1: সাহল ইবনে আব্দুল্লাহ তুসতারী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত:২৮৩ হি.] বলেন, النَّاسُ كُلُّهُمْ سُكَارَى إِلَّا الْعُلَمَاءُ، وَالْعُلَمَاءُ كُلُّهُمْ حَيَارَى إِلَّا مَنْ عَمِلَ بِعِلْمِهِ، “আলেমগণ ছাড়া সকল মানুষ দিকভ্রান্ত। আর অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমলকারী ছাড়া সকল আলেম দিশেহারা”।(আব্দুর রঊফ মুনাভী,ফায়যুল ক্বাদীর (মিসর: আল-মাকাবাতুত তিজারিইয়াহ আল-কুবরা, ১ম মুদ্রণ, ১৩৫৬হি.) ৫/৫১০) . এখানে সাহল ইবনে আব্দুল্লাহ তুসতারী (রাহিমাহুল্লাহ) মানুষের জ্ঞান, অন্তরের অবস্থা ও আমলের পারস্পরিক সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর বক্তব্যের মর্ম হলো—অধিকাংশ মানুষ দুনিয়ার মোহ, লোভ, কামনা-বাসনা ও নফসের খেয়ালের পেছনে ছুটতে ছুটতে প্রকৃত সত্য থেকে বিমুখ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তারা হয়ে যায় মাতালের মতো—যারা না বাস্তবতাকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে, না সঠিক পথে অগ্রসর হতে সক্ষম হয়।কিন্তু আলেমগণ সাধারণ মানুষের তুলনায় অধিকতর সচেতন। তারা হক ও বাতিল, সত্য ও মিথ্যার ব্যবধান চিনতে পারে। তবুও কেবল জ্ঞান অর্জনই যথেষ্ট নয়; কারণ অনেক আলেমও দুনিয়ার চাপ, মতবিরোধ কিংবা অহংকারের কারণে পথ হারিয়ে ফেলতে পারেন।অতএব, প্রকৃত সফল আলেম তারা-ই, যারা প্রাপ্ত জ্ঞানকে আমলে রূপান্তরিত করে আল্লাহভীতির সাথে জীবন গড়ে তোলে। তারাই সত্যিকার অর্থে হেদায়াতপ্রাপ্ত; তারা বিভ্রান্ত মাতালের মতো নয়, বরং আল্লাহর সান্নিধ্যে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে অটল যাত্রী। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।