সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী।
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
❑ শাইখের নাম ও জন্ম তারিখঃ
.
শাইখের পুরো নাম আবূ আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন সালেহ বিন মুহাম্মাদ আত- তামীমী। তিনি হিজরী ১৩৪৭ সালের ২৭ রামাযানের রাত্রিতে সউদী আরবের আল ক্বাসীম প্রদেশের উনাইযা শহরে জম্ম গ্রহণ করেন।
.
❑ শাইখের শিক্ষা জীবনঃ
.
শিক্ষা জীবনের শুরুতে শাইখ তাঁর নানার কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা করেন। অতঃপর আরবী ভাষা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তিনি অতি অল্প বয়সেই কুরআন মজীদ মুখস্থ করেন এবং হাদীস ও ফিক্হসহ কতিপয় পুস্তিকাও মুখস্থ করেন। অতঃপর তিনি তাওহীদ, ফিক্হ এবং নাহু শাস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করার পর শায়খ আবদুর রাহমান বিন নাসির আল-সা’দী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর পাঠশালায় যোগদান করেন। সেখানে তিনি তাফসীর, হাদীস, ফারায়েয, ফিক্হ, উসূলে ফিক্হ এবং আরবী ব্যকরণ অধ্যয়ন করেন। যে সমস্ত শায়খদের ইলম, আকীদাহ এবং পাঠদান পদ্ধতির দ্বারা তিনি সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শায়খ আব্দুর রাহমান বিন নাসের আল-সা’দী (রাহিমাহুল্লাহ) সৰ্বপ্ৰথম।
.
উনাইযাতে থাকাবস্থায় তিনি শাইখ আব্দুর রাহমান বিন আলী বিন আওদান (রাহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট ইলমে ফারায়েয এবং শায়খ আব্দুর রাজ্জাক আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ) এর নিকট ইলমে নাহু এবং ইলমে বালাগাত শিক্ষা করেন। রিয়াদ শহরে ইসলামিক শিক্ষা ইন্সটিটিউট খোলা হলে তিনি বন্ধুদের পরামর্শক্রমে এবং তাঁর উস্তাদ শায়খ আব্দুর রাহমান সা’দীর অনুমতিক্রমে তথায় ভর্তি হন। সেখানে তিনি দু’বছর অধ্যয়ন কালে শায়খ মুহাম্মাদ আল-আমীন শানকীতী, আব্দুল আজীজ নিব নাসের বিন রাশীদ এবং শায়খ আব্দুর রাহমান আল-আফ্রিকীসহ অন্যান্য উস্তাদদের নিকট থেকে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পান। এ সময়ই আল্লামা ইবনে বায (রঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে সহীহ বুখারী এবং শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)-এর লিখিত বিভিন্ন কিতাব অধ্যয়ন করেন। তিনি তাঁর কাছ থেকে হাদীস এবং ফিকহী মাজহাব সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন। ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে যাদের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছেন ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) ছিলেন তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয়।
.
অতঃপর তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিন সউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে একাডেমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করে উনাইযায় ফেরত এসে উনাইযা জামে মসজিদে পাঠ দান শুরু করেন। তাঁর উস্তাদ আব্দুর রাহমান সা’দী ইন্তেকাল করার পর উায়যা জামে মসজিদের ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালনসহ উস্তাদের প্রতিষ্ঠিত উনায়যা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে শিক্ষা দানের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে লাইব্রেরীতে স্থান দেয়া অসম্ভব হওয়ায় মসজিদেই ক্লাশ নেওয়া শুরু করেন। এ পর্যায়ে সউদী আরবের বাইরে থেকেও বিপুল সংখক ছাত্রের আগমণ ঘটতে থাকে। জীবনের শেষ কাল পর্যন্ত তিনি অত্র মসজিদে শিক্ষা দানে ব্যস্ত ছিলেন। সাউদী সরকারের উলামা পরিষদেরও তিনি সদস্য ছিলেন।
.
❑ শাইখের ব্যক্তিগত আমল-আখলাকঃ
.
শাইখ একজন উঁচু মানের আলেম হওয়ার সাথে সাথে উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল, বিনয়ী, নম্র এবং আল্লাহ ভীরু। জীবনের প্রতিটি কাজে তিনি রাসূল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাত বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতেন। ফতোওয়া দানের ক্ষেত্রে তিনি তাড়াহুড়া না করে ধীরস্থীরতা অবলম্বন করতেন। তিনি মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতেন এবং সাধ্যানুসারে তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে সচেষ্ট থাকতেন। বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক সংগঠনকে তিনি বিশেষভাবে সহযোগিতা প্রদান করতেন। দুনিয়ার প্রাচুর্য আর তুচ্ছ সুখ শাইখের চলার পথকে কখনোই রুদ্ধ করতে পারেনি। তিঁনি প্রায়ই বলতেন,”ভোগ-বিলাসিতা মানুষের ব্যক্তিত্বকে বিনাশ করে।” আর তাই একদম সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একদিন এক যুবক শাইখকে একটা গাড়ি হাদিয়া দিয়েছিল। একটু পরে আরেক যুবক এসে বলল, “শাইখ, আগামীকাল আমার বিয়ে,আপনার দাওয়াত রইল।” প্রত্যুত্তরে শাইখ বলেন, “আমার দারস আছে, যাওয়া সম্বব হবেনা”– এই বলে গাড়ির চাবিটা ঐ যুবককে বিয়ের উপহার হিসেবে দিয়ে দেন! উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে! শাইখের নিজস্ব কোন গাড়ি নেই, চাইলে রাখতেও পারতেন, দরকারও ছিল, তবুও রাখলেন না। একহাতে নিলেন আর অন্য হাতে দিলেন! আরো একটি ঘটনা প্রসিদ্ধ রয়েছে, একদা শাইখ আল-উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ্) কোথাও ট্যাক্সি করে যাচ্ছেন। পথিমধ্যে ট্যাক্সিওয়ালা উনার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন,”আমি মুহাম্মদ বিন সালেহ্ আল উসাইমীন।” পরিচয় শুনে সে হাসতে হাসতে খুন। কি বলেন!? আপনি শাইখ আল-উসাইমীন!? অতি- সাধারণ পোশাক-আশাকে দেখে ট্যাক্সিওয়ালা বিষয়টাকে মজাক মনে করেছিল। সে প্রত্যুত্তরে বলছে, “আপনি যদি ইমাম আল-উসাইমীন হন, তাহলে আমি আপনার উস্তায ইমাম ইবনু বায।”
.
শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ)- এর ছাত্র সুলাইমান বিন সালেম আল-হানাকী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,একদিন শায়খ উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) মসজিদের বারান্দায় বসে তার ছাত্রদের সামনে দারস দিচ্ছিলেন। ছাত্ররা তাকে বিভিন্ন শারঈ মাসায়েলের ব্যাপারে প্রশ্ন করছিল, আর তিনি সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এমতাবস্থায় একটি আলিশান গাড়ি মসজিদ চত্ত্বরে প্রবেশ করল। চালক গাড়ি থেকে নেমে শায়খের কাছে আসল এবং শহরের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলল, ‘তিনি এই গাড়িটি আপনাকে হাদিয়া দিয়েছেন’। এই কথা বলে সে শায়েখের কাছে গাড়ির চাবি দিতে হাত বাড়াল। কিন্তু তিনি চাবি নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। কিন্তু চালক পীড়াপীড়ি করতে লাগল। তাই শেষ পর্যন্ত চাবিটা নিলেন। লোকটা চলে গেলে তিনি চাবিটা পাশে রেখে আবার ছাত্রদের সাথে কথা বলা শুরু করলেন। কিন্তু চাবির দিকে একবারও তাকালেন না। এভাবে দরস চলতে থাকল। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ এক যুবকের আগমন ঘটল। সে শায়খকে সালাম দিয়ে আরয করে বলল, ‘শায়খ! আজ রাতে আমার বিবাহ সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। আমি মনে প্রাণে কামনা করি যে, আপনি আমার বিবাহে উপস্থিত থাকবেন’। শায়খ ওযর পেশ করে সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করলেন। কিন্তু তার উপস্থিতির জন্য যুবকটি পীড়াপীড়ি করতে লাগল। তখন শায়খ তার প্রতি কোমল হয়ে বললেন, ‘আসলে পরিস্থিতি অনুকূলে হচ্ছে না। তাছাড়া আমি তোমার বিবাহে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতাম। তুমি এক কাজ কর, এই গাড়ির চাবিটা নাও! এটা আমার পক্ষ থেকে তোমাকে উপহার দিলাম। যুবক চাবিটা হাতে নিল এবং গাড়ি নিয়ে চলে গেল। এরপর শায়খ আবার ছাত্রদের সামনে কথা বলা শুরু করলেন। তিনি আগের মতো একদম স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে থাকলেন। যেন কিছুই হয়নি। (দেখুন আছেম বিন আব্দুল মুন‘ইম আল-মারী, আদ-দুর্রুছ ছামীন ফী তারজামাতি ফাক্বীহিল উম্মাহ আল্লামাহ ইবনু উসাইমীন (আলেকজান্দ্রিয়া, মিসর: দারুল বাসীরাহ, ১৪২৪হি./২০০৩খ্রি.) পৃষ্ঠা: ২১৮)।
.
সুলায়মান হানাকী (রাহিমাহুল্লাহ) আরেকটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। একবার সঊদী আরবের তৎকালীন বাদশাহ খালিদ এবং যুবরাজ ফাহাদ শায়খ উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-এর বাড়িতে তাকে দেখতে যান। ঘরের অনাড়ম্বর কাঠামো দেখে বাদশাহ তাকে একটি নতুন বাড়ি উপহার দেওয়ার ইচ্ছা করলেন এবং তাকে একটি প্রাসাদ তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন। উত্তরে শাইখ উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বললেন, ‘আমি আপনার প্রস্তাবের সমাদর করি, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন! তবে ইতিমধ্যেই আমি ছালিহিয়্যা (উনাইযা শহরের একটি এলাকা)-তে একটি বাড়ি নির্মাণ করছি’। বাদশাহ তার জন্য কিছু একটা করতে চাচ্ছিলেন, তখন শাইখ বললেন, ‘যদি আপনি কিছু করতেই চান, তাহ’লে দয়া করে আমার ছাত্রদের বসবাসের জন্য একটি হোস্টেল নির্মাণ করে দিন, অন্যথা তারা মসজিদে বসবাস করছে, আর এটি তাদের জন্য খুব কষ্টকর’। বাদশাহ চলে যাওয়ার পরে, ছাত্ররা তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘শায়খ! আমরা তো জানতামই না যে আপনি ইতিমধ্যে ছালিহিয়্যাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘তোমরা কি জাননা,সালিহিইয়াতে একটি কবরস্থান আছে?’ তারা বলল, ‘জ্বী’। তিনি বললেন, ‘আমি সেখানেই আমার পরকালের বাড়ি নির্মাণ করছি’। (আদ-দুর্রুছ সামীন,পৃষ্ঠা:২১৮-২১৯)।
.
❑ শাইখের দাওয়াতী কর্মতৎপরতাঃ
.
শাইখ ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত একজন আলেম এবং দাঈ।পৃথিবীতে এমন কোন তালেবে ইলম পাওয়া যাবেনা,যে শাইখ ইবনে উসাইমীন সম্পর্কে অবগত নয়। ইলম,ইখলাস আর বিনয়ে মুগ্ধ হয়ে শত্রুরা পর্যন্ত এই নক্ষত্রের প্রশংসা করতে বাধ্য হতেন। প্রচণ্ড রোগে আক্রান্ত অবস্থায়ও তিনি মক্কা শরীফে দারস এবং তালীমের কাজ আঞ্জাম দিতেন। মৃত্যুর ছয়মাস পূর্বে তিনি চিকিৎসার জন্য আমেরিকা সফরে গিয়ে বিভিন্ন ইসলামী সেন্টারে উপস্থিত হয়ে লেকচার প্রদান করেন। তথায় তিনি জুমুআর খুৎবা দেন এবং ইমামতি করেন। সাউদী আরব আল কুরআন রেডিওতেও তিনি নিয়মিত শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতেন।
.
❑ শাইখের ইলমী খিদমতঃ
.
ইতিহাস বিখ্যাত মানুষটা এই পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন মাত্র ৭৩ বছর। দারস দিয়েছেন জীবনের প্রায় ৫০টি বছর এবং দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন ২০০১ সালের দিকে। ইলম পিপাসুদের জন্য প্রায় ১৮০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তন্মধ্যে মাজমূ’উ ফাতাওয়া ও রাসাইল ৪২ খন্ডে , আশ-শারহুল মুমতি ১৬ খন্ডে, আল-কাওলুল মুফীদ আলা কিতাবিত-তাওহীদ ৩ খন্ডে, শারহু রিয়াযুস ছালেহীন ৭ খন্ডে এবং শারহুল আকীদাহ আল-ওয়াসিতিয়্যাহ ২ খন্ডে। আল উছূল মিন ঈলমিল উচ্ছ্বল। এছাড়া রয়েছে তাঁর আরো অসংখ্য ক্যাসেট ও ছোট ছোট পুস্তিকা, যা তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত ইবনে উসাইমীন কল্যাণ সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে থাকে। বর্তমানে তাঁর ইসলামের খিদমত সমূহ ওয়েব সাইটেও পাওয়া যায়।
.
❑ শায়খের জীবনের সর্বশেষ সময়:
.
দুনিয়াত্যাগী এই মহান শাইখের কোন ব্যাংক-ব্যালেন্স ছিলনা। মৃত্যুর পূর্বে পরিবারের জন্য শুধুমাত্র একটি মাটির ঘর রেখে গিয়েছিলেন। বাদশা খালিদ চেয়েছিল উনাকে একটা বাড়ী বানিয়ে দিতে কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। জীবনের শেষ সময়টুকু শাইখের অনেক কষ্টে কেটেছে, ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানকার ডাক্তাররা বলেছিল থেরাপি দিলে ভালো হওয়ার একটা চান্স আছে, তবে থেরাপিতে সব চুল-দাড়ি ঝরে যাবে। একথা শুনে শাইখ থেরাপি না নিয়েই সৌদিতে ফিরে আসেন। তিনি বলেছিলেন,”আমি দাড়ি-মোচ মুন্ঠন অবস্থায় আমার রবের সাথে সাক্ষাৎ করাকে অপছন্দ করি।” রাহিমাহুল্লাহ রাহমাতান ওয়াসি’আহ। অত:পর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত উম্মাহকে বিশুদ্ধ দ্বীন শিক্ষা দিয়ে যান। ইতিহাস বিখ্যাত এই স্বনামধন্য ও বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন দীর্ঘ দিন ইসলামের খেদমত আন্জাম দেয়ার পর ১৪২১ হিঃ শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখ মাগরিবের নামাযের সামান্য পূর্বে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে সউদী আরবের বাদশাসহ রাজ পরিবারের সকল সদস্য, সে দেশের সকল আলেম এবং সর্বস্তরের জনগণ শোকাহত হন । বিশ্ব এক অপূরণীয় ক্ষতি অনুভব করে। আল্লাহর কাছে দু’আ করছি:হে আমাদের রব! আপনি সালাফিয়্যাহ’র ঝান্ডাবাহী এই মুজাহিদকে উত্তম প্রতিদান দান করুন,শাইখের সমস্ত দ্বীনি খেদমত কবূল করুন,তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান বানিয়ে নিন।আমিন ইয়া রব। আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী।
_____________________
উপস্থাপনায়:
জুয়েল মাহমুদ সালাফি।