প্রশ্ন: রাসূল (ﷺ) অযু এবং গোসলে কতটুকু পানি খরচ করতেন? সংক্ষেপে ওজুর বিশুদ্ধ সুন্নাতি পদ্ধতি জানতে চাই।
▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬
ভূমিকা: পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। শতসহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণাধিক প্রিয় নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি। অতঃপর রাসূল (ﷺ) অযু এবং গোসলে কতটুকু পানি খরচ করতেন এ বিষয়ে প্রখ্যাত সাহাবী আনাস ইবনু মালিক (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) [মৃত: ৯৩ হি.] বলেন,كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ بِالْمُدِّ وَيَغْتَسِلُ بِالصَّاعِ إِلَى خَمْسَةِ أَمْدَادٍ .”রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,এক মুদ্দ পানি দিয়ে ওজু করতেন, এবং এক সা’ থেকে পাঁচ মুদ্দ পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করতেন।”(সহীহ বুখারী হা/২০১;সহীহ মুসলিম হা/৬৩০) হাদীসে কানা’ (كان) শব্দটি প্রমাণ করে যে রাসূল (ﷺ) নিয়মিত এভাবেই পানি খরচ করতেন।
.
ইমাম মুসলিম (রাহিমাহুল্লাহ) আম্মাজান আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করতেন তিন মুদ অথবা তার নিকটবর্তী মুদ পানি ধারণ ক্ষমতা রাখে এমন পাত্র থেকে গোসল করতেন। অপর বর্ননায় আম্মিজান ‘আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) [মৃত: ৫৭/৫৮ হি.] বলেন,”আমি ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করতাম। যে পাত্রকে (اَلْفِرَقَ) ফিরাক বলা হয়, আর তাতে তিন (صَاعً) ‘সা’ (সাড়ে সাত কেজি) পরিমান পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।”(বুখারী হা/২০১, মুসলিম হা/ ৩২৫; ফাতহুল বারী; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৩৭২)
.
“মুদ্দ” হলো “সা’”-এর এক-চতুর্থাংশ। এক সা’ প্রায় ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি ওজনের সমান। এক মুদ্দ প্রায় ৬০০–৭০০ গ্রামের মত, এবং চার মুদ্দ মিলে এক সা’ হয়। লিটার অনুযায়ী হিসাব করলে, এক মুদ্দ প্রায় ০.৭৫ লিটার পানি সমান। সুতরাং,ওজুর জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করতেন, তা আনুমানিক ৬০০–৭০০ গ্রামের সমান। যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি,এটিকে সহজভাবে দুই হাতের পূর্ণ অঞ্জলির পানির পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করাও সম্ভব।মূলকথা হলো صاع ‘সা’ ৫ মুদের বেশী হবে না এবং ৪ মুদের কম হবে না।
.
ফিরোজাবাদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেনوالمُدُّ، بالضم: مِكْيالٌ، وهو رِطْلانِ، أو رِطْلٌ وثُلُثٌ، أو مِلْءُ كَفَّيِ الإِنسانِ المُعْتَدِلِ إذا مَلأَهُما وَمَدَّ يَدَهُ بهما، وبه سُمِّيَ مُدًّا، وقد جَرَّبْتُ ذلك فَوَجَدْتُهُ صحيحاً”মুদ্দ যেটি পেশ সহ উচ্চারিত হয়, একটি পরিমাপের একক। এটি দুই রিতল, অথবা এক রিতল ও এক-তৃতীয়াংশ,অথবা একজন মধ্যম আকৃতির মানুষের দুই হাতের পূর্ণ মুঠোর পরিমাণ, যা সে উভয় হাত ভরে ভরে টেনে ধরে।এ কারণেই এটিকে ‘মুদ্দ’ বলা হয়েছে।আমি নিজে তা পরীক্ষা করেছি এবং সঠিক পেয়েছি।”(আল-কামুস আল-মুহীত; পৃষ্ঠা: ৩১৮)
.
জেনে রাখা উচিত যে, অযু ও গোসলের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি শরিয়তে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত নেই। বরং প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রয়োজন অনুসারে পানি ব্যবহার করবে। তবে ওযু বা গোসলকারীর কর্তব্য হলো পানি ব্যবহারে সংযম অবলম্বন করা এবং অপচয় থেকে বিরত থাকা। বিশেষ করে অযুর ক্ষেত্রে “এক মুদ্দ” পানিতে সীমাবদ্ধ থাকা আবশ্যক নয়। বরং করণীয় হলো প্রতিটি অঙ্গকে তিনবার ধোয়া এবং এমনভাবে ধোয়া যাতে অযুর অঙ্গ গুলো পূর্ণভাবে পানিতে ভিজে যায়।অযু করতে গিয়ে যদি কখনো এক মুদ্দের বেশি পানি ব্যবহৃত হয়ে যায়—বিশেষত নলকূপ বা কল থেকে অযু করার সময়, যেখানে ঠিক মুদ্দের হিসাব মেনে চলা প্রায় অসম্ভব—তাহলেও এতে কোনো দোষ নেই। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিটি অঙ্গ তিনবারের বেশি ধোয়া না হয়। কারণ তিনবারের বেশি ধোয়া অপচয় ও সীমালঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত।যেমন-আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন যে,جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُهُ عَنِ الْوُضُوءِ فَأَرَاهُ ثَلَاثًا ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا الْوُضُوءُ فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا فَقَدْ أَسَاءَ وَتَعَدَّى وَظَلَمَ”এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে তাঁকে উযু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায়, তিনি তাকে তিন তিনবার করে (উযূর প্রতিটি অঙ্গ ধুয়ে) দেখালেন। অতঃপর বললেন, এই হলো ওযূ। যে ব্যক্তি এর চেয়ে বাড়িয়ে করলো সে মন্দ করলো, সীমালঙ্ঘন করলো ও যুলম করলো।”(সুনানে নাসায়ী হা/১৪০, ইবনু মাজাহ হা/৪২২, সিলসিলা সহীহাহ হা/২৯৭০)
.
শাফি‘ঈ মাযহাবের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ইমাম মুহিউদ্দীন বিন শারফ আন-নববী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ৬৭৬ হি.] বলেছেন,يشترط في غسل الأعضاء جريان الماء عليها، فإن أمسه الماء ولم يجر: لم تصح طهارته اتفق عليه الأصحاب …..”অঙ্গ ধোওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হলো এর উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়া। যদি পানি শুধু স্পর্শ করে কিন্তু প্রবাহিত না হয়, তবে তার পবিত্রতা (ওজু বা গোসল) সহীহ হবে না এ ব্যাপারে সকল আসহাব একমত।”(নববী আল মাজমূ খণ্ড: ১;পৃষ্ঠা: ৪৯১)
.
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেছেন:أجمع المسلمون على أن الماء الذي يجزئ في الوضوء والغسل غير مقدر، بل يكفي فيه القليل والكثير؛ إذا وجد شرط الغَسل، وهو جريان الماء على الأعضاء”সমস্ত মুসলিম ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে, ওজু ও গোসলে যে পানি যথেষ্ট হবে তার কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ শরীয়তে বেঁধে দেওয়া হয়নি। বরং অল্প বা বেশি যেকোনো পরিমাণেই যথেষ্ট হবে, শর্ত এই যে পানি অঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে হবে।”(শারহু সহীহ মুসলিম; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ২০)
.
তিনি সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যায় আরও বলেছেন:”أَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى كَرَاهَةِ الزِّيَادَةِ عَلَى الثَّلَاثِ ، وَالْمُرَادُ بِالثَّلَاثِ الْمُسْتَوْعِبَةِ لِلْعُضْوِ، وَأَمَّا إِذَا لَمْ تَسْتَوْعِبِ الْعُضْوَ إِلَّا بِغَرْفَتَيْنِ ، فَهِيَ غَسْلَةٌ وَاحِدَةٌ”আলেমগণ সর্বসম্মত যে, তিনবারের (ধোয়া) বেশি করা মাকরূহ। আর তিনবার বলতে বোঝানো হচ্ছে যে, তিনবারে পুরো অঙ্গ ধোয়া হয়ে গেছে। কিন্তু যদি একটি অঙ্গ পূর্ণ ধোয়া না হয় একবারে, বরং দুইবার পানি নেওয়ার মাধ্যমে অঙ্গ ভিজে যায়, তবে সেটি একবার ধোয়ার গণ্য হবে।”(শারহুন নববী আলা মুসলিম; খণ্ড: ৩; পৃষ্ঠা: ১০৯)
.
শাইখ আবু উমর দুবইয়ান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন:
أما بالنسبة للعدد، فالزيادة على الثلاث: إن لم تكن محرمة، فهي مكروهة كراهة شديدة؛ لأنه قد ورد النهي عن الزيادة على الثلاث، وهو أكثر ما فعله رسول الله – صلى الله عليه وسلم -.وأما بالنسبة لمقدار الماء المستعمل في الوضوء، فلم يأت حد من الشرع، بحيث لا يتجاوزه الإنسان، والناس يختلفون في هذا بدانة ونحافة، والمياه في عصرنا تأتي عن طريق الصنابير التي تدفع الماء دفعاً، لا يمكن معه التقيد بالمقدار الوارد؛ إلا أن يأخذ الإنسان الماء في إناء، ويغلق الصنبور، وقد لا يتوفر الإناء في كل مكان. والأحاديث الواردة في مقدار وضوء النبي – صلى الله عليه وسلم – كلها تدل على أن كمية الماء ليس فيها حد بمقدار معين، وإنما الأمر تقريبي”
“সংখ্যার ক্ষেত্রে তিনবারের বেশি করা যদি হারামও না হয়, তবে তা খুবই মাকরূহে তাহরীমী,কারণ তিনবারের বেশি করা থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বেশি তিনবারই করেছেন। পানির পরিমাণের ক্ষেত্রে: শরীয়তে ওজুর পানির কোনো নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, যা অতিক্রম করা যাবে না। মানুষের দেহ মোটা-পাতলা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় এ ব্যাপারে পার্থক্য ঘটে। আমাদের যুগে পানি আসে টিউবওয়েল/ট্যাপ দিয়ে, যেখান থেকে পানি প্রবাহিত হয়, এতে করে নির্দিষ্ট পরিমাণের সাথে মিলানো সম্ভব হয় না। তবে কেউ যদি পাত্রে পানি নিয়ে কল বন্ধ করে নেয়, তাহলে তা সম্ভব। কিন্তু সব জায়গায় পাত্র পাওয়া যায় না।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওজুর পানির পরিমাণ সংক্রান্ত হাদিসগুলো সবই প্রমাণ করে যে, পানির কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই,বরং এটি আনুমানিক বিষয়।”(মাওসুয়াতুত ত্বহারাত; খণ্ড: ৯; পৃষ্ঠা: ৩৬৮)
.

.
অযুর মুস্তাহাব পদ্ধতি: যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহতে বর্ণিত হয়েছে; ওযুর বিস্তারিত পদ্ধতি নিম্নরূপ:-অযুর ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সর্বাগ্রে অন্তরে ওজুর নিয়ত করবেন। ওজুর আগে মিসওয়াক করতে পারেন; যা একটি সুন্নাতি আমল। এরপর ‘বিসমিল্লাহ’ বলবেন। তারপর দু হাতের কব্জি ধৌত করবেন তিনবার। কব্জিদ্বয় তিনবার ধৌত করা, প্রথমে ডান হাতের কব্জি ধৌত করা এবং দু হাতের আঙুলসমূহ খিলাল করা সুন্নাত। এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে তিনবার কুলি করবেন এবং ডান হাতে পানি নিয়ে তিনবার নাকে পানি দেবেন। এক অঞ্জলি পানি দিয়েই একসাথে কুলি করতে ও নাকে পানি দিতে পারবেন; আবার কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়ার জন্য আলাদাভাবেও পানি নিতে পারবেন উভয়ই বৈধ। আর নাকে পানি দেওয়ার পর নাক ঝাড়বেন বাম হাত দিয়ে। এরপর তিনবার মুখমণ্ডল ধৌত করবেন। ঘন দাড়ি থাকলে দাড়ি খিলাল করবেন; এক অঞ্জলি পানি নিয়ে দাড়ি ঘষার মাধ্যমে খিলাল করবেন। এরপর তিনবার কনুই সহকারে দুই হাত ধৌত করবেন,কনুই পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ডান হাত আগে ধৌত করা সুন্নাত। এরপর দুই হাতে পানি নেওয়ার পর পানি ফেলে দিয়ে ভেজা দুই হাত দ্বারা সমগ্র মাথা একবার মাসেহ করবেন; মাথার সামনের দিকের চুল যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকে নিয়ে মাথার পেছনে ঘাড়ের শেষভাগ পর্যন্ত মাসেহ করবেন। দুই কানের ওপরে থাকা চুলবিহীন সাদা অংশও মাসেহ করবেন। এরপর নতুন করে পানি নিয়ে পানিভেজা হাত দিয়ে একবার দুই কান মাসেহ করবেন। একসাথে দুই কান মাসেহ না করে প্রথমে ডান কান এরপরে বাম কান মাসেহ করা সুন্নাত। কান মাসেহের সময় তর্জনী আঙুল দিয়ে কানের ছিদ্রের অংশ মাসেহ করবেন এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে কানের পৃষ্ঠদেশ মাসেহ করবেন। এরপর তিনবার টাখনু সহকারে দুই পা ধৌত করবেন, টাখনু পর্যন্ত। প্রথমে ডান পা ধৌত করা সুন্নাত। পা ধোয়ার সময় পায়ের আঙুলগুলো খিলাল করা সুন্নাত। সুতরাং বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে ডান পায়ের আঙুলগুলো খিলাল করবেন; ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুল থেকে শুরু করে ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি পর্যন্ত,এরপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে শুরু করে বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুল পর্যন্ত খিলাল করবেন।পুরুষ ও মহিলার ওযু করার পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য নেই।ওযু সমাপ্ত করার পর এই দোয়া বলা মুস্তাহাব: আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ। সাথে যোগ করতে পারেন আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত্তা ওয়াবীন ওয়াজ আলনি মিনাল মুতাতাহ্হিরীন। সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক। (অর্থ-“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তাওবা করছি।)(হাদিসগুলো দেখুন;সহিহ মুসলিম, ত্বহারাত ৩৪৫; সহিহুত তিরমিযি হা/৪৮) ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) হাদিসটিকে ‘সহিহ’ আখ্যায়িত করেছেন] (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য:মারয়ি বিন ইউসুফ আল-কারামি, দালিলুত তালিব লি নাইলিল মাতালিব, তাহকিক: আবু কুতাইবা আল-ফারিয়াবি (রিয়াদ: দারু তাইবা, ১ম প্রকাশ, ১৪২৫ হি./২০০৪ খ্রি.), পৃষ্ঠা:১১-১২; মানসুর বিন ইউনুস আল-বুহুতি,আর-রওদুল মুরবি বি শারহি জাদিল মুস্তাকনি, তাহকিক খালিদ আল-মুশাইকিহ, আব্দুল আজিজ ;আল-ইদান ও আনাস আল-ইয়াতামা (কুয়েত: দারু রাকায়িজ; ১ম প্রকাশ; ১৪৩৮ হি.);খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ১১২-১১৪ ও ১২৪-১২৭; আল-কুআইমি; ফাইদুল জালিল; খন্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৬৬-৭৬ অযু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন: বই সালাতের শর্তাবলি এবং ফরজ-ওয়াজিবসমগ্র। ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব আত-তামিমি আন-নাজদি (রাহিমাহুল্লাহ)। (আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬
উপস্থাপনায়: জুয়েল মাহমুদ সালাফি।
সম্পাদনায়: ওস্তায ইব্রাহিম বিন হাসান হাফিজাহুল্লাহ।
অধ্যয়নরত, কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব।