবী (ﷺ) বলেন, “বসে নামায পড়ার সওয়াব অর্ধেক নামাযের বরাবর।” (বুখারী, মিশকাত،১২৪৯)।
বরং নফল নামায চিৎ হয়ে শুয়েও পড়া যায়। তবে এ অবস্থায় বসে পড়ার অর্ধেক সওয়াব হবে। মহানবী (ﷺ) বলেন, “আর শুয়ে নামায পড়ার সওয়াব বসে নামায পার অর্ধেক।” (বুখারী ১১১৬নং, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১১৩-১১৪)। নফল নামাযের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে এবং কিছু অংশ বসে পড়া যায়। বরং একই কিয়ামের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে এবং কিছু অংশ বসে ক্বিরাআত করা যায়। তাতে কিয়ামের প্রথম অথবা শেষ অংশ বসে হলেও কোন দোষাবহ্ নয়।
.
আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘তিনি বসে ক্বিরাআত করতেন। অতঃপর রুকূ করার ইচ্ছা করলে উঠে দাঁড়িয়ে যেতেন।’ (সহীহ মুসলিম,৭৩১)। তিনি আরো বলেন, ‘রাতের নামাযে আমি নবী (ﷺ)-কে বসে ক্বিরাআত করতে দেখিনি। অতঃপর তিনি যখন বার্ধক্যে উপনীত হলেন, তখন তিনি বসে ক্বিরাআত করতেন। পরিশেষে যখন ৪০ বা ৩০ আয়াত বাকী থাকত, তখন তিনি খাড়া হয়ে তা পাঠ করতেন। অতঃপর (রুকূ) সিজদা করতেন।’ (মুসলিম, সহীহ ৭৩১ নং, আহমাদ, মুসনাদ, সুনানু আরবাআহ,আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্)।
.
◾সুন্নত নামাযের কাযা:
বিগত শতাব্দীর সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ,ইমাম শাইখ ইবনে উসাইমিন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সুন্নত নামায ছুটে গেলে কাযা পড়া সুন্নত, তবে বাধ্যতামূলক নয়। পক্ষান্তরে ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলে তার কাযা নেই। পড়লে তা গ্রহণযোগ্য নয়। (আলমুমতে’,শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১০২)।
রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে অথবা ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে অথবা যখন ঘুম থেকে জাগবে, তখন সে যেন বিতর পড়ে নেয়।’ (তিরমিযী হা/৪৬৫; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৮; মিশকাত হা/১২৭৯)। রাসূল (ﷺ) কারণবশতঃ সুন্নাত পড়তে না পারলে পরে তা আদায় করে নিয়েছেন। (বুখারী হা/১২৩৩; তিরমিযী হা/৪২৬; ইবনু মাজাহ হা/১১৫৮)। এমনকি ওযর বশতঃ ফরয সালাতের আগের সুন্নাতগুলো পরে আদায় করা যায়। ব্যস্ততার কারণে রাসূল (ﷺ) একদা যোহরের পূর্বের সুন্নাত আসরের পরে আদায় করেছিলেন।(সহীহ বুখারী হা/১২৩৩; মিশকাত হা/১০৪৩)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত সুন্নাত আদায় করতে না পারলে পরে তা আদায় করে নিতেন।’ (তিরমিযী হা/৪২৬, সনদ হাসান)। এরূপভাবে জনৈক সাহাবীকে ফজরের পূর্বের সুন্নাত পরে আদায় করতে দেখে তিনি মৌন সম্মতি দিয়েছেন। (ইবনু মাজাহ হা/১১৫৪; আবুদাউদ হা/১২৬৭, সনদ সহীহ)। তবে পরের সুন্নাত আগে পড়ার কোন বিধান নেই। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।