রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কেন্দ্র করে প্রচলিত বিদআতঃ
১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সৃষ্টি না করলে দুনিয়াতে কোন কিছু সৃষ্টি হত না এমন আকীদাহ পোষণ করে সওয়াবের আশা করা।
২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর নূরের তৈরী এমন ধারণা করা ও সওয়াব মনে করা।
৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করেননি এমন ধারণা পোষণ করা।
৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যক্তি সত্ত্বার উসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ চাওয়া।
৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে কুরবানী, হাজ্জ অথবা উমরা করা।
৬. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরকে রওজা বলা।
৭. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের নিকটে না গিয়ে দূর হতে কবরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়া।
৮. অন্য কারো মাধ্যমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরে সালাম পাঠানো।
৯. সর্বদা কোন নির্দিষ্ট সময় বা দিনে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবর যিয়ারত করা।
১০. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরে গিয়ে উচচস্বরে সালাম দেয়া।
১১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরে গিয়ে কান্নাকাটি করাকে সওয়াব মনে করা।
১২. ওয়াজের সময় নারায়ে রিসালাত বলে উচ্চস্বরে ইয়া রসূলুল্লাহ বলা।
১৩. আজানের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম আসলে চোখে দুই বৃদ্ধ আঙুলি দিয়ে দুই চোখের মধ্যে লাগিয়ে চুমু খাওয়া।
১৪. মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ দেখা মাত্রই দুরূদ ও সালাম পাঠ করা।
১৫. কোন ইসলামী মাহফিলের দুআ, দুরূদ ও যিকরের সওয়াব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরে, সকল ওলিদের রুহে ও মৃতদের কবরে পাঠিয়ে দেয়।
১৬. সুন্নতী পোশাকের নামে বিশেষ ধরনের পোশাক পরা।
১৭. নতুন নতুন দুরূদ এর আবিস্কার করা এবং তা পড়া।
১৮. আশেকে রাসূল বলে দাবী করা। জসনে জুলুস করা।
১৯. বরকত বা সওয়াবের উদ্দেশ্যে মদীনার নামে নানা দল তৈরী করা ।
২০. মাহফিলে হুজুর পাবলিককে দুরূদ পড়তে দিয়ে নিজে চা খাওয়া আর। মাঝে মধ্যে একটা-দুইটা করে শব্দে টান দেয়া।
২১. আমার আল্লাহ নাবীজির নাম বলে ভিক্ষা করা।
২২. বালাগাল উলা বি কামালিহি, কাশাফাদ্জা বি জামালিহি ইত্যাদি বলা শিরক এবং বিদ’আত।
২৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর হাবীব বা দোস্ত এই কথা বলা।
সওয়াবের আশায় বিভিন্ন দিবস পালন করা বিদআতঃ
২৪. ঈদে মিলাদুন্নবী দিবস পালন করা।
২৫. মিলাদের মাহফিল করা।
২৬. শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী মনে করে এ রাত্রি পালন করা।
২৭. শবে মিরাজ দিবস পালন করা।
২৮. প্রথম মহররম রাত্রি উত্যাপন করা।
২৯. ওরছ করা, ইছালে সওয়াবের মাহফিল করা।
৩০. রমাদান মাসে “বদর দিবস” পালন করা।
৩১. ঈদের পরে “ঈদ পূণর্মিলনী” অনুষ্ঠান করা।
৩২. জন্ম বার্ষিকী বা Birthday পালন করা।
সালাতকে কেন্দ্র করে প্রচলিত বিদআতঃ
৩৩. নাউয়াইতুয়ান ওসাল্লিয়া বলে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা।
৩৪. জায়নামাযে দাঁড়িয়ে জায়নামাযের দু’আ পাঠ করা।
৩৫. সালাত শেষে সওয়াবের উদ্দেশ্যে পাশের মুসুল্লিদের সাথে মুসাফা করা।
৩৬. মাগরিবের পর দুই রাকাত নফল সলাত নির্দিষ্ট করে নেয়া এবং এই সালাত বসে পড়া।
৩৭. সালাতুল আওয়াবীন নামে মাগরিবের পরে ৬ রাকাত সলাত আদায় করা।
৩৮. সালাতুল হাজাত নামে সলাত আদায় করা।
৩৯. ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত সালাত আদায় করতে হবে মনে করা।
৪০. সালাতের পর মাথায় বা কপালে হাত রাখা।
৪১. পাগড়ী পড়ে সালাত আদায় করলে অনেক সওয়াব হবে মনে করা।
৪২. টুপি মাথায় দেয়াকে সালাতের সুন্নাহ মনে করা।
৪৩. লম্বা দাড়ি ও লম্বা পাঞ্জাবী দেখে ইমাম নির্বাচন করা।
৪৪. উমরী কাযা সালাত আদায় করা।
৪৫. জানাযার সালাতে সানা পাঠ করা ।
৪৬. শবে কদরের সালাতের পদ্ধতি ও পরিমান নির্ধারণ করা।
৪৭. শবে বরাত ও শবে মিরাজের সালাত আদায় করা।
৪৮. আখেরী চাহার শোম্বার সালাত আদায় করা।
৪৯. জুম্মার খুত্বার মাঝে কাবলাল জুম্মার ৪ রাকআত সুন্নাত পড়ার সময় দেয়া।
৫০. জুম্মার দিন খুত্বার সময় লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখা এবং লিখে রাখা যে। লাল বাতি জ্বলন্ত অবস্থায় সালাত আদায় করা নিষেধ।
৫১. জুম্মাতুল বিদা পালন করা এবং আখিরি জুম্মা বলা।
৫২. জুম্মার সালাত শেষ না হলে ঘরে মহিলারা সালাত আদায় না করা।
৫৩. জুম্মার দিনে খুত্বার সময় চাদার বাক্স চালানো।
৫৪. জুম্মার সালাত ২২ রাকআত নির্ধারণ করা।
৫৫. জুম্মার অতিরিক্ত খাবার প্রচলন।
৫৬. ফরয সালাতের পর ইমামের নেতৃত্বে হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত।
৫৭. জানাযা সালাতের শেষে হাত তুলে দু’আ করা।
৫৮. জানাযার ও ঈদের সালাতের আযান দেয়া।
৫৯. সশরীরে সালাত না আদায় করে বা জামাতে সালাত না আদায় করে রূহানী জগতের মাধ্যমে সালাত আদায় করা।
৬০. গায়েবীভাবে বাংলাদেশ থেকে মক্কার কাবাঘরে এক ওয়াক্তের সময় অন্য ওয়াক্তের সালাত আদায় করতে যাওয়া।
৬১. পুরুষ এবং মহিলাদের সালাতের পদ্ধতি আলাদা করা।
৬২. বিবাহিত ও অবিবাহিতদের সালাতে বৈষম্য তৈরী করা।
৬৩. বিতরের পর নফল সালাত বসে পড়ায় অধিক সওয়াব মনে করা।
৬৪. মহিলাদের জামাত, জুম্মা ও ঈদের সালাত থেকে দূরে রাখা।
৬৫. রফ’উল ইয়াদাইন করা, জোরে আমীন বলা, পুরুষরা বুকে হাত বাঁধা এবং তাশাহহুদে আঙ্গুল নাড়ানো বা খাড়া করে রাখা অপছন্দ করা।
৬৬. জামাত শুরু হয়ে গেলেও বা ইকামত হয়ে গেলেও সুন্নাত পড়া।
৬৭. সফরে কসর না পড়ে নিয়ম মত সালাত আদায় করা।
৬৮. সফরে দুই ওয়াক্ত সালাত একত্রে না আদায় করা।
৬৯. আরবী ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় খুতবী নাজায়েয মনে করা।
৭০. ইমাম সালাতে ভুল করলে ‘সুবহানআল্লাহ’ না বলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।
৭১. সাহু সিজদার জন্য ডান দিকে একবার সলাম ফিরানো এবং পুনরায় তাশাহহুদ পড়া।
৭২. সালাম ফিরানোর পর ইমামের মুক্তাদিদের দিকে ঘুরে না বসা।
৭৩. ঠোট না নেড়ে মনে মনে সূরা ক্বিরাতের মাধ্যমে সালাত আদায় করা।
৭৪. বিতর সালাত নির্দিষ্ট করে শুধু তিন রাকআত পড়া।
৭৫. আট রাক’আত তারাবির সালাতকে আহলে হাদীসের নিয়ম বলা।
৭৬. সালাতের কাতারে শিশুদের রাখা মাকরূহ মনে করা।
৭৭. জায়নামাযে কাবার ছবি, মদীনার সবুজ গম্বুজের ছবি বিদ’আত।
৭৮. সালাত শেষে জায়নামাযকে চুমু খাওয়া।
৭৯. সালাত শেষে জায়নামাযের কোনা ভাজ করে রাখা।
৮০. সালাত শেষে অতিরিক্ত একটি সাজদা দেয়া।
মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে প্রচলিত বিদআতঃ
৮১. মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা।
৮২. মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কুলখানি, চল্লিশা অথবা চেহলাম করা।
৮৩. মৃত ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করা।
৮৪. মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে জিয়াফত, কুরআনখানি, ইছালে সওয়াব, এগারোৰী শরীফ, রূহে সওয়াব বখশে দেয়া।
৮৫. মৃত ব্যক্তির উপর সূরা ইয়াসীন পাঠ করা।
৮৬. মহিলাদের ঘন ঘন কবর যিয়ারত করা।
৮৭. কবরে ফুল দেয়া।
৮৮. শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ ও তাতে বিভিন্ন উপলক্ষে ফুল দেয়া।
৮৯. কবর যিয়ারতের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা।
৯০. কবর উঁচু করা, বাঁধানো এবং কবরকে সুন্দর করা।
৯১. নির্দিষ্টভাবে শুধু ঈদের দিনে অথবা জুমার দিনে কবর যিয়ারত করা।
৯২. ফাতিহা ইয়াজদহম ও দু’আজদহম পালন করা।
৯৩. মৃত লোকদের নিকট সাহায্য চাওয়া শিরক এবং বিদ’আত।
৯৪. মৃত ব্যক্তিদের জন্য ১মিনিট বা কয়েক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা।
৯৫. দাফন না করা পর্যন্ত পরিবারের লোকদের না খেয়ে থাকা।
৯৬. মৃত্যুর পর তিন দিন বাড়িতে চুলা না জালানো বা রান্না না করা।
৯৭. বাড়ীতে বা কবরস্থানে এই সময় সাদাকাহ বিলি করা।
৯৮. চীার দিয়ে কান্নাকাটি করা, বুক চাপড়ানো, কাপড় ছেড়া, মাথা ন্যাড়া করা, চুল-গোঁফ না কাটা ইত্যাদি।
৯৯. তিন দিনের অধিক (সপ্তাহ, মাস, ছয় মাস ব্যাপী) শোক পালন করা। (কেবল স্ত্রী ব্যতীত, কেননা তিনি ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করবেন)।
১০০. কবরের উপরে খাদ্য ও পানীয় রেখে দেয়া। যাতে লোকেরা তা নিয়ে যায়।
১০১. মৃতের ঘরে তিন রাত, সাত রাত (বা ৪০ রাত) ব্যাপী আলো জেলে রাখা।
১০২. কাফনের কাপড়ের উপরে দুআ-কালেমা ইত্যাদি লেখা।
১০৩. মৃতাকে নেককার লোকদের গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া।
১০৪. এই ধারণা করা যে, মৃত ব্যক্তি জান্নাতী হলে ওজনে হালকা হয় ও দ্রুত কবরের দিকে যেতে চায়।
১০৫. জানাযার পিছে পিছে উচ্চৈঃস্বরে যিকর ও তিলাওয়াত করতে করতে চলা।
১০৬. জানাযা শুরুর প্রাক্কালে মৃত কেমন ছিলেন বলে লোকদের কাছ থেকে সমস্বরে সাক্ষ্য নেয়া।
১০৭. জানাযার সালাতের আগে বা দাফনের পরে তার শোকগাথা বর্ণনা করা।
১০৮. জুতা পাক থাকা সত্ত্বেও জানাযার সালাতে জুতা খুলে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করা।
১০৯. কবরে মৃতের উপরে গোলাপ পানি ছিটানো।
১১০. কবরের উপরে মাথার দিক থেকে পায়ের দিকে ও পায়ের দিক থেকে মাথার দিকে পানি ছিটানো। অতঃপর অবশিষ্ট পানিটুকু কবরে ঢালা।
১১১. তিন মুঠি মাটি দেয়ার সময় ১ম মুঠিতে ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম’ ২য় মুঠিতে ‘ওয়া ফীহা নুঈদুকুম” এবং ৩য় মুঠিতে ‘ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’ বলা অথবা ‘আল্লাহুম্মা আজিরহা মিনাশ শায়ান” পাঠ করা (ইবনু মাজাহতে বর্ণিত এই হাদীসটি যঈফ)।
১১২. কবরে মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা ও পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বাকারার শুরুর অংশ পড়া।
১১৩. সূরা ফাতিহা, কলর, কাফিরূন, নছর, ইখলাছ, ফালাক ও নাস এই সাতটি সূরা পাঠ করে দাফনের সময় বিশেষ দু’আ পড়া।
১১৪. কবরের উপর শামিয়ানা টাঙ্গানো।
১১৫. প্রতি জুমআয় কিংবা সোম ও বৃহস্পতিবারে নির্দিষ্ট করে পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করা।
১১৬. এছাড়া আশূরা, শবে মিরাজ, শবেবরাত, রমাদান ও দুই ঈদে বিশেষভাবে কবর যিয়ারত করা।
১১৭. কবরের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ানো ও সূরা ফাতিহা ১ বার, ইখলাছ ১১ বার কিংবা সুরা ইয়াসীন ১ বার পড়া।
১১৮. কুরআন পাঠকারীকে উত্তম খানা-পিনা ও টাকা-পয়সা দেয়া বা এ বিষয়ে অছিয়ত করে যাওয়া।
১১৯. কবরে রুমাল, কাপড় ইত্যাদি বরকত মনে করে নিক্ষেপ করা।
১২০. কবরে চুম্বন করা।
১২১. কবরের পায়ে বরকত মনে করে হাত, পেট ও বুক লাগানো।
১২২. মৃত্যুর সাথে সাথে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে বলে ধারণা করা।
১২৩. ত্রিশ পারা কুরআন (বা সূরা ইয়াসীন) পড়ে এর সওয়াবসমূহ মৃতের নামে বখশে দেয়া। যাকে কুরআনখানী বলে।
১২৪. কাফিরুন, ইখলাছ, ফালাক ও নাস এই চারটি ‘কুল’ সূরার প্রতিটি ১ লক্ষ বার পড়ে মৃতের নামে বখশে দেয়া। যাকে ‘কুলখানী’ বলে।
১২৫. আযান শুনে নেকী পাবে বা গোঁর আযাব কম হবে ভেবে মসজিদের পাশে কবর দেয়া।
১২৬. মৃত ব্যক্তির কবরের পাশে আলো জ্বেলে ও মাইক লাগিয়ে রাত্রি ব্যাপী উচ্চৈঃস্বরে কুরআন খতম করা।
১২৭. সালাত, কিরাআত ও অন্যান্য দৈহিক ইবাদত সমূহের নেকী মৃতদের জন্য হাদিয়া দেয়া। যাকে সওয়াব রেসানী’ বলা হয়।
১২৮. আমল সমূহের সওয়াব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে (বা অন্যান্য নেককার মৃত ব্যক্তিদের নামে) বখশে দেয়া। যাকে ইসালে সওয়াব’ বলা হয়।
১২৯. নেককার লোকদের কবরে গিয়ে দু’আ করলে তা কবুল হয়, এই ধারণা করা।
১৩০. জানাযার সময় স্ত্রীর নিকট থেকে মোহরানা মাফ করিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা।
১৩১. ঐ সময় মৃতের কাযা সলাত সমূহের বা উমরী কাযার কাফফারা স্বরূপ টাকা আদায় করা।
১৩২. মৃত্যুর পরপরই ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে চাউল ও টাকা-পয়সা বিতরণ করা।
১৩৩. দাফনের পরে কবরস্থানে গবাদি পশু যবেহ করে গরীবদের মধ্যে গোশতবিতরণ করা।
১৩৪. লাশ কবরে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় তিনবার নামানো।
১৩৫. কবরে মাথার কাছে মক্কার মাটি’ নামক আরবীতে ‘আল্লাহ’ লেখা মাটির টুকরা রাখা।
১৩৬. মৃতের কপালে আতর নিয়ে ‘আল্লাহ’ লেখা।
১৩৭. কবরে মোমবাতি, আগরবাতি ইত্যাদি দেয়া।
১৩৮. মৃতের বিছানা ও খাট ইত্যাদি ৭দিন পর্যন্ত একইভাবে রাখা।
১৩৯. কবরের আযাব মাপের উদ্দেশ্যে কাবার বা কোন পীরের কবরের গিলাফের অংশ কিংবা তাবিজ লিখে দাফন করা।
১৪০. কবরের উপরে একটি বা চার কোণে চারটি কাচা খেজুরের ডাল পোতা বা কোন গাছ লাগানো যে, এর প্রভাবে কবর আযাব হালকা হবে।
১৪১. মৃত স্বামীর এবং মৃত স্ত্রীর মুখ না দেখা।
১৪২. স্ত্রী বা স্বামী কর্তৃক মৃত স্বামী বা স্ত্রীকে গোসল করানো নিষেধ করা।
১৪৩. মৃত ব্যক্তির রূহ চল্লিশদিন পর্যন্ত বাড়িতে আসে বিশ্বাস রাখা।
১৪৪. মাযারে ওরশে দান করা।
১৪৫. দশদিনে রুটি হালুয়া বাটা।
১৪৬. জানাযা নিয়ে যাওয়ার সময় উচ্চৈস্বরে যিকর করা।
১৪৭. মৃতের সামনে চিৎকার করে কাঁদা।
১৪৮. মৃতের শোকে কাপড় ছেড়া, গায়ে চড় মারা।
১৪৯. মৃতের বাড়িতে গেলে ফিরে এসে নিজের গোসল করতে হয়।
১৫০. মৃতের বাড়িতে এক রাত্রি থাকলে তিন রাত্রি থাকতে হয়।
১৫১. মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে তাওবা পড়া।
১৫২. ইন্নালিল্লাহ…..রাজিউন’ কে শুধু মুত্যু সংবাদের দু’আ মনে করা।
কুরবানীকে কেন্দ্র করে প্রচলিত বিদআতঃ
১৫৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে কুরবানী করা।
১৫৪. কুরবানীর সময় মুখে নিয়্যত উচ্চারণ করে পশু কুরবানী করা।
১৫৫. কুরবানীর পশুর সামনে কে কে কুরবানী করছে তাদের নামের তালিকা পাঠ করা এবং নাম কম পড়লে সেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম বসিয়ে দেয়া।
১৫৬. কুরবানীর মাংস শুকিয়ে বা ফ্রিজে রেখে তা মহররম মাসে খাওয়া।
দু’আ, দুরূদ, খতম পড়ানো ও কুরআন তিলাওয়াত সংক্রান্ত বিদ’আতঃ
১৫৭. দু’আ করার সময় ১ বার সুরা ফাতিহা, ৭ বার ইসতিগফার, ৩ বার সুরা ইখলাস ও ১১ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করে দু’আ শুরু করার নিয়ম করা।
১৫৮. ওয়াজ আল আখিরা কালামিনা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বলে দু’আ শেষ করতে হবে বলে মনে করা।
১৫৯. দুআ শেষ করে দুই হাত দিয়ে মুখ মুছা জরুরী মনে করা।
১৬০. খাবার খাওয়ার পর দুই হাত তুলে দু’আ করতে হবে বলে মনে করা।
১৬১. বরকতের জন্য সীনা খতম পড়ানো।
১৬২. বিপদ আপদ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুরূদে তাজ পড়া, দুরূদে তুনাজ্জিনাহ পড়া, খতমে জালালী পড়া, খতমে ইউনুস পড়া, খতমে তাহলিল পড়া।
১৬৩. মৃত্যু পথযাত্রীর মৃত্যু তাড়াতাড়ি হওয়ার জন্য খতমে খাজেগান পড়া।
১৬৪. সওয়াবের উদ্দেশ্যে দলাইলুল খাইরাত পাঠ করা।
১৬৫. কুরআনে চুমু খাওয়া, বুকে ও কপালে স্পর্শ করা। কুরআন ছুয়ে শপথ করা।
১৬৬. কুরআন তিলাওয়াত করে সাদাকাল্লাহুল আজীম বলা জরুরী মনে করা।
১৬৭. মহিলাদের কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা করা এবং পুরুষদের সম্মুখে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করা।
১৬৮. কুরআন তিলাওয়াত শোনার সময় হঠাৎ বিনা কারণে ঢুকরে কেঁদে ওঠা। অর্থ বুঝে কাঁদলে ঠিক আছে।
১৬৯. কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সর্বদা সভা-সমিতি আরম্ভ করাকে ইসলামের নিয়ম মনে করা । (তবে মাঝে মধ্যে করা যেতে পারে কিন্তু নিয়ম বানানো যাবে না)।
১৭০. সম্মিলিতভাবে দু’আ করার সময় বলা ও মজলিসে যে তোমার প্রিয় বান্দা অথবা বে-গুনাহ মাসুম বাচ্চা আছে তাদের উসিলায় অথবা তুমি যে হাত পছন্দ কর তার উসিলায় আল্লাহ আমাদের দু’আ কবুল কর ।
১৭১. সূরা ইয়াসীন একবার পড়লে দশবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায় এবং সূরা ইয়াসীন গরম সূরা’ বলে মনে করা।
১৭২. খানার উপর বরকতের জন্য সূরা কুরাইশ পড়া।
১৭৩. দু’আ করার সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা জরুরী মনে করা।
১৭৪. নতুন চাঁদ দেখার পর হাত তুলে দু’আ করা।
১৭৫. মাইকে এক নাগাড়ে কুরআন খতম (সাবিনা খতম) করা।
১৭৬. একাধিক লোক একসঙ্গে বসে শব্দ করে কুরআন খতম করা।
১৭৭. আয়াতুল কুরসী পড়ে বুকে ফু দেয়া
১৭৮. খতমে ইউনুস।
১৭৯. খতমে আম্বিআ।
১৮০. মাজারে কুরআন পাঠ।
১৮১. কারী ও হুজুর ভাড়া করে এনে খতম পড়ানো।
১৮২. খতমে বুখারী (সওয়াবের উদ্দেশ্যে বুখারী খতম দেয়া)। সফর সংক্রান্ত প্রচলিত বিদআত।
সফর সংক্রান্ত প্রচলিত বিদআতঃ
১৮৩. পীর ওলিদের কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে দূর-দূরান্তে সফর করা।
১৮৪. সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাবা শরীফ, মসজিদে নব্বী, মসজিদে আকসা ছাড়া অন্য কোথাও সফর করা ।
১৮৫. সওয়াবের আশায় মদিনার সাত মসজিদের যিয়ারত করা।
১৮৬. নিজের পরিবার, প্রতিবেশী ও এলাকায় দাওয়াত না দিয়ে দূর-দূরান্তে দ্বীনের দাওয়াতী কাজে বের হওয়া।
১৮৭. কসরের দূরত্ব হিসাবে ৪৮ মাইলকে নির্ধারণ করা ।
১৮৮. দ্বীনের দাওয়াতের কাজে সপ্তাহে একদিন, মাসে তিনদিন, বছরে ৪০ দিন, সারা জীবনে ১২০ দিন সময় নির্দিষ্ট করে চিল্লা লাগানো।
পাক-নাপাক সংক্রান্ত বিদআতঃ
১৮৯. ওযূ করার সময় গর্দান মসেহ করা।
১৯০. ইসতেনজার পানির সাথে ঢিলা-কুলখ নেয়া ওয়াজীব মনে করা।
১৯১. প্রস্রাবের পর ঢিলা লাগিয়ে পুরুষাঙ্গ ধরে ৪০ কদম হাঁটা।
১৯২. ওযূতে প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার সময় কতগুলো নির্দিষ্ট দু’আ পড়া।
১৯৩. খাবার আগে ওযু করলে দারিদ্র দূর হয় বলে মনে করা।
১৯৪. নাপাক কাপড় সাত বার না ধুলে পাক হবে না মনে করা । (শুধু কুকুরের লালা লাগলে একবার মাটি দিয়ে পরে সাতবার পানি দিয়ে ধুতে হবে, অন্যান্য সর্বক্ষেত্রে তিনবার শুধু পানি দ্বারা ধুলেই যথেষ্ট হবে)।
মাযহাব, দল, পীর-মুরীদি ও যিকর সংক্রান্ত বিদআতঃ
১৯৫. চারটি মাযহাবের মধ্যে যে কোন একটি মাযহাব হুবহু মানা ফরয, ওয়াজিব অথবা সুন্নাত মনে করা।
১৯৬. নিজেকে হানাফী বা সালাফী বলে পরিচয় দেয়া।
১৯৭. মুসলিমদের মধ্যে বিভিন্ন দল তৈরী করা।
১৯৮. ইসলামের ইলমকে শরীয়ত, তরিকত, মারিফত ও হাকিকত এই চার ভাগে ভাগ করা।
১৯৯. ইলমে তাসাউফ বলে নতুন জ্ঞানের চর্চা করা।
২০০. পীর-মুরীদি করা বিদ’আত এবং শিরক।
২০১. পীর-মুরীদির সিলসিলা তরিকায় চলা ও ইবাদত করা।
২০২. রাজতন্ত্রের ন্যায় বংশানুক্রমে পীরের ওয়ারিস হওয়া।
২০৩. পীরের নিকট বাইয়াত করা।
২০৪. পীর বা অন্য কোন ওলির নিকট তওবা করা।
২০৫. পীর-ওলি বা বুজুর্গানের নিকট বরকত হাসিল করার উদ্দেশ্যে তাদের শরীর, হাত-পা টিপে দেয়া।
২০৬. বরকতের উদ্দেশ্যে পীরের আধা-খাওয়া প্লেট থেকে খাবার খাওয়া।
২০৭. স্বপ্নে পাওয়া তরিকায় নফল ইবাদত করা।
২০৮. বরকতের উদ্দেশ্যে পীরকে টাকা, গরু-ছাগল, চাল-ডাল ইত্যাদি দেয়া।
২০৯. মা-বাবার খেদমত না করে পীরের খেদমত করা।
২১০. কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশিবন্দিয়া, মুজাদ্দেদীয়া ইত্যাদি চার তরিকায় ইবাদত করা।
২১১. ছয় লতিফার যিকর করা। শুধু আল্লাহ শব্দের যিকর করা।
২১২. শুধু ইল্লাল্লাহ শব্দের যিকর করা। অর্থাৎ আল্লাহ শব্দের সাথে তার গুণবাচক কোন নাম যোগ না করে যিকর করা ।
২১৩. মাফি কালবি গাইরুল্লাহ, লাইলাহাইল্লাল্লাহ নূর মুহাম্মাদ সাল্লল্লাহ বলে। যিকর করা ।
২১৪. পীর-ওলিদের হুজুর কেবলা বলা, হুজুরে পাক বলা বা আব্বাহুজুর বলা।
২১৫. সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে যিকর করা।
২১৬. যিকর করতে করতে জবাই করা মুরগির মতো লাফ দেয়া।
২১৭. আল্লাহকে পাওয়ার জন্য জংগলে চলে যাওয়া।
২১৮. পীরসাহেবের নামে দুরূদ পড়া এবং যিকর করা।
২১৯. সালাত আদায়ের পরে পীরসাহেবের বানানো ওযীফা বা হাদিয়া ফরয বা সুন্নাত মনে করে পড়া।
২২০. পীরের গদ্দীনশীন হওয়া।
২২১. অলৌকিক ক্রিয়াকান্ড ঘটানো, এটা প্রথমে শিরক এবং পরে বিদআত।
২২২. পীরকে কদমবুসি করা, আর কদমবুসি করার সময় মাথা নিচু হলে এটা শিরকে পরিণত হয়ে যাবে।
২২৩. পীরকে গোসল করিয়ে সেই গোসলের পানি খাওয়া। তাছাড়া এই পানিকে অতি পবিত্র এবং শিফা মনে করা বিদ’আত ও শিরক।
২২৪. কোন কোন দরগায় ঢোল-ডুগডুগি বাজিয়ে যিকির করা হয়।
২২৫. কোন কাজ ঠিক মতো না হলে তখন পীরসাহেব বলবেন যে তার দেয়া আমল ঠিক মতো করা হয়নি।
২২৬. হিন্দুদের মতো কারো উসিলা সন্ধান করা বা ধরা।
২২৭. এমনভাবে যিকির করতে হবে যেন দেখে পাগল মনে হয়।
২২৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তরিকা বাদ দিয়ে পীরের তরিকা অনুসরণ করা।
হাজ্ব ও ওমরা সংক্রান্ত বিদআতঃ
২২৯. প্রত্যেক তাওয়াফে বা সায়ীতে নির্দিষ্ট দু’আ পড়া।
২৩০. মক্কা-মদীনা, আরাফা, মুযদালিফা, বদর ও ওহুদের মাটি, গাছ, পাথর ইত্যাদি সংগ্রহ করে বরকতস্বরূপ দেশে নিয়ে যাওয়া।
২৩১. হাজ্জ বা ওমরার সময় ছাড়া অন্য সময়ে মাথা কামানো সুন্নাত মনে করা।
২৩২. হাজ্জ করে নিজের নামের সাথে আলহাজ্জ উপাধি লাগানো।
২৩৩. হাজ্জ, উমরাহ অথবা যিয়ারতে এসে মদীনা শরীফে ৮ দিনে ৪০ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ওয়াজিব মনে করা বিদআত।
২৩৪. হাজ্জ করতে হবে ঘরে বসেই আর তা হবে রূহানী জগতের মাধ্যমে, এই ধরনের বিশ্বাস থাকা।
২৩৫. পীরের কলবের ভিতরেই আছে কাবা। তাই পীরের সেবা করলেই হাজ্জ হয়ে যাবে, এসব কথায় বিশ্বাস করা।
২৩৬. ঢাকার টুঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাকে দ্বিতীয় হাজ্জ বলা বা মনে করা এবং ইহরামের কাপড় পরে সেখানে উপস্থিত হওয়া।
২৩৭. ঢাকার টুঙ্গির বিশ্ব ইজতেমাকে গরিবের হাজ্জ মনে করা। (বিদ’আত এবং শিরক)।
২৩৮. ওহুদ পাহাড়ের মাটি এনে তা শিফা হিসেবে ব্যবহার করা বিদআত ও শিরক।
২৩৯. যমযম কূপের পানি এনে তা আবার পীরসাহেব বা হুজুর কেবলা দ্বারা পানির মধ্যে ফু দিয়ে তা বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে দেয়া।
২৪০. সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাবা শরীফ, মসজিদে নববী এবং মসজিদে আকসা ছাড়া অন্য কোথাও সফর করা।
২৪১. অনেকে তাওয়াফ শেষের দুই রাকআত সলাত দীর্ঘ করেন। অতঃপর সালাত আদায় শেষে বসে দীর্ঘ মুনাজাতে লিপ্ত হন। এটি একেবারেই সুন্নত বিরোধী কাজ।
২৪২. মদীনার বাকী কবরস্থানকে ‘জান্নাতুল বাকী” বলা বিদআত।
২৪৩. উমরাহ করতে গিয়ে মসজিদুল হারামে প্রবেশের পর তাওয়াফ না করে প্রথমে দুই রাকআত তাহ্ইয়াতুল মসজিদ পড়া।
২৪৪. অনেকে বিদায়ী তাওয়াফ শেষ করে ফেরার সময় কাবা ঘরের দিকে মুখ করে কবর পূজারীদের মত পিছন দিকে হেঁটে বের হন, এটা বিদ’আত।
২৪৫. বিভিন্ন নামে নামে তাওয়াফ করা। যেমন-: মায়ের নামে, ছেলের নামে ইত্যাদি বিদআত।
২৪৬. মসজিদে নববীর খুঁটিকে ‘হানড়বা খুঁটি’ ‘আয়িশা খুঁটি ইত্যাদি মনে করে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করা ও এসব এর উসীলায় দু’আ করা বিদআত।
২৪৭. আলী মসজিদ, আবুবকর মসজিদ ইত্যাদিতে বরকত মনে করে সালাত আদায় করা বিদআত।
২৪৮. ফাতেমা (রা.) এর কবুতর মনে করে গম ছিটানো বিদ’আত।
২৪৯. বাকী কবরস্থানে যাদেরই কবর হবে তারা জান্নাতে যাবে, এধারণা বিদআত।
২৫০. হাজ্জের সাদা কাপড়গুলো জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে রাখা এবং কবরের আজাব লাঘবের উদ্দেশ্যে কাফনের কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা।
বিয়ে সংক্রান্ত বিদআতঃ
২৫১. বিয়েতে মোহরানা আদায় না করে বাকী রাখা।
২৫২. গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের একত্রে আনন্দ ফুর্তি করা।
২৫৩. পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যে বড় অংকের মোহরানা ধার্য করা।
২৫৪. বিয়ের আগেই বর কনের অবাধ মেলামেশা অবৈধ।
২৫৫. পাত্রের পুরুষ আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক পাত্রী দেখা।
২৫৬. একত্রে তিন তালাক দেয়া।
২৫৭. সমাজে প্রচলিত হিল্লা বিয়ে।
২৫৮. মেয়েদের পিতার ওয়ারিশি না দেয়া।
২৫৯. বিয়েতে ‘উকিল বাবা’ এটা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। প্রকৃত বাবা একজনই, অন্য কাউকে বাবা বানানো যাবে না। উকিল বাবার নিকট পর্দাও ফরয।
২৬০. বিবাহ বার্ষিকী বা Marriage Anniversary পালন করা।
সালাম (কদমবুসি) সংক্রান্ত বিদআতঃ
২৬১. কারো পায়ের সাথে বা গায়ের সাথে পা লাগলে কদমবুসি করতে হয়।
২৬২. আত্মীয়স্বজন ও গুণীদের পা ছুয়ে সালাম করা (কদমবুসি করা)।
২৬৩. দাঁড়ী-পাল্লা বা মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
২৬৪. কুরআন হাতে নিয়ে বা তিলাওয়াত করে তাকে সালাম করতে হয়।
২৬৫. বই হাত থেকে মাটিতে পরে গেলে তাকে উঠিয়ে সালাম করতে হয়।
২৬৬. তসবীহ পড়ার পর তসবীহ ছড়া মুখে চুম খেয়ে সালাম করতে হয়।
২৬৭. রাস্তা-ঘাটে কোথাও কোন আরবী লিখা কাগজ পেলে তা উঠিয়ে সালাম করা (হতে পারে সেটা আরবী পত্রিকা বা অন্য কিছু)।
অন্যান্য বিদ’আতসমূহঃ
২৬৮. কোন কাজ শুরু করার আগে বরকতের উদ্দেশ্যে ফাতিহা পাঠ করা।
২৬৯. আজানের পর দু’আ করার সময় হাত তুলে দু’আ করতে হবে মনে করা।
২৭০. রমাদানের সাতাশের রাতকে নির্দিষ্টভাবে লাইলাতুল কদরের রাত মনে করা। এছাড়া এই রাতে ওমরা করা।
২৭১. সওয়াবের উদ্দেশ্যে বই লিখে প্রিয়জনের নামে উৎসর্গ করা।
২৭২. খাওয়ার সময় লবণ দিয়ে খাওয়া আরম্ভ করাকে সুন্নাত মনে করা।
২৭৩. সাইরেন, ঢোল, গালের সুরে সেহরী বা ইফতারের জন্য ডাকা সওয়াব মনে করা এবং চাঁদা নেয়া। ২৭৪. স্বপ্নের ফয়সালা মেনে নেয়া ।
২৭৫. সওয়াবের উদ্দেশ্যে তসবীহ ব্যবহার বা সর্বদা সওয়াবের উদ্দেশ্যে হাতে তসবীহ রাখা । (ক্যলকুলেটর হিসেবে তসবীহ ব্যবহার করা যেতে পারে)।
২৭৬. মহররমের নামে তাজিয়া মিছিল বের করা ও মাতম করা ইত্যাদি।
২৭৭. হাত তুলে মুনাজাত করার পর মুনাজাত শেষে দুই হাত মুখের মধ্যে ঘষা।
২৭৮. কবরকে ‘মাযার” বলা। যেমন: পাগলা বাবার মাযার, লেংটা বাবার মাযার ইত্যাদি।
২৭৯. আল্লাহর নাম বা কুরআনের কোন আয়াত অংকে Convert করা । যেমন: ৭৮৬ বা 786.
২৮০. যাহেরী ইলম ও বাতেনি ইলম, রূহানী ইলম ইত্যাদি প্রকারভেদসমুহ।
২৮১. আশুরার দিন সাতদানার শিরণী পাকান সওয়াবের কাজ মনে করা।
২৮২. ভুল হলে তওবা তওবা বলে দুই গালে থাপ্পর দিয়ে তওবা করা।
২৮৩. যে গ্রাম দিয়ে একজন আলেম হেটে যাবে সেই গ্রামের কবরে ৪০ দিন পর্যন্ত আযাব হবে না।
২৮৪. আল্লাহ হাফেয বা খোদা হাফেয বলা বিদআত। কারণ এটি কোন ইসলামী পরিভাষা না ।
২৮৫. মুছাফা করার পর হাত বুকে লাগানো বিদআত।
২৮৬. আজানের সময় মহিলাদের মাথায় কাপড় দেয়া।
২৮৭. কিবলার দিকে পা না দিয়ে ঘুমানো।
২৮৮. বাচ্চাদের খতনা করানোর পর মুসলমানীর অনুষ্ঠান করা ।
২৮৯. আযানের পর হাত তুলে মুনাজাত (দু’আ) করা।
২৯০. রোযার নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা।
২৯১. ১৩০ ফরয জানা ফরয।
২৯২. স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।
২৯৩. খাবার সময় সালাম দিতে নেই।
২৯৩. ঔষধ খাওয়ার সময় “বিসমিল্লাহ বললে” রোগ বেড়ে যাবে।
লেখকঃ আসাদ রনি {মোঃ আসাদুজ্জামান}
বইঃ মুসলিমদের একটাই পথ।