সাওমের নিয়ত করা এবং যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রমযানের সাওমের নিয়ত করবে না তার সাওম আদায় হবে না

সাওমের নিয়ত করা এবং যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রমযানের সাওমের নিয়ত করবে না তার সাওম আদায় হবে না
=================================================================

হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

«مَنْ لَمْ يُبَيِّتِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَا صِيَامَ لَهُ»

“যে ব্যক্তি (রমযানের সাওম ব্যতীত) রাত্রে সাওমের নিয়ত না করে তার সাওম পালন করা হবে না”।

নাসায়ী, হাদীস নং ২৩৩১, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। আবূ দাউদ, ২৪৫৪, তিরমিযী, ৭৩০।

হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«مَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ، فَلَا يَصُومُ»

“যে ব্যক্তি ফজর উদয়ের পূর্বেই রাত্রে সাওমের নিয়ত না করে তার সাওম পালন হবে না”।

নাসায়ী, হাদীস নং ২৩৩৩, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। সহীহ ইবন খুযাইমা, ১৯৩৩, ‘আযমী রহ. বলেছেন, হাদীসের সনদটি সহীহ।

নফল সাওমের নিয়ত দিনের বেলায় সূর্য হেলে যাওয়ার পূর্বে করা জায়েয এবং নফল সাওম পালনকারীকে ওযর ব্যতীতই সাওম ভঙ্গ করানো জায়েয
====================================================

উম্মুল মুমিনীন ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ذَاتَ يَوْمٍ يَا عَائِشَةُ، هَلْ عِنْدَكُمْ شَيْءٌ؟ قَالَتْ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا عِنْدَنَا شَيْءٌ قَالَ: فَإِنِّي صَائِمٌ قَالَتْ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ أَوْ جَاءَنَا زَوْرٌ قَالَتْ: فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ أَوْ جَاءَنَا زَوْرٌ وَقَدْ خَبَأْتُ لَكَ شَيْئًا، قَالَ: مَا هُوَ؟» قُلْتُ: حَيْسٌ، قَالَ:«هَاتِيه فَجِئْتُ بِهِ فَأَكَلَ، ثُمَّ قَالَ: قَدْ كُنْتُ أَصْبَحْتُ صَائِمًا قَالَ طَلْحَةُ: فَحَدَّثْتُ مُجَاهِدًا بِهَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ: ذَاكَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُخْرِجُ الصَّدَقَةَ مِنْ مَالِهِ، فَإِنْ شَاءَ أَمْضَاهَا وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا»

“একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আয়েশা! তোমার নিকট (খাওয়ার মতো) কোনো কিছু আছে কি? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার নিকট কিছুই নেই। তখন তিনি বললেন, তাহলে আমি সাওম পালন করছি। ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইরে চলে গেলেন। ইত্যবসরে আমাদের নিকট কিছু হাদিয়া আসলো কিংবা তিনি বলেছেন, দর্শনার্থী কতিপয় লোক আমাদের নিকট আসলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে আসলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ! আমাদের কিছু হাদিয়া দেওয়া হয়েছে কিংবা তিনি বলেছেন, কতিপয় দর্শনার্থী আমাদের নিকট এসেছেন। আমি আপনার জন্য কিছু খাবার সযত্নে রেখে দিয়েছি। তিনি বললেন, তা কী? আমি বললাম, হায়স অর্থাৎ ঘি এবং পনির মিশ্রিত খেজুর। তিনি বললেন, নিয়ে আস। তখন আমি তা নিয়ে এলাম। তিনি তা খেলেন। তারপর বললেন, আমি ভোরে সাওম পালনের নিয়ত করেছিলাম। বর্ণনাকারী তালহা রহ. বলেন, আমি এ হাদীস মুজাহিদ রহ.-এর নিকট বর্ণনা করার পর তিনি বললেন, এ কাজটি ঐ ব্যক্তির মতো যে তার মাল থেকে সদকা বের করলো। সে ইচ্ছা করলে তা দান করতে পারেন আর ইচ্ছা করলে রেখেও দিতে পারে।”

সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৪।